মঙ্গলবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা
গভর্নরের সঙ্গে বৈঠক

রিজার্ভ থেকে ডলার চান ব্যবসায়ীরা

♦ এলসি খোলা ও রমজানে পণ্য আমদানি স্বাভাবিক রাখায় জোর ♦ আমদানি-রপ্তানিতে চান ডলারের এক রেট ♦ করোনার মতো নীতি সহায়তা দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক

রিজার্ভ থেকে ডলার ছাড় করে হলেও রমজানে খাদ্যপণ্যের আমদানি স্বাভাবিক রাখার দাবি জানিয়েছে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই। সেই সঙ্গে আগামী জুন পর্যন্ত ব্যবসায়ীদের খেলাপি না করা এবং আমদানি ও রপ্তানি পর্যায়ে ডলারের একক দাম নির্ধারণের জন্য গভর্নরের কাছে দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।

গতকাল বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সঙ্গে আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন এফবিসিসিআই সভাপতি জসিম উদ্দিন। সমসাময়িক বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকে গিয়ে গভর্নরের সঙ্গে বৈঠক করে এফবিসিসিআই সভাপতির নেতৃত্বে একটি ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দল। জসিম উদ্দিন বলেন, ‘আসন্ন রমজান মাস ও ঈদকে কেন্দ্র করে আমদানিতে বাণিজ্যিক ঋণপত্র (এলসি) খুলতে অগ্রাধিকার চেয়েছি আমরা।’ তিনি বলেন, ‘রমজানে আট পণ্যের বাইরেও অনেক আমদানি পণ্য রয়েছে। রমজানের পর ঈদ আসবে। এসব কিছু বিবেচনায় এলসি খোলায় যাতে কোনো সমস্যায় পড়তে না হয় এ জন্য জরুরি ভিত্তিতে রিজার্ভ থেকে ব্যাংকগুলোকে ডলার সহায়তা চেয়েছি।’

এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে ঋণ পরিশোধে আবারও বিশেষ সুবিধা চায় এফবিসিসিআই। করোনার সময় বাংলাদেশ ব্যাংক ঋণ পরিশোধে বিশেষ সুবিধা দিয়েছিল। এই সুবিধার মেয়াদ আগামী বছরের জুনে শেষ হবে। আমরা এখনো অনেক খারাপ পরিস্থিতিতে রয়েছি। তাই ঋণের কিস্তি পরিশোধে বিশেষ সুবিধার মেয়াদ আরও বাড়ানোর জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে আবেদন জানিয়েছি।’

আমদানি-রপ্তানির ক্ষেত্রে ডলারের অভিন্ন দরের কথা বলে তিনি বলেন, ‘আমাদের আমদানিতে ডলারের দাম ১০৫ টাকা পড়ছে, যেখানে রপ্তানিতে ১০১ টাকা। আমরা বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে আমদানি-রপ্তানির ক্ষেত্রে ডলারের অভিন্ন দরের কথা বলেছি। বাংলাদেশ ব্যাংক আমাদের যৌক্তিক দাবির প্রতি ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছে।’ এ সময় বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মুখপাত্র মেজবাউল হক বলেন, করোনার ঊর্ধ্বমুখী সময়ের মতো নীতি-সহায়তা চেয়েছেন ব্যবসায়ীরা। রাশিয়া-ইউক্রেন সমস্যার কারণে এটা চেয়েছেন, নিয়মিত ঋণের জন্য এটা। বাংলাদেশ ব্যাংক অর্থনীতির স্বার্থে ইতিবাচক হিসেবে নিয়েছে বিষয়টি। এলসি খোলায় যাতে সমস্যা না হয় এ জন্য আট পণ্যের বিষয়ে সার্কুলার হয়েছে, প্রয়োজনে বাড়ানো হবে। তিনি বলেন, ‘ডলার সরবরাহের কথা যেটা বলা হয়েছে, সেখানে আমাদের রেমিট্যান্স বেড়েছে। আগামীতে ঈদ আছে, রেমিট্যান্স সরবরাহ আরও বাড়াবে ব্যাংকগুলো। ব্যাংকগুলো নিজেরাই এলসি খুলছে এবং তারা সেটেলমেন্ট (নিষ্পত্তি) করছে। আমদানি-রপ্তানিতে ডলারের এক দর করার কথা বলা হয়েছে। আমরা কিন্তু ধীরে ধীরে সেদিকেই যাচ্ছি। আর সুদহারের ক্যাপের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি। ক্যাপ তুলে নিলে তো সার্কুলার হবে, সেটা হয়নি। এফবিসিসিআইর সিদ্ধান্তগুলো আমরা দেখব। তবে এখনই এসব বিষয়ে বলা যাচ্ছে না।’

 

সর্বশেষ খবর