সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, গঙ্গার পানি চুক্তি করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তিস্তা চুক্তিও তিনি করবেন। ভারতের সঙ্গে সব সমঝোতা স্মারক বাংলাদেশের স্বার্থে প্রকাশ্যে করা হবে। তিস্তা চুক্তি এখন প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে। বাংলাদেশের স্বার্থকে বিকিয়ে দিয়ে নয়, কারও কাছে মাথা নত করে নয়, তিস্তা চুক্তি হবে বাংলাদেশের জাতীয় স্বার্থে ও প্রকাশ্যে। যথাযথ নিয়ম সম্পন্ন করে সময়মতো ভারতের সঙ্গে গঙ্গা চুক্তির মতো তিস্তা চুক্তিও হবে। গতকাল দুপুরে নোয়াখালীতে নিজ নির্বাচনী এলাকা কবিরহাট উপজেলার চাপরাশির হাট ইউনিয়নে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় উদ্বোধন ও ইসমাঈল ডিগ্রি কলেজের নতুন ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনকালে আয়োজিত এক সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। আগামী মাসে প্রধানমন্ত্রী ভারত সফর করবেন উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, তখন যদিও না হয়, এরপর যে কোনো সময় এ চুক্তি হতে পারে। ভারত আর বাংলাদেশ তো দূরের দেশ নয়। যখন সব কার্যক্রম চূড়ান্ত হয়ে যাবে, তখন চুক্তিও সম্পন্ন হবে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, তিস্তা চুক্তি হবেই। এটি এখন সময়ের ব্যাপার। তিস্তা চুক্তিকে কেন্দ্র করে বিএনপির সমালোচনার জবাব দিতে গিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন-অর্জনে বিএনপি এখন দিশাহারা হয়ে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে অন্য পথে সরকারকে হটানোর পাঁয়তারা করছে। যারা তিস্তা চুক্তি নিয়ে আজ পানি ঘোলা করার চেষ্টা করছে, তারা নিজেরা তো কিছু করতে পারেনি, কাজেই নেত্রীকে (শেখ হাসিনা) পদে পদে বাধা দিচ্ছেন।