ঢাকার মিরপুরের রূপনগরে জঙ্গি আস্তানায় অভিযানে গিয়ে আহত ৪ পুলিশ কর্মকর্তার মধ্যে দুই জনের অবস্থা গুরুতর। এরা হলেন, রূপনগর থানার ওসি সৈয়দ শহীদ আলম ও পরিদর্শক (তদন্ত) শাহীন ফকির। শুক্রবার রাতে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে দু'জনকে অস্ত্রোপচার শেষে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়েছে।
এদিকে শুক্রবার মধ্যরাতে পান্থপথে স্কয়ার হাসপাতালে ঐ দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে দেখে পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক মোখলেছুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, “তাদের আঘাত গুরুতর। কিন্তু আশঙ্কামুক্ত বা আশঙ্কামুক্ত নন সেটা বলা যাচ্ছে না। শাহীনের ডান পায়েও জখম রয়েছে, যা গুলির ক্ষত বলে মনে হচ্ছে।”
ঢাকা মেডিকেলের আবাসিক চিকিৎসক জেসমিন নাহার জানান, শহীদের কোমরে এবং শাহীনের বাঁ কাধ ও মাথায় ধারাল অস্ত্রের জখম রয়েছে। এদিকে ঘটনার পর আহত পুলিশ কর্মকর্তা শহীদ ও শাহীনের সঙ্গে একই থানার এসআই মো. মোমেনুর রহমানকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে রাত সাড়ে ১০টার দিকে সেখান থেকে শহীদ ও শাহীনকে স্কয়ারে নেওয়া হয়।
এর আগে রাত সাড়ে ৯টার দিকে মিরপুরের রূপনগরের ৩৩ নম্বর সড়কের একটি বাসায় পুলিশের অভিযানে এক জঙ্গি নিহত হন। মুরাদ ওরফে মেজর মুরাদ নামের ওই জেএমবি সদস্য সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জে পুলিশি অভিযানে নিহত নব্য জেএমবির শীর্ষ নেতা তামিম চৌধুরীর ‘সেকেন্ড ইন কমান্ড’ বলে পুলিশের দাবি।
পুলিশের গুলিতে নিহত হওয়ার আগে তিনি ছুরি ও পিস্তল নিয়ে পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলা চালিয়েছিলেন বলে পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক মোখলেছুর রহমান জানিয়েছেন। রূপনগরের ওই বাসা পরিদর্শন করে রাত ১১টার দিকে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ''জঙ্গির অবস্থানের তথ্যের ভিত্তিতে ছয়তলা ওই ভবনে অভিযানে যায় রূপনগর থানা পুলিশ। ওই অভিযানের সময় যে কক্ষে মুরাদ ছিল ওই কক্ষে ঢুকতে চাইলে সে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আক্রমণ করে পালানোর চেষ্টা করে। তখন পুলিশ পাল্টা গুলি করলে সে মারা যায়।''
এর আগে গত ১ জুলাই গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় জঙ্গি হামলায় গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী কমিশনার রবিউল ইসলাম ও বনানী থানার ওসি সালাউদ্দীন নিহত হন। এরপর ঈদের সকালে কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় ঈদগাঁহের একটি প্রবেশ পথে পুলিশের তল্লাশি চৌকিতে জঙ্গিরা হামলা চালালে দুই কনস্টেবল নিহত হন।
বিডি প্রতিদিন/৩ সেপ্টেম্বর ২০১৬/হিমেল-০৯