সংরক্ষিত মহিলা আসনে নব নির্বাচিত মহিলা এমপিরা আজ সংসদ অধিবেশনে যোগ দিয়েছেন। ফলে একাদশ সংসদে সংসদ সদস্য সংখ্যা দাঁড়াল ৩৪১জন। বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ৮জন এমপি শপথ না নেওয়ায় সংখ্যানুপাতে তাদের জন্য বরাদ্দ একটি সংরক্ষিত আসন শূণ্য রয়েছে।
স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী সংসদে তাদেরকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, আমি সবাইকে আন্তরিকভাবে স্বাগত ও অভিনন্দন জানাচ্ছি। আশা করি আপনারা সংসদীয় কার্যক্রমে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করবেন। আপনাদের অংগ্রহণের মধ্য দিয়ে সংসদ আরও প্রাণবন্ত ও কার্যকর হবে।
এসময় উপস্থিত সংসদ সদস্যরা টেবিল চাপড়িয়ে মহিলা এমপিদের স্বাগত জানান। তারপরপরই সম্পূরক প্রশ্ন করতে গিয়ে বিরোধী দলের হুইপ ও সাবেক শ্রম প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু তার দল ও ব্যক্তিগত পক্ষ থেকে সংসদে আসা নারী সংসদ সদস্যদের অভিনন্দন জানান।
গত ২০ ফেব্রুয়ারি সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নেন সংরক্ষিত নারী আসনের ৪৯ জন এমপি। এরমধ্যে রয়েছেন আওয়ামী লীগের মনোনয়নে নির্বাচিত ৪৩জন, জাতীয় পার্টির মনোনয়নে নির্বাচিত চারজন, ওয়ার্কার্স পার্টির মনোনয়নে একজন ও স্বতন্ত্র গ্রুপের মনোনয়নে একজন সংরক্ষিত নারী এমপি।
সংবিধানের ৬৫(৩) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী মহিলাদের জন্য ৫০টি সংরক্ষিত সংসদ সদস্যের আসন রাখার বিধান রয়েছে। একই অনুচ্ছেদে সংরক্ষিত ৫০টির বাইরে জাতীয় সংসদের বাকি ৩০০ আসনেও মহিলা সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার সুযোগ উন্মুক্ত আছে। তবে সংরক্ষিত আসনের মহিলা সংসদ সদস্যদের কার্যপরিধির ব্যপ্তি বা দায়িত্বের বিষয়ে বাংলাদেশের সংবিধানে আলাদাভাবে উল্লেখ নেই। সংবিধানে শুধু বলা আছে সংরক্ষিত আসন থাকতে হবে, সেটির সংখ্যা বিভিন্ন সময়ে পরিবর্তন করা হয়েছে। নির্বাচনী এলাকায় প্রত্যক্ষ অধিকার ছাড়া অন্যান্য বৈষয়িক সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার ক্ষেত্রে নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের মতোই সুযোগ-সুবিধা পেয়ে থাকেন সংরক্ষিত আসনের সদস্যরা। কিছু কিছু ক্ষেত্রে পরিমাণে কম-বেশি হয়।
সংসদের আইন শাখা সূত্রে জানা গেছে, সংরক্ষিত আসনের এমপিকে কয়েকটি এলাকার উন্নয়ন কাজের দায়িত্ব দেন সংসদ নেতা। সাধারণত জেলার ভিত্তিতে এই দায়িত্ব দেওয়া হয়। একজন সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্যকে সর্বোচ্চ দুটি জেলার দায়িত্ব দেওয়া হয়। একটি নির্বাচনী আসনে জনগণের ভোটে বিজয়ী সংসদ সদস্যের পাশাপাশি ঐ এলাকার জন্য নির্ধারিত সংরক্ষিত আসনের সাংসদও এলাকার বিভিন্ন ইস্যু সংসদে উপস্থাপন করার অধিকার রাখেন।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন