আংশিক কমিটি গঠনের প্রায় ১০ মাসের মাথায় বাংলাদেশ ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়েছে। এদিকে পূর্ণাঙ্গ কমিটি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে বিক্ষোভ-মিছিল করেছেন পদবঞ্চিতরা।
সোমবার সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মধুর ক্যানটিন থেকে এক বিক্ষোভ মিছিল বের করেন ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে পদবঞ্চিতরা।
পরে মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে দিয়ে ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসিত) অবস্থিত সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে গিয়ে শেষ হয়। মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন তারা।
ছাত্রলীগের প্যানেল থেকে নির্বাচিত ডাকসুর সদস্য তানভীর হাসান সৈকত বলেন, পূর্ণাঙ্গ এই কমিটিতে অনেক অছাত্র, বিতর্কিতদের স্থান দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে ত্যাগী নেতাদের বঞ্চিত করা হয়েছে। আমরা যখন একটি শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ মিছিল বের করি তখন ছাত্রলীগের কিছু অছাত্র আমাদের ডাকসু সদস্য তিলোত্তমা শিকদার ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক বিএম লিপি আক্তার ওপর হামলা করেছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই।
এছাড়া সাঈফ বাবু বলেন, তারা (শোভন-রাব্বানী) একটি বিতর্কিত কমিটি ঘোষণা করেছেন। আপনারা জানেন, এই কমিটিতে শিবির কোটাধারীদের স্থান দেয়া হয়েছে। যারা ক্যাম্পাসে বিগত ১০ বছরে ছাত্রলীগের মিছিল-মিটিং করেছে, ডাকসু নির্বাচনসহ কোটা সংস্কার আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করা করেছে তাদের এই কমিটিতে স্থান দেয়া হয়নি।
তিনি বলেন, গত কমিটির ২৩ জনের মধ্যে ১৯ জনকে কোনো পদ-পদবি দেয়া হয়নি। আমরা শেখ হাসিনা কাছে একটি দাবি জানাতে চাই, এই বিতর্কিত কমিটিতে যারা বিতর্কিত তাদের বাদ দিয়ে যারা প্রকৃত ছাত্রলীগ তাদের যেন স্থান দেয়া হয়।
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন প্রচার সম্পাদক সাইফ বাবু, ডাকসুর কমনরুম ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক বিএম লিপি আকতার, সদস্য তিলোত্তমা শিকদার, সাবেক পরিকল্পনা ও কর্মসূচি বিষয়ক সম্পাদক রাকিব হোসেনসহ প্রায় অর্ধশত পদবঞ্চিত ও পদে অসন্তুষ্ট নেতা-কর্মী।
গত শনিবার নতুন কমিটি অনুমোদন দেয় ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। এর আগে গেল বছরের ৩১ জুলাই রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভনকে সভাপতি ও গোলাম রাব্বানীকে সাধারণ সম্পাদক করে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়।
পরে ৩০১ সদস্যবিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে ৬১ জনকে সহ-সভাপতি, ১১ জনকে যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এবং ১১ জনকে সাংগঠনিক সম্পাদক করা হয়েছে।
অভিযোগ উঠেছে, নতুন গঠিত কমিটিতে অছাত্র-বিবাহিতসহ অনেক বিতর্কিতদের জায়গা দিতে বাদ পড়েছেন অনেক ত্যাগী নেতা।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন