শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান বলেছেন, খুলনার পাটকলগুলো শিগগিরই উৎপাদনে যাবে। খুলনা একটি শ্রমঘন অঞ্চল। এখানে লাখো শ্রমিকের বসবাস। শ্রমিক ভাইয়েরা অসুস্থ হলে অসহায় বোধ করবেন না। আপনাদের পাশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে শ্রমবান্ধব সরকার আছে। শ্রম ও কর্মসংস্থান অধীন শ্রমিক কল্যাণ তহবিল থেকে শ্রমিকদের আরও সহায়তা প্রদান করা হবে।
বুধবার (১৮ জানুয়ারি) বিকেলে খুলনা মহানগরীর খালিশপুরে শ্রম কল্যাণ কেন্দ্রে শ্রমিকদের চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে প্রাতিষ্ঠানিক-অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের এসকল শ্রমিক ও তাদের সন্তান-পরিজনদের হাতে আর্থিক সহায়তার চেক তুলে দেওয়া হয়। তিনি আরও বলেন, আমি আজ ৫০ বছর শ্রমিকদের পাশে আছি। জীবনের বাকি দিনগুলোও এ দেশের শ্রমজীবী মেহনতি মানুষের জন্য কাজ করে যেতে চাই।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০৩০ সালের আগেই শিশুশ্রমমুক্ত নিরাপদ কর্মক্ষেত্র নিশ্চিত করবে সরকার। কোনো শ্রমিক অসহায় থাকবে না। আর আগামী ২০৪১ সালের আগেই বাংলাদেশ হবে উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ।
এদিন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন তহবিল থেকে খুলনা জেলার তিনটি উপজেলা ও তিনটি থানার ২৭২ শ্রমিককে এক কোটি ৪০ লাখ টাকার আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়। এর মধ্যে খুলনার দৌলতপুর, খালিশপুর, খানজাহান আলী থানা, দিঘলিয়া, ডুমুরিয়া এবং ফুলতলা উপজেলার ২৬৫ জন শ্রমিককে চিকিৎসা সহায়তা হিসেবে এক কোটি ৩৬ লাখ ৭৫ হাজার টাকা, দুজন মৃত শ্রমিকের দাফনের খরচের জন্য ৫০ হাজার এবং শ্রমিকের ৫ জন মেধাবী সন্তানের উচ্চশিক্ষা গ্রহণে সহায়তা হিসেবে দুই লাখ ২০ হাজার টাকার চেক প্রদান করা হয়।
খুলনা বিভাগীয় শ্রম দপ্তরের পরিচালক মো. মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, খুলনার জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন, মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. আশরাফুল ইসলাম প্রমুখ।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ