নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আছেন বলেই দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।’
‘শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকলে ২০৪১ সালের আগেই স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারব। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে কোনো দেশের সাহায্যের প্রয়োজন হবে না। আর এজন্যই আওয়ামী লীগ ও নৌকা প্রতীকের কোনো বিকল্প নেই।’
বুধবার বিকালে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলায় সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. আলমগীরের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় যুবলীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ময়মনসিংহ-১ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য জুয়েল আরেং, ময়মনসিংহ জেলার ডিসি মো. মোস্তাফিজার রহমান, ময়মনসিংহ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) রায়হানুল ইসলাম, যুগ্মসচিব এস. এম. মাহফুজুল হক, প্রকল্প পরিচালক মো. হাসান আলী, হালুয়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহমুদা হাসান, কড়ইতলী কোল এন্ড কোক ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের সভাপতি এম সুরুজ মিয়া প্রমুখ। আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে প্রতিমন্ত্রী দুটি স্থলবন্দরের বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রম ঘুরে দেখেন।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের আওতায় ময়মনসিংহ জেলার হালুয়াঘাট উপজেলায় গোবরাকুড়া-কড়ইতলী স্থলবন্দরটি বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে নির্মিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ বছরের ১১ মার্চ ‘গোবরাকুড়া-কড়ইতলী’ স্থলবন্দরের উদ্বোধন করেন। ৩১.১৪ একর জমির ওপর স্থলবন্দরটি নির্মাণে ৭৫.১৭ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। ভূমি উন্নয়ন, সীমানা প্রাচীর, অভ্যন্তরীণ রাস্তা, ওপেন স্ট্যাক ইয়ার্ড, পার্কিং ইয়ার্ড, একটি ওয়্যারহাউজ, অফিস ভবন, ডরমিটরি ভবন, ব্যারাক ভবন, পাওয়ার হাউজ, ড্রেনেজ ব্যবস্থা, টয়টেল কমপ্লেক্স ও দু’টি ডিজিটাল ওয়েব্রিজ স্কেল নির্মাণ করা হয়েছে। এ বন্দর দিয়ে সকল ধরনের পণ্য আমদানি-রপ্তানি করা যায়। তবে বর্তমানে প্রধানত কয়লা ও পাথর আমদানি হয়ে থাকে এবং রপ্তানিযোগ্য পণ্যের মধ্যে রয়েছে সিমেন্ট, প্লাস্টিক পণ্য ও শিশু খাদ্য ইত্যাদি।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ