বরগুনায় প্রকাশ্য দিবালোকে রিফাত শরিফকে হত্যার আসামী নয়ন বন্ডকে একদিনে তৈরি হয়নি, তাকে তৈরি করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছে হাইকোর্ট। রিফাত হত্যাকাণ্ড ও নয়ন বন্ড তৈরির নেপথ্যে কারা রয়েছে তা খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার সকালে হত্যার ঘটনার অগ্রগতি বিষয়ে বরগুনা জেলার ডিসি ও এসপির প্রতিবেদন হাইকোর্টে জমা দেয়া হয়। প্রতিবেদন হাতে পেয়ে এ মন্তব্য করেন হাইকোর্ট।
প্রতিবেদনে মামলার পাঁচ আসামি ও সন্দেহভাজন কয়েকজনসহ মোট ৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতারে পুলিশ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলেও জানানো হয়েছে।
আদালত বলেন, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড আদালত পছন্দ করেন না। হত্যার বিষয়টি পুলিশকে নিজের মত তদন্ত করার নির্দেশ দেন আদালত।
রিফাত হত্যা মামলার প্রধান আসামি নয়ন বন্ড গত ২ জুলাই ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হন। এর পরের দিন দ্বিতীয় আসামি রিফাত ফরাজীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ দিনই তার বিরুদ্ধে ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়। মামলার এজাহারভুক্ত গ্রেফতাররা হলেন মামলার ২ নম্বর আসামি রিফাত ফরাজী (২৩), ৪ নম্বর আসামি চন্দন (২১), ৯ নম্বর আসামি মো. হাসান (১৯), ১১ নম্বর আসামি মো. অলিউল্লাহ অলি (২২) ও ১২ নম্বর আসামি টিকটক হৃদয় (২১)।
এ ছাড়া রিফাত শরীফ হত্যাকাণ্ডে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে ভিডিও ফুটেজ ও অন্যান্য তথ্যের ভিত্ততে সন্দেহভাজন গ্রেফতাররা হলেন মো. নাজমুল হাসান (১৯), তানভীর (২২), মো. সাগর (১৯), কামরুল হাসান সাইমুন (২১) ও রাফিউল ইসলাম রাব্বি।
২৬ জুন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নিকে বরগুনা সরকারি কলেজে নিয়ে যান রিফাত। কলেজ থেকে ফেরার পথে মূল ফটকে রিফাত শরীফকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা