রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) যুক্ত হলো ১৬ হাজার স্কয়ার ফুটের নতুন আরেকটি হল। এ নিয়ে দেশের বৃহত্তম এই কনভেনশন সিটিতে হল সংখ্যা দাঁড়াল পাঁচটিতে। আকারে ছোট হওয়ায় হল-৫ এর ভাড়া পড়বে কম। আয়োজন করা যাবে ছোট থেকে মাঝারি আকারের বিয়ের অনুষ্ঠান, কনফারেন্স, এজিএম, কর্পোরেট সেমিনার ও এক্সিবিশনসহ নানা অনুষ্ঠান।
বুধবার নতুন হলটি উদ্বোধন করেন আইসিসিবির প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা (সিওও) এম এম জসিম উদ্দিন। এসময় হেড অব এডমিন এন্ড এইচআর সাদ তানভীর, আইসিসিবি'র জেনারেল ম্যানেজার (একাউন্টস এন্ড ফিন্যান্স) মনিরুল ইসলাম পলাশ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এম এম জসিম উদ্দিন বলেন, ব্যয় সাশ্রয়ী এবং ছোট হল হওয়ায় যে কোনো ধরনের ছোট থেকে মাঝারি সামাজিক অনুষ্ঠান এখন স্বাচ্ছন্দ্য করা যাবে আইসিসিবিতে। যারা এতদিন ঢাকার মধ্যে আন্তর্জাতিক মানের কিন্তু আকারে ছোট হল খুঁজছিলেন তাদের জন্য হল-৫ হবে আদর্শ। বছরে ৩৬৫ দিনই অনুষ্ঠান আয়োজনের ব্যবস্থা থাকবে এই হলে।
তিনি বলেন, প্রতি বছর আমরা আইসিসিবিতে পুরান ঢাকার ইফতার বাজার নামে একটা আয়োজন করি ২৫ রমজান পর্যন্ত। এবার ইচ্ছা ছিল নতুন হলে করার। হলটি আজ উদ্বোধন হলেও পহেলা রমজান থেকে এই হলে পুরান ঢাকার বাজার চলছে।
তিনি বলেন, গত কয়েক বছরে হাজার হাজার ক্লায়েন্টের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। অনেকের সঙ্গে কথা বলে বুঝেছি, তারা তাদের পরিবারের বিভিন্ন অনুষ্ঠান, ছেলে-মেয়েদের বিয়ে-শাদী সকল সুযোগ-সুবিধা ও নিরাপত্তাসম্বলিত এমন একটা আধুনিক ভেন্যুতে করতে চান। কিন্তু, দেখা যায় অনুষ্ঠানের অতিথি ৫০০ জন। এজন্য বেশি ভাড়া দিয়ে বড় হল ভাড়া করতে হচ্ছে। বড় হলের ভাড়াও বেশি, সাজাতেও খরচ বেশি। এজন্য আমরা কিছুটা ছোট পরিসরে হল চালুর ব্যাপারে ভাবছিলাম, যাতে একটু সাশ্রয়ী হয়, সকল শ্রেণির মানুষ যাতে ভালো একটা পরিবেশে অনুষ্ঠান করতে পারে। আজ থেকে হল-৫ চালু হলো। এটা আমাদের ১, ২, ৩ নম্বর হলের প্রায় অর্ধেক।
হল-৪ সবচেয়ে বড়। আকারে ছোট হলেও হল-৫ এ সুযোগ-সুবিধার কমতি নেই। হলটি সম্পূর্ণ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত। বড় হলগুলোর মতোই সহস্রাধিক গাড়ি পার্কিং ব্যবস্থা, হেলিপ্যাড সুবিধা, সাউন্ডপ্রুফ ইন্টেরিয়র ওয়াল, ইনডোর-আউটডোর কিচেন, ওয়াইফাই ইন্টারনেট, ট্রান্সপোর্ট সুবিধা, সার্বক্ষণিক সিসিটিভি সার্ভেইল্যান্স এবং কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থাসহ আধুনিক সব সুযোগ-সুবিধা এই হলে পাওয়া যাবে। এই হলের সামনে দুই লাখ স্কয়ার ফুটের এক্সপো জোন আছে। মেলা আয়োজকরা এটাকে অফিস বা ব্রিফিং সেন্টার হিসেবে ব্যবহার করতে পারবে।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত