বয়স সংখ্যা মাত্র। মনের বয়স না বাড়লেও শরীরে বয়সের ছাপ পড়তে শুরু করে। এটাই স্বাভাবিক। বয়স বাড়ছে, বলিরেখা মূলত তারই ইঙ্গিত দেয়। বিশেষজ্ঞদের মতে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কোষের কার্যক্ষমতা কমতে শুরু করে। ত্বক পাতলা হয়ে যায়। ত্বকের আর্দ্রতা ও স্থিতিস্থাপকতা হ্রাস পায়। ত্বক স্বাভাবিকতা হারায়। এ কারণে ত্বকে বলিরেখা দেখা দেয়।
বলিরেখা কেন পড়ে?
ত্বকে বলিরেখার প্রাথমিক ধাপ- বয়স বৃদ্ধি। তবে এর বাইরেও নানা কারণে ত্বকে বলিরেখা দেখা দিতে পারে। সহজভাবে বলতে গেলে, বলিরেখার ক্ষেত্রে বংশগত, জীবনযাপন রীতি, পরিবেশ, খাদ্যাভ্যাস, ধূমপান, সূর্যের আলো ভূমিকা রাখে। অনেকের ধারণা, বলিরেখা কমানোর কোনো উপায় নেই।
বলিরেখা প্রতিরোধে করণীয়
বলিরেখা দূরীকরণে আধুনিক চিকিৎসাপদ্ধতি আছে। পাশাপাশি প্রচুর পানি পান এবং স্বাস্থ্যকর ডায়েট মেনে চলতে হবে। এ ছাড়া কমাতে হবে স্ট্রেস (দুশ্চিন্তা)। রোদে বেরোলে সানস্ক্রিন মাখতেই হবে। ত্বকের পরিচর্যায়, রইল টিপস।
* ডিমের সাদা অংশ বলিরেখা প্রতিরোধে সাহায্য করে। ডিমের সাদা অংশ ফেটিয়ে ত্বকে সরাসরি লাগিয়ে নিন। শুকিয়ে গেলে মুখ ধুয়ে নিন। সপ্তাহে দুবার এ ফেস মাস্ক ব্যবহার করলে ত্বকের বার্ধক্য দূরে থাকবে।
* অ্যালোভেরা জেল ত্বককে হাইড্রেট রাখতে এবং ত্বকে কোলাজেন উৎপাদন বাড়াতে সাহায্য করে। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে অ্যালোভেরা জেল নিয়ে ত্বকে মালিশ করুন। ১৫ মিনিট পর মুখ ধুয়ে ফেলতে পারেন। আবার অ্যালোভেরা জেল মেখে ঘুমিয়েও পড়তে পারেন।
* নারিকেল তেল ত্বককে শুধু হাইড্রেট রাখে না, বরং ত্বকের স্থিতিস্থাপকতাও উন্নত করে। কয়েক ফোঁটা নারিকেল তেল নিয়ে ত্বকের ওপর মালিশ করুন। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে এ কাজটা করলে ত্বকে রক্ত সঞ্চালন উন্নত হবে। পাশাপাশি গালের চামড়া ঝুলে পড়বে না।
তথ্যসূত্র : দ্য সফট গ্লো
বিডি প্রতিদিন/হিমেল