তনুর খুনিদের বিচার দাবিতে রবিবার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা নন্দনপুর বিশ্বরোডে শিক্ষার্থীদের ডাকা অবরোধ দুপুর ২টার দিকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। অবিলম্বে খুনিদের গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনা হবে- প্রশাসনের এমন আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেয় শিক্ষার্থীরা।
এসময় এক সপ্তাহের মধ্যে তনু হত্যার ঘটনা তদন্তে ইতিবাচক ফলাফল দেয়ার আশ্বাস দেন পুলিশ সুপার মো. শাহ আবিদ হোসেন।
এদিন বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে কয়েক হাজার শিক্ষার্থী। তারা টায়ার জ্বালিয়ে ও মিছিল করে সড়কে অবস্থান নেয়। এতে মহাসড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। অবরোধে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়। এদিকে সকালে কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার নিমসারেও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে কিছুক্ষণ অবরোধ ছিল।
ঘটনাস্থলে স্থানীয় এমপি আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার, জেলা প্রশাসক হাসানুজ্জামান কল্লোল ও পুলিশ সুপার মো. শাহ আবিদ হোসেন গিয়ে শিক্ষার্থীদের বুঝিয়ে মহাসড়ক থেকে সরিয়ে দেন।
এ সময় পুলিশ সুপার মো. শাহ আবিদ হোসেন বলেন, অবরোধ করে মানুষকে কষ্ট দিয়ে খুনিদের শনাক্ত করা যায় না। আমরা কোনো জজ মিয়া নাটক সাজাতে চাই না। কোনো নিরাপরাধ ব্যক্তিকে হয়রানি করতে চাই না। আমাদের তদন্ত কাজে কিছু সময় দিতে হবে। আশা করছি এক সপ্তাহের মধ্যে একটি ইতিবাচক ফলাফল বের করতে পারবো।
এদিকে সকাল থেকে বিভিন্ন সংগঠন তনু হত্যাকারীদের বিচার দাবিতে নগরীর কান্দিরপাড়ে মানববন্ধন করেছে। এছাড়া নগরীতে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী বিক্ষোভ মিছিল করেছে।
ময়নামতি হাইওয়ে পুলিশের ওসি মাহবুবুর রহমান জানান, শিক্ষার্থীরা মহাসড়ক অবরোধ করায় দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়। স্থানীয় এমপি আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার, জেলা প্রশাসক হাসানুজ্জামান কল্লোল ও পুলিশ সুপার মো. শাহ আবিদ হোসেন ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের বুঝিয়ে মহাসড়ক থেকে সরিয়ে দেন।
প্রসঙ্গত, গত ২০মার্চ সন্ধ্যায় টিউশনি করে বাসায় ফেরার পথে কুমিল্লা সেনানিবাস এলাকায় পাশবিক নির্যাতনের পর হত্যা করা হয় সোহাগী জাহান তনুকে। ২১মার্চ নিহতের বাবা ইয়ার হোসেন কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানায় অজ্ঞাতদের নামে হত্যা মামলা দায়ের করেন। তনু হত্যার ঘটনায় উত্তাল হয়ে ওঠে সারাদেশ। জেলায় জেলায় মানববন্ধন, মিছিল, প্রতিবাদ সভাসহ নানা কর্মসূচী পালন করছে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। এদিকে হত্যাকাণ্ডের ৭ দিনেও কাউকে গ্রেফতার বা হত্যার রহস্য উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ।
বিডি-প্রতিদিন/২৭ মার্চ ২০১৬/এস আহমেদ