শিরোনাম
প্রকাশ: ০২:৫৩, মঙ্গলবার, ১৭ মার্চ, ২০২০

বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে আমাদের প্রতিজ্ঞা হোক উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখা

ড. কাজী এরতেজা হাসান
অনলাইন ভার্সন
বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে আমাদের প্রতিজ্ঞা হোক উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখা

ভারতে মহাত্মা গান্ধীর প্রথম অসহযোগ আন্দোলনের প্রারম্ভিক মুহূর্তে, সাম্প্রদায়িক সমাজ-পরিবেশে, ব্রিটিশ শাসিত কৃষিনির্ভর পূর্ব বাংলায়, অপরূপ প্রাকৃতিক পরিবেশ সজ্জিত নদী পাড়ের টুঙ্গিপাড়ার ঐতিহ্যবাহী মধ্যবিত্ত শেখ পরিবারে জন্ম নেন মা-বাবা, আত্মীয়-স্বজনের আদরের খোকা, রাজনীতির কবি, বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা, বাংলাদেশ মহাকাব্যের মহানায়ক, বাংলাদেশ রাষ্ট্রের স্রষ্টা, জাতির পিতা, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। নদীর পাড়ের হিজল ডালে, হিজলের ছায়াতলে বসে শৈশবেই তিনি অবলোকন করেন বাংলার নৈসর্গিক প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, বাঙালির আচার-আচরণ, হাসি-আনন্দ, দুঃখ-বেদনা, অভাব-অনটন, অনাহার-অর্ধাহার, বন্যা-খরা-দুর্ভিক্ষ, জনসংখ্যার চাপ, বেকারত্বের অভিশাপ, পশ্চাৎপদ কৃষিনির্ভর সমাজ, জমিদারি প্রথার নৃশংসতা, ব্রিটিশ শাসন-শোষণ-নির্যাতন এবং মধ্যযুগীয় ধর্মান্ধতা। বাংলার শব্দ, চিত্র, রং এবং বাঙালির ব্যথা-বেদনা, সুখ-দুঃখ, আশা-আকাঙ্ক্ষা, চিন্তা-চেতনা ও সংস্কৃতি ধারণ করে তাঁর মন ও মানসিকতার বিকাশ ঘটে। হয়ে ওঠেন মনে-প্রাণে বিশুদ্ধ বাঙালি। অমিত আত্মবিশ্বাসী, সাধারণ মানুষের প্রতি অবিচল আস্থাশীল বঙ্গবন্ধুর শক্তি, ব্যক্তিত্বের সৌরভ, সংকল্প, রাজনৈতিক ক্রিয়াকর্ম, সরব ও স্বতঃস্ফূর্ত সাহসী জীবনপ্রবাহ শোষিত বঞ্চিত বাঙালি জনগোষ্ঠীর অন্তরে লালিত স্বাধীনতার সুপ্ত বাসনাকে জাগ্রত করে, যা ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু হয়ে রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধে বিস্তৃত হয়। তাঁর তীক্ষ্ণ রাজনৈতিক মেধা ও অসাধারণ, অপ্রতিরোধ্য, প্রগতিশীল নেতৃত্বে বাঙালি স্বাধীনতা অর্জন করে, বাংলাদেশ স্বাধীন হয়।

চলনে-বলনে, কথা-বার্তায়, আচার-আচরণে, পোশাকে-আষাকে, বিচার-বিবেচনায়, আন্দোলন-সংগ্রামে বঙ্গবন্ধু ছিলেন বিশুদ্ধ বাঙালি। বাংলার মাটি ও মানুষের সঙ্গে ছিল তাঁর নিবিড় ও অটুট বন্ধন। তাঁর ধ্যানে-মনে, চিন্তা-চেতনায়, বিশ্বাসে ও অস্তিত্বজুড়ে ছিল বাংলাদেশ, বাংলাদেশের মানুষ এবং বাংলা ভাষা। বাঙালির প্রতি তাঁর ভালোবাসা ছিল অকৃত্রিম, ব্যক্তিস্বার্থের ঊর্ধ্বে। সেজন্যই দৃঢ়চিত্তে, দীপ্তকণ্ঠে বঙ্গবন্ধু উচ্চারণ করেন, ‘ফাঁসির মঞ্চে যাওয়ার সময় আমি বলব, আমি বাঙালি, বাংলা আমার দেশ, বাংলা আমার ভাষা। জয় বাংলা।’ একজন বিদেশি ঐতিহাসিকের মতে ‘প্রায় বারো শ’ বছর পর বাঙালি জাতির পুনর্জন্ম হয়েছে এবং হাজার বছর পর বাংলাদেশ এমন একজন নেতা পেয়েছে, যিনি রক্ত-বর্ণে-ভাষায় এবং জাতি বিচারে একজন খাঁটি বাঙালি। বাংলাদেশের মাটি ও ইতিহাস থেকে তাঁর সৃষ্টি এবং তিনি বাঙালি জাতির স্রষ্টা।’

বঙ্গবন্ধুর ঋজু বলিষ্ঠ দৈহিক গঠন, কোমলতা ও দৃঢ়তা মিশ্রিত সম্মোহনী শক্তিধর প্রবল ব্যক্তিত্ব, জলদগম্ভীর কণ্ঠস্বরে বাঙালি খুঁজে প্রায় তাদের অস্তিত্ব, আশা-আকাক্সক্ষার প্রতিচ্ছবি ও আত্মপরিচয়। তিনি হয়ে ওঠেন বাঙালির ভালোবাসার মানুষ ও প্রিয় নেতা। সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে সিদ্ধহস্ত বঙ্গবন্ধু চরম সংকটকালে থাকতেন স্থির ও অবিচল। তাঁর বক্তৃতা ছিল মাদকতায় ভরা বিস্ফোরক শব্দাবলির নিপুণ বিন্যাস। নিপুণ শিল্প। যেন মন্ত্রাচ্চারণ। যা বাঙালির হৃদয়কে সহজেই স্পর্শ, চেতনাকে সমৃদ্ধ ও শানিত করে স্বাধীনতার সুপ্ত বাসনাকে জাগ্রত করে। কথা-বার্তায়, চিন্তা-চেতনায়, আচার-আচরণে, বিশ্বাসে বঙ্গবন্ধু ছিলেন জাতীয়তাবাদী, গণতন্ত্রী, সমাজতন্ত্রী এবং ধর্মনিরপেক্ষ। যা তাঁর আদর্শের চার স্তম্ভ। তিনি এই আদর্শ ধারণ, লালন ও চর্চা করেন আমৃত্যু। তিনি ছিলেন শোষিতের গণতন্ত্রে বিশ্বাসী। বহুবার বলেছেন- ‘আমি শোষকের নয়, শোষিতের পক্ষে।’ মুক্তিযুদ্ধের পর দেশে ফিরে এসে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের বিশাল জনসভায় বলেন- ‘আজ আমি মুক্ত বাংলার মাটিতে দাঁড়িয়ে দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে ঘোষণা করছি, আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, জাতীয়তাবাদ ও ধর্মনিরপেক্ষতা।’

বঙ্গবন্ধু জন্মেছিলেন হীনমন্য সাম্প্রদায়িক সমাজ-পরিবেশে। তবু জন্মলগ্ন থেকেই নিজের চেতনায় ধারণ করেন অসাম্প্রদায়িক বোধ, বর্জন করেন হীন সাম্প্রদায়িক মানসিকতাকে। এই অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে লালন করতে গিয়ে তিনি বক্তৃতায় সাম্প্রদায়িক বৈরী আচরণের শিকার হন, ব্যাথিত হন। কিন্তু অসাম্প্রদায়িক চেতনা থেকে কখনো বিচ্যুত হননি। বরং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির জন্য কাজ করেন, হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গারোধে রাখেন ভূমিকা। ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের নাম থেকে মুসলিম শব্দ বাদ দিতে সোচ্চার হন। ৭ মার্চের ভাষণে বলেন, ‘এই বাংলায় হিন্দু-মুসলিম, বাঙালি-ননবেঙলি যারা আছে তারা আমাদের ভাই, তাদের রক্ষার দায়িত্ব আপনাদের উপর, আমাদের যেন বদনাম না হয়।’ ৩ জানুয়ারি ১৯৭১ সালে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সংসদ সদস্যদের শপথ অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু ঘোষণা করেন- ‘হিন্দু, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ ভাইয়েরা আপনারা শুনে রাখুন, আপনারাও এ দেশের সমান নাগরিক। এই দেশ একা কারও নয়। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলের এই দেশ। ধর্মের নামে ব্যবসা চলবে না, শোষণ চলবে না। আমাদের লক্ষ্য একটি শোষণহীন সমাজতান্ত্রিক, গণতান্ত্রিক দেশ প্রতিষ্ঠা। ধর্মনিরপেক্ষতাই হবে রাষ্ট্রীয় নীতি।’

অকুতোভয়, দৃঢ়চেতা, আপোসহীন, আত্মপ্রত্যয়ী, উদার, সংস্কৃতিমনা, দূরদর্শী বঙ্গবন্ধুর শৈশব থেকেই ছিল সাধারণ মানুষের প্রতি অপরিসীম ভালোবাসা। তিনি উপেক্ষিত, দুর্দশাগ্রস্ত, দৈন্যপীড়িত, বন্যা, খরা, মহামারী, দুর্ভিক্ষ, জলোচ্ছ্বাস, হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গায় আহত অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ান, সংখ্যালঘুদের রক্ষা করেন ও আশ্রয় দেন। গরিব শিক্ষার্থীদের সাহায্যার্থে তিনি ৭ম শ্রেণিতে থাকাকালীন ‘মুসলিম সেবা সমিতি’তে যোগ দিয়ে মুষ্টি ভিক্ষার চাল উঠান। অন্যায়, অবিচার, অত্যাচার, নির্যাতন, বৈষম্য ও শোষণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেন, প্রতিরোধ গড়েন। ছাত্রজীবনেই তিনি দাবি-দাওয়া প্রণয়ন ও আদায় করার দক্ষতা ও সক্ষমতা প্রদর্শন করেন। মুখ্যমন্ত্রী শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক গোপালগঞ্জ স্কুল পরিদর্শন করতে গেলে বর্ষা মৌসুমে স্কুল ঘরে পানি পড়ার অভিযোগ উত্থাপন করে তা সংস্কারের দাবি করেন। ইংরেজ তাড়ানোর তাগিদ অনুভব করে স্বদেশী আন্দোলনের প্রতিও আকৃষ্ট হন এবং নেতাজী সুভাষ বসুর হলওয়েল মনুমেন্ট অপসারণ আন্দোলনে যোগ দেন। সাম্প্রদায়িক বিরোধের কারণে কংগ্রেসের রোষানলে পড়ে বঙ্গবন্ধু জীবনে প্রথমবার জেলে যান। এই সময় পাকিস্তান রাষ্ট্র সৃষ্টির লক্ষে গোপালগঞ্জে মুসলিম ছাত্রলীগ গঠন করে সম্পাদকের দায়িত্ব নিয়ে রাজনৈতিক জীবন শুরু করেন। প্রাদেশিক মুসলিম লীগ কাউন্সিলের সদস্য হন। সদস্য হয়ে তিনি জমিদার, জোতদার ও নবাবদের সংগঠন মুসলিম লীগকে সাধারণ জনগণের সংগঠনে পরিণত করার উদ্যোগ গ্রহণ করেন। ১৯৪৭ সাল পযর্ন্ত পাকিস্তান রাষ্ট্র সৃষ্টির পক্ষে, বাংলা ভাগের বিপক্ষে এবং জমিদারি প্রথা বিলোপের লক্ষে বঙ্গবন্ধু বিরামহীন কর্মযজ্ঞে লিপ্ত থাকেন। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর আপোসহীন সাহসী ভূমিকা ও সাংগঠনিক দক্ষতা কলকাতার প্রগতিশীল মহলে ব্যাপক প্রশংসিত হয়।

আজ ১৭ মার্চ। বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শততম জন্মবার্ষিকী। ১৯২০ সালের এই দিনেই গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম প্ররিবারে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। আজকের দিনটিতেই আবার জাতীয় শিশু দিবস। সারা দেশেই দিনটি উদযাপিত হয় মহাসমারোহে। তবে করোনোভাইরাসের প্রভাবে সারা দেশে সীমিত আকারে অনুষ্ঠিত হবে এবারের বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী। এরপর করোনার প্রভাব কেটে গেলে বৃহৎ আকারে আয়োজন করা হবে। এমনকি সারা পৃথিবীতেই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন পালন করা হবে। 

বঙ্গবন্ধুর বাবার নাম শেখ লুৎফর রহমান। মায়ের নাম সায়েরা খাতুন। তাদের চার মেয়ে ও দুই ছেলের মধ্যে শেখ মুজিব ছিলেন তৃতীয়। বাবা-মা তাকে আদর করে ডাকতেন খোকা বলে। সেই ছোটবেলা থেকেই তিনি ছিলেন প্রতিবাদী। অন্যায়ের সঙ্গে আপোস করতেন না। তার প্রমাণ পাওয়া যায় শেখ লুৎফর রহমানের কথা থেকেই। দেশের ক্রান্তিলগ্নে বঙ্গবন্ধু যখন লড়ে যাচ্ছিলেন তখন এক সাক্ষাৎকারে শেখ লুৎফর রহমান বলেছিলেন, ‘সে তো ছোটবেলা থেকেই প্রতিবাদী, অন্যায় সহ্য করতো না। কোথাও তা দেখলে প্রতিবাদ করতো।’ শেখ লুৎফর রহমানের কথার প্রমাণ দেখেছে সারা ব্শ্বি। যা হোক, ফিরে আসা যাক শেখ মুজিবের কৈশোরে। কিশোর বয়সেই শেখ মুজিবের প্রতিবাদী চরিত্রের বহিঃপ্রকাশ দেখা গিয়েছিল। অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী মানসিকতা, গরিব-দুঃখী মানুষের প্রতি ভালোবাসা ও তাদের দুঃখ দূর করার প্রতিজ্ঞা তাকে রাজনীতিতে নিয়ে আসে।

স্কুল থেকেই তিনি রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। গ্রামের স্কুলে তার লেখাপড়ার হাতেখড়ি। ১৯২৭ সালে শেখ মুজিব গিমাডাঙ্গা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়াশোনা শুরু করেন। ১৯২৯ সালে গোপালগঞ্জ পাবলিক স্কুলে ভর্তি হন এবং এখানেই ১৯৩৪ সাল পর্যন্ত পড়াশোনা করেন। ১৯৩৭ সালে গোপালগঞ্জ মিশন স্কুলে সপ্তম শ্রেণিতে ভর্তি হন। ১৯৪১ সালে অসুস্থ শরীর নিয়েই ম্যাট্রিক পরীক্ষা দেন। পড়াশোনার থেকে রাজনীতি বেশি করেছেন। 

রাজনীতিতে যুক্ত হওয়ার ক্ষেত্রে তার পিতা তাকে বাধা দেননি। তার বাবা বলেছিলেন, ‘বাবা রাজনীতি কর আপত্তি করব না, পাকিস্তানের জন্য সংগ্রাম করছ এত সুখের কথা, তবে লেখাপড়া করতে ভুলো না। লেখাপড়া না শিখলে মানুষ হতে পারবে না। আর একটা কথা মনে রেখ, Sincerity of purpose and honesty of purpose থাকলে জীবনে পরাজিত হবে না।’ বঙ্গবন্ধুর জীবন ভিত্তিক বই ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’তে এ কথা লেখা রয়েছে। যার পৃষ্ঠা নং ২১।

শেখ মুজিব রাজনীতিতে সফল হয়েছিলেন তার বাবার এ কথার উপর বিশ্বাসের কারণেই। ম্যাট্রিক পরীক্ষার পরপরই কিশোর মুজিব কলকাতায় যান। কলকাতার ইসলামিয়া কলেজের ছাত্র থাকা অবস্থায় তার রাজনৈতিক জীবনের বড় পরিবর্তনগুলো শুরু হয়। তিনি পাকিস্তান আন্দোলনে সক্রিয় হন এবং হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, আবুল হাশিমের মতো নেতাদের সান্নিধ্যে আসেন। ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান রাষ্ট্র সৃষ্টি হলে শেখ মুজিবও ঢাকায় চলে আসেন।

নতুন রাজনৈতিক চিন্তাচেতনা নিয়ে ১৯৪৮ সালে ছাত্রলীগ গঠন করেন। ১৯৪৯ সালে নবগঠিত পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগের যুগ্ম সম্পাদক নির্বাচিত হন। বাংলাকে অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার দাবি নিয়ে গড়ে ওঠা আন্দোলনে অংশ নেওয়ার মাধ্যমেই শেখ মুজিবের রাজনৈতিক তৎপরতার সূচনা হয়।

১৯৪৮ থেকে ১৯৫২ এর মহান ভাষা আন্দোলন, ১৯৫৮এর সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলন, ১৯৬২ এর শিক্ষা আন্দোলন ও ১৯৬৬ এর ঐতিহাসিক ছয় দফা ভিত্তিক আন্দোলনের মাধ্যমে তিনি হয়ে ওঠেন বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা। ১৯৬৯ এর গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ছাত্র জনতা তাকে ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধি দেয়। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে বাঙালিরা বঙ্গবন্ধুর ৬ দফার প্রক্ষে অকুন্ঠ সমর্থন জানায়। কিন্তু পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা হস্তান্তর না করে বাঙালিদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের রাজনীতি শুরু করে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ তার ঐতিহাসিক ভাষণে স্বাধীনতার ডাক দেন। ২৫ মার্চ পাকিস্তানি বাহিনী পরিকল্পিত গণহত্যা শুরু করলে ২৬ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। তার ডাকে সাড়া দিয়ে দেশের আপামর জনগণ প্রায় নয় মাস যুদ্ধ করে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ অর্জন করে।

স্বাধীন বাংলাদেশের রূপকার এই মহান নেতার জন্মদিনে গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি।  কোনো বিশেষ ঘটনা বা আনন্দের দিনকে শিশু দিবস হিসেবে পালন করা হয়। বাংলাদেশের মানুষের জন্য সবচেয়ে বেশি আনন্দের দিন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন। বাংলার হাজার বছরের ইতিহাসে বঙ্গবন্ধু একজনই জন্মেছিলেন। যার জন্ম না হলে স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম হতো না। এজন্য ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনকে জাতীয় শিশু দিবস হিসেবে পালন করা হয়।

বঙ্গবন্ধু শিশুদের অত্যন্ত আদর করতেন, ভালোবাসতেন। শিশুদের সঙ্গে গল্প করতেন, খেলা করতেন। তিনি বিশ্বাম করতেন আজকের শিশুরাই আগামীদিনে দেশ গড়ার নেতৃত্ব দিবে। তরুণ প্রজন্ম এই মহান নেতার আদর্শ থেকেই দেশ গড়ার অনুপ্রেরণা লাভ করে। যারা বাংলাদেশকে বিশ্বাস করে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ধারণ করে তাদের মাঝেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বেঁচে থাকবেন জন্ম থেকে জন্মান্তরে। সৈয়দ শামসুল হকের ভাষায়- ‘যেখানে ঘুমিয়ে আছো, শুয়ে থাকো বাঙালির মহান জনক তোমার সৌরভ দাও, দাও শুধু প্রিয়কন্ঠ শৌর্য আর অমিত সাহস টুঙ্গিপাড়া গ্রাম থেকে, আমাদের গ্রামগুলো তোমার সাহস নেবে, নেবে ফের বিপ্লবের দুরন্ত প্রেরণা।’

আমাদের এই মহান নেতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শই দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পথ দেখায়। সেই পথ ধরেই তাঁর সুযোগ্য কন্যা, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলছে বাংলাদেশ। একসময় যারা বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়ি বলে আখ্যায়িত করতো, তারাই এখন বাংলাদেশকে উন্নয়নের রোল মডেল বলতে বাধ্য হচ্ছে। একমাত্র বঙ্গবন্ধু কন্যার কারণেই এমনটা হয়েছে বলে আমি বিশ্বাস করি।

তবে দুঃখের সঙ্গে একথাও বলতে হয়, এদেশে এখনো কিছু বঙ্গবন্ধু বিদ্বেষী, পাকিস্তানি প্রেতাত্মারা রয়েছে। যারা জীবিত বঙ্গবন্ধুর চেয়ে শহীদ বঙ্গবন্ধুকে বেশি ভয় পায়। সে কারণেই নানা সময় ওই গোষ্ঠীটি বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে হত্যা করতে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। যেমনটা করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংকের ইতিহাস বইয়ে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একটি গোষ্ঠী জাতির পিতাকে অবমাননা করেছিল ২০১৮ সালে। তাই আমি নিজে উদ্যোগী হয়ে বঙ্গবন্ধুকে অবমাননার কারণে মহামান্য হাইকোর্টে রিট আবেদন করি। সেই আবেদনের কারণে দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ে টিকে থাকতে আমাকে নানা রকম হুমকিরও সম্মুখীন হতে হয়েছে। কিন্তু জাতির পিতার একজন আদর্শিক সন্তান হিসেবে এবং শেখ হাসিনার একজন একনিষ্ঠ কর্মী হিসেবে লড়াই চালিয়ে গেছি। সর্বশেষ মহামান্য হাইকোর্ট বঙ্গবন্ধুকে অবমাননা করা সকল বই আমাকে (রিটের বাদী) সঙ্গে নিয়ে নষ্ট করার আদেশ দিয়েছেন। 

আজ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীতে আমি দৃঢ়প্রত্যয়ে বলতে পারি, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে উঠছে তারই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে। এই ধারা অব্যাহত রাখতে আমাদের সকলকে কাজ করে যেতে হবে। আজকের এই দিনের প্রতিজ্ঞা হোক, বাংলাদেশ উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখার প্রতিজ্ঞা। তাহলেই জাতির জনক জান্নাতুল ফেরদৌস থেকে হয়তো আত্মিক একটা শান্তি পাবেন এই ভেবে যে, তাঁর সোনার বাংলায় স্বপ্নগুলো বাস্তবায়িত হচ্ছে। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।

বিডি-প্রতিদিন/শফিক

এই বিভাগের আরও খবর
অর্থনীতি গতিশীল রাখতে নির্বাচন জরুরি
অর্থনীতি গতিশীল রাখতে নির্বাচন জরুরি
ঐকতানে অনৈক্য : সেনাপ্রধানের বার্তা ভুলে গেছেন রাজনীতিকরা
ঐকতানে অনৈক্য : সেনাপ্রধানের বার্তা ভুলে গেছেন রাজনীতিকরা
অমানুষের রাজনীতিতে কোনো স্থান নেই
অমানুষের রাজনীতিতে কোনো স্থান নেই
অগণতান্ত্রিক অপশক্তির প্রধান টার্গেট তারেক রহমান
অগণতান্ত্রিক অপশক্তির প্রধান টার্গেট তারেক রহমান
আগামী নির্বাচন হবে অত্যন্ত কঠিন
আগামী নির্বাচন হবে অত্যন্ত কঠিন
আমরা ২৫% পর্যন্ত অর্ডার হারাতে পারি
আমরা ২৫% পর্যন্ত অর্ডার হারাতে পারি
‘ইতিহাসসেরা সুন্দর নির্বাচন’ : স্বপ্ন ও বাস্তবতা
‘ইতিহাসসেরা সুন্দর নির্বাচন’ : স্বপ্ন ও বাস্তবতা
জাতীয়তাবাদের উদ্বিগ্ন হৃদয়
জাতীয়তাবাদের উদ্বিগ্ন হৃদয়
আন্তর্জাতিক নারী ফুটবল উৎসব বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায়
আন্তর্জাতিক নারী ফুটবল উৎসব বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায়
জিয়ার দর্শন : ন্যায়ের শাসন
জিয়ার দর্শন : ন্যায়ের শাসন
ফুটবলে বাংলাদেশের মেয়েদের অনন্য সাফল্য
ফুটবলে বাংলাদেশের মেয়েদের অনন্য সাফল্য
আমলাতন্ত্রের ছায়াতলে আমজনতা
আমলাতন্ত্রের ছায়াতলে আমজনতা
সর্বশেষ খবর
সুন্দরগঞ্জে মোটরসাইকেল-সিএনজি সংঘর্ষে নিহত ১
সুন্দরগঞ্জে মোটরসাইকেল-সিএনজি সংঘর্ষে নিহত ১

২ সেকেন্ড আগে | দেশগ্রাম

দুধে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে কিশোরী ধর্ষণ, যাবজ্জীবন সাজা
দুধে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে কিশোরী ধর্ষণ, যাবজ্জীবন সাজা

৮ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চট্টগ্রামসহ পাঁচ জেলায় ২০ জুলাই পরিবহণ ধর্মঘট
চট্টগ্রামসহ পাঁচ জেলায় ২০ জুলাই পরিবহণ ধর্মঘট

২০ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

সিলেবাস সংস্কারে ইউনিসেফের সঙ্গে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের চুক্তি
সিলেবাস সংস্কারে ইউনিসেফের সঙ্গে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের চুক্তি

২৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ফেসবুক ও মোবাইল ব্যাংকিং হ্যাক করে চলত প্রতারণা, গ্রেফতার ৪
ফেসবুক ও মোবাইল ব্যাংকিং হ্যাক করে চলত প্রতারণা, গ্রেফতার ৪

৩৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

শিক্ষার্থী সেবায় বাউবির সমন্বিত পরিকল্পনা
শিক্ষার্থী সেবায় বাউবির সমন্বিত পরিকল্পনা

৩৯ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

ভালুকায় মা ও দুই শিশুকে গলা কেটে হত্যা: গ্রেফতার দেবর নজরুল
ভালুকায় মা ও দুই শিশুকে গলা কেটে হত্যা: গ্রেফতার দেবর নজরুল

৪৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

নির্বাচন ঠেকানোর জন্য ষড়যন্ত্র হচ্ছে : টুকু
নির্বাচন ঠেকানোর জন্য ষড়যন্ত্র হচ্ছে : টুকু

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

জবি ছাত্রদলের তিন নেতাকে বহিষ্কার, দুইজনকে ক্যাম্পাসে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা
জবি ছাত্রদলের তিন নেতাকে বহিষ্কার, দুইজনকে ক্যাম্পাসে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

যশোরে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ১৪ পরিবারকে সেনাবাহিনীর সহায়তা
যশোরে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ১৪ পরিবারকে সেনাবাহিনীর সহায়তা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

জুলাইয়ে নারীদের সাহসী উত্থান উদযাপনে ঢাকায় মশাল মিছিল
জুলাইয়ে নারীদের সাহসী উত্থান উদযাপনে ঢাকায় মশাল মিছিল

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

জবির প্রশাসনিক ভবনে শিক্ষার্থীদের তালা, অবরুদ্ধ উপাচার্য
জবির প্রশাসনিক ভবনে শিক্ষার্থীদের তালা, অবরুদ্ধ উপাচার্য

২ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

রিট করেও পরিষদে আসছেন না পলাতক চেয়ারম্যানরা
রিট করেও পরিষদে আসছেন না পলাতক চেয়ারম্যানরা

২ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বাংলাদেশিদের মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা দেবে মালয়েশিয়া
বাংলাদেশিদের মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা দেবে মালয়েশিয়া

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

৮ বছর পর টেস্ট দলে ফিরলেন লিয়াম ডসন
৮ বছর পর টেস্ট দলে ফিরলেন লিয়াম ডসন

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সুন্দরবনে দুটি নৌকাসহ পাঁচ জেলে আটক
সুন্দরবনে দুটি নৌকাসহ পাঁচ জেলে আটক

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মাদারীপুরে স্বেচ্ছাসেবক দলের বিক্ষোভ মিছিল
মাদারীপুরে স্বেচ্ছাসেবক দলের বিক্ষোভ মিছিল

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মালয়েশিয়ায় নৌকাডুবিতে নিখোঁজ ১১
মালয়েশিয়ায় নৌকাডুবিতে নিখোঁজ ১১

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চোখের নিচের ত্বকে সব প্রসাধনী নয়
চোখের নিচের ত্বকে সব প্রসাধনী নয়

৩ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

দুই বিভাগে ভারি বৃষ্টির আভাস
দুই বিভাগে ভারি বৃষ্টির আভাস

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সুন্দরবনে নিষিদ্ধ সময়ে মাছ ধরায় পাঁচ জেলে আটক
সুন্দরবনে নিষিদ্ধ সময়ে মাছ ধরায় পাঁচ জেলে আটক

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নীতি সুদহার কমিয়ে ৮ শতাংশ করলো বাংলাদেশ ব্যাংক
নীতি সুদহার কমিয়ে ৮ শতাংশ করলো বাংলাদেশ ব্যাংক

৩ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ঢামেক হাসপাতালের সামনে থেকে দুই দালাল আটক
ঢামেক হাসপাতালের সামনে থেকে দুই দালাল আটক

৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যা: আসামি মহিন দ্বিতীয় দফায় রিমান্ডে
ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যা: আসামি মহিন দ্বিতীয় দফায় রিমান্ডে

৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

সরকারি হলো আরও এক বিদ্যালয়
সরকারি হলো আরও এক বিদ্যালয়

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সোনারগাঁয়ে চাঁদাবাজি, ডাকাতি ও ছিনতাই প্রতিরোধে সভা
সোনারগাঁয়ে চাঁদাবাজি, ডাকাতি ও ছিনতাই প্রতিরোধে সভা

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চট্টগ্রামে চার স্কুলে ব্যতিক্রমী বইমেলা
চট্টগ্রামে চার স্কুলে ব্যতিক্রমী বইমেলা

৩ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চট্টগ্রামে স্বেচ্ছাসেবক দলের বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত
চট্টগ্রামে স্বেচ্ছাসেবক দলের বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত

৩ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

মেট্রো স্টেশনে বসছে এটিএম ও সিআরএম বুথ
মেট্রো স্টেশনে বসছে এটিএম ও সিআরএম বুথ

৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

নকল করে শাস্তি পেলেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮২ শিক্ষার্থী
নকল করে শাস্তি পেলেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮২ শিক্ষার্থী

৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

সর্বাধিক পঠিত
সেই সতর্কবার্তা এখন গুরুত্ব পাচ্ছে, রাজনীতিতে কাদা ছোড়াছুড়ি চরমে
সেই সতর্কবার্তা এখন গুরুত্ব পাচ্ছে, রাজনীতিতে কাদা ছোড়াছুড়ি চরমে

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সাজা ছাড়াই কারাগারে ৩০ বছর, অবশেষে মুক্তি!
সাজা ছাড়াই কারাগারে ৩০ বছর, অবশেষে মুক্তি!

১০ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ভারতের ভিসা জটিলতায় বাংলাদেশিদের চিকিৎসার নতুন গন্তব্য চীনের কুনমিং
ভারতের ভিসা জটিলতায় বাংলাদেশিদের চিকিৎসার নতুন গন্তব্য চীনের কুনমিং

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড নিয়ে ১০টি পরিকল্পিত অপপ্রচার ও তথ্যভিত্তিক বাস্তবতা
মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড নিয়ে ১০টি পরিকল্পিত অপপ্রচার ও তথ্যভিত্তিক বাস্তবতা

১৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

১৪৪টি দলের কোনোটিই ‘উত্তীর্ণ’ হতে পারেনি, সময় পাচ্ছে আরও ১৫ দিন
১৪৪টি দলের কোনোটিই ‘উত্তীর্ণ’ হতে পারেনি, সময় পাচ্ছে আরও ১৫ দিন

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘যুদ্ধবিরতিতে বিশ্বাস করে না ইরান, যে কোনো অভিযানের জন্য প্রস্তুত’
‘যুদ্ধবিরতিতে বিশ্বাস করে না ইরান, যে কোনো অভিযানের জন্য প্রস্তুত’

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

২৭ রানে অলআউট হয়ে লজ্জার রেকর্ড উইন্ডিজের
২৭ রানে অলআউট হয়ে লজ্জার রেকর্ড উইন্ডিজের

১৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতি চুক্তি করতে রাশিয়াকে ৫০ দিনের আল্টিমেটাম ট্রাম্পের
ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতি চুক্তি করতে রাশিয়াকে ৫০ দিনের আল্টিমেটাম ট্রাম্পের

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ট্যাঙ্ক বিস্ফোরণে গাজায় ৩ ইসরায়েলি সেনা নিহত
ট্যাঙ্ক বিস্ফোরণে গাজায় ৩ ইসরায়েলি সেনা নিহত

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইউক্রেন মস্কোতে আঘাত হানতে পারবে কি না জানতে চেয়েছেন ট্রাম্প
ইউক্রেন মস্কোতে আঘাত হানতে পারবে কি না জানতে চেয়েছেন ট্রাম্প

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করলেন কেনিয়ার জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী
ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করলেন কেনিয়ার জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী

১৫ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে অর্থমন্ত্রীর নাম প্রস্তাব করলেন জেলেনস্কি
নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে অর্থমন্ত্রীর নাম প্রস্তাব করলেন জেলেনস্কি

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কোনোভাবেই পিআর পদ্ধতি চায় না বিএনপি
কোনোভাবেই পিআর পদ্ধতি চায় না বিএনপি

৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সকালে রসুন খাওয়ার উপকারিতা
সকালে রসুন খাওয়ার উপকারিতা

১৬ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

বিয়ে ও সন্তান গ্রহণে আগ্রহ কমছে তরুণদের
বিয়ে ও সন্তান গ্রহণে আগ্রহ কমছে তরুণদের

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এইচআরসি গ্রুপের চেয়ারম্যান সাঈদ হোসেন চৌধুরী আর নেই
এইচআরসি গ্রুপের চেয়ারম্যান সাঈদ হোসেন চৌধুরী আর নেই

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যার অন্যতম আসামি নান্নু গ্রেফতার
ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যার অন্যতম আসামি নান্নু গ্রেফতার

১৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বাড়বে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা, টানা ৫ দিন বর্ষণের আভাস
বাড়বে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা, টানা ৫ দিন বর্ষণের আভাস

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

৪৬৩ কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেন, স্ত্রীসহ শামীম ওসমানের নামে মামলা
৪৬৩ কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেন, স্ত্রীসহ শামীম ওসমানের নামে মামলা

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইরাকে মার্কিন কোম্পানির তেল ক্ষেত্রে ড্রোন হামলা, উৎপাদন বন্ধ
ইরাকে মার্কিন কোম্পানির তেল ক্ষেত্রে ড্রোন হামলা, উৎপাদন বন্ধ

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নেতানিয়াহুর সরকার থেকে বেরিয়ে গেল ইসরায়েলের কট্টরপন্থী দল ইউটিজে
নেতানিয়াহুর সরকার থেকে বেরিয়ে গেল ইসরায়েলের কট্টরপন্থী দল ইউটিজে

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পৃথিবীর সবচেয়ে লম্বা পাখিকে ফিরিয়ে আনতে চায় মার্কিন গবেষণা প্রতিষ্ঠান
পৃথিবীর সবচেয়ে লম্বা পাখিকে ফিরিয়ে আনতে চায় মার্কিন গবেষণা প্রতিষ্ঠান

২২ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

আ. লীগ সরকারের বিদ্যুৎ সংক্রান্ত সব ধরনের চুক্তি পর্যালোচনা করা হবে : অর্থ উপদেষ্টা
আ. লীগ সরকারের বিদ্যুৎ সংক্রান্ত সব ধরনের চুক্তি পর্যালোচনা করা হবে : অর্থ উপদেষ্টা

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি নির্বাচন পেছানোর ষড়যন্ত্র : ডা. জাহিদ
সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি নির্বাচন পেছানোর ষড়যন্ত্র : ডা. জাহিদ

১২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সিরাজগঞ্জে ঘূর্ণিঝড়ে লণ্ডভণ্ড ৪ গ্রাম
সিরাজগঞ্জে ঘূর্ণিঝড়ে লণ্ডভণ্ড ৪ গ্রাম

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ওড়িশায় যৌন হয়রানির বিচার না পেয়ে গায়ে আগুন দেয়া সেই ছাত্রী মারা গেছে
ওড়িশায় যৌন হয়রানির বিচার না পেয়ে গায়ে আগুন দেয়া সেই ছাত্রী মারা গেছে

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বদলি আদেশ ছিঁড়ে এনবিআরের ১৪ কর্মকর্তা সাময়িক বরখাস্ত
বদলি আদেশ ছিঁড়ে এনবিআরের ১৪ কর্মকর্তা সাময়িক বরখাস্ত

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ট্রাম্পের আল্টিমেটামের তোয়াক্কা করে না রাশিয়া
ট্রাম্পের আল্টিমেটামের তোয়াক্কা করে না রাশিয়া

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হোয়াটসঅ্যাপে প্রতারণার ফাঁদ, দুবাইয়ে ১০০,০০০ দিরহাম হারালেন এক ভারতীয়!
হোয়াটসঅ্যাপে প্রতারণার ফাঁদ, দুবাইয়ে ১০০,০০০ দিরহাম হারালেন এক ভারতীয়!

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৫ জুলাই)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৫ জুলাই)

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
ফের প্রতিহিংসা রাজনীতিতে
ফের প্রতিহিংসা রাজনীতিতে

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

কী হবে সত্যজিৎ রায়ের বাড়িটির
কী হবে সত্যজিৎ রায়ের বাড়িটির

পেছনের পৃষ্ঠা

জাপা চেয়ারম্যান জি এম কাদেরকে দুদকে তলব
জাপা চেয়ারম্যান জি এম কাদেরকে দুদকে তলব

পেছনের পৃষ্ঠা

পারিবারিক দুর্নীতির প্রতিযোগিতা
পারিবারিক দুর্নীতির প্রতিযোগিতা

প্রথম পৃষ্ঠা

অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকলেই যেতে হবে ডিটেনশন সেন্টারে
অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকলেই যেতে হবে ডিটেনশন সেন্টারে

পেছনের পৃষ্ঠা

কমছে কর্মজীবী নারীর সংখ্যা
কমছে কর্মজীবী নারীর সংখ্যা

পেছনের পৃষ্ঠা

প্রেমাদাসায় জিততে চায় টাইগাররা
প্রেমাদাসায় জিততে চায় টাইগাররা

মাঠে ময়দানে

ওএমএস ডিলার নিয়োগে ঘুষবাণিজ্যের অভিযোগ খাদ্য নিয়ন্ত্রকের বিরুদ্ধে
ওএমএস ডিলার নিয়োগে ঘুষবাণিজ্যের অভিযোগ খাদ্য নিয়ন্ত্রকের বিরুদ্ধে

নগর জীবন

পদ্মার দুই ইলিশ সাড়ে ১৪ হাজারে বিক্রি
পদ্মার দুই ইলিশ সাড়ে ১৪ হাজারে বিক্রি

পেছনের পৃষ্ঠা

ঐকমত্যে নতুন অনৈক্য
ঐকমত্যে নতুন অনৈক্য

প্রথম পৃষ্ঠা

দুই ঘণ্টায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার ১২ রোগী ভর্তি
দুই ঘণ্টায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার ১২ রোগী ভর্তি

পেছনের পৃষ্ঠা

দুশ্চিন্তায় মোহামেডান-আবাহনী
দুশ্চিন্তায় মোহামেডান-আবাহনী

মাঠে ময়দানে

বিমানবন্দর থেকে ৯৬ বাংলাদেশিকে ফেরত
বিমানবন্দর থেকে ৯৬ বাংলাদেশিকে ফেরত

প্রথম পৃষ্ঠা

ভীতিকর অপরাধ পরিসংখ্যান
ভীতিকর অপরাধ পরিসংখ্যান

সম্পাদকীয়

বিএনপি নেতার গলায় পুলিশের মালা!
বিএনপি নেতার গলায় পুলিশের মালা!

পেছনের পৃষ্ঠা

সোহানের রাইডার্সের সামনে সাকিবের ক্যাপিটালস
সোহানের রাইডার্সের সামনে সাকিবের ক্যাপিটালস

মাঠে ময়দানে

মিথ্যা গুজবে অস্বস্তিতে শতাধিক কর্মকর্তা
মিথ্যা গুজবে অস্বস্তিতে শতাধিক কর্মকর্তা

পেছনের পৃষ্ঠা

নিবন্ধনপ্রত্যাশী রাজনৈতিক দলগুলোর যত ভুল
নিবন্ধনপ্রত্যাশী রাজনৈতিক দলগুলোর যত ভুল

প্রথম পৃষ্ঠা

আগামীর বাংলাদেশ হবে বৈষম্যহীন জনতার
আগামীর বাংলাদেশ হবে বৈষম্যহীন জনতার

নগর জীবন

রাষ্ট্রীয়ভাবে শোক পালন করা হবে বুধবার
রাষ্ট্রীয়ভাবে শোক পালন করা হবে বুধবার

পেছনের পৃষ্ঠা

ছাত্রলীগকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণার দাবি এবি পার্টির
ছাত্রলীগকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণার দাবি এবি পার্টির

পেছনের পৃষ্ঠা

সভ্য আমেরিকার অন্য কাহিনি
সভ্য আমেরিকার অন্য কাহিনি

সম্পাদকীয়

ওয়েস্ট ইন্ডিজ অলআউট ২৭ রানে
ওয়েস্ট ইন্ডিজ অলআউট ২৭ রানে

মাঠে ময়দানে

আলোচনায় আরপিও সংশোধন
আলোচনায় আরপিও সংশোধন

পেছনের পৃষ্ঠা

টি স্পোর্টস
টি স্পোর্টস

মাঠে ময়দানে

ব্যাডমিন্টনে ৫০০’র ওপরে ম্যাচ
ব্যাডমিন্টনে ৫০০’র ওপরে ম্যাচ

মাঠে ময়দানে

শান্তির হ্যাটট্রিকে শীর্ষে বাংলাদেশ
শান্তির হ্যাটট্রিকে শীর্ষে বাংলাদেশ

মাঠে ময়দানে

নিরাপত্তা উপদেষ্টার সঙ্গে মিয়ানমার রাষ্ট্রদূতের বৈঠক
নিরাপত্তা উপদেষ্টার সঙ্গে মিয়ানমার রাষ্ট্রদূতের বৈঠক

পেছনের পৃষ্ঠা

বিচার-পুনর্বাসনসহ চার দাবি ওমান ফেরত প্রবাসীদের
বিচার-পুনর্বাসনসহ চার দাবি ওমান ফেরত প্রবাসীদের

পেছনের পৃষ্ঠা