শিরোনাম
প্রকাশ: ০২:৫৩, মঙ্গলবার, ১৭ মার্চ, ২০২০

বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে আমাদের প্রতিজ্ঞা হোক উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখা

ড. কাজী এরতেজা হাসান
অনলাইন ভার্সন
বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে আমাদের প্রতিজ্ঞা হোক উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখা

ভারতে মহাত্মা গান্ধীর প্রথম অসহযোগ আন্দোলনের প্রারম্ভিক মুহূর্তে, সাম্প্রদায়িক সমাজ-পরিবেশে, ব্রিটিশ শাসিত কৃষিনির্ভর পূর্ব বাংলায়, অপরূপ প্রাকৃতিক পরিবেশ সজ্জিত নদী পাড়ের টুঙ্গিপাড়ার ঐতিহ্যবাহী মধ্যবিত্ত শেখ পরিবারে জন্ম নেন মা-বাবা, আত্মীয়-স্বজনের আদরের খোকা, রাজনীতির কবি, বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা, বাংলাদেশ মহাকাব্যের মহানায়ক, বাংলাদেশ রাষ্ট্রের স্রষ্টা, জাতির পিতা, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। নদীর পাড়ের হিজল ডালে, হিজলের ছায়াতলে বসে শৈশবেই তিনি অবলোকন করেন বাংলার নৈসর্গিক প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, বাঙালির আচার-আচরণ, হাসি-আনন্দ, দুঃখ-বেদনা, অভাব-অনটন, অনাহার-অর্ধাহার, বন্যা-খরা-দুর্ভিক্ষ, জনসংখ্যার চাপ, বেকারত্বের অভিশাপ, পশ্চাৎপদ কৃষিনির্ভর সমাজ, জমিদারি প্রথার নৃশংসতা, ব্রিটিশ শাসন-শোষণ-নির্যাতন এবং মধ্যযুগীয় ধর্মান্ধতা। বাংলার শব্দ, চিত্র, রং এবং বাঙালির ব্যথা-বেদনা, সুখ-দুঃখ, আশা-আকাঙ্ক্ষা, চিন্তা-চেতনা ও সংস্কৃতি ধারণ করে তাঁর মন ও মানসিকতার বিকাশ ঘটে। হয়ে ওঠেন মনে-প্রাণে বিশুদ্ধ বাঙালি। অমিত আত্মবিশ্বাসী, সাধারণ মানুষের প্রতি অবিচল আস্থাশীল বঙ্গবন্ধুর শক্তি, ব্যক্তিত্বের সৌরভ, সংকল্প, রাজনৈতিক ক্রিয়াকর্ম, সরব ও স্বতঃস্ফূর্ত সাহসী জীবনপ্রবাহ শোষিত বঞ্চিত বাঙালি জনগোষ্ঠীর অন্তরে লালিত স্বাধীনতার সুপ্ত বাসনাকে জাগ্রত করে, যা ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু হয়ে রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধে বিস্তৃত হয়। তাঁর তীক্ষ্ণ রাজনৈতিক মেধা ও অসাধারণ, অপ্রতিরোধ্য, প্রগতিশীল নেতৃত্বে বাঙালি স্বাধীনতা অর্জন করে, বাংলাদেশ স্বাধীন হয়।

চলনে-বলনে, কথা-বার্তায়, আচার-আচরণে, পোশাকে-আষাকে, বিচার-বিবেচনায়, আন্দোলন-সংগ্রামে বঙ্গবন্ধু ছিলেন বিশুদ্ধ বাঙালি। বাংলার মাটি ও মানুষের সঙ্গে ছিল তাঁর নিবিড় ও অটুট বন্ধন। তাঁর ধ্যানে-মনে, চিন্তা-চেতনায়, বিশ্বাসে ও অস্তিত্বজুড়ে ছিল বাংলাদেশ, বাংলাদেশের মানুষ এবং বাংলা ভাষা। বাঙালির প্রতি তাঁর ভালোবাসা ছিল অকৃত্রিম, ব্যক্তিস্বার্থের ঊর্ধ্বে। সেজন্যই দৃঢ়চিত্তে, দীপ্তকণ্ঠে বঙ্গবন্ধু উচ্চারণ করেন, ‘ফাঁসির মঞ্চে যাওয়ার সময় আমি বলব, আমি বাঙালি, বাংলা আমার দেশ, বাংলা আমার ভাষা। জয় বাংলা।’ একজন বিদেশি ঐতিহাসিকের মতে ‘প্রায় বারো শ’ বছর পর বাঙালি জাতির পুনর্জন্ম হয়েছে এবং হাজার বছর পর বাংলাদেশ এমন একজন নেতা পেয়েছে, যিনি রক্ত-বর্ণে-ভাষায় এবং জাতি বিচারে একজন খাঁটি বাঙালি। বাংলাদেশের মাটি ও ইতিহাস থেকে তাঁর সৃষ্টি এবং তিনি বাঙালি জাতির স্রষ্টা।’

বঙ্গবন্ধুর ঋজু বলিষ্ঠ দৈহিক গঠন, কোমলতা ও দৃঢ়তা মিশ্রিত সম্মোহনী শক্তিধর প্রবল ব্যক্তিত্ব, জলদগম্ভীর কণ্ঠস্বরে বাঙালি খুঁজে প্রায় তাদের অস্তিত্ব, আশা-আকাক্সক্ষার প্রতিচ্ছবি ও আত্মপরিচয়। তিনি হয়ে ওঠেন বাঙালির ভালোবাসার মানুষ ও প্রিয় নেতা। সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে সিদ্ধহস্ত বঙ্গবন্ধু চরম সংকটকালে থাকতেন স্থির ও অবিচল। তাঁর বক্তৃতা ছিল মাদকতায় ভরা বিস্ফোরক শব্দাবলির নিপুণ বিন্যাস। নিপুণ শিল্প। যেন মন্ত্রাচ্চারণ। যা বাঙালির হৃদয়কে সহজেই স্পর্শ, চেতনাকে সমৃদ্ধ ও শানিত করে স্বাধীনতার সুপ্ত বাসনাকে জাগ্রত করে। কথা-বার্তায়, চিন্তা-চেতনায়, আচার-আচরণে, বিশ্বাসে বঙ্গবন্ধু ছিলেন জাতীয়তাবাদী, গণতন্ত্রী, সমাজতন্ত্রী এবং ধর্মনিরপেক্ষ। যা তাঁর আদর্শের চার স্তম্ভ। তিনি এই আদর্শ ধারণ, লালন ও চর্চা করেন আমৃত্যু। তিনি ছিলেন শোষিতের গণতন্ত্রে বিশ্বাসী। বহুবার বলেছেন- ‘আমি শোষকের নয়, শোষিতের পক্ষে।’ মুক্তিযুদ্ধের পর দেশে ফিরে এসে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের বিশাল জনসভায় বলেন- ‘আজ আমি মুক্ত বাংলার মাটিতে দাঁড়িয়ে দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে ঘোষণা করছি, আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, জাতীয়তাবাদ ও ধর্মনিরপেক্ষতা।’

বঙ্গবন্ধু জন্মেছিলেন হীনমন্য সাম্প্রদায়িক সমাজ-পরিবেশে। তবু জন্মলগ্ন থেকেই নিজের চেতনায় ধারণ করেন অসাম্প্রদায়িক বোধ, বর্জন করেন হীন সাম্প্রদায়িক মানসিকতাকে। এই অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে লালন করতে গিয়ে তিনি বক্তৃতায় সাম্প্রদায়িক বৈরী আচরণের শিকার হন, ব্যাথিত হন। কিন্তু অসাম্প্রদায়িক চেতনা থেকে কখনো বিচ্যুত হননি। বরং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির জন্য কাজ করেন, হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গারোধে রাখেন ভূমিকা। ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের নাম থেকে মুসলিম শব্দ বাদ দিতে সোচ্চার হন। ৭ মার্চের ভাষণে বলেন, ‘এই বাংলায় হিন্দু-মুসলিম, বাঙালি-ননবেঙলি যারা আছে তারা আমাদের ভাই, তাদের রক্ষার দায়িত্ব আপনাদের উপর, আমাদের যেন বদনাম না হয়।’ ৩ জানুয়ারি ১৯৭১ সালে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সংসদ সদস্যদের শপথ অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু ঘোষণা করেন- ‘হিন্দু, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ ভাইয়েরা আপনারা শুনে রাখুন, আপনারাও এ দেশের সমান নাগরিক। এই দেশ একা কারও নয়। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলের এই দেশ। ধর্মের নামে ব্যবসা চলবে না, শোষণ চলবে না। আমাদের লক্ষ্য একটি শোষণহীন সমাজতান্ত্রিক, গণতান্ত্রিক দেশ প্রতিষ্ঠা। ধর্মনিরপেক্ষতাই হবে রাষ্ট্রীয় নীতি।’

অকুতোভয়, দৃঢ়চেতা, আপোসহীন, আত্মপ্রত্যয়ী, উদার, সংস্কৃতিমনা, দূরদর্শী বঙ্গবন্ধুর শৈশব থেকেই ছিল সাধারণ মানুষের প্রতি অপরিসীম ভালোবাসা। তিনি উপেক্ষিত, দুর্দশাগ্রস্ত, দৈন্যপীড়িত, বন্যা, খরা, মহামারী, দুর্ভিক্ষ, জলোচ্ছ্বাস, হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গায় আহত অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ান, সংখ্যালঘুদের রক্ষা করেন ও আশ্রয় দেন। গরিব শিক্ষার্থীদের সাহায্যার্থে তিনি ৭ম শ্রেণিতে থাকাকালীন ‘মুসলিম সেবা সমিতি’তে যোগ দিয়ে মুষ্টি ভিক্ষার চাল উঠান। অন্যায়, অবিচার, অত্যাচার, নির্যাতন, বৈষম্য ও শোষণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেন, প্রতিরোধ গড়েন। ছাত্রজীবনেই তিনি দাবি-দাওয়া প্রণয়ন ও আদায় করার দক্ষতা ও সক্ষমতা প্রদর্শন করেন। মুখ্যমন্ত্রী শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক গোপালগঞ্জ স্কুল পরিদর্শন করতে গেলে বর্ষা মৌসুমে স্কুল ঘরে পানি পড়ার অভিযোগ উত্থাপন করে তা সংস্কারের দাবি করেন। ইংরেজ তাড়ানোর তাগিদ অনুভব করে স্বদেশী আন্দোলনের প্রতিও আকৃষ্ট হন এবং নেতাজী সুভাষ বসুর হলওয়েল মনুমেন্ট অপসারণ আন্দোলনে যোগ দেন। সাম্প্রদায়িক বিরোধের কারণে কংগ্রেসের রোষানলে পড়ে বঙ্গবন্ধু জীবনে প্রথমবার জেলে যান। এই সময় পাকিস্তান রাষ্ট্র সৃষ্টির লক্ষে গোপালগঞ্জে মুসলিম ছাত্রলীগ গঠন করে সম্পাদকের দায়িত্ব নিয়ে রাজনৈতিক জীবন শুরু করেন। প্রাদেশিক মুসলিম লীগ কাউন্সিলের সদস্য হন। সদস্য হয়ে তিনি জমিদার, জোতদার ও নবাবদের সংগঠন মুসলিম লীগকে সাধারণ জনগণের সংগঠনে পরিণত করার উদ্যোগ গ্রহণ করেন। ১৯৪৭ সাল পযর্ন্ত পাকিস্তান রাষ্ট্র সৃষ্টির পক্ষে, বাংলা ভাগের বিপক্ষে এবং জমিদারি প্রথা বিলোপের লক্ষে বঙ্গবন্ধু বিরামহীন কর্মযজ্ঞে লিপ্ত থাকেন। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর আপোসহীন সাহসী ভূমিকা ও সাংগঠনিক দক্ষতা কলকাতার প্রগতিশীল মহলে ব্যাপক প্রশংসিত হয়।

আজ ১৭ মার্চ। বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শততম জন্মবার্ষিকী। ১৯২০ সালের এই দিনেই গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম প্ররিবারে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। আজকের দিনটিতেই আবার জাতীয় শিশু দিবস। সারা দেশেই দিনটি উদযাপিত হয় মহাসমারোহে। তবে করোনোভাইরাসের প্রভাবে সারা দেশে সীমিত আকারে অনুষ্ঠিত হবে এবারের বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী। এরপর করোনার প্রভাব কেটে গেলে বৃহৎ আকারে আয়োজন করা হবে। এমনকি সারা পৃথিবীতেই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন পালন করা হবে। 

বঙ্গবন্ধুর বাবার নাম শেখ লুৎফর রহমান। মায়ের নাম সায়েরা খাতুন। তাদের চার মেয়ে ও দুই ছেলের মধ্যে শেখ মুজিব ছিলেন তৃতীয়। বাবা-মা তাকে আদর করে ডাকতেন খোকা বলে। সেই ছোটবেলা থেকেই তিনি ছিলেন প্রতিবাদী। অন্যায়ের সঙ্গে আপোস করতেন না। তার প্রমাণ পাওয়া যায় শেখ লুৎফর রহমানের কথা থেকেই। দেশের ক্রান্তিলগ্নে বঙ্গবন্ধু যখন লড়ে যাচ্ছিলেন তখন এক সাক্ষাৎকারে শেখ লুৎফর রহমান বলেছিলেন, ‘সে তো ছোটবেলা থেকেই প্রতিবাদী, অন্যায় সহ্য করতো না। কোথাও তা দেখলে প্রতিবাদ করতো।’ শেখ লুৎফর রহমানের কথার প্রমাণ দেখেছে সারা ব্শ্বি। যা হোক, ফিরে আসা যাক শেখ মুজিবের কৈশোরে। কিশোর বয়সেই শেখ মুজিবের প্রতিবাদী চরিত্রের বহিঃপ্রকাশ দেখা গিয়েছিল। অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী মানসিকতা, গরিব-দুঃখী মানুষের প্রতি ভালোবাসা ও তাদের দুঃখ দূর করার প্রতিজ্ঞা তাকে রাজনীতিতে নিয়ে আসে।

স্কুল থেকেই তিনি রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। গ্রামের স্কুলে তার লেখাপড়ার হাতেখড়ি। ১৯২৭ সালে শেখ মুজিব গিমাডাঙ্গা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়াশোনা শুরু করেন। ১৯২৯ সালে গোপালগঞ্জ পাবলিক স্কুলে ভর্তি হন এবং এখানেই ১৯৩৪ সাল পর্যন্ত পড়াশোনা করেন। ১৯৩৭ সালে গোপালগঞ্জ মিশন স্কুলে সপ্তম শ্রেণিতে ভর্তি হন। ১৯৪১ সালে অসুস্থ শরীর নিয়েই ম্যাট্রিক পরীক্ষা দেন। পড়াশোনার থেকে রাজনীতি বেশি করেছেন। 

রাজনীতিতে যুক্ত হওয়ার ক্ষেত্রে তার পিতা তাকে বাধা দেননি। তার বাবা বলেছিলেন, ‘বাবা রাজনীতি কর আপত্তি করব না, পাকিস্তানের জন্য সংগ্রাম করছ এত সুখের কথা, তবে লেখাপড়া করতে ভুলো না। লেখাপড়া না শিখলে মানুষ হতে পারবে না। আর একটা কথা মনে রেখ, Sincerity of purpose and honesty of purpose থাকলে জীবনে পরাজিত হবে না।’ বঙ্গবন্ধুর জীবন ভিত্তিক বই ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’তে এ কথা লেখা রয়েছে। যার পৃষ্ঠা নং ২১।

শেখ মুজিব রাজনীতিতে সফল হয়েছিলেন তার বাবার এ কথার উপর বিশ্বাসের কারণেই। ম্যাট্রিক পরীক্ষার পরপরই কিশোর মুজিব কলকাতায় যান। কলকাতার ইসলামিয়া কলেজের ছাত্র থাকা অবস্থায় তার রাজনৈতিক জীবনের বড় পরিবর্তনগুলো শুরু হয়। তিনি পাকিস্তান আন্দোলনে সক্রিয় হন এবং হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, আবুল হাশিমের মতো নেতাদের সান্নিধ্যে আসেন। ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান রাষ্ট্র সৃষ্টি হলে শেখ মুজিবও ঢাকায় চলে আসেন।

নতুন রাজনৈতিক চিন্তাচেতনা নিয়ে ১৯৪৮ সালে ছাত্রলীগ গঠন করেন। ১৯৪৯ সালে নবগঠিত পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগের যুগ্ম সম্পাদক নির্বাচিত হন। বাংলাকে অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার দাবি নিয়ে গড়ে ওঠা আন্দোলনে অংশ নেওয়ার মাধ্যমেই শেখ মুজিবের রাজনৈতিক তৎপরতার সূচনা হয়।

১৯৪৮ থেকে ১৯৫২ এর মহান ভাষা আন্দোলন, ১৯৫৮এর সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলন, ১৯৬২ এর শিক্ষা আন্দোলন ও ১৯৬৬ এর ঐতিহাসিক ছয় দফা ভিত্তিক আন্দোলনের মাধ্যমে তিনি হয়ে ওঠেন বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা। ১৯৬৯ এর গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ছাত্র জনতা তাকে ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধি দেয়। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে বাঙালিরা বঙ্গবন্ধুর ৬ দফার প্রক্ষে অকুন্ঠ সমর্থন জানায়। কিন্তু পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা হস্তান্তর না করে বাঙালিদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের রাজনীতি শুরু করে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ তার ঐতিহাসিক ভাষণে স্বাধীনতার ডাক দেন। ২৫ মার্চ পাকিস্তানি বাহিনী পরিকল্পিত গণহত্যা শুরু করলে ২৬ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। তার ডাকে সাড়া দিয়ে দেশের আপামর জনগণ প্রায় নয় মাস যুদ্ধ করে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ অর্জন করে।

স্বাধীন বাংলাদেশের রূপকার এই মহান নেতার জন্মদিনে গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি।  কোনো বিশেষ ঘটনা বা আনন্দের দিনকে শিশু দিবস হিসেবে পালন করা হয়। বাংলাদেশের মানুষের জন্য সবচেয়ে বেশি আনন্দের দিন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন। বাংলার হাজার বছরের ইতিহাসে বঙ্গবন্ধু একজনই জন্মেছিলেন। যার জন্ম না হলে স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম হতো না। এজন্য ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনকে জাতীয় শিশু দিবস হিসেবে পালন করা হয়।

বঙ্গবন্ধু শিশুদের অত্যন্ত আদর করতেন, ভালোবাসতেন। শিশুদের সঙ্গে গল্প করতেন, খেলা করতেন। তিনি বিশ্বাম করতেন আজকের শিশুরাই আগামীদিনে দেশ গড়ার নেতৃত্ব দিবে। তরুণ প্রজন্ম এই মহান নেতার আদর্শ থেকেই দেশ গড়ার অনুপ্রেরণা লাভ করে। যারা বাংলাদেশকে বিশ্বাস করে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ধারণ করে তাদের মাঝেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বেঁচে থাকবেন জন্ম থেকে জন্মান্তরে। সৈয়দ শামসুল হকের ভাষায়- ‘যেখানে ঘুমিয়ে আছো, শুয়ে থাকো বাঙালির মহান জনক তোমার সৌরভ দাও, দাও শুধু প্রিয়কন্ঠ শৌর্য আর অমিত সাহস টুঙ্গিপাড়া গ্রাম থেকে, আমাদের গ্রামগুলো তোমার সাহস নেবে, নেবে ফের বিপ্লবের দুরন্ত প্রেরণা।’

আমাদের এই মহান নেতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শই দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পথ দেখায়। সেই পথ ধরেই তাঁর সুযোগ্য কন্যা, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলছে বাংলাদেশ। একসময় যারা বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়ি বলে আখ্যায়িত করতো, তারাই এখন বাংলাদেশকে উন্নয়নের রোল মডেল বলতে বাধ্য হচ্ছে। একমাত্র বঙ্গবন্ধু কন্যার কারণেই এমনটা হয়েছে বলে আমি বিশ্বাস করি।

তবে দুঃখের সঙ্গে একথাও বলতে হয়, এদেশে এখনো কিছু বঙ্গবন্ধু বিদ্বেষী, পাকিস্তানি প্রেতাত্মারা রয়েছে। যারা জীবিত বঙ্গবন্ধুর চেয়ে শহীদ বঙ্গবন্ধুকে বেশি ভয় পায়। সে কারণেই নানা সময় ওই গোষ্ঠীটি বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে হত্যা করতে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। যেমনটা করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংকের ইতিহাস বইয়ে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একটি গোষ্ঠী জাতির পিতাকে অবমাননা করেছিল ২০১৮ সালে। তাই আমি নিজে উদ্যোগী হয়ে বঙ্গবন্ধুকে অবমাননার কারণে মহামান্য হাইকোর্টে রিট আবেদন করি। সেই আবেদনের কারণে দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ে টিকে থাকতে আমাকে নানা রকম হুমকিরও সম্মুখীন হতে হয়েছে। কিন্তু জাতির পিতার একজন আদর্শিক সন্তান হিসেবে এবং শেখ হাসিনার একজন একনিষ্ঠ কর্মী হিসেবে লড়াই চালিয়ে গেছি। সর্বশেষ মহামান্য হাইকোর্ট বঙ্গবন্ধুকে অবমাননা করা সকল বই আমাকে (রিটের বাদী) সঙ্গে নিয়ে নষ্ট করার আদেশ দিয়েছেন। 

আজ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীতে আমি দৃঢ়প্রত্যয়ে বলতে পারি, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে উঠছে তারই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে। এই ধারা অব্যাহত রাখতে আমাদের সকলকে কাজ করে যেতে হবে। আজকের এই দিনের প্রতিজ্ঞা হোক, বাংলাদেশ উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখার প্রতিজ্ঞা। তাহলেই জাতির জনক জান্নাতুল ফেরদৌস থেকে হয়তো আত্মিক একটা শান্তি পাবেন এই ভেবে যে, তাঁর সোনার বাংলায় স্বপ্নগুলো বাস্তবায়িত হচ্ছে। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।

বিডি-প্রতিদিন/শফিক

এই বিভাগের আরও খবর
আইনের প্রতি শ্রদ্ধার নতুন দৃষ্টান্ত সেনাবাহিনীর
আইনের প্রতি শ্রদ্ধার নতুন দৃষ্টান্ত সেনাবাহিনীর
মানসম্পন্ন শিক্ষা ছাড়া উন্নত জাতি গঠন সম্ভব নয়
মানসম্পন্ন শিক্ষা ছাড়া উন্নত জাতি গঠন সম্ভব নয়
সেনাবাহিনীকে নয়, দায়ী করুন অপরাধীকে
সেনাবাহিনীকে নয়, দায়ী করুন অপরাধীকে
অর্থনীতির সর্বনাশ : দুর্নীতির পৌষ মাস
অর্থনীতির সর্বনাশ : দুর্নীতির পৌষ মাস
স্পর্শকাতর পণ্যের সুরক্ষা উপেক্ষিত ছিল
স্পর্শকাতর পণ্যের সুরক্ষা উপেক্ষিত ছিল
নানা সূচকে ‘ইমেজ ক্রাইসিসে’ বাংলাদেশ
নানা সূচকে ‘ইমেজ ক্রাইসিসে’ বাংলাদেশ
রাজনৈতিক আকাশে অনিশ্চয়তার কালো মেঘ
রাজনৈতিক আকাশে অনিশ্চয়তার কালো মেঘ
এইচএসসির ফল দিয়ে নির্বাচনি ভাবনা
এইচএসসির ফল দিয়ে নির্বাচনি ভাবনা
সুষ্ঠু নির্বাচন : সেনাবাহিনীর আরো মানোন্নয়নের সুযোগ
সুষ্ঠু নির্বাচন : সেনাবাহিনীর আরো মানোন্নয়নের সুযোগ
ঐক্য ও সংগ্রামী চেতনার বিকাশ চাই
ঐক্য ও সংগ্রামী চেতনার বিকাশ চাই
সেনাবাহিনীকে সব বিতর্কের ঊর্ধ্বে রাখতেই হবে
সেনাবাহিনীকে সব বিতর্কের ঊর্ধ্বে রাখতেই হবে
ভালো নির্বাচনের পথে যত বাধা
ভালো নির্বাচনের পথে যত বাধা
সর্বশেষ খবর
নারায়ণগঞ্জে মুসল্লিদের ৬০ বছরের ভোগান্তির অবসানে ডিসির উদ্যোগ
নারায়ণগঞ্জে মুসল্লিদের ৬০ বছরের ভোগান্তির অবসানে ডিসির উদ্যোগ

এই মাত্র | নগর জীবন

নারীদের রাজনৈতিক অংশগ্রহণে সাইবার বুলিং বড় বাধা
নারীদের রাজনৈতিক অংশগ্রহণে সাইবার বুলিং বড় বাধা

৪ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

নিখোঁজ ব্যক্তির বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার
নিখোঁজ ব্যক্তির বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার

৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

টাইফয়েড টিকা ইপিআই কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত হবে
টাইফয়েড টিকা ইপিআই কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত হবে

১৪ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

যুক্তরাষ্ট্রের বাধা উপেক্ষা করে কি পশ্চিম তীর দখল করতে পারবে ইসরায়েল?
যুক্তরাষ্ট্রের বাধা উপেক্ষা করে কি পশ্চিম তীর দখল করতে পারবে ইসরায়েল?

১৭ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দেশের ভেতরে নাশকতায় শেখ হাসিনার পরিকল্পনা কাজ করছে : গয়েশ্বর
দেশের ভেতরে নাশকতায় শেখ হাসিনার পরিকল্পনা কাজ করছে : গয়েশ্বর

২০ মিনিট আগে | রাজনীতি

ওমরাহ যাত্রীদের নতুন নিয়ম : রিটার্ন টিকিট ক্রয় বাধ্যতামূলক
ওমরাহ যাত্রীদের নতুন নিয়ম : রিটার্ন টিকিট ক্রয় বাধ্যতামূলক

২৪ মিনিট আগে | ইসলামী জীবন

লাকসামে কারাতে বেল্ট ও সার্টিফিকেট প্রদান
লাকসামে কারাতে বেল্ট ও সার্টিফিকেট প্রদান

২৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ফাজিল পরীক্ষা শুরু শনিবার, অংশ নেবে ১ লাখ ১৭ হাজার শিক্ষার্থী
ফাজিল পরীক্ষা শুরু শনিবার, অংশ নেবে ১ লাখ ১৭ হাজার শিক্ষার্থী

৩১ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

ব্রাজিলে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ফুটবলারের মৃত্যু
ব্রাজিলে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ফুটবলারের মৃত্যু

৩৪ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

সব জাতিগোষ্ঠীর সমন্বয়ে ঐক্যবদ্ধ বাংলাদেশ গড়বে বিএনপি : মির্জা ফখরুল
সব জাতিগোষ্ঠীর সমন্বয়ে ঐক্যবদ্ধ বাংলাদেশ গড়বে বিএনপি : মির্জা ফখরুল

৩৮ মিনিট আগে | রাজনীতি

ওয়েলসে স্টারমারের লেবার পার্টির ঐতিহাসিক পরাজয়
ওয়েলসে স্টারমারের লেবার পার্টির ঐতিহাসিক পরাজয়

৩৯ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গোলাবারুদ আর বাজেট সংকটে ভুগছে ইসরায়েলি বাহিনী: রিপোর্ট
গোলাবারুদ আর বাজেট সংকটে ভুগছে ইসরায়েলি বাহিনী: রিপোর্ট

৪১ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইমাম অপহরণের ঘটনায় টঙ্গীতে বিক্ষোভ, মহাসড়ক অবরোধ
ইমাম অপহরণের ঘটনায় টঙ্গীতে বিক্ষোভ, মহাসড়ক অবরোধ

৫৬ মিনিট আগে | নগর জীবন

এমন সমাজ গড়তে চাই, যেখানে দুর্নীতি-দুঃশাসন থাকবে না : নবীউল্লাহ নবী
এমন সমাজ গড়তে চাই, যেখানে দুর্নীতি-দুঃশাসন থাকবে না : নবীউল্লাহ নবী

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

তারেক রহমানের ৩১ দফা আগামীর রাষ্ট্র পরিচালনার দলিল : হেলেন জেরিন খান
তারেক রহমানের ৩১ দফা আগামীর রাষ্ট্র পরিচালনার দলিল : হেলেন জেরিন খান

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

অক্টোবরের ২২ দিনে রেমিট্যান্স এলো ২৩ হাজার কোটি টাকা
অক্টোবরের ২২ দিনে রেমিট্যান্স এলো ২৩ হাজার কোটি টাকা

১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

রাজনীতি কোন ব্যবসার জায়গা নয়: মুশফিকুর রহমান
রাজনীতি কোন ব্যবসার জায়গা নয়: মুশফিকুর রহমান

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ইসরায়েলের ওপর নিষেধাজ্ঞা চায় তুরস্ক
ইসরায়েলের ওপর নিষেধাজ্ঞা চায় তুরস্ক

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বেনাপোলে বিএনপির যৌথ সভা, ঐক্যবদ্ধভাবে কাজের আহ্বান
বেনাপোলে বিএনপির যৌথ সভা, ঐক্যবদ্ধভাবে কাজের আহ্বান

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

দিরাইয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ ১১
দিরাইয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ ১১

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বিশ্বশক্তিগুলোকে গাজা যুদ্ধবিরতি রক্ষায় সক্রিয় ভূমিকা নিতে হবে: এরদোয়ান
বিশ্বশক্তিগুলোকে গাজা যুদ্ধবিরতি রক্ষায় সক্রিয় ভূমিকা নিতে হবে: এরদোয়ান

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জীবননগরে ২০ নারীকে বসুন্ধরা শুভসংঘের সেলাই মেশিন উপহার
জীবননগরে ২০ নারীকে বসুন্ধরা শুভসংঘের সেলাই মেশিন উপহার

১ ঘণ্টা আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞাকে পাত্তা না দিয়ে দৃঢ় অবস্থানে পুতিন
যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞাকে পাত্তা না দিয়ে দৃঢ় অবস্থানে পুতিন

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিএনপির ৩১ দফা বাস্তবায়নে মোংলায় সমাবেশ
বিএনপির ৩১ দফা বাস্তবায়নে মোংলায় সমাবেশ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

খাগড়াছড়ির দীঘিনালা-লংগদু সড়কে ৮ ঘণ্টা পর যানবাহন চলাচল শুরু
খাগড়াছড়ির দীঘিনালা-লংগদু সড়কে ৮ ঘণ্টা পর যানবাহন চলাচল শুরু

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ফুলপুরে বিএনপির কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত
ফুলপুরে বিএনপির কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সাগরমুখী কুতুবদিয়ার জেলেরা
সাগরমুখী কুতুবদিয়ার জেলেরা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কুমিল্লায় বিএনপির ৩১ দফা প্রচারণা ও গণমিছিল
কুমিল্লায় বিএনপির ৩১ দফা প্রচারণা ও গণমিছিল

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক করার উদ্যোগ স্থগিতের সিদ্ধান্ত
কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক করার উদ্যোগ স্থগিতের সিদ্ধান্ত

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সর্বাধিক পঠিত
উপদেষ্টা পরিষদে বিদায়ের সুর!
উপদেষ্টা পরিষদে বিদায়ের সুর!

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

৭ নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করল বিএনপি
৭ নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করল বিএনপি

৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বৃহৎ প্রতিবেশীর ছায়ায় প্রাপ্য আন্তর্জাতিক মনোযোগ পাচ্ছে না বাংলাদেশ
বৃহৎ প্রতিবেশীর ছায়ায় প্রাপ্য আন্তর্জাতিক মনোযোগ পাচ্ছে না বাংলাদেশ

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ফের ‘পরমাণু স্থাপনায় হামলার আশঙ্কা’ নিয়ে যা বলল ইরান
ফের ‘পরমাণু স্থাপনায় হামলার আশঙ্কা’ নিয়ে যা বলল ইরান

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এক মাস আগেও ডন আমাকে হুমকি দিয়েছে : নীলা চৌধুরী
এক মাস আগেও ডন আমাকে হুমকি দিয়েছে : নীলা চৌধুরী

৬ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

আমি খুবই হতাশ: স্যামি
আমি খুবই হতাশ: স্যামি

১১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সৌদি আরবকে কটাক্ষ করে মাফ চাইলেন ইসরায়েলি মন্ত্রী
সৌদি আরবকে কটাক্ষ করে মাফ চাইলেন ইসরায়েলি মন্ত্রী

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শেষ জমানার ফিতনা থেকে বাঁচুন
শেষ জমানার ফিতনা থেকে বাঁচুন

১৯ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

রশিদ খানকে টপকে রিশাদের বিশ্বরেকর্ড
রশিদ খানকে টপকে রিশাদের বিশ্বরেকর্ড

৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অংশ নেওয়ার সুযোগ নেই : প্রেসসচিব
নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অংশ নেওয়ার সুযোগ নেই : প্রেসসচিব

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আগামী ৫ দিনের পূর্বাভাসে বৃষ্টি-তাপমাত্রা নিয়ে নতুন বার্তা
আগামী ৫ দিনের পূর্বাভাসে বৃষ্টি-তাপমাত্রা নিয়ে নতুন বার্তা

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কমিশনের কাছে ২১ দাবি, আছে সর্বোচ্চ-সর্বনিম্ন বেতনের প্রস্তাবনা
কমিশনের কাছে ২১ দাবি, আছে সর্বোচ্চ-সর্বনিম্ন বেতনের প্রস্তাবনা

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিদেশি বিনিয়োগে মন্দা কাটছেই না
বিদেশি বিনিয়োগে মন্দা কাটছেই না

২০ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

পেঁপে খাওয়ার যত উপকার
পেঁপে খাওয়ার যত উপকার

১০ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

৩১ রুশ সেনার বিনিময়ে ১ হাজার ইউক্রেনীয় সেনার মরদেহ ফেরত
৩১ রুশ সেনার বিনিময়ে ১ হাজার ইউক্রেনীয় সেনার মরদেহ ফেরত

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চলতি মাসেই বিএনপির ২০০ আসনে প্রার্থীকে গ্রিন সিগন্যাল, আরপিও সংশোধনের বিষয়ে আপত্তি
চলতি মাসেই বিএনপির ২০০ আসনে প্রার্থীকে গ্রিন সিগন্যাল, আরপিও সংশোধনের বিষয়ে আপত্তি

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইউক্রেনকে তহবিল দিতে ইইউ’র রুশ সম্পদ ব্যবহারের পদক্ষেপ ব্যর্থ
ইউক্রেনকে তহবিল দিতে ইইউ’র রুশ সম্পদ ব্যবহারের পদক্ষেপ ব্যর্থ

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এ কে আজাদের গ্রেপ্তারের দাবিতে ফরিদপুরে বিএনপির মশাল মিছিল
এ কে আজাদের গ্রেপ্তারের দাবিতে ফরিদপুরে বিএনপির মশাল মিছিল

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ব্রয়লার ১৭০, পাঙাশ ১৮০, গরু ৭৪০, ডিমের হালি ৫০....
ব্রয়লার ১৭০, পাঙাশ ১৮০, গরু ৭৪০, ডিমের হালি ৫০....

৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হচ্ছে ঘূর্ণিঝড় মন্থা
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হচ্ছে ঘূর্ণিঝড় মন্থা

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েল কি যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম অঙ্গরাজ্য?
ইসরায়েল কি যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম অঙ্গরাজ্য?

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মিয়ানমারের স্ক্যাম সেন্টারে বেলারুশের মডেলের ‘রহস্যজনক মৃত্যু’
মিয়ানমারের স্ক্যাম সেন্টারে বেলারুশের মডেলের ‘রহস্যজনক মৃত্যু’

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দায়িত্ব শেষ করে যত তাড়াতাড়ি যেতে পারি বাঁচব
দায়িত্ব শেষ করে যত তাড়াতাড়ি যেতে পারি বাঁচব

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আজকের বাজারে স্বর্ণের দাম
আজকের বাজারে স্বর্ণের দাম

১২ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

২ দিন বিদ্যুৎ থাকবে না যেসব এলাকায়
২ দিন বিদ্যুৎ থাকবে না যেসব এলাকায়

১১ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

২০২৮ সাল পর্যন্ত ইন্টার মায়ামিতে থাকছেন মেসি
২০২৮ সাল পর্যন্ত ইন্টার মায়ামিতে থাকছেন মেসি

১৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

কানাডার সঙ্গে সব বাণিজ্য আলোচনা বাতিল করলেন ট্রাম্প
কানাডার সঙ্গে সব বাণিজ্য আলোচনা বাতিল করলেন ট্রাম্প

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

টঙ্গী থেকে নিখোঁজ ইমামকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর
টঙ্গী থেকে নিখোঁজ ইমামকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর

১৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

অগ্নিনিরাপত্তা পরিদর্শন সপ্তাহ পালনের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার
অগ্নিনিরাপত্তা পরিদর্শন সপ্তাহ পালনের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘ভোটকেন্দ্রে প্রথম প্রতিরক্ষা স্তর হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন আনসার সদস্যরা’
‘ভোটকেন্দ্রে প্রথম প্রতিরক্ষা স্তর হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন আনসার সদস্যরা’

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
মুখ্য সমন্বয়কের পদ ছাড়লেন নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী
মুখ্য সমন্বয়কের পদ ছাড়লেন নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী

প্রথম পৃষ্ঠা

বিএনপির প্রার্থী কোকোর সহধর্মিণী শর্মিলা, জামায়াতের ড. মোস্তফা
বিএনপির প্রার্থী কোকোর সহধর্মিণী শর্মিলা, জামায়াতের ড. মোস্তফা

নগর জীবন

স্বাস্থ্যে থাকবে শুধু তিনটি অধিদপ্তর
স্বাস্থ্যে থাকবে শুধু তিনটি অধিদপ্তর

প্রথম পৃষ্ঠা

বিএনপির গোলাম নবী ও হায়দার বিজেপির পার্থ জামায়াতের নজরুল
বিএনপির গোলাম নবী ও হায়দার বিজেপির পার্থ জামায়াতের নজরুল

নগর জীবন

সেই জনপ্রিয় সংলাপ ‘রাষ্ট্রবিজ্ঞান একটি গতিশীল বিজ্ঞান’
সেই জনপ্রিয় সংলাপ ‘রাষ্ট্রবিজ্ঞান একটি গতিশীল বিজ্ঞান’

শোবিজ

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

বাংলাদেশের সিরিজ জয়
বাংলাদেশের সিরিজ জয়

প্রথম পৃষ্ঠা

শুধু ’৭১ নয়, ’৪৭ থেকে সব ভুলের ক্ষমা চাই
শুধু ’৭১ নয়, ’৪৭ থেকে সব ভুলের ক্ষমা চাই

প্রথম পৃষ্ঠা

বুনো শূকরের হানায় ফসলের ক্ষতি
বুনো শূকরের হানায় ফসলের ক্ষতি

দেশগ্রাম

সম্রাটকে আদালতে হাজিরের নির্দেশ
সম্রাটকে আদালতে হাজিরের নির্দেশ

নগর জীবন

ক্যাপিটাল ড্রামায় ত্রিভুজ প্রেমের নাটক
ক্যাপিটাল ড্রামায় ত্রিভুজ প্রেমের নাটক

শোবিজ

গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার স্বামী-শ্বশুর পলাতক
গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার স্বামী-শ্বশুর পলাতক

দেশগ্রাম

দৃশ্যমান রাঙামাটির ঝুলন্ত সেতু
দৃশ্যমান রাঙামাটির ঝুলন্ত সেতু

নগর জীবন

মিরাজকে আরও সময় দিতে চান বুলবুল
মিরাজকে আরও সময় দিতে চান বুলবুল

মাঠে ময়দানে

প্রধান উপদেষ্টার আকাঙ্ক্ষা সহযোগীরা এগিয়ে নিতে পারেননি
প্রধান উপদেষ্টার আকাঙ্ক্ষা সহযোগীরা এগিয়ে নিতে পারেননি

প্রথম পৃষ্ঠা

একই পরিবারের সাতজন সারের ডিলার
একই পরিবারের সাতজন সারের ডিলার

পেছনের পৃষ্ঠা

বিচার কাজ শেষ আসছে রায়
বিচার কাজ শেষ আসছে রায়

প্রথম পৃষ্ঠা

একটি দল সনদ স্বাক্ষরের সুযোগ খুঁজছে
একটি দল সনদ স্বাক্ষরের সুযোগ খুঁজছে

প্রথম পৃষ্ঠা

হঠাৎ বিতর্কে উপদেষ্টারা
হঠাৎ বিতর্কে উপদেষ্টারা

প্রথম পৃষ্ঠা

তত্ত্বাবধায়ক বিলুপ্তি করে একনায়কতন্ত্র কায়েম
তত্ত্বাবধায়ক বিলুপ্তি করে একনায়কতন্ত্র কায়েম

প্রথম পৃষ্ঠা

১৯ বছরেও আলোর মুখ দেখেনি খালাশপীর কয়লাখনি
১৯ বছরেও আলোর মুখ দেখেনি খালাশপীর কয়লাখনি

পেছনের পৃষ্ঠা

লিটন ফিরলেন, বাদ পড়লেন সাইফউদ্দিন
লিটন ফিরলেন, বাদ পড়লেন সাইফউদ্দিন

মাঠে ময়দানে

থমকে গেল স্যুয়ারেজ প্রকল্পের কাজ
থমকে গেল স্যুয়ারেজ প্রকল্পের কাজ

নগর জীবন

ট্রাম্প-মোদি বৈঠক বাতিল, অনিশ্চিত বাণিজ্য চুক্তি
ট্রাম্প-মোদি বৈঠক বাতিল, অনিশ্চিত বাণিজ্য চুক্তি

প্রথম পৃষ্ঠা

১০ নির্মাতার সেরা ১০ ছবি
১০ নির্মাতার সেরা ১০ ছবি

শোবিজ

বাংলাদেশ-থাইল্যান্ড মুখোমুখি
বাংলাদেশ-থাইল্যান্ড মুখোমুখি

মাঠে ময়দানে

রেকর্ড গড়ে বাংলাদেশের সিরিজ জয়
রেকর্ড গড়ে বাংলাদেশের সিরিজ জয়

মাঠে ময়দানে

কাবাডিতে এলো দুই পদক
কাবাডিতে এলো দুই পদক

মাঠে ময়দানে

ফেবারিটদের জয়ের রাত
ফেবারিটদের জয়ের রাত

মাঠে ময়দানে

কুয়েতে কেমন খেলবে বসুন্ধরা কিংস
কুয়েতে কেমন খেলবে বসুন্ধরা কিংস

মাঠে ময়দানে