বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বলেছেন, স্টার্টআপগুলো কেবল কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং সমাধান প্রদানই করে না, বরং নতুন ধারণা এবং অংশীদারির মাধ্যমে দুই দেশকে সংযুক্ত করার সেতু হিসেবেও কাজ করে। ঢাকার ভারতীয় হাইকমিশন আয়োজিত বাংলাদেশি স্টার্টআপ উদ্যোক্তাদের সঙ্গে ‘স্টার্টআপ কানেক্ট’ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে ৩০ জনেরও বেশি বাংলাদেশি স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠাতা অংশ নেন। ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, ভারত-বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ সম্পর্ককে এগিয়ে নিতে উদ্ভাবনী-নেতৃত্বাধীন প্রবৃদ্ধি গুরুত্বপূর্ণ। ‘স্টার্টআপ কানেক্ট’ প্ল্যাটফর্ম ভবিষ্যৎমুখী সহযোগিতার শক্তির ওপর ভিত্তি করে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের জন্য একটি নতুন আখ্যান তৈরি করবে। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশি এবং ভারতীয় স্টার্টআপরা বলেন, প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন এবং উদ্যোক্তাদের সুযোগ কাজে লাগিয়ে শক্তিশালী আন্তঃসীমান্ত সহযোগিতা এবং ভবিষ্যৎমুখী অংশীদারি ভাগাভাগি করে প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে পারে। তারা আশা প্রকাশ করেন, এ ধরনের বিনিময় আন্তঃসীমান্ত উদ্ভাবনী সহযোগিতা, তহবিল অ্যাক্সেস, প্রযুক্তিগত সহায়তা এবং বাজার অংশীদারিকে আরও গভীর করবে।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের স্টার্টআপ টেকনোহেভেন কোম্পানি লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এবং এমসিসিআইয়ের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট হাবিবুল্লাহ এন করিম, আইকোরি এবং টেন মিনিট স্কুলের সহপ্রতিষ্ঠাতা মির্জা সালমান হোসেন বেগ, শপআপ বাংলাদেশের সহপ্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও আতাউর রহিম চৌধুরী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
ভারতীয় হাইকমিশন জানায়, চলতি বছরের ৯-১০ অক্টোবর কোয়েম্বাটুরে অনুষ্ঠিতব্য তামিলনাড়ু গ্লোবাল স্টার্টআপ সামিট সামনে রেখে ঢাকায় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ভারতের বৃহত্তম স্টার্টআপ সমাবেশগুলোর মধ্যে অন্যতম তামিলনাড়ু গ্লোবাল স্টার্টআপ সামিটে ৩৯টি দেশের প্রতিনিধিরা অংশ নেবেন।