বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর পাকিস্তানেরই আজ্ঞাবহ একজন মুখপাত্র। কাজেই তাদের (পাকিস্তানের) কথায় বাইরে কোন কথা বলার অধিকার নেই বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, কেন্দ্রীয় ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু এমপি।
তিনি বলেন, বিএনপির যে যা কথাই বলুক নিশ্চয়ই আমরা আগামী নির্বাচনে জয়লাভ করবো। তারা পরাজিত হবে বলেই বিভিন্নভাবে রাজনৈতিক ধোঁয়া সৃষ্টি করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করবার অপচেষ্টা করছে। বিভিন্ন রকম কথা বলে আগামী নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করবার ষড়যন্ত্র করছে।
বুধবার বিকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মহিলা আওয়ামী লীগ আয়োজনে প্রয়াত সংসদ উপনেতা ও দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আমির হোসেন আমু বলেন, আজকে আমরা এমন একটি স্মরণ সভায় উপস্থিত তখন আমাদের সামনে নানামুখী প্রশ্ন এসে গেছে। যা পূর্ববর্তী বক্তারাও বলে গেছেন। তবে এটি কোন নতুন কথা নয়। তার কারণ বিএনপির জন্মই পাকিস্তানের প্রেতাত্মা হিসেবে এবং বিএনপি জন্মলগ্ন থেকেই পাকিস্তানের জন্য সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করে এসেছে। জিয়াউর রহমানই সর্বপ্রথম এই দেশে যুদ্ধাপরাধীদের কলমের খোঁচাটা দিয়ে মুক্ত করে দিয়েছেন জেলখানা থেকে। খালেদা জিয়া তাদের সঙ্গে জোট গঠন করেছে, সরকার গঠন করেছে।
তিনি আরও বলেন, সুতরাং মির্জা ফখরুল তাদেরই আজ্ঞাবহ একজন মুখপাত্র। কাজেই তাদের কথায় বাইরে কোন কথা বলার অধিকার নেই। মির্জা ফখরুলরা দীর্ঘদিন এই দল করে আসছেন তারা জানেন বিএনপির ভোটার, বিএনপির সমর্থক বিএনপির সবকিছুর প্রেতাত্মাই হচ্ছে পাকিস্তান।
মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাফিয়া খাতুনের সভাপতিত্বে স্মরণ সভা পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মাহমুদা বেগম কৃক। সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মেহের আফরোজ চুমকি প্রমুখ।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত
