স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, বীর মুক্তিযোদ্ধারাই জাতির সূর্য সন্তান আর স্বাধীনতা আমাদের জাতীয় জীবনের শ্রেষ্ঠ অর্জন। কারও দান কিংবা অনুকম্পা নয়, লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত বাংলার এই স্বাধীনতা। মুক্তিযুদ্ধে নারী মুক্তিযোদ্ধাদের অবদানও অনস্বীকার্য। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও স্বাধীনতার ইতিহাস ছড়িয়ে দিতে হবে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মের মাঝে। স্বাধীনতার প্রকৃত ইতিহাস নতুন প্রজন্মকে জানাতে হবে। তবেই তারা গৌরবময় স্বাধীনতাকে সমুজ্জ্বল রাখতে পারবে। এ সময় তিনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সোনার বাংলা গড়ার প্রক্রিয়ায় অবদান রাখার জন্য মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি আহ্বান জানান।
শনিবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইস্টিটিউট মিলনায়তনে স্বাধীন বাংলা মুক্তিযোদ্ধা সমন্বয় ফাউন্ডেশন আয়োজিত মুক্তিযোদ্ধা ও গুণীজন সম্মাননা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন ও মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ সন্মাননা প্রাপ্তরা হলেন সাবেক মন্ত্রী শাজাহান খান এমপি, সেক্টর কমান্ডার মেজর জেনারেল (অব.) কে এম শফিউল্লাহ বীর উত্তম, নাট্য সংগঠক রামেন্দু মজুমদার ও অধ্যাপক ড. ইনামুল হক, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের সংগীত শিল্পী মনোরঞ্জন ঘোষাল, রায়ান বিন মুরাদ। সংগঠনের পক্ষ থেকে প্রধান অতিথিসহ দেশ বরেণ্য মুক্তিযোদ্ধা ও গুণিজনদের ক্রেস্ট উপহার ও উত্তরীয় পরিয়ে সম্মাননা জানানো হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মুক্তিযোদ্ধা মিঞা মুজিবুর রহমান।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ এক এবং অবিচ্ছেদ্য। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন আপোষহীন নেতা। দীর্ঘ ২৩ বছর অন্যায় ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করতে গিয়ে বারবার কারাগারের অন্ধকার প্রকোষ্ঠে নির্বাসিত হয়েছেন। তবুও মাথা নত করেননি। জনগণের মুক্তির লক্ষ্যে লড়াই সংগ্রামের মাধ্যমে ছিনিয়ে এনেছিলেন বাংলার স্বাধীনতা। বাংলাদেশকে উপহার দিয়েছেন বিশ্ব সেরা অনন্য সংবিধান।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) হেলাল মোর্শেদ খান বীর বিক্রম, কাউন্সিলের কল্যাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক মহাসচিব মুক্তিযোদ্ধা আলাউদ্দিন মিয়া, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা ওসমান আলী, মুক্তিযোদ্ধা সমন্বয় ফাউন্ডেশনের মহাসচিব মুক্তিযোদ্ধা এ বি এম সুলতান আহমেদ ও সংবর্ধিত মুক্তিযোদ্ধা ও গুণীজনেরা।
বিডি-প্রতিদিন/মাহবুব