ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে প্রায় এক বছর ধরে এক কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ করে আসছিলেন উপ-সচিব এ. কে. এম. রেজাউল করিম রতন। এ ঘটনার মামলায় চার্যশীট প্রকাশের পর তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে জনপ্রসাশন মন্ত্রণালয়। এদিকে জামিন অযোগ্য মামলায় তার জামিন পাওয়া নিয়ে ধর্ষিতার পরিবারে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
জানা যায়, ২০১৭ সালে মোহাম্মদপুর সরকারি কলেজে প্রিন্সিপাল থাকা অবস্থায় এক ছাত্রীকে নিজ কক্ষে ডেকে নিয়ে কৌশলে কোমল পানীয় খাইয়ে অচেতন করে ধর্ষণ করেন এ. কে. এম. রেজাউল করিম রতন। এসময় ধর্ষণের ভিডিও ধারন করেন তিনি। পরে ওই ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে টানা একবছর ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন রেজাউল করিম রতন। ২০১৮ সালে পদন্নতি পেয়ে সাংস্কৃতিক মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব হন তিনি।
এদিকে এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর করা মামলায় তদন্ত প্রতিবেদনে তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। পরে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে জনপ্রসাশন মন্ত্রণালয়। তবে চার্যশীট প্রকাশের পর জামিন অযোগ্য মামলায় তার জামিন পাওয়া নিয়ে ধর্ষিতার পরিবারে আতঙ্ক বিরাজ করছে। অভিযোগ উঠেছে জামিন পাওয়ার পর ধর্ষিতার উপর হামলাও করেন তিনি। এই হামলার একটি মামলাও হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল