ডেঙ্গুজ্বরের মৌসুম শুরুর আগেই ঢাকার দুই সিটির ১৩ ওয়ার্ডে এডিস মশার লার্ভার ঘনত্ব ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় পেয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে পরিচালিত জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে। কিন্তু ফল প্রকাশে দেরি হওয়ায় জরিপের তথ্য কাজে লাগিয়ে কার্যকর উদ্যোগ নিতে পারেনি সিটি করপোরেশন ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।
এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গুরোগের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা প্রতি বছর তিনটি জরিপ পরিচালনা করত। কিন্তু বর্তমান সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর জরিপগুলো করা হয়নি। বিগত এক বছরে মাত্র একটি জরিপ পরিচালনা করেছে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)। সে জরিপে ঢাকা নগরীর ১৩ ওয়ার্ডে এডিস মশার লার্ভার ঝুঁকিপূর্ণ উপস্থিতি পাওয়া গেছে। ঢাকা উত্তর সিটির ২, ৮, ১২, ১৩, ২২ ও ৩৪ নম্বর ওয়ার্ড ঝুঁকিতে রয়েছে। আর ঢাকা দক্ষিণ সিটির ৩, ৪, ২৩, ৩১, ৪১, ৪৬ ও ৪৭ নম্বর ওয়ার্ড ঝুঁকিপূর্ণ। ঝুঁকিপূর্ণ ওয়ার্ডের মধ্যে রয়েছে কালশী, টোলারবাগ, মনিপুর, পীরেরবাগ, রামপুরা, মেরাদিয়া, বেগমবাজার, ওয়ারী, শাঁখারীনগর লেন, পোস্তগোলা, বাসাবো, লালবাগের আশপাশ।
গতকাল রাজধানীর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে মৌসুমপূর্ব এডিস সার্ভে, ২০২৫-এর ফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানানো হয়।
হাসপাতালে আরও ২১২ জন : দেশে মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে গতকাল সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ২১২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তবে এ সময়ে কেউ ডেঙ্গুতে মারা যায়নি। গতকাল স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের দেওয়া তথ্যে এসব জানা যায়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যানুসারে, চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৬ হাজার ৬৭৮ জন, মারা গেছেন ৩০ জন। এর মধ্যে চলতি মাসে ২ হাজার ৩৩৩ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।