পশ্চিমবঙ্গের দমদম কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দীদের মধ্যে সংঘর্ষে মামুন গাজী নামে বাংলাদেশি এক নাগরিকের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। তার বাড়ি সাতক্ষীরার পারুলিয়া গ্রামে। করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে বন্দীদের সাক্ষাৎ বন্ধের নির্দেশ এবং সাজাপ্রাপ্ত ও বিচারাধীন বন্দীদের প্যারোলে ছাড়ার প্রক্রিয়া নিয়ে ২১ মার্চ এ সংঘর্ষ হয়েছিল। সে সময় ইট ছোড়াছুড়ি থেকে শুরু করে লাঠির বাড়ি, অগ্নিসংযোগ, কাঁদুনে গ্যাস এমনকি গুলি চালানোর ঘটনায় রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে কারাগার চত্বর। সংঘর্ষে জখম হন ২০ জন। জানা যায়, ঘটনার পরই আহতদের কলকাতার আর জি কর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানেই চারজনের মৃত্যু হয়। কলকাতার কয়েকটি গণমাধ্যমেও চারজনের মৃত্যুর খবর প্রকাশিত হয়। সরকারিভাবে অবশ্য ওই সংঘর্ষে একজনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়েছিল। পরিস্থিতি সামাল দিতে নামানো হয় র্যাপিড অ্যাকশন ফোর্স (র্যাফ)-কে।
পরে ঘটনাস্থলে যান ফায়ার সার্ভিস মন্ত্রী সুজিত বসু, খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। ২২ মার্চও ফের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে কেন্দ্রীয় কারাগারে। তবে কারা কর্মকর্তারা শুরুতেই তা নিয়ন্ত্রণে আনেন।
ওই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেই দ্রুত সরিয়ে দেওয়া হয় অতিরিক্ত মহাপরিচালক (কারাগার) অরুণ গুপ্তকে। তার জায়গায় নিযুক্ত হন আইপিএস কর্মকর্তা পীযূষ পান্ডে। সংঘর্ষের কারণ খতিয়ে দেখতে শুরু হয় তদন্ত।ঘটনার প্রায় পাঁচ দিন পর জানা যায়, ওই সংঘর্ষে মামুন গাজী নামে এক বাংলাদেশি বন্দীরও মৃত্যু হয়েছে। জানা গেছে, একটি ডাকাতি মামলায় তিন বছর ধরে এ কারাগারে বন্দী ছিলেন মামুন। বাড়িতে বৃদ্ধা মা ছাড়া মামুনের পরিবারে আর কেউ নেই। শুধু বাংলাদেশিরাই নন, বহু রোহিঙ্গা নাগরিকও বিভিন্ন অপরাধে এ জেলে বন্দী রয়েছেন।