করের আওতা বাড়াতে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) থাকলেই সবার রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক করার উচিত বলে মনে করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
তিনি বলেন, মুহিত ভাই অর্থমন্ত্রী থাকার সময় আমি করের আওতা বাড়ানোর জন্য জাতীয় পরিচয়পত্র যাদের আছে, তাদের সবাইকে রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক করার প্রস্তাব করেছিলাম। কিন্তু আজ পর্যন্ত সেটি হয়নি আমলাতন্ত্রের কারণে, এনআইডি যাদের আছে সবাইকে করের আওতায় আনতে পারলে সাত থেকে আট শতাংশ কর জিডিপির হার বাড়বে। বর্তমানে এক শতাংশ মানুষ করের আওতায় রয়েছে।
শনিবার দুপুরে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) অডিটোরিয়ামে প্রয়াত অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, ১৭ কোটি মানুষের দেশ অথচ ট্যাক্স দেয় মাত্র সাড়ে সাত থেকে আট শতাংশ লোক।
তখন আমি ভাইকে বলেছিলাম, আমেরিকায় যাদের সোস্যাল সিকিউরিটি কার্ড আছে তাদের ট্যাক্স দিতে হয়। যাদের সাড়ে ৩ হাজার ডলারের নিচে তাদের ট্যাক্স দিতে হয় না। আর যাদের এর ওপরে তাদের ট্যাক্স দিতে হয়। অথচ আমাদের দেশে করদাতা টিন নম্বর পর্যন্ত সীমাবদ্ধ। এমনকি কোম্পানি ও কর্পোরেশনগুলো টিন নম্বর করেছে। এজন্য আমি বলেছিলাম, যাদের জাতীয় পরিচয়পত্র আছে তাদের সবাইকে ট্যাক্স দিতে হবে। এটা সম্ভব। তিনি এ বিষয়ে আমলাদের যাচাই-বাছাইয়ের জন্য বলেছেন। এখন এটা আমার দাবি, কারণ আমাদের করদাতা বাড়াতে হবে। এজন্য যারই এনআইডি থাকবে তাকেই ট্যাক্স রিটার্ন দাখিল করতে হবে।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা আবুল মাল আবদুল মুহিতকে সুযোগ দিয়েছেন, যে কারণে দেশে অর্থনৈতিক চিন্তা, অবস্থার পরিবর্তন সম্ভব হয়েছে। তাই এই কৃতিত্বের জন্য সবচেয়ে প্রশংসার দাবিদার শেখ হাসিনা।
ইআরএফের সভাপতি মোহাম্মদ রেফায়েত উল্লাহ মৃধার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ফজলে কবির এবং সাবেক অর্থ সচিব মাহবুব আহমেদ।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত