১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ ১২:৩৯

প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ ও একটি প্রস্তাবনা

প্রভাষ আমিন

প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ ও একটি প্রস্তাবনা

আজ এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়েছে। পরীক্ষার্থীরা যাতে যানজটে না পড়েন, সে জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তার কর্মসূচি বদলে ফেলেছেন। সচিবালয়ের বদলে মন্ত্রিসভার বৈঠক করছেন তাঁর কার্যালয়ে। নির্ধারিত সময়ের দেড়ঘণ্টা পর, যখন সব পরীক্ষার্থী কেন্দ্রে ঢুকে গেছে, তখন প্রধানমন্ত্রী বাসা থেকে বেরিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর এই বদান্যতার জন্য তাঁকে ধন্যবাদ। আমরা তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞ। আমরা জানি এই বিবেচনাবোধ শুধু শেখ হাসিনারই আছে। কিন্তু মাননীয় প্রধানমন্ত্রী পরীক্ষার্থীদের জন্য যে স্নেহ আপনি দেখালেন, প্রায়শই নগরবাসীকে তেমন ভালোবাসা থেকে বঞ্চিত করেন কেন? প্রধানমন্ত্রীর মুভমেন্ট থাকলে যে যানজট সৃষ্টি হয় তা প্রায় সারাদিন মানুষকে কষ্ট দেয়। ঘণ্টার ঘণ্টা যানজটে বসে থাকলে মানুষ যে ভাষায় প্রধানমন্ত্রীকে গালিগালাজ করেন, তা কানে শোনা যায় না।

এই সমস্যা সমাধানে আমার একটা প্রস্তাব আছে। আগেও দিয়েছি, আবারও দিচ্ছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তাঁর সব কর্মসূচি গণভবন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, বঙ্গবন্ধু সম্মেলন কেন্দ্র ও এনইসি মিলনায়তনে সীমাবদ্ধ রাখতে পারেন। মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠক হতে পারে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে। এর বাইরে সব কর্মসূচিতে প্রধানমন্ত্রী যাবেন হেলিকপ্টারে বা কর্মসূচি হবে ভিডিও কনফারেন্সে।

কিন্তু আমরা জানি প্রধানমন্ত্রী অনেক সক্রিয়। শুধু মন্ত্রিসভার বৈঠক নয়, তিনি সচিবালয়ে নিয়ম করে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় পরিদর্শন করেন। এতে ঐ মন্ত্রণালয়ের কাজে অনেক গতি আসে। তিনি নিয়ম করে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সাথে সাক্ষাৎ করেন। এই সৌজন্যও আমরা আগে দেখিনি। এছাড়া কারো অসুস্থতার খবর পেলে তিনি ছুটে যান, মৃত্যুসংবাদ বা কুলখানিতেও যান। এসবই তাঁর আন্তরিকতার বহিঃপ্রকাশ। যা শেখ হাসিনার পক্ষেই কেবল সম্ভব। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর এই আন্তরিক সক্রিয়তা যে আমাদের কত মানুষকে নিষ্ক্রিয় করে রাখে সে খবর হয়তো তার কান পর্যন্ত পৌছায় না। আমরা অনুরোধ করছি, প্রধানমন্ত্রী যেন প্রয়োজনে সংশ্লিষ্টদের গণভবনে ডেকে পাঠান। নিজে যেন একটু কম চলাচল করেন। তাহলে আমরা আমজনতা একটু কম ঝক্কিতে চলাচল করতে পারি। এমনিতেও যানজট আমাদের জীবনের অনেকটা সময় কেড়ে নেয়। প্রধনমন্ত্রীর জন্য যেন বাড়তি ভোগান্তি না হয়।

 

বিডি-প্রতিদিন/ ০১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬/ রশিদা

সর্বশেষ খবর