শিরোনাম
প্রকাশ: ০২:৫৩, মঙ্গলবার, ১৭ মার্চ, ২০২০

বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে আমাদের প্রতিজ্ঞা হোক উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখা

ড. কাজী এরতেজা হাসান
অনলাইন ভার্সন
বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে আমাদের প্রতিজ্ঞা হোক উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখা

ভারতে মহাত্মা গান্ধীর প্রথম অসহযোগ আন্দোলনের প্রারম্ভিক মুহূর্তে, সাম্প্রদায়িক সমাজ-পরিবেশে, ব্রিটিশ শাসিত কৃষিনির্ভর পূর্ব বাংলায়, অপরূপ প্রাকৃতিক পরিবেশ সজ্জিত নদী পাড়ের টুঙ্গিপাড়ার ঐতিহ্যবাহী মধ্যবিত্ত শেখ পরিবারে জন্ম নেন মা-বাবা, আত্মীয়-স্বজনের আদরের খোকা, রাজনীতির কবি, বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা, বাংলাদেশ মহাকাব্যের মহানায়ক, বাংলাদেশ রাষ্ট্রের স্রষ্টা, জাতির পিতা, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। নদীর পাড়ের হিজল ডালে, হিজলের ছায়াতলে বসে শৈশবেই তিনি অবলোকন করেন বাংলার নৈসর্গিক প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, বাঙালির আচার-আচরণ, হাসি-আনন্দ, দুঃখ-বেদনা, অভাব-অনটন, অনাহার-অর্ধাহার, বন্যা-খরা-দুর্ভিক্ষ, জনসংখ্যার চাপ, বেকারত্বের অভিশাপ, পশ্চাৎপদ কৃষিনির্ভর সমাজ, জমিদারি প্রথার নৃশংসতা, ব্রিটিশ শাসন-শোষণ-নির্যাতন এবং মধ্যযুগীয় ধর্মান্ধতা। বাংলার শব্দ, চিত্র, রং এবং বাঙালির ব্যথা-বেদনা, সুখ-দুঃখ, আশা-আকাঙ্ক্ষা, চিন্তা-চেতনা ও সংস্কৃতি ধারণ করে তাঁর মন ও মানসিকতার বিকাশ ঘটে। হয়ে ওঠেন মনে-প্রাণে বিশুদ্ধ বাঙালি। অমিত আত্মবিশ্বাসী, সাধারণ মানুষের প্রতি অবিচল আস্থাশীল বঙ্গবন্ধুর শক্তি, ব্যক্তিত্বের সৌরভ, সংকল্প, রাজনৈতিক ক্রিয়াকর্ম, সরব ও স্বতঃস্ফূর্ত সাহসী জীবনপ্রবাহ শোষিত বঞ্চিত বাঙালি জনগোষ্ঠীর অন্তরে লালিত স্বাধীনতার সুপ্ত বাসনাকে জাগ্রত করে, যা ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু হয়ে রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধে বিস্তৃত হয়। তাঁর তীক্ষ্ণ রাজনৈতিক মেধা ও অসাধারণ, অপ্রতিরোধ্য, প্রগতিশীল নেতৃত্বে বাঙালি স্বাধীনতা অর্জন করে, বাংলাদেশ স্বাধীন হয়।

চলনে-বলনে, কথা-বার্তায়, আচার-আচরণে, পোশাকে-আষাকে, বিচার-বিবেচনায়, আন্দোলন-সংগ্রামে বঙ্গবন্ধু ছিলেন বিশুদ্ধ বাঙালি। বাংলার মাটি ও মানুষের সঙ্গে ছিল তাঁর নিবিড় ও অটুট বন্ধন। তাঁর ধ্যানে-মনে, চিন্তা-চেতনায়, বিশ্বাসে ও অস্তিত্বজুড়ে ছিল বাংলাদেশ, বাংলাদেশের মানুষ এবং বাংলা ভাষা। বাঙালির প্রতি তাঁর ভালোবাসা ছিল অকৃত্রিম, ব্যক্তিস্বার্থের ঊর্ধ্বে। সেজন্যই দৃঢ়চিত্তে, দীপ্তকণ্ঠে বঙ্গবন্ধু উচ্চারণ করেন, ‘ফাঁসির মঞ্চে যাওয়ার সময় আমি বলব, আমি বাঙালি, বাংলা আমার দেশ, বাংলা আমার ভাষা। জয় বাংলা।’ একজন বিদেশি ঐতিহাসিকের মতে ‘প্রায় বারো শ’ বছর পর বাঙালি জাতির পুনর্জন্ম হয়েছে এবং হাজার বছর পর বাংলাদেশ এমন একজন নেতা পেয়েছে, যিনি রক্ত-বর্ণে-ভাষায় এবং জাতি বিচারে একজন খাঁটি বাঙালি। বাংলাদেশের মাটি ও ইতিহাস থেকে তাঁর সৃষ্টি এবং তিনি বাঙালি জাতির স্রষ্টা।’

বঙ্গবন্ধুর ঋজু বলিষ্ঠ দৈহিক গঠন, কোমলতা ও দৃঢ়তা মিশ্রিত সম্মোহনী শক্তিধর প্রবল ব্যক্তিত্ব, জলদগম্ভীর কণ্ঠস্বরে বাঙালি খুঁজে প্রায় তাদের অস্তিত্ব, আশা-আকাক্সক্ষার প্রতিচ্ছবি ও আত্মপরিচয়। তিনি হয়ে ওঠেন বাঙালির ভালোবাসার মানুষ ও প্রিয় নেতা। সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে সিদ্ধহস্ত বঙ্গবন্ধু চরম সংকটকালে থাকতেন স্থির ও অবিচল। তাঁর বক্তৃতা ছিল মাদকতায় ভরা বিস্ফোরক শব্দাবলির নিপুণ বিন্যাস। নিপুণ শিল্প। যেন মন্ত্রাচ্চারণ। যা বাঙালির হৃদয়কে সহজেই স্পর্শ, চেতনাকে সমৃদ্ধ ও শানিত করে স্বাধীনতার সুপ্ত বাসনাকে জাগ্রত করে। কথা-বার্তায়, চিন্তা-চেতনায়, আচার-আচরণে, বিশ্বাসে বঙ্গবন্ধু ছিলেন জাতীয়তাবাদী, গণতন্ত্রী, সমাজতন্ত্রী এবং ধর্মনিরপেক্ষ। যা তাঁর আদর্শের চার স্তম্ভ। তিনি এই আদর্শ ধারণ, লালন ও চর্চা করেন আমৃত্যু। তিনি ছিলেন শোষিতের গণতন্ত্রে বিশ্বাসী। বহুবার বলেছেন- ‘আমি শোষকের নয়, শোষিতের পক্ষে।’ মুক্তিযুদ্ধের পর দেশে ফিরে এসে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের বিশাল জনসভায় বলেন- ‘আজ আমি মুক্ত বাংলার মাটিতে দাঁড়িয়ে দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে ঘোষণা করছি, আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, জাতীয়তাবাদ ও ধর্মনিরপেক্ষতা।’

বঙ্গবন্ধু জন্মেছিলেন হীনমন্য সাম্প্রদায়িক সমাজ-পরিবেশে। তবু জন্মলগ্ন থেকেই নিজের চেতনায় ধারণ করেন অসাম্প্রদায়িক বোধ, বর্জন করেন হীন সাম্প্রদায়িক মানসিকতাকে। এই অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে লালন করতে গিয়ে তিনি বক্তৃতায় সাম্প্রদায়িক বৈরী আচরণের শিকার হন, ব্যাথিত হন। কিন্তু অসাম্প্রদায়িক চেতনা থেকে কখনো বিচ্যুত হননি। বরং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির জন্য কাজ করেন, হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গারোধে রাখেন ভূমিকা। ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের নাম থেকে মুসলিম শব্দ বাদ দিতে সোচ্চার হন। ৭ মার্চের ভাষণে বলেন, ‘এই বাংলায় হিন্দু-মুসলিম, বাঙালি-ননবেঙলি যারা আছে তারা আমাদের ভাই, তাদের রক্ষার দায়িত্ব আপনাদের উপর, আমাদের যেন বদনাম না হয়।’ ৩ জানুয়ারি ১৯৭১ সালে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সংসদ সদস্যদের শপথ অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু ঘোষণা করেন- ‘হিন্দু, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ ভাইয়েরা আপনারা শুনে রাখুন, আপনারাও এ দেশের সমান নাগরিক। এই দেশ একা কারও নয়। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলের এই দেশ। ধর্মের নামে ব্যবসা চলবে না, শোষণ চলবে না। আমাদের লক্ষ্য একটি শোষণহীন সমাজতান্ত্রিক, গণতান্ত্রিক দেশ প্রতিষ্ঠা। ধর্মনিরপেক্ষতাই হবে রাষ্ট্রীয় নীতি।’

অকুতোভয়, দৃঢ়চেতা, আপোসহীন, আত্মপ্রত্যয়ী, উদার, সংস্কৃতিমনা, দূরদর্শী বঙ্গবন্ধুর শৈশব থেকেই ছিল সাধারণ মানুষের প্রতি অপরিসীম ভালোবাসা। তিনি উপেক্ষিত, দুর্দশাগ্রস্ত, দৈন্যপীড়িত, বন্যা, খরা, মহামারী, দুর্ভিক্ষ, জলোচ্ছ্বাস, হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গায় আহত অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ান, সংখ্যালঘুদের রক্ষা করেন ও আশ্রয় দেন। গরিব শিক্ষার্থীদের সাহায্যার্থে তিনি ৭ম শ্রেণিতে থাকাকালীন ‘মুসলিম সেবা সমিতি’তে যোগ দিয়ে মুষ্টি ভিক্ষার চাল উঠান। অন্যায়, অবিচার, অত্যাচার, নির্যাতন, বৈষম্য ও শোষণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেন, প্রতিরোধ গড়েন। ছাত্রজীবনেই তিনি দাবি-দাওয়া প্রণয়ন ও আদায় করার দক্ষতা ও সক্ষমতা প্রদর্শন করেন। মুখ্যমন্ত্রী শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক গোপালগঞ্জ স্কুল পরিদর্শন করতে গেলে বর্ষা মৌসুমে স্কুল ঘরে পানি পড়ার অভিযোগ উত্থাপন করে তা সংস্কারের দাবি করেন। ইংরেজ তাড়ানোর তাগিদ অনুভব করে স্বদেশী আন্দোলনের প্রতিও আকৃষ্ট হন এবং নেতাজী সুভাষ বসুর হলওয়েল মনুমেন্ট অপসারণ আন্দোলনে যোগ দেন। সাম্প্রদায়িক বিরোধের কারণে কংগ্রেসের রোষানলে পড়ে বঙ্গবন্ধু জীবনে প্রথমবার জেলে যান। এই সময় পাকিস্তান রাষ্ট্র সৃষ্টির লক্ষে গোপালগঞ্জে মুসলিম ছাত্রলীগ গঠন করে সম্পাদকের দায়িত্ব নিয়ে রাজনৈতিক জীবন শুরু করেন। প্রাদেশিক মুসলিম লীগ কাউন্সিলের সদস্য হন। সদস্য হয়ে তিনি জমিদার, জোতদার ও নবাবদের সংগঠন মুসলিম লীগকে সাধারণ জনগণের সংগঠনে পরিণত করার উদ্যোগ গ্রহণ করেন। ১৯৪৭ সাল পযর্ন্ত পাকিস্তান রাষ্ট্র সৃষ্টির পক্ষে, বাংলা ভাগের বিপক্ষে এবং জমিদারি প্রথা বিলোপের লক্ষে বঙ্গবন্ধু বিরামহীন কর্মযজ্ঞে লিপ্ত থাকেন। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর আপোসহীন সাহসী ভূমিকা ও সাংগঠনিক দক্ষতা কলকাতার প্রগতিশীল মহলে ব্যাপক প্রশংসিত হয়।

আজ ১৭ মার্চ। বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শততম জন্মবার্ষিকী। ১৯২০ সালের এই দিনেই গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম প্ররিবারে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। আজকের দিনটিতেই আবার জাতীয় শিশু দিবস। সারা দেশেই দিনটি উদযাপিত হয় মহাসমারোহে। তবে করোনোভাইরাসের প্রভাবে সারা দেশে সীমিত আকারে অনুষ্ঠিত হবে এবারের বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী। এরপর করোনার প্রভাব কেটে গেলে বৃহৎ আকারে আয়োজন করা হবে। এমনকি সারা পৃথিবীতেই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন পালন করা হবে। 

বঙ্গবন্ধুর বাবার নাম শেখ লুৎফর রহমান। মায়ের নাম সায়েরা খাতুন। তাদের চার মেয়ে ও দুই ছেলের মধ্যে শেখ মুজিব ছিলেন তৃতীয়। বাবা-মা তাকে আদর করে ডাকতেন খোকা বলে। সেই ছোটবেলা থেকেই তিনি ছিলেন প্রতিবাদী। অন্যায়ের সঙ্গে আপোস করতেন না। তার প্রমাণ পাওয়া যায় শেখ লুৎফর রহমানের কথা থেকেই। দেশের ক্রান্তিলগ্নে বঙ্গবন্ধু যখন লড়ে যাচ্ছিলেন তখন এক সাক্ষাৎকারে শেখ লুৎফর রহমান বলেছিলেন, ‘সে তো ছোটবেলা থেকেই প্রতিবাদী, অন্যায় সহ্য করতো না। কোথাও তা দেখলে প্রতিবাদ করতো।’ শেখ লুৎফর রহমানের কথার প্রমাণ দেখেছে সারা ব্শ্বি। যা হোক, ফিরে আসা যাক শেখ মুজিবের কৈশোরে। কিশোর বয়সেই শেখ মুজিবের প্রতিবাদী চরিত্রের বহিঃপ্রকাশ দেখা গিয়েছিল। অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী মানসিকতা, গরিব-দুঃখী মানুষের প্রতি ভালোবাসা ও তাদের দুঃখ দূর করার প্রতিজ্ঞা তাকে রাজনীতিতে নিয়ে আসে।

স্কুল থেকেই তিনি রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। গ্রামের স্কুলে তার লেখাপড়ার হাতেখড়ি। ১৯২৭ সালে শেখ মুজিব গিমাডাঙ্গা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়াশোনা শুরু করেন। ১৯২৯ সালে গোপালগঞ্জ পাবলিক স্কুলে ভর্তি হন এবং এখানেই ১৯৩৪ সাল পর্যন্ত পড়াশোনা করেন। ১৯৩৭ সালে গোপালগঞ্জ মিশন স্কুলে সপ্তম শ্রেণিতে ভর্তি হন। ১৯৪১ সালে অসুস্থ শরীর নিয়েই ম্যাট্রিক পরীক্ষা দেন। পড়াশোনার থেকে রাজনীতি বেশি করেছেন। 

রাজনীতিতে যুক্ত হওয়ার ক্ষেত্রে তার পিতা তাকে বাধা দেননি। তার বাবা বলেছিলেন, ‘বাবা রাজনীতি কর আপত্তি করব না, পাকিস্তানের জন্য সংগ্রাম করছ এত সুখের কথা, তবে লেখাপড়া করতে ভুলো না। লেখাপড়া না শিখলে মানুষ হতে পারবে না। আর একটা কথা মনে রেখ, Sincerity of purpose and honesty of purpose থাকলে জীবনে পরাজিত হবে না।’ বঙ্গবন্ধুর জীবন ভিত্তিক বই ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’তে এ কথা লেখা রয়েছে। যার পৃষ্ঠা নং ২১।

শেখ মুজিব রাজনীতিতে সফল হয়েছিলেন তার বাবার এ কথার উপর বিশ্বাসের কারণেই। ম্যাট্রিক পরীক্ষার পরপরই কিশোর মুজিব কলকাতায় যান। কলকাতার ইসলামিয়া কলেজের ছাত্র থাকা অবস্থায় তার রাজনৈতিক জীবনের বড় পরিবর্তনগুলো শুরু হয়। তিনি পাকিস্তান আন্দোলনে সক্রিয় হন এবং হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, আবুল হাশিমের মতো নেতাদের সান্নিধ্যে আসেন। ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান রাষ্ট্র সৃষ্টি হলে শেখ মুজিবও ঢাকায় চলে আসেন।

নতুন রাজনৈতিক চিন্তাচেতনা নিয়ে ১৯৪৮ সালে ছাত্রলীগ গঠন করেন। ১৯৪৯ সালে নবগঠিত পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগের যুগ্ম সম্পাদক নির্বাচিত হন। বাংলাকে অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার দাবি নিয়ে গড়ে ওঠা আন্দোলনে অংশ নেওয়ার মাধ্যমেই শেখ মুজিবের রাজনৈতিক তৎপরতার সূচনা হয়।

১৯৪৮ থেকে ১৯৫২ এর মহান ভাষা আন্দোলন, ১৯৫৮এর সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলন, ১৯৬২ এর শিক্ষা আন্দোলন ও ১৯৬৬ এর ঐতিহাসিক ছয় দফা ভিত্তিক আন্দোলনের মাধ্যমে তিনি হয়ে ওঠেন বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা। ১৯৬৯ এর গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ছাত্র জনতা তাকে ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধি দেয়। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে বাঙালিরা বঙ্গবন্ধুর ৬ দফার প্রক্ষে অকুন্ঠ সমর্থন জানায়। কিন্তু পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা হস্তান্তর না করে বাঙালিদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের রাজনীতি শুরু করে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ তার ঐতিহাসিক ভাষণে স্বাধীনতার ডাক দেন। ২৫ মার্চ পাকিস্তানি বাহিনী পরিকল্পিত গণহত্যা শুরু করলে ২৬ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। তার ডাকে সাড়া দিয়ে দেশের আপামর জনগণ প্রায় নয় মাস যুদ্ধ করে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ অর্জন করে।

স্বাধীন বাংলাদেশের রূপকার এই মহান নেতার জন্মদিনে গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি।  কোনো বিশেষ ঘটনা বা আনন্দের দিনকে শিশু দিবস হিসেবে পালন করা হয়। বাংলাদেশের মানুষের জন্য সবচেয়ে বেশি আনন্দের দিন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন। বাংলার হাজার বছরের ইতিহাসে বঙ্গবন্ধু একজনই জন্মেছিলেন। যার জন্ম না হলে স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম হতো না। এজন্য ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনকে জাতীয় শিশু দিবস হিসেবে পালন করা হয়।

বঙ্গবন্ধু শিশুদের অত্যন্ত আদর করতেন, ভালোবাসতেন। শিশুদের সঙ্গে গল্প করতেন, খেলা করতেন। তিনি বিশ্বাম করতেন আজকের শিশুরাই আগামীদিনে দেশ গড়ার নেতৃত্ব দিবে। তরুণ প্রজন্ম এই মহান নেতার আদর্শ থেকেই দেশ গড়ার অনুপ্রেরণা লাভ করে। যারা বাংলাদেশকে বিশ্বাস করে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ধারণ করে তাদের মাঝেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বেঁচে থাকবেন জন্ম থেকে জন্মান্তরে। সৈয়দ শামসুল হকের ভাষায়- ‘যেখানে ঘুমিয়ে আছো, শুয়ে থাকো বাঙালির মহান জনক তোমার সৌরভ দাও, দাও শুধু প্রিয়কন্ঠ শৌর্য আর অমিত সাহস টুঙ্গিপাড়া গ্রাম থেকে, আমাদের গ্রামগুলো তোমার সাহস নেবে, নেবে ফের বিপ্লবের দুরন্ত প্রেরণা।’

আমাদের এই মহান নেতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শই দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পথ দেখায়। সেই পথ ধরেই তাঁর সুযোগ্য কন্যা, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলছে বাংলাদেশ। একসময় যারা বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়ি বলে আখ্যায়িত করতো, তারাই এখন বাংলাদেশকে উন্নয়নের রোল মডেল বলতে বাধ্য হচ্ছে। একমাত্র বঙ্গবন্ধু কন্যার কারণেই এমনটা হয়েছে বলে আমি বিশ্বাস করি।

তবে দুঃখের সঙ্গে একথাও বলতে হয়, এদেশে এখনো কিছু বঙ্গবন্ধু বিদ্বেষী, পাকিস্তানি প্রেতাত্মারা রয়েছে। যারা জীবিত বঙ্গবন্ধুর চেয়ে শহীদ বঙ্গবন্ধুকে বেশি ভয় পায়। সে কারণেই নানা সময় ওই গোষ্ঠীটি বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে হত্যা করতে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। যেমনটা করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংকের ইতিহাস বইয়ে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একটি গোষ্ঠী জাতির পিতাকে অবমাননা করেছিল ২০১৮ সালে। তাই আমি নিজে উদ্যোগী হয়ে বঙ্গবন্ধুকে অবমাননার কারণে মহামান্য হাইকোর্টে রিট আবেদন করি। সেই আবেদনের কারণে দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ে টিকে থাকতে আমাকে নানা রকম হুমকিরও সম্মুখীন হতে হয়েছে। কিন্তু জাতির পিতার একজন আদর্শিক সন্তান হিসেবে এবং শেখ হাসিনার একজন একনিষ্ঠ কর্মী হিসেবে লড়াই চালিয়ে গেছি। সর্বশেষ মহামান্য হাইকোর্ট বঙ্গবন্ধুকে অবমাননা করা সকল বই আমাকে (রিটের বাদী) সঙ্গে নিয়ে নষ্ট করার আদেশ দিয়েছেন। 

আজ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীতে আমি দৃঢ়প্রত্যয়ে বলতে পারি, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে উঠছে তারই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে। এই ধারা অব্যাহত রাখতে আমাদের সকলকে কাজ করে যেতে হবে। আজকের এই দিনের প্রতিজ্ঞা হোক, বাংলাদেশ উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখার প্রতিজ্ঞা। তাহলেই জাতির জনক জান্নাতুল ফেরদৌস থেকে হয়তো আত্মিক একটা শান্তি পাবেন এই ভেবে যে, তাঁর সোনার বাংলায় স্বপ্নগুলো বাস্তবায়িত হচ্ছে। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।

বিডি-প্রতিদিন/শফিক

এই বিভাগের আরও খবর
সিপাহি-জনতার সংহতি থেকে চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থান
সিপাহি-জনতার সংহতি থেকে চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থান
বন্দর নিয়ে সদরে-অন্দরে মতলবি তৎপরতা
বন্দর নিয়ে সদরে-অন্দরে মতলবি তৎপরতা
ব্যবসা-বিনিয়োগে লাল বাতি
ব্যবসা-বিনিয়োগে লাল বাতি
একটি বন্য ছাগলের আত্মকথা
একটি বন্য ছাগলের আত্মকথা
কৃষি সমবায়ের সাফল্যগাথা ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা
কৃষি সমবায়ের সাফল্যগাথা ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা
বিনিয়োগের জন্য রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা প্রয়োজন
বিনিয়োগের জন্য রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা প্রয়োজন
হাসিনার সর্বোচ্চ শাস্তি চায় জাতি
হাসিনার সর্বোচ্চ শাস্তি চায় জাতি
আমাদের বিজ্ঞ রাজনীতিবিদদের সমস্যা!
আমাদের বিজ্ঞ রাজনীতিবিদদের সমস্যা!
ধূসর হয়ে পড়েছে যে স্বপ্ন
ধূসর হয়ে পড়েছে যে স্বপ্ন
সিসিফাসের পাথর ও রাজনৈতিক বাস্তবতা
সিসিফাসের পাথর ও রাজনৈতিক বাস্তবতা
ঐকমত্য কমিশনের নিরপেক্ষতা ভীষণভাবে নষ্ট হয়েছে
ঐকমত্য কমিশনের নিরপেক্ষতা ভীষণভাবে নষ্ট হয়েছে
রাজনীতির বিবর্তন! বানর থেকে বিজ্ঞানী
রাজনীতির বিবর্তন! বানর থেকে বিজ্ঞানী
সর্বশেষ খবর
নোয়াখালীতে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত
নোয়াখালীতে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত

৫৯ সেকেন্ড আগে | দেশগ্রাম

শ্রীমঙ্গলে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত
শ্রীমঙ্গলে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত

৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

নির্বাচন বিরোধীদের ৭ নভেম্বরের চেতনায় পরাজিত করতে হবে : আমীর খসরু
নির্বাচন বিরোধীদের ৭ নভেম্বরের চেতনায় পরাজিত করতে হবে : আমীর খসরু

৯ মিনিট আগে | রাজনীতি

পরবর্তী আইপিএলও খেলবেন ধোনি
পরবর্তী আইপিএলও খেলবেন ধোনি

১০ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

শেরপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় শিশুর মৃত্যু
শেরপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় শিশুর মৃত্যু

১৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

নওগাঁয় কর্মীসভা অনুষ্ঠিত
নওগাঁয় কর্মীসভা অনুষ্ঠিত

১৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

সোনারগাঁয়ে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত
সোনারগাঁয়ে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত

১৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ধানের শীষের পক্ষে জনমত বাড়াতে মোংলায় বিএনপির উঠান বৈঠক
ধানের শীষের পক্ষে জনমত বাড়াতে মোংলায় বিএনপির উঠান বৈঠক

১৯ মিনিট আগে | ভোটের হাওয়া

হঠাৎ মাঝ আকাশে পোড়া গন্ধ, আতঙ্কে উড়োজাহাজের যাত্রীরা!
হঠাৎ মাঝ আকাশে পোড়া গন্ধ, আতঙ্কে উড়োজাহাজের যাত্রীরা!

২০ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চাঁদপুরে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসে বর্ণাঢ্য র‌্যালি
চাঁদপুরে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসে বর্ণাঢ্য র‌্যালি

২৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

নির্বাচন ঠেকাতে নানামুখী ষড়যন্ত্র চলছে : আমান
নির্বাচন ঠেকাতে নানামুখী ষড়যন্ত্র চলছে : আমান

২৯ মিনিট আগে | ভোটের হাওয়া

জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণ করবে বিএনপি
জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণ করবে বিএনপি

২৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

গাইবান্ধায় হত্যা মামলার আসামিদের বিচার দাবি
গাইবান্ধায় হত্যা মামলার আসামিদের বিচার দাবি

৩৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বগুড়ায় যথাযথ মর্যাদায় জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালন
বগুড়ায় যথাযথ মর্যাদায় জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালন

৩৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

শহীদ জিয়াই জাতির মহানায়ক: মীর হেলাল
শহীদ জিয়াই জাতির মহানায়ক: মীর হেলাল

৩৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

শহীদ জিয়াই জাতির মহানায়ক : মীর হেলাল
শহীদ জিয়াই জাতির মহানায়ক : মীর হেলাল

৪০ মিনিট আগে | রাজনীতি

কুড়িগ্রাম সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশের দায়ে আটক ৩
কুড়িগ্রাম সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশের দায়ে আটক ৩

৪৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বরিশালে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসে বিএনপি নেতাদের ঐক্যের আহ্বান
বরিশালে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসে বিএনপি নেতাদের ঐক্যের আহ্বান

৫৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

মনে হচ্ছে নির্বাচন বানচাল করা গণহত্যাকারীদের একমাত্র লক্ষ্য : প্রিন্স
মনে হচ্ছে নির্বাচন বানচাল করা গণহত্যাকারীদের একমাত্র লক্ষ্য : প্রিন্স

৫৩ মিনিট আগে | ভোটের হাওয়া

ঝালকাঠিতে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় র‌্যাব সদস্যসহ নিহত ২
ঝালকাঠিতে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় র‌্যাব সদস্যসহ নিহত ২

৫৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ট্রাকচাপায় কৃষকদলের দুই নেতা নিহত
ট্রাকচাপায় কৃষকদলের দুই নেতা নিহত

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সিপাহি-জনতার ঐক্যের বিপ্লবেই জাতি পেয়েছিল নতুন পরিচয় : তৃপ্তি
সিপাহি-জনতার ঐক্যের বিপ্লবেই জাতি পেয়েছিল নতুন পরিচয় : তৃপ্তি

১ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

২৬ বিলিয়নিয়ার ২২ মিলিয়ন ঢেলেও মামদানিকে ঠেকাতে পারেনি!
২৬ বিলিয়নিয়ার ২২ মিলিয়ন ঢেলেও মামদানিকে ঠেকাতে পারেনি!

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফটিকছড়িতে বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে অসন্তোষ, আগুন জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ
ফটিকছড়িতে বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে অসন্তোষ, আগুন জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ

১ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

নীলফামারীতে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত
নীলফামারীতে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে ময়মনসিংহে সমাবেশ-র‍্যালি
বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে ময়মনসিংহে সমাবেশ-র‍্যালি

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

অপসো স্যালাইনের ছাঁটাই শ্রমিকদের ভুখা মিছিল
অপসো স্যালাইনের ছাঁটাই শ্রমিকদের ভুখা মিছিল

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

‌‘এই দেশের জনগণ তারেক রহমানকেই আগামীর প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চায়’
‌‘এই দেশের জনগণ তারেক রহমানকেই আগামীর প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চায়’

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

মাইকে ভাইয়ের সঙ্গে মারামারির ঘোষণা: মুচলেকায় ছাড়া পেলেন সেই কুদ্দুস
মাইকে ভাইয়ের সঙ্গে মারামারির ঘোষণা: মুচলেকায় ছাড়া পেলেন সেই কুদ্দুস

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গাইবান্ধায় বিপ্লব ও সংহতি দিবসে ঐক্যের আহ্বান
গাইবান্ধায় বিপ্লব ও সংহতি দিবসে ঐক্যের আহ্বান

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
জামায়াতের আলোচনার প্রস্তাব, যা বললেন বিএনপির মহাসচিব
জামায়াতের আলোচনার প্রস্তাব, যা বললেন বিএনপির মহাসচিব

৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

দলীয় মনোনয়ন না পেয়েও হেলিকপ্টারে এসে গণসংযোগ করলেন বিএনপি নেতা
দলীয় মনোনয়ন না পেয়েও হেলিকপ্টারে এসে গণসংযোগ করলেন বিএনপি নেতা

২৩ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

ইতালি যাওয়া হলো না সেই বিড়াল ক্যান্ডির
ইতালি যাওয়া হলো না সেই বিড়াল ক্যান্ডির

২৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ঐক্যবদ্ধ হয়ে ধানের শীষের বিজয় নিশ্চিত করতে হবে: নিপুণ রায়
ঐক্যবদ্ধ হয়ে ধানের শীষের বিজয় নিশ্চিত করতে হবে: নিপুণ রায়

২২ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

ইরানে ইসরায়েলি হামলায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করলেন ট্রাম্প
ইরানে ইসরায়েলি হামলায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করলেন ট্রাম্প

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহেই নির্বাচন : প্রেস সচিব
ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহেই নির্বাচন : প্রেস সচিব

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দুই ভাইয়ের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, অগ্নিসংযোগ
দুই ভাইয়ের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, অগ্নিসংযোগ

২০ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

এক ওভারে আব্বাস আফ্রিদির ৬ ছক্কা
এক ওভারে আব্বাস আফ্রিদির ৬ ছক্কা

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বাড়িতে ঢুকে পড়ছে ভালুক, সেনা মোতায়েন
বাড়িতে ঢুকে পড়ছে ভালুক, সেনা মোতায়েন

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অবসরের ঘোষণার পর ন্যান্সি পেলোসিকে ‘শয়তান মহিলা’ বললেন ট্রাম্প
অবসরের ঘোষণার পর ন্যান্সি পেলোসিকে ‘শয়তান মহিলা’ বললেন ট্রাম্প

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জাহানারার মতো ভুক্তভোগীদের মুখ খোলার অনুরোধ তামিমের
জাহানারার মতো ভুক্তভোগীদের মুখ খোলার অনুরোধ তামিমের

৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

জুলাই সনদের ঐকমত্যের আইনানুগ বাস্তবায়নের আহ্বান বিএনপির
জুলাই সনদের ঐকমত্যের আইনানুগ বাস্তবায়নের আহ্বান বিএনপির

১৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ছোট ভাইয়ের সঙ্গে মারামারি করতে মাইকে ঘোষণা দিলেন বড় ভাই
ছোট ভাইয়ের সঙ্গে মারামারি করতে মাইকে ঘোষণা দিলেন বড় ভাই

১৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শাহজালাল বিমানবন্দরে জুতা-প্যান্ট-শার্টে লুকানো ১৫ মোবাইল
শাহজালাল বিমানবন্দরে জুতা-প্যান্ট-শার্টে লুকানো ১৫ মোবাইল

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পোড়া কার্গো ভিলেজ থেকে মোবাইল চুরি, বরখাস্ত আনসার সদস্য
পোড়া কার্গো ভিলেজ থেকে মোবাইল চুরি, বরখাস্ত আনসার সদস্য

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আফগানিস্তানে ফের গোলাবর্ষণ পাকিস্তানের
আফগানিস্তানে ফের গোলাবর্ষণ পাকিস্তানের

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গুলিবিদ্ধ বিএনপি প্রার্থী এরশাদকে হেলিকপ্টারে ঢাকায় স্থানান্তর
গুলিবিদ্ধ বিএনপি প্রার্থী এরশাদকে হেলিকপ্টারে ঢাকায় স্থানান্তর

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রাজধানীতে সবজি স্থিতিশীল, অস্থির পেঁয়াজের বাজার
রাজধানীতে সবজি স্থিতিশীল, অস্থির পেঁয়াজের বাজার

৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ৭ ভেন্যু চূড়ান্ত
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ৭ ভেন্যু চূড়ান্ত

১১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

খুলনায় প্রবাসীকে গুলি করে হত্যা
খুলনায় প্রবাসীকে গুলি করে হত্যা

২১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে যাচ্ছে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ কাজাখস্তান
ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে যাচ্ছে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ কাজাখস্তান

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আত্মশুদ্ধি অবহেলিত ফরজ
আত্মশুদ্ধি অবহেলিত ফরজ

২০ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

বন্যায় ডুবতে পারে এশিয়ার যে দেশ, জারি সতর্কতা
বন্যায় ডুবতে পারে এশিয়ার যে দেশ, জারি সতর্কতা

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জরুরি প্রয়োজন ছাড়া চিকিৎসকদের বদলি-পদায়ন আপাতত বন্ধ
জরুরি প্রয়োজন ছাড়া চিকিৎসকদের বদলি-পদায়ন আপাতত বন্ধ

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যুক্তরাষ্ট্রে শিক্ষিকাকে ৬ বছরের শিক্ষার্থীর গুলি, কোটি ডলার ক্ষতিপূরণের নির্দেশ
যুক্তরাষ্ট্রে শিক্ষিকাকে ৬ বছরের শিক্ষার্থীর গুলি, কোটি ডলার ক্ষতিপূরণের নির্দেশ

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ডি ককের সেঞ্চুরিতে পাকিস্তানকে হেসেখেলে হারাল প্রোটিয়ারা
ডি ককের সেঞ্চুরিতে পাকিস্তানকে হেসেখেলে হারাল প্রোটিয়ারা

১৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

আলোচিত সেই বিড়াল হত্যাকারী নারী আটক
আলোচিত সেই বিড়াল হত্যাকারী নারী আটক

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চীনের তৃতীয় বিমানবাহী রণতরী নৌবাহিনীর কাছে হস্তান্তর
চীনের তৃতীয় বিমানবাহী রণতরী নৌবাহিনীর কাছে হস্তান্তর

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘নো হাংকি পাংকি’ কোনো আদর্শের রাজনৈতিক ভাষা হতে পারে না : এ্যানি
‘নো হাংকি পাংকি’ কোনো আদর্শের রাজনৈতিক ভাষা হতে পারে না : এ্যানি

৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

‘আয়নাঘর’ থেকে বেঁচে ফিরে বিএনপির প্রার্থী হয়ে মাঠে মাজেদ বাবু
‘আয়নাঘর’ থেকে বেঁচে ফিরে বিএনপির প্রার্থী হয়ে মাঠে মাজেদ বাবু

৩ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

প্রিন্ট সর্বাধিক
প্রথম দফায় রক্ষা দ্বিতীয় দফায় লাশ
প্রথম দফায় রক্ষা দ্বিতীয় দফায় লাশ

প্রথম পৃষ্ঠা

যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশিদের জয়জয়কার
যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশিদের জয়জয়কার

পেছনের পৃষ্ঠা

উদ্ধার হয়নি ১ টাকাও
উদ্ধার হয়নি ১ টাকাও

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

মেলেনি অনুমতি আসছেন না ডা. জাকির নায়েক
মেলেনি অনুমতি আসছেন না ডা. জাকির নায়েক

প্রথম পৃষ্ঠা

বার্সা চেলসির বড় ধাক্কা, সিটির জয়
বার্সা চেলসির বড় ধাক্কা, সিটির জয়

মাঠে ময়দানে

সংবিধান সংস্কার জনগণের মতামতের ভিত্তিতে
সংবিধান সংস্কার জনগণের মতামতের ভিত্তিতে

প্রথম পৃষ্ঠা

টাকার লোভেই মৃত্যুকূপে
টাকার লোভেই মৃত্যুকূপে

পেছনের পৃষ্ঠা

সওজ-সিসিক দ্বন্দ্বে বেহাল সড়ক
সওজ-সিসিক দ্বন্দ্বে বেহাল সড়ক

নগর জীবন

জামায়াতের হুঁশিয়ারি প্রয়োজনে আঙুল বাঁকা করব
জামায়াতের হুঁশিয়ারি প্রয়োজনে আঙুল বাঁকা করব

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি
প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি

পেছনের পৃষ্ঠা

ত্যাগ সংগ্রাম আর আস্থার পুরস্কার পেয়েছি
ত্যাগ সংগ্রাম আর আস্থার পুরস্কার পেয়েছি

পেছনের পৃষ্ঠা

বিখ্যাত যত ফোক গান
বিখ্যাত যত ফোক গান

শোবিজ

ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর আজ
ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর আজ

প্রথম পৃষ্ঠা

আবেদন করতে পারবেন না ধূমপায়ীরা
আবেদন করতে পারবেন না ধূমপায়ীরা

পেছনের পৃষ্ঠা

সুয়াটেককে হারিয়ে সেমিফাইনালে
সুয়াটেককে হারিয়ে সেমিফাইনালে

মাঠে ময়দানে

‘পেয়ার কিয়াতো ডরনা কেয়া’ গানটি ১০৫ বার লেখা হয়েছিল
‘পেয়ার কিয়াতো ডরনা কেয়া’ গানটি ১০৫ বার লেখা হয়েছিল

শোবিজ

১০ নভেম্বর আসছেন ঢাকায়
১০ নভেম্বর আসছেন ঢাকায়

মাঠে ময়দানে

একটি চুমুর আকাঙ্ক্ষা
একটি চুমুর আকাঙ্ক্ষা

সাহিত্য

কেমন হবে বাংলাদেশ-পাকিস্তান লড়াই
কেমন হবে বাংলাদেশ-পাকিস্তান লড়াই

মাঠে ময়দানে

জাতিসংঘে আ. লীগের চিঠিতে কাজ হবে না
জাতিসংঘে আ. লীগের চিঠিতে কাজ হবে না

প্রথম পৃষ্ঠা

লতিফ সিদ্দিকী ও সাংবাদিক পান্না জামিন পেলেন
লতিফ সিদ্দিকী ও সাংবাদিক পান্না জামিন পেলেন

নগর জীবন

চলচ্চিত্র ‘ঢাকাইয়া দেবদাস’
চলচ্চিত্র ‘ঢাকাইয়া দেবদাস’

শোবিজ

মাল্টিপ্লেক্সে ‘হুমায়ূন আহমেদ সপ্তাহ’
মাল্টিপ্লেক্সে ‘হুমায়ূন আহমেদ সপ্তাহ’

শোবিজ

আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপের জার্সি উন্মোচন
আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপের জার্সি উন্মোচন

মাঠে ময়দানে

দুই হত্যা মামলায় তিনজনের মৃত্যুদণ্ড
দুই হত্যা মামলায় তিনজনের মৃত্যুদণ্ড

দেশগ্রাম

গোল উৎসব
গোল উৎসব

মাঠে ময়দানে

ডেঙ্গুতে ভুগছে শিশুরা
ডেঙ্গুতে ভুগছে শিশুরা

পেছনের পৃষ্ঠা

ক্যাপিটাল ড্রামায় ‘ইশারা’
ক্যাপিটাল ড্রামায় ‘ইশারা’

শোবিজ

শিশু-কিশোররা চালাচ্ছে ব্যাটারিচালিত রিকশা
শিশু-কিশোররা চালাচ্ছে ব্যাটারিচালিত রিকশা

পেছনের পৃষ্ঠা