করোনা নিয়ন্ত্রণে রেখেই বাংলাদেশের অর্থনীতি সচল করতে হবে বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদ ড. আহসান এইচ মনসুর ও ব্যবসায়ী নেতা আব্দুল মাতলুব আহমাদ। তারা বলেছেন, গ্রামে অর্থনীতি স্বাভাবিক হচ্ছে। দ্রুত ঘুরে দাঁড়িয়েছে পোশাকশিল্প। সব মিলিয়ে অচিরেই আগের অবস্থায় ফিরবে বাংলাদেশের অর্থনীতি।
মঙ্গলবার বাংলাদেশ প্রতিদিন (অনলাইন) বিজনেস টকে অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন ব্যবসায়ী-শিল্পপতিদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশন-এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি আব্দুল মাতলুব আহমাদ এবং বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান পলিসি রিচার্স ইনস্টিটিউট-পিআরআইয়ের নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর। ‘করোনাকালের অর্থনীতি’ শীর্ষক বাংলাদেশ প্রতিদিন বিজনেস টকের সঞ্চালনা করেন শামীমা দোলা।
ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমাস এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ-আইবিসিসিআই সভাপতি আব্দুল মাতলুব আহমাদ বলেন- মহামারি করোনাভাইরাসের বড় আঘাত আসে পরিবহন খাতে। তবে প্রধানমন্ত্রীর সহায়তা করোনাকালের ৬০ শতাংশ সঙ্কট কেটেছে। আমাদের গ্রামীণ অর্থনীতি খুব দ্রুত স্বাভাবিক হচ্ছে। আমরা তিন মাস আগেও কল্পনা করিনি যে, দেশের প্রধান রপ্তানিখাত তৈরি পোশাকশিল্প ঘুরে দাঁড়াবে। আমাদের রেমিটেন্স বাড়ছে। প্রবাসীরা প্রচুর পরিমাণে বৈদেশিক মুদ্রা পাঠাচ্ছেন। অর্থনীতির গতি বাড়ছে। সব মিলিয়ে আগামী বছরের মাঝামাঝি বাংলাদেশের অর্থনীতি আগের অবস্থায় ফিরে আসবে বলে মনে করেন নিটল নিলয় গ্রুপের এই চেয়ারম্যান।
পিআরআইয়ের নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, করোনাকালে সরকার ঘোষিত প্রণোদনার অর্থ নতুন উদ্যোক্তারা পাচ্ছেন না। ব্যাংকগুলো আত্মীয়-স্বজনদের ওপর নির্ভর হয়ে পড়ছে। ফলে পুরনো উদ্যোক্তারা ঋণ পাচ্ছেন। নতুনরা ব্যাংকগুলো থেকে কোন সহযোগিতা বা সহায়তা পাচ্ছে না। করোনাকালে ঘরে ঘরে যে উদ্যোক্তা সৃষ্টি হচ্ছে, তা নিয়ে আত্মতুষ্টির সুযোগ নেই। তবে রপ্তানি বাড়ছে। এটা ভালো দিক। কিন্তু আর্থিকখাত ঘুরে দাঁড়াতে কয়েক বছর সময় লাগবে। এক্ষেত্রে সরকার, ব্যাংক ও ব্যবসায়ীদের সম্মিলিত সহায়তা লাগবে। মনে রাখতে হবে, করোনা নিয়ন্ত্রণে রেখেই অর্থনীতি আগের অবস্থায় নিতে হবে। এক্ষেত্রে সরকারি সহায়তার বিকল্প নেই বলেও মত দেন বেসরকারি ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেডের এই চেয়ারম্যান।
বিডি প্রতিদিন/আল আমীন