বন বিভাগ বন সম্পর্কে সঠিক তথ্য দিতে পারে না বলে অভিযোগ করেছেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী। তিনি বলেন, আমি পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ে কাজ করতে গিয়ে দেখেছি, আমাদের বন কত শতাংশ আছে, সেই তথ্য আমাদের বন বিভাগও সঠিকভাবে দিতে পারে না। একেকবার একেক তথ্য দেওয়া হয়, একেক তথ্যে একেকবার একেকটা আসে।
আজ বুধবার সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) ভবনে দুই দিনব্যাপী আয়োজিত এক কর্মশালায় এসব কথা বলেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব।
‘ক্যাপাসিটি বিল্ডিং ফর জেনারেটিং এসডিজিস ডাটা উইথ ফোকাস টু এনভায়রনমেন্ট, ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যান্ড ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট’ প্রকল্পের আওতায় দুই দিনব্যাপী এ কর্মশালার আয়োজন করেছে বিবিএস।
মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী বলেন, বন কিন্তু বাড়ানোর সুযোগ নেই। আমরা সেই তথ্য নিয়েও অনেকবার তাদের সাথে সভা করেছি। তারা কিন্তু সঠিক তথ্য দিতে পারে না।
তিনি বলেন, জলবায়ুর প্রভাবে প্রাকৃতিক বিপর্যয়গুলো লক্ষ করলে দেখি যে, সেগুলোর ইনটেনসিটি কিন্তু দিনদিন বাড়ছে। একই প্রকারে সেগুলোর ফ্রিকোয়েন্সিও অনেক বেড়ে যাচ্ছে। এর ফলে যে ক্ষয়ক্ষতি, সেটা নিরূপণও আমাদের সঠিক পদ্ধতিতে হয় না।
পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব বলেন, মাঠ পর্যায়ে কাজ করতে গিয়ে দেখেছি, বুলবুলের সময় ফসলের যে ক্ষতি হলো, কৃষি বিভাগ তথ্য দিলো-বরিশাল বিভাগের ৫০ শতাংশ ড্যামেজ হয়ে গেছে। সেটা আমার কাছে মনে হলো না। আমি নিজে প্রত্যন্ত এলাকা ঘুরেছি। আমি বলেছি ১০ শতাংশ ক্ষতি হতে পারে। পরবর্তী সময়ে ফসল যখন ঘরে উঠলো, কৃষি বিভাগের তথ্য হলো, যে ফসল হারভেস্ট করেছে, তা তাদের টার্গেট অতিক্রম করে গেছে! যদি টার্গেটই অতিক্রম করে গিয়ে থাকে, তাহলে ড্যামেজটা কী হলো?
বিডি প্রতিদিন/এমআই