বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এবার জনগণ অত্যন্ত কঠিন এবং দুঃসময়ে ঈদুল ফিতর উদযাপন করতে যাচ্ছে। চরম অর্থনৈতিক সংকট, প্রতিটি দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতিতে মানুষ দিশেহারা। এমন পরিস্থিতিতে রমজান মাসেও মুসলমানরা মানবেতর অবস্থায় রোজা পালন করেছেন। পরিবার-পরিজন নিয়ে দুর্বিষহ পরিবেশে ঈদ উদযাপন তাদের জন্য কষ্টের ও কঠিন হয়ে পড়েছে।
আজ বাংলাদেশসহ বিশ্বের সব মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানিয়ে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বার্তায় তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত দপ্তর সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে মির্জা ফখরুল বলেন, বাংলাদেশ ও সারাবিশ্বের মুসলমানদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও ঈদ মোবারক। আমি মুসলিম উম্মাহর অব্যাহত সুখ, শান্তি, সমৃদ্ধি ও কল্যাণ কামনা করি।
তিনি বলেন, মাসব্যাপী কঠোর সিয়াম সাধনার পর মুসলমানদের জীবনে এক স্বর্গীয় শান্তি ও আনন্দের বার্তা নিয়ে আসে ঈদুল ফিতর। এ উৎসব মুসলমানদের নিবিড় ভাতৃত্ববোধে উদ্বুদ্ধ করে। মাসব্যাপী রমজানের আত্মশুদ্ধির মহান দীক্ষার মধ্যদিয়ে আসে ঈদুল ফিতরের আনন্দঘন মুহূর্ত। দেশের বিদ্যমান ক্রান্তিলগ্নে সব ভেদাভেদ ভুলে সবাইকে ঈদের আনন্দ নিজেদের ভাগ করে নিতে হবে। তাই ঈদুল ফিতরের শিক্ষা থেকে আমাদের অঙ্গীকার হোক সব হিংসা, বিদ্বেষ ও হানাহানি থেকে মুক্ত হয়ে ন্যায়, সাম্য, ঐক্য, ভ্রাতৃত্ব, দয়া, সহানুভূতি, মানবতা ও মহামিলনের এক ঐক্যবদ্ধ ও ভালোবাসাপূর্ণ সমাজ এবং দেশ গঠনের জন্য একযোগে কাজ করা।
বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, ঈদুল ফিতরের নির্মল আনন্দ উৎসবের মধ্যদিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ মর্মবাণী মানবজাতির কাছে পৌঁছে যায়, তা হচ্ছে ‘সকলের তরে সকলে আমরা’। এ মর্মবাণী মানসিক কদর্য, অন্যায়, অবিচার ও নিষ্ঠুর সামাজিক অসাম্যকে অতিক্রম করে এক নিবিড় ভাতৃত্ববোধের প্রেরণা জাগায়। আর এ প্রেরণায় উদ্দীপ্ত হয়ে সমাজের দরিদ্র, অবহেলিত ও বঞ্চিত মানুষের প্রতি সাহায্য ও সহমর্মিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়া মুসলমান হিসেবে আমাদের কর্তব্য।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, কোনো অসহায় ও দুঃস্থ মানুষ যেন অভুক্ত না থাকে- সেজন্য যারা স্বচ্ছল তারা যেন তাদের পাশে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন। যাতে নিরন্ন মানুষরাও ঈদের আনন্দের অংশীদার হতে পারে। এ পবিত্র দিনে বাংলাদেশের প্রতিটি গৃহে প্রবাহিত হোক শান্তির অমীয় ধারা। পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আমি এ কামনা করি।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত