বুধবার, ২৭ অক্টোবর, ২০২১ ০০:০০ টা

সাক্ষ্য আইনের ১৫৫(৪) ধারা বাতিল হলে নারীর মর্যাদাহানি রোধ হবে

-আইনমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বিদ্যমান সাক্ষ্য আইনের ধারা ১৫৫(৪) ধারা নারীর মানবাধিকারের বিরুদ্ধে। তাই ওই ধারা বাতিলের প্রস্তাব করা হয়েছে। এই ধারা বাতিল হলে নারীর মর্যাদাহানি রোধ হবে। ১৮৭২ সালের সাক্ষ্য আইন সংশোধন ও অধিকতর যুগোপযোগী করার লক্ষ্যে গতকাল রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে সংশ্লিষ্ট সবার মতামত গ্রহণের জন্য আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন আইনমন্ত্রী।

আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিব মো. মইনুল কবিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান নাছিমা বেগম, বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক কো-অর্ডিনেটর মিয়া সেপ্পো, আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সাওয়ার, সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. আলী আকবর, ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ এ এইচ এম হাবিবুর রহমান ভুঁইয়া, ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ, অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক (সিআইডি) ব্যারিস্টার মাহবুবুর রহমান, পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) ডিআইজি বনজ কুমার মজুমদার প্রমুখ আইনটির বিষয়ে মতামত তুলে ধরেন।

বিদ্যমান সাক্ষ্য আইনের বিভিন্ন ধারা সংশোধন ও নতুন ধারা সন্নিবেশ করার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে আইনমন্ত্রী বলেন, প্রায় ১৪৯ বছর আগে প্রণীত সাক্ষ্য আইনটি এখনো কার্যকরভাবে প্রাসঙ্গিক। তবে ডিজিটাইজেশন একটি নতুন বাস্তবতা এবং এই বাস্তবতার পরিপ্রেক্ষিতে সাক্ষ্য আইন সংশোধনের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। এরূপ সংশোধনী আনয়নের ক্ষেত্রে আমাদের অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে সক্ষম হয়েছি। আইন-আদালতও এর বাইরে নয়। তাই বাস্তব অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা সাক্ষ্য আইন সংশোধন করার উদ্যোগ নিয়েছি।

সর্বশেষ খবর