শিরোনাম
প্রকাশ: ০২:৫৩, মঙ্গলবার, ১৭ মার্চ, ২০২০

বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে আমাদের প্রতিজ্ঞা হোক উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখা

ড. কাজী এরতেজা হাসান
অনলাইন ভার্সন
বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে আমাদের প্রতিজ্ঞা হোক উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখা

ভারতে মহাত্মা গান্ধীর প্রথম অসহযোগ আন্দোলনের প্রারম্ভিক মুহূর্তে, সাম্প্রদায়িক সমাজ-পরিবেশে, ব্রিটিশ শাসিত কৃষিনির্ভর পূর্ব বাংলায়, অপরূপ প্রাকৃতিক পরিবেশ সজ্জিত নদী পাড়ের টুঙ্গিপাড়ার ঐতিহ্যবাহী মধ্যবিত্ত শেখ পরিবারে জন্ম নেন মা-বাবা, আত্মীয়-স্বজনের আদরের খোকা, রাজনীতির কবি, বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা, বাংলাদেশ মহাকাব্যের মহানায়ক, বাংলাদেশ রাষ্ট্রের স্রষ্টা, জাতির পিতা, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। নদীর পাড়ের হিজল ডালে, হিজলের ছায়াতলে বসে শৈশবেই তিনি অবলোকন করেন বাংলার নৈসর্গিক প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, বাঙালির আচার-আচরণ, হাসি-আনন্দ, দুঃখ-বেদনা, অভাব-অনটন, অনাহার-অর্ধাহার, বন্যা-খরা-দুর্ভিক্ষ, জনসংখ্যার চাপ, বেকারত্বের অভিশাপ, পশ্চাৎপদ কৃষিনির্ভর সমাজ, জমিদারি প্রথার নৃশংসতা, ব্রিটিশ শাসন-শোষণ-নির্যাতন এবং মধ্যযুগীয় ধর্মান্ধতা। বাংলার শব্দ, চিত্র, রং এবং বাঙালির ব্যথা-বেদনা, সুখ-দুঃখ, আশা-আকাঙ্ক্ষা, চিন্তা-চেতনা ও সংস্কৃতি ধারণ করে তাঁর মন ও মানসিকতার বিকাশ ঘটে। হয়ে ওঠেন মনে-প্রাণে বিশুদ্ধ বাঙালি। অমিত আত্মবিশ্বাসী, সাধারণ মানুষের প্রতি অবিচল আস্থাশীল বঙ্গবন্ধুর শক্তি, ব্যক্তিত্বের সৌরভ, সংকল্প, রাজনৈতিক ক্রিয়াকর্ম, সরব ও স্বতঃস্ফূর্ত সাহসী জীবনপ্রবাহ শোষিত বঞ্চিত বাঙালি জনগোষ্ঠীর অন্তরে লালিত স্বাধীনতার সুপ্ত বাসনাকে জাগ্রত করে, যা ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু হয়ে রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধে বিস্তৃত হয়। তাঁর তীক্ষ্ণ রাজনৈতিক মেধা ও অসাধারণ, অপ্রতিরোধ্য, প্রগতিশীল নেতৃত্বে বাঙালি স্বাধীনতা অর্জন করে, বাংলাদেশ স্বাধীন হয়।

চলনে-বলনে, কথা-বার্তায়, আচার-আচরণে, পোশাকে-আষাকে, বিচার-বিবেচনায়, আন্দোলন-সংগ্রামে বঙ্গবন্ধু ছিলেন বিশুদ্ধ বাঙালি। বাংলার মাটি ও মানুষের সঙ্গে ছিল তাঁর নিবিড় ও অটুট বন্ধন। তাঁর ধ্যানে-মনে, চিন্তা-চেতনায়, বিশ্বাসে ও অস্তিত্বজুড়ে ছিল বাংলাদেশ, বাংলাদেশের মানুষ এবং বাংলা ভাষা। বাঙালির প্রতি তাঁর ভালোবাসা ছিল অকৃত্রিম, ব্যক্তিস্বার্থের ঊর্ধ্বে। সেজন্যই দৃঢ়চিত্তে, দীপ্তকণ্ঠে বঙ্গবন্ধু উচ্চারণ করেন, ‘ফাঁসির মঞ্চে যাওয়ার সময় আমি বলব, আমি বাঙালি, বাংলা আমার দেশ, বাংলা আমার ভাষা। জয় বাংলা।’ একজন বিদেশি ঐতিহাসিকের মতে ‘প্রায় বারো শ’ বছর পর বাঙালি জাতির পুনর্জন্ম হয়েছে এবং হাজার বছর পর বাংলাদেশ এমন একজন নেতা পেয়েছে, যিনি রক্ত-বর্ণে-ভাষায় এবং জাতি বিচারে একজন খাঁটি বাঙালি। বাংলাদেশের মাটি ও ইতিহাস থেকে তাঁর সৃষ্টি এবং তিনি বাঙালি জাতির স্রষ্টা।’

বঙ্গবন্ধুর ঋজু বলিষ্ঠ দৈহিক গঠন, কোমলতা ও দৃঢ়তা মিশ্রিত সম্মোহনী শক্তিধর প্রবল ব্যক্তিত্ব, জলদগম্ভীর কণ্ঠস্বরে বাঙালি খুঁজে প্রায় তাদের অস্তিত্ব, আশা-আকাক্সক্ষার প্রতিচ্ছবি ও আত্মপরিচয়। তিনি হয়ে ওঠেন বাঙালির ভালোবাসার মানুষ ও প্রিয় নেতা। সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে সিদ্ধহস্ত বঙ্গবন্ধু চরম সংকটকালে থাকতেন স্থির ও অবিচল। তাঁর বক্তৃতা ছিল মাদকতায় ভরা বিস্ফোরক শব্দাবলির নিপুণ বিন্যাস। নিপুণ শিল্প। যেন মন্ত্রাচ্চারণ। যা বাঙালির হৃদয়কে সহজেই স্পর্শ, চেতনাকে সমৃদ্ধ ও শানিত করে স্বাধীনতার সুপ্ত বাসনাকে জাগ্রত করে। কথা-বার্তায়, চিন্তা-চেতনায়, আচার-আচরণে, বিশ্বাসে বঙ্গবন্ধু ছিলেন জাতীয়তাবাদী, গণতন্ত্রী, সমাজতন্ত্রী এবং ধর্মনিরপেক্ষ। যা তাঁর আদর্শের চার স্তম্ভ। তিনি এই আদর্শ ধারণ, লালন ও চর্চা করেন আমৃত্যু। তিনি ছিলেন শোষিতের গণতন্ত্রে বিশ্বাসী। বহুবার বলেছেন- ‘আমি শোষকের নয়, শোষিতের পক্ষে।’ মুক্তিযুদ্ধের পর দেশে ফিরে এসে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের বিশাল জনসভায় বলেন- ‘আজ আমি মুক্ত বাংলার মাটিতে দাঁড়িয়ে দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে ঘোষণা করছি, আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, জাতীয়তাবাদ ও ধর্মনিরপেক্ষতা।’

বঙ্গবন্ধু জন্মেছিলেন হীনমন্য সাম্প্রদায়িক সমাজ-পরিবেশে। তবু জন্মলগ্ন থেকেই নিজের চেতনায় ধারণ করেন অসাম্প্রদায়িক বোধ, বর্জন করেন হীন সাম্প্রদায়িক মানসিকতাকে। এই অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে লালন করতে গিয়ে তিনি বক্তৃতায় সাম্প্রদায়িক বৈরী আচরণের শিকার হন, ব্যাথিত হন। কিন্তু অসাম্প্রদায়িক চেতনা থেকে কখনো বিচ্যুত হননি। বরং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির জন্য কাজ করেন, হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গারোধে রাখেন ভূমিকা। ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের নাম থেকে মুসলিম শব্দ বাদ দিতে সোচ্চার হন। ৭ মার্চের ভাষণে বলেন, ‘এই বাংলায় হিন্দু-মুসলিম, বাঙালি-ননবেঙলি যারা আছে তারা আমাদের ভাই, তাদের রক্ষার দায়িত্ব আপনাদের উপর, আমাদের যেন বদনাম না হয়।’ ৩ জানুয়ারি ১৯৭১ সালে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সংসদ সদস্যদের শপথ অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু ঘোষণা করেন- ‘হিন্দু, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ ভাইয়েরা আপনারা শুনে রাখুন, আপনারাও এ দেশের সমান নাগরিক। এই দেশ একা কারও নয়। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলের এই দেশ। ধর্মের নামে ব্যবসা চলবে না, শোষণ চলবে না। আমাদের লক্ষ্য একটি শোষণহীন সমাজতান্ত্রিক, গণতান্ত্রিক দেশ প্রতিষ্ঠা। ধর্মনিরপেক্ষতাই হবে রাষ্ট্রীয় নীতি।’

অকুতোভয়, দৃঢ়চেতা, আপোসহীন, আত্মপ্রত্যয়ী, উদার, সংস্কৃতিমনা, দূরদর্শী বঙ্গবন্ধুর শৈশব থেকেই ছিল সাধারণ মানুষের প্রতি অপরিসীম ভালোবাসা। তিনি উপেক্ষিত, দুর্দশাগ্রস্ত, দৈন্যপীড়িত, বন্যা, খরা, মহামারী, দুর্ভিক্ষ, জলোচ্ছ্বাস, হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গায় আহত অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ান, সংখ্যালঘুদের রক্ষা করেন ও আশ্রয় দেন। গরিব শিক্ষার্থীদের সাহায্যার্থে তিনি ৭ম শ্রেণিতে থাকাকালীন ‘মুসলিম সেবা সমিতি’তে যোগ দিয়ে মুষ্টি ভিক্ষার চাল উঠান। অন্যায়, অবিচার, অত্যাচার, নির্যাতন, বৈষম্য ও শোষণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেন, প্রতিরোধ গড়েন। ছাত্রজীবনেই তিনি দাবি-দাওয়া প্রণয়ন ও আদায় করার দক্ষতা ও সক্ষমতা প্রদর্শন করেন। মুখ্যমন্ত্রী শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক গোপালগঞ্জ স্কুল পরিদর্শন করতে গেলে বর্ষা মৌসুমে স্কুল ঘরে পানি পড়ার অভিযোগ উত্থাপন করে তা সংস্কারের দাবি করেন। ইংরেজ তাড়ানোর তাগিদ অনুভব করে স্বদেশী আন্দোলনের প্রতিও আকৃষ্ট হন এবং নেতাজী সুভাষ বসুর হলওয়েল মনুমেন্ট অপসারণ আন্দোলনে যোগ দেন। সাম্প্রদায়িক বিরোধের কারণে কংগ্রেসের রোষানলে পড়ে বঙ্গবন্ধু জীবনে প্রথমবার জেলে যান। এই সময় পাকিস্তান রাষ্ট্র সৃষ্টির লক্ষে গোপালগঞ্জে মুসলিম ছাত্রলীগ গঠন করে সম্পাদকের দায়িত্ব নিয়ে রাজনৈতিক জীবন শুরু করেন। প্রাদেশিক মুসলিম লীগ কাউন্সিলের সদস্য হন। সদস্য হয়ে তিনি জমিদার, জোতদার ও নবাবদের সংগঠন মুসলিম লীগকে সাধারণ জনগণের সংগঠনে পরিণত করার উদ্যোগ গ্রহণ করেন। ১৯৪৭ সাল পযর্ন্ত পাকিস্তান রাষ্ট্র সৃষ্টির পক্ষে, বাংলা ভাগের বিপক্ষে এবং জমিদারি প্রথা বিলোপের লক্ষে বঙ্গবন্ধু বিরামহীন কর্মযজ্ঞে লিপ্ত থাকেন। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর আপোসহীন সাহসী ভূমিকা ও সাংগঠনিক দক্ষতা কলকাতার প্রগতিশীল মহলে ব্যাপক প্রশংসিত হয়।

আজ ১৭ মার্চ। বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শততম জন্মবার্ষিকী। ১৯২০ সালের এই দিনেই গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম প্ররিবারে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। আজকের দিনটিতেই আবার জাতীয় শিশু দিবস। সারা দেশেই দিনটি উদযাপিত হয় মহাসমারোহে। তবে করোনোভাইরাসের প্রভাবে সারা দেশে সীমিত আকারে অনুষ্ঠিত হবে এবারের বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী। এরপর করোনার প্রভাব কেটে গেলে বৃহৎ আকারে আয়োজন করা হবে। এমনকি সারা পৃথিবীতেই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন পালন করা হবে। 

বঙ্গবন্ধুর বাবার নাম শেখ লুৎফর রহমান। মায়ের নাম সায়েরা খাতুন। তাদের চার মেয়ে ও দুই ছেলের মধ্যে শেখ মুজিব ছিলেন তৃতীয়। বাবা-মা তাকে আদর করে ডাকতেন খোকা বলে। সেই ছোটবেলা থেকেই তিনি ছিলেন প্রতিবাদী। অন্যায়ের সঙ্গে আপোস করতেন না। তার প্রমাণ পাওয়া যায় শেখ লুৎফর রহমানের কথা থেকেই। দেশের ক্রান্তিলগ্নে বঙ্গবন্ধু যখন লড়ে যাচ্ছিলেন তখন এক সাক্ষাৎকারে শেখ লুৎফর রহমান বলেছিলেন, ‘সে তো ছোটবেলা থেকেই প্রতিবাদী, অন্যায় সহ্য করতো না। কোথাও তা দেখলে প্রতিবাদ করতো।’ শেখ লুৎফর রহমানের কথার প্রমাণ দেখেছে সারা ব্শ্বি। যা হোক, ফিরে আসা যাক শেখ মুজিবের কৈশোরে। কিশোর বয়সেই শেখ মুজিবের প্রতিবাদী চরিত্রের বহিঃপ্রকাশ দেখা গিয়েছিল। অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী মানসিকতা, গরিব-দুঃখী মানুষের প্রতি ভালোবাসা ও তাদের দুঃখ দূর করার প্রতিজ্ঞা তাকে রাজনীতিতে নিয়ে আসে।

স্কুল থেকেই তিনি রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। গ্রামের স্কুলে তার লেখাপড়ার হাতেখড়ি। ১৯২৭ সালে শেখ মুজিব গিমাডাঙ্গা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়াশোনা শুরু করেন। ১৯২৯ সালে গোপালগঞ্জ পাবলিক স্কুলে ভর্তি হন এবং এখানেই ১৯৩৪ সাল পর্যন্ত পড়াশোনা করেন। ১৯৩৭ সালে গোপালগঞ্জ মিশন স্কুলে সপ্তম শ্রেণিতে ভর্তি হন। ১৯৪১ সালে অসুস্থ শরীর নিয়েই ম্যাট্রিক পরীক্ষা দেন। পড়াশোনার থেকে রাজনীতি বেশি করেছেন। 

রাজনীতিতে যুক্ত হওয়ার ক্ষেত্রে তার পিতা তাকে বাধা দেননি। তার বাবা বলেছিলেন, ‘বাবা রাজনীতি কর আপত্তি করব না, পাকিস্তানের জন্য সংগ্রাম করছ এত সুখের কথা, তবে লেখাপড়া করতে ভুলো না। লেখাপড়া না শিখলে মানুষ হতে পারবে না। আর একটা কথা মনে রেখ, Sincerity of purpose and honesty of purpose থাকলে জীবনে পরাজিত হবে না।’ বঙ্গবন্ধুর জীবন ভিত্তিক বই ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’তে এ কথা লেখা রয়েছে। যার পৃষ্ঠা নং ২১।

শেখ মুজিব রাজনীতিতে সফল হয়েছিলেন তার বাবার এ কথার উপর বিশ্বাসের কারণেই। ম্যাট্রিক পরীক্ষার পরপরই কিশোর মুজিব কলকাতায় যান। কলকাতার ইসলামিয়া কলেজের ছাত্র থাকা অবস্থায় তার রাজনৈতিক জীবনের বড় পরিবর্তনগুলো শুরু হয়। তিনি পাকিস্তান আন্দোলনে সক্রিয় হন এবং হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, আবুল হাশিমের মতো নেতাদের সান্নিধ্যে আসেন। ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান রাষ্ট্র সৃষ্টি হলে শেখ মুজিবও ঢাকায় চলে আসেন।

নতুন রাজনৈতিক চিন্তাচেতনা নিয়ে ১৯৪৮ সালে ছাত্রলীগ গঠন করেন। ১৯৪৯ সালে নবগঠিত পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগের যুগ্ম সম্পাদক নির্বাচিত হন। বাংলাকে অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার দাবি নিয়ে গড়ে ওঠা আন্দোলনে অংশ নেওয়ার মাধ্যমেই শেখ মুজিবের রাজনৈতিক তৎপরতার সূচনা হয়।

১৯৪৮ থেকে ১৯৫২ এর মহান ভাষা আন্দোলন, ১৯৫৮এর সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলন, ১৯৬২ এর শিক্ষা আন্দোলন ও ১৯৬৬ এর ঐতিহাসিক ছয় দফা ভিত্তিক আন্দোলনের মাধ্যমে তিনি হয়ে ওঠেন বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা। ১৯৬৯ এর গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ছাত্র জনতা তাকে ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধি দেয়। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে বাঙালিরা বঙ্গবন্ধুর ৬ দফার প্রক্ষে অকুন্ঠ সমর্থন জানায়। কিন্তু পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা হস্তান্তর না করে বাঙালিদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের রাজনীতি শুরু করে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ তার ঐতিহাসিক ভাষণে স্বাধীনতার ডাক দেন। ২৫ মার্চ পাকিস্তানি বাহিনী পরিকল্পিত গণহত্যা শুরু করলে ২৬ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। তার ডাকে সাড়া দিয়ে দেশের আপামর জনগণ প্রায় নয় মাস যুদ্ধ করে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ অর্জন করে।

স্বাধীন বাংলাদেশের রূপকার এই মহান নেতার জন্মদিনে গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি।  কোনো বিশেষ ঘটনা বা আনন্দের দিনকে শিশু দিবস হিসেবে পালন করা হয়। বাংলাদেশের মানুষের জন্য সবচেয়ে বেশি আনন্দের দিন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন। বাংলার হাজার বছরের ইতিহাসে বঙ্গবন্ধু একজনই জন্মেছিলেন। যার জন্ম না হলে স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম হতো না। এজন্য ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনকে জাতীয় শিশু দিবস হিসেবে পালন করা হয়।

বঙ্গবন্ধু শিশুদের অত্যন্ত আদর করতেন, ভালোবাসতেন। শিশুদের সঙ্গে গল্প করতেন, খেলা করতেন। তিনি বিশ্বাম করতেন আজকের শিশুরাই আগামীদিনে দেশ গড়ার নেতৃত্ব দিবে। তরুণ প্রজন্ম এই মহান নেতার আদর্শ থেকেই দেশ গড়ার অনুপ্রেরণা লাভ করে। যারা বাংলাদেশকে বিশ্বাস করে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ধারণ করে তাদের মাঝেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বেঁচে থাকবেন জন্ম থেকে জন্মান্তরে। সৈয়দ শামসুল হকের ভাষায়- ‘যেখানে ঘুমিয়ে আছো, শুয়ে থাকো বাঙালির মহান জনক তোমার সৌরভ দাও, দাও শুধু প্রিয়কন্ঠ শৌর্য আর অমিত সাহস টুঙ্গিপাড়া গ্রাম থেকে, আমাদের গ্রামগুলো তোমার সাহস নেবে, নেবে ফের বিপ্লবের দুরন্ত প্রেরণা।’

আমাদের এই মহান নেতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শই দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পথ দেখায়। সেই পথ ধরেই তাঁর সুযোগ্য কন্যা, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলছে বাংলাদেশ। একসময় যারা বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়ি বলে আখ্যায়িত করতো, তারাই এখন বাংলাদেশকে উন্নয়নের রোল মডেল বলতে বাধ্য হচ্ছে। একমাত্র বঙ্গবন্ধু কন্যার কারণেই এমনটা হয়েছে বলে আমি বিশ্বাস করি।

তবে দুঃখের সঙ্গে একথাও বলতে হয়, এদেশে এখনো কিছু বঙ্গবন্ধু বিদ্বেষী, পাকিস্তানি প্রেতাত্মারা রয়েছে। যারা জীবিত বঙ্গবন্ধুর চেয়ে শহীদ বঙ্গবন্ধুকে বেশি ভয় পায়। সে কারণেই নানা সময় ওই গোষ্ঠীটি বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে হত্যা করতে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। যেমনটা করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংকের ইতিহাস বইয়ে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একটি গোষ্ঠী জাতির পিতাকে অবমাননা করেছিল ২০১৮ সালে। তাই আমি নিজে উদ্যোগী হয়ে বঙ্গবন্ধুকে অবমাননার কারণে মহামান্য হাইকোর্টে রিট আবেদন করি। সেই আবেদনের কারণে দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ে টিকে থাকতে আমাকে নানা রকম হুমকিরও সম্মুখীন হতে হয়েছে। কিন্তু জাতির পিতার একজন আদর্শিক সন্তান হিসেবে এবং শেখ হাসিনার একজন একনিষ্ঠ কর্মী হিসেবে লড়াই চালিয়ে গেছি। সর্বশেষ মহামান্য হাইকোর্ট বঙ্গবন্ধুকে অবমাননা করা সকল বই আমাকে (রিটের বাদী) সঙ্গে নিয়ে নষ্ট করার আদেশ দিয়েছেন। 

আজ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীতে আমি দৃঢ়প্রত্যয়ে বলতে পারি, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে উঠছে তারই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে। এই ধারা অব্যাহত রাখতে আমাদের সকলকে কাজ করে যেতে হবে। আজকের এই দিনের প্রতিজ্ঞা হোক, বাংলাদেশ উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখার প্রতিজ্ঞা। তাহলেই জাতির জনক জান্নাতুল ফেরদৌস থেকে হয়তো আত্মিক একটা শান্তি পাবেন এই ভেবে যে, তাঁর সোনার বাংলায় স্বপ্নগুলো বাস্তবায়িত হচ্ছে। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।

বিডি-প্রতিদিন/শফিক

এই বিভাগের আরও খবর
নির্বাচন পর্যন্ত সেনাবাহিনীর মাঠে থাকা প্রয়োজন
নির্বাচন পর্যন্ত সেনাবাহিনীর মাঠে থাকা প্রয়োজন
সিন্ডিকেট ভেঙে স্বচ্ছ ব্যবস্থাপনা গড়তে হবে
সিন্ডিকেট ভেঙে স্বচ্ছ ব্যবস্থাপনা গড়তে হবে
হয়রানি ও প্রতারণার বিরুদ্ধে সরকারকে শক্ত হতে হবে
হয়রানি ও প্রতারণার বিরুদ্ধে সরকারকে শক্ত হতে হবে
জাতীয়তাবাদের উপহার সবাই মিলে এক জাতি
জাতীয়তাবাদের উপহার সবাই মিলে এক জাতি
তারুণ্যের কাছে প্রত্যাশা
তারুণ্যের কাছে প্রত্যাশা
মামলাবাণিজ্যে ধ্বংস হচ্ছে দেশ
মামলাবাণিজ্যে ধ্বংস হচ্ছে দেশ
শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক: বাংলার মুক্তি ও বাংলাদেশের পূর্বাভাস
শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক: বাংলার মুক্তি ও বাংলাদেশের পূর্বাভাস
বিনিয়োগকারীরা ঝুঁকি এড়াতে পারছেন না
বিনিয়োগকারীরা ঝুঁকি এড়াতে পারছেন না
জেনারেল ওয়াকার ম্যাজিকে গণমানুষের উচ্চাশা
জেনারেল ওয়াকার ম্যাজিকে গণমানুষের উচ্চাশা
আরববিশ্বের নীরবতা গাজার গণহত্যাকে উসকে দিচ্ছে
আরববিশ্বের নীরবতা গাজার গণহত্যাকে উসকে দিচ্ছে
দ্রব্যমূল্যের পাগলা ঘোড়া
দ্রব্যমূল্যের পাগলা ঘোড়া
চেনা যায় সহজেই
চেনা যায় সহজেই
সর্বশেষ খবর
চ্যাম্পিয়নস লিগে বার্সা-ইন্টারের রোমাঞ্চকর ড্র
চ্যাম্পিয়নস লিগে বার্সা-ইন্টারের রোমাঞ্চকর ড্র

এই মাত্র | মাঠে ময়দানে

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১ মে)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১ মে)

৪৪ মিনিট আগে | জাতীয়

জাকসু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা
জাকসু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

আমরা জানতাম ঘুরে দাঁড়াতে পারব: শান্ত
আমরা জানতাম ঘুরে দাঁড়াতে পারব: শান্ত

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

দিল্লি হাটে ভয়াবহ আগুন
দিল্লি হাটে ভয়াবহ আগুন

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এবার পাকিস্তানের জন্য আকাশসীমা বন্ধ করল ভারত
এবার পাকিস্তানের জন্য আকাশসীমা বন্ধ করল ভারত

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পুলিশ সপ্তাহ উপলক্ষে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টাদের সঙ্গে পুলিশের মতবিনিময়
পুলিশ সপ্তাহ উপলক্ষে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টাদের সঙ্গে পুলিশের মতবিনিময়

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

'উৎকৃষ্ট গণতন্ত্রের সমাজভূমি নির্মিত হলেই শ্রমজীবী মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা পাবে'
'উৎকৃষ্ট গণতন্ত্রের সমাজভূমি নির্মিত হলেই শ্রমজীবী মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা পাবে'

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পুলিশের বিশ্বাসযোগ্যতা অনেক বেড়েছে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
পুলিশের বিশ্বাসযোগ্যতা অনেক বেড়েছে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পদোন্নতির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে বিসিএস হেলথ ফোরামের অবস্থান কর্মসূচি
পদোন্নতির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে বিসিএস হেলথ ফোরামের অবস্থান কর্মসূচি

৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

চট্টগ্রামে শব্দ দূষণ প্রতিরোধে সাইকেল র‍্যালি
চট্টগ্রামে শব্দ দূষণ প্রতিরোধে সাইকেল র‍্যালি

৫ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বিদ্যুৎস্পৃষ্টে বৃদ্ধের মৃত্যু
বিদ্যুৎস্পৃষ্টে বৃদ্ধের মৃত্যু

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

জনতার হাতে আটক যুবলীগ নেতাকে পুলিশে সোপর্দ
জনতার হাতে আটক যুবলীগ নেতাকে পুলিশে সোপর্দ

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

পিকআপ-অটোরিকশা সংঘর্ষে নিহত ১
পিকআপ-অটোরিকশা সংঘর্ষে নিহত ১

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শ্রমিকের অধিকার প্রতিষ্ঠাই হবে মে দিবসের অঙ্গীকার : শিমুল বিশ্বাস
শ্রমিকের অধিকার প্রতিষ্ঠাই হবে মে দিবসের অঙ্গীকার : শিমুল বিশ্বাস

৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ডুয়েটে আন্তঃহল ভলিবল প্রতিযোগিতা-২০২৫ এর উদ্বোধন
ডুয়েটে আন্তঃহল ভলিবল প্রতিযোগিতা-২০২৫ এর উদ্বোধন

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

লিবিয়া থেকে কাল দেশে ফিরছেন ১৭৭ বাংলাদেশি
লিবিয়া থেকে কাল দেশে ফিরছেন ১৭৭ বাংলাদেশি

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কলাপাড়ায় অবহিতকরণ সভা
কলাপাড়ায় অবহিতকরণ সভা

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্যোগ ত্বরান্বিত করতে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশ
চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্যোগ ত্বরান্বিত করতে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশ

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

১১ মাস পর হিলিতে ভারত থেকে কচুরমুখি আমদানি
১১ মাস পর হিলিতে ভারত থেকে কচুরমুখি আমদানি

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বসিলা ও বেড়িবাঁধ সড়কের যানজট নিরসনে ডিএমপির নতুন নির্দেশনা
বসিলা ও বেড়িবাঁধ সড়কের যানজট নিরসনে ডিএমপির নতুন নির্দেশনা

৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

কলাপাড়ায় সন্ত্রাসী হামলায় শিক্ষার্থী আহত
কলাপাড়ায় সন্ত্রাসী হামলায় শিক্ষার্থী আহত

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মাদ্রাসাছাত্রকে হত্যার অভিযোগ
মাদ্রাসাছাত্রকে হত্যার অভিযোগ

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় একদিনে নিহত ৩৫
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় একদিনে নিহত ৩৫

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলি নিয়ে যা জানা গেল
এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলি নিয়ে যা জানা গেল

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সাবেক সংসদ সদস্য শাহরিন ইসলাম তুহিনের মুক্তির 
দাবিতে নীলফামারীতে আইনজীবীদের বিক্ষোভ
সাবেক সংসদ সদস্য শাহরিন ইসলাম তুহিনের মুক্তির  দাবিতে নীলফামারীতে আইনজীবীদের বিক্ষোভ

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে ‘তাণ্ডব’র শুটিং দৃশ্য
ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে ‘তাণ্ডব’র শুটিং দৃশ্য

৬ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

'সংস্কার যেটুকু প্রয়োজন দ্রুত সেরে নির্বাচন দিন'
'সংস্কার যেটুকু প্রয়োজন দ্রুত সেরে নির্বাচন দিন'

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ঝিনাইদহে মাদক কারবারি আটক
ঝিনাইদহে মাদক কারবারি আটক

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বরিশালে দিনব্যাপী কর্মশালা
বরিশালে দিনব্যাপী কর্মশালা

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
পাকিস্তানি যুদ্ধবিমানের তাড়া খেয়ে পিছু হটেছে ভারতীয় রাফাল
পাকিস্তানি যুদ্ধবিমানের তাড়া খেয়ে পিছু হটেছে ভারতীয় রাফাল

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সৌদি আরবে ঈদুল আজহার সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা
সৌদি আরবে ঈদুল আজহার সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘২২৭ জনকে হত্যার লাইসেন্স পেয়ে গেছি’, অডিওটি শেখ হাসিনার
‘২২৭ জনকে হত্যার লাইসেন্স পেয়ে গেছি’, অডিওটি শেখ হাসিনার

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘মুক্তিযোদ্ধা’র সনদ বাতিলের তালিকায় আলোচিত নামগুলো কারা?
‘মুক্তিযোদ্ধা’র সনদ বাতিলের তালিকায় আলোচিত নামগুলো কারা?

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মুহুর্মুহু রকেট হামলায় বিপর্যস্ত মার্কিন রণতরী, বাধ্য হলো পিছু হটতে
মুহুর্মুহু রকেট হামলায় বিপর্যস্ত মার্কিন রণতরী, বাধ্য হলো পিছু হটতে

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দাবানলে জ্বলছে ইসরায়েল, হন্য হয়ে পালাচ্ছেন বাসিন্দারা
দাবানলে জ্বলছে ইসরায়েল, হন্য হয়ে পালাচ্ছেন বাসিন্দারা

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘২৪ থেকে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে পাকিস্তানে হামলা চালাতে পারে ভারত’
‘২৪ থেকে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে পাকিস্তানে হামলা চালাতে পারে ভারত’

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চীন-পাকিস্তানকে ‘মাথায় রেখেই’ কী রাফাল যুদ্ধবিমান কিনছে ভারত?
চীন-পাকিস্তানকে ‘মাথায় রেখেই’ কী রাফাল যুদ্ধবিমান কিনছে ভারত?

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধাবস্থা নিয়ে জেল থেকে যে বার্তা দিলেন ইমরান খান
ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধাবস্থা নিয়ে জেল থেকে যে বার্তা দিলেন ইমরান খান

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আব্রাহাম চুক্তিতে যোগ দেয়ার মার্কিন প্রস্তাবে ‘অস্বীকৃতি’ সিরিয়ার
আব্রাহাম চুক্তিতে যোগ দেয়ার মার্কিন প্রস্তাবে ‘অস্বীকৃতি’ সিরিয়ার

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

উচ্চতর গ্রেড পাবেন সরকারি চাকরিজীবীদের টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেডপ্রাপ্তরা
উচ্চতর গ্রেড পাবেন সরকারি চাকরিজীবীদের টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেডপ্রাপ্তরা

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জ্বালানি তেলের নতুন দাম নির্ধারণ
জ্বালানি তেলের নতুন দাম নির্ধারণ

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘যখন বুঝতে পারলাম কী হচ্ছে, তখন চিৎকার শুরু করি’
‘যখন বুঝতে পারলাম কী হচ্ছে, তখন চিৎকার শুরু করি’

১৫ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

নতুন ক্ষেপণাস্ত্র-বোট তৈরির ঘোষণা দিল ইরান
নতুন ক্ষেপণাস্ত্র-বোট তৈরির ঘোষণা দিল ইরান

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অভিনেতা সিদ্দিকের ১০ দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ
অভিনেতা সিদ্দিকের ১০ দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আসছে ‘নাগরিক সেবা বাংলাদেশ’, এক ঠিকানায় মিলবে সব সেবা
আসছে ‘নাগরিক সেবা বাংলাদেশ’, এক ঠিকানায় মিলবে সব সেবা

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পাকিস্তান পারমাণবিক শক্তিধর, কেউ হামলা করার সাহস করবে না : মরিয়ম
পাকিস্তান পারমাণবিক শক্তিধর, কেউ হামলা করার সাহস করবে না : মরিয়ম

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তদন্ত সংস্থার সমন্বয়ক হলেন আনসার উদ্দিন খান পাঠান
তদন্ত সংস্থার সমন্বয়ক হলেন আনসার উদ্দিন খান পাঠান

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রথম আলোর বিরুদ্ধে মামলার আবেদনকারীকে হুমকির অভিযোগ
প্রথম আলোর বিরুদ্ধে মামলার আবেদনকারীকে হুমকির অভিযোগ

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

১১৯তম প্রাইজ বন্ডের ড্র, প্রথম বিজয়ী নম্বর ০২৬৪২৫৫
১১৯তম প্রাইজ বন্ডের ড্র, প্রথম বিজয়ী নম্বর ০২৬৪২৫৫

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মিরাজের ঘূর্ণিতে তিনদিনেই জিতল বাংলাদেশ
মিরাজের ঘূর্ণিতে তিনদিনেই জিতল বাংলাদেশ

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

প্রাইজবন্ডের ১১৯তম ‘ড্র’ আজ
প্রাইজবন্ডের ১১৯তম ‘ড্র’ আজ

১৯ ঘণ্টা আগে | বাণিজ্য

বিএনপি নেতা আমানের ১৩ ও তার স্ত্রীর ৩ বছরের সাজা বাতিল
বিএনপি নেতা আমানের ১৩ ও তার স্ত্রীর ৩ বছরের সাজা বাতিল

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পুতিনের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা; স্থায়ী চুক্তি চান ট্রাম্প
পুতিনের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা; স্থায়ী চুক্তি চান ট্রাম্প

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শ্রমিক অসন্তোষে গাজীপুরে দুই কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ
শ্রমিক অসন্তোষে গাজীপুরে দুই কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ

১৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

হাইকোর্টে চিন্ময় দাসের জামিন, স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের শুনানি রবিবার
হাইকোর্টে চিন্ময় দাসের জামিন, স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের শুনানি রবিবার

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আইফোন ১৭-কে টপকে যাবে অ্যান্ড্রয়েড?
আইফোন ১৭-কে টপকে যাবে অ্যান্ড্রয়েড?

২২ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

চিন্ময় দাসের জামিন হাইকোর্টে
চিন্ময় দাসের জামিন হাইকোর্টে

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অভিনেতা সিদ্দিক ৭ দিনের রিমান্ডে
অভিনেতা সিদ্দিক ৭ দিনের রিমান্ডে

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মে মাসে দু’টি ঘূর্ণিঝড়ের আভাস
মে মাসে দু’টি ঘূর্ণিঝড়ের আভাস

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
সারজিসের সামনে দফায় দফায় মারামারি
সারজিসের সামনে দফায় দফায় মারামারি

পেছনের পৃষ্ঠা

ইশরাক দায়িত্ব নিচ্ছেন কবে
ইশরাক দায়িত্ব নিচ্ছেন কবে

পেছনের পৃষ্ঠা

এই দুনিয়া এখন তো আর সেই দুনিয়া নাই
এই দুনিয়া এখন তো আর সেই দুনিয়া নাই

সম্পাদকীয়

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

বসুন্ধরায় প্রবেশে আরও একটি সংযোগসড়ক
বসুন্ধরায় প্রবেশে আরও একটি সংযোগসড়ক

নগর জীবন

রেললাইনে লাশ রহস্য
রেললাইনে লাশ রহস্য

পেছনের পৃষ্ঠা

পদ্মায় বিরল দৃশ্য, আতঙ্ক কৌতূহল
পদ্মায় বিরল দৃশ্য, আতঙ্ক কৌতূহল

পেছনের পৃষ্ঠা

শ্রমিকস্বার্থে কিছুই হয়নি
শ্রমিকস্বার্থে কিছুই হয়নি

প্রথম পৃষ্ঠা

শ্রমিকের স্বার্থে পাশে থাকুন ব্যবসায়ীদের
শ্রমিকের স্বার্থে পাশে থাকুন ব্যবসায়ীদের

প্রথম পৃষ্ঠা

বন্ধ চিড়িয়াখানা হবে আধুনিক পার্ক
বন্ধ চিড়িয়াখানা হবে আধুনিক পার্ক

রকমারি নগর পরিক্রমা

মহান মে দিবস আজ
মহান মে দিবস আজ

প্রথম পৃষ্ঠা

ইসলামি দলগুলো এক মঞ্চে, নারী সংস্কার কমিশন প্রত্যাখ্যান
ইসলামি দলগুলো এক মঞ্চে, নারী সংস্কার কমিশন প্রত্যাখ্যান

প্রথম পৃষ্ঠা

পাকিস্তানে যে কোনো সময় হামলা
পাকিস্তানে যে কোনো সময় হামলা

প্রথম পৃষ্ঠা

নির্বাচনি জোটে আগ্রহী নয় এনসিপি
নির্বাচনি জোটে আগ্রহী নয় এনসিপি

প্রথম পৃষ্ঠা

সেই বক্তব্য শেখ হাসিনারই
সেই বক্তব্য শেখ হাসিনারই

পেছনের পৃষ্ঠা

নায়ক-নায়িকাদের কার বিদ্যা কতদূর
নায়ক-নায়িকাদের কার বিদ্যা কতদূর

শোবিজ

আজ বিএনপি ও জামায়াতের সমাবেশ
আজ বিএনপি ও জামায়াতের সমাবেশ

পেছনের পৃষ্ঠা

গণপরিবহনে শৃঙ্খলা কতদূর
গণপরিবহনে শৃঙ্খলা কতদূর

রকমারি নগর পরিক্রমা

জেল থেকে ইমরানের বার্তা
জেল থেকে ইমরানের বার্তা

প্রথম পৃষ্ঠা

এলোমেলো পার্কিংয়ে যানজট
এলোমেলো পার্কিংয়ে যানজট

রকমারি নগর পরিক্রমা

যুদ্ধপ্রস্তুতি না রাখা আত্মঘাতী
যুদ্ধপ্রস্তুতি না রাখা আত্মঘাতী

প্রথম পৃষ্ঠা

ঝুলছে ২২ হাজার মামলা
ঝুলছে ২২ হাজার মামলা

প্রথম পৃষ্ঠা

মাহির একাকিত্ব
মাহির একাকিত্ব

শোবিজ

সংশোধন
সংশোধন

খবর

উজ্জ্বলের আশাবাদ...
উজ্জ্বলের আশাবাদ...

শোবিজ

সরকারের ভুল সিদ্ধান্তে অর্থনীতি আরও সংকটে
সরকারের ভুল সিদ্ধান্তে অর্থনীতি আরও সংকটে

নগর জীবন

সেঞ্চুরি করে সাকিবের পাশে মিরাজ
সেঞ্চুরি করে সাকিবের পাশে মিরাজ

মাঠে ময়দানে

ববির ঘোষণা আসছে
ববির ঘোষণা আসছে

শোবিজ

শিয়াল মারার ফাঁদে বৃদ্ধের মৃত্যু
শিয়াল মারার ফাঁদে বৃদ্ধের মৃত্যু

দেশগ্রাম

জনগণকে নিরাপত্তাহীন করবেন না
জনগণকে নিরাপত্তাহীন করবেন না

প্রথম পৃষ্ঠা