শিরোনাম
প্রকাশ: ১৪:২৭, বুধবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২১

আঁধার ঘরে কালো বিড়াল খোঁজা...!

ড. আ ন ম এহছানুল হক মিলন
অনলাইন ভার্সন
আঁধার ঘরে কালো বিড়াল খোঁজা...!

বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে একমাত্র সূর্যাস্তবিহীন ব্রিটিশ সাম্রাজ্য। ১৯৪৭ সালে লর্ড মাউন্টব্যাটেন দ্বিজাতিতত্ত্ব মেনে নিলে এ উপমহাদেশে জন্ম নেয় হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ ভারত ও মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ পাকিস্তান। ব্রিটিশ ভারতে ১৯৪৬ সালের নির্বাচনে বিজয়ী দল নিখিল ভারত মুসলিম লীগই প্রথম পূর্ব বাংলা অর্থাৎ তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তানের রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব নেয় এবং খাজা নাজিমউদ্দিন হন পূর্ব বাংলার প্রথম মুখ্যমন্ত্রী। ক্ষমতাসীন মুসলিম লীগকে ১৯৫৪ সালের নির্বাচনে ধরাশায়ী করে যুক্তফ্রন্ট। ২৩৭ আসনের মধ্যে যুক্তফ্রন্টের প্রার্থীরা (মওলানা ভাসানীর নেতৃত্বাধীন আওয়ামী মুসলিম লীগ, শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হকের নেতৃত্বে কৃষক শ্রমিক পার্টি, পাকিস্তান গণতন্ত্রী দল ও পাকিস্তান খিলাফত দল একসঙ্গে মিলে যুক্তফ্রন্ট গঠন করে) নৌকা মার্কা নিয়ে ২২৮ আসনে জয়ী হন, ক্ষমতাসীন মুসলিম লীগ পায় মাত্র ৯টি আসন। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের পর ১৯৬৬ সালের ছয় দফা এবং ১৯৬৯ সালের ১১ দফা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তানের জনগণ স্বাধিকার ও গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ের জন্য সোচ্চার হয়। পাকিস্তানের অস্তিত্ব রক্ষার্থে যখন জেনারেল ইয়াহিয়া খানের সামরিক শাসন চলছিল সেই সময়ও ১৯৭০ সালের নির্বাচনে ক্ষমতাসীন সামরিক জান্তার পছন্দের দলগুলো সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। নির্বাচনে ২৪টি দল অংশ নিলেও আওয়ামী লীগ ১৬৭ আসনে জয়লাভ করে সরকার গঠনের প্রস্তুতি নেয়। নির্বাচনে প্রায় ৬৫% ভোট পড়ে। সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েও ক্ষমতায় যেতে না পেরে গণতন্ত্র ও ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে পূর্ব বাংলার জনগণের অসহযোগ আন্দোলনের ফলে শুরু হয় স্বাধীন বাংলাদেশ প্রাপ্তির সংগ্রাম। গণতন্ত্রের চেতনা সুসংহত রাখার লক্ষ্যে লাখো মানুষের আত্মাহুতির মধ্য দিয়ে লাল সবুজের পতাকা নিয়ে বাংলাদেশের যাত্রা হয়।

প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় স্বাধীন বাংলাদেশে ১৯৭৩ সালের ৭ মার্চ, প্রথম প্রধান নির্বাচন কমিশনার বিচারপতি এম ইদ্রিসের (৭ জুলাই, ১৯৭২-৭ জুলাই, ১৯৭৭) অধীনে। আওয়ামী লীগ ৩০০ আসনের মধ্যে ২৯৩টি লাভ করে, যার মধ্যে ১১টি আসনে বিনা ভোটে জয়ী হয়। এ ছাড়া বাকি ৭ আসনের মধ্যে বাংলাদেশ জাতীয় লীগ ১, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল ১ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী পাঁচজন বিজয়ী হন। ভোট সংগৃহীত হয়েছিল ৫৪.৯%।

দ্বিতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৭৯ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি, প্রধান নির্বাচন কমিশনার বিচারপতি এ কে এম নূরুল ইসলামের (৮ জুলাই, ১৯৭৭-১৭ মে, ১৯৮৫) অধীনে। নির্বাচনে বিএনপি ৩০০ আসনের মধ্যে ২০৭টি লাভ করে। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ (মালেক) ৩৯, আওয়ামী লীগ (মিজান) ২, জাসদ ৮, মুসলিম লীগ ও ইসলামী ডেমোক্রেটিক লীগ ২০, ন্যাপ (মোজাফ্ফর) ১, বাংলাদেশ জাতীয় লীগ ২, বাংলাদেশ গণফ্রন্ট ২, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল ১, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক আন্দোলন ১, জাতীয় একতা পার্টি ১ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ১৬ আসনে জয়লাভ করেন। মোট ভোট সংগৃহীত হয়েছিল ৫১.৩%। সূচনা হয় বহুদলীয় গণতন্ত্রের।
তৃতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৮৬ সালের ৭ মে, প্রধান নির্বাচন কমিশনার বিচারপতি চৌধুরী এ টি এম মাসুদের (১৭ মে, ১৯৮৫-১৭ ফেব্রুয়ারি, ১৯৯০) অধীনে। নির্বাচনে জাতীয় পার্টি ৩০০ আসনের মধ্যে ১৫৩টিতে জয়লাভ করে। এ ছাড়া আওয়ামী লীগ ৭৬, জামায়াতে ইসলামী ১০, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (রব) ৪, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ ৪, জাতীয় আওয়ামী পার্টি ৫, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি ৫, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (সিরাজ) ৩, জাতীয় আওয়ামী পার্টি (মুজাফ্ফর) ২, বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ ৩ ও বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি ৩টি আসনে জয়ী হয়। মোট ভোটারের ৬১.১% ভোট সংগৃহীত হয়েছিল। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল অগণতান্ত্রিক সরকারের অধীনে নির্বাচন বয়কট করে।

চতুর্থ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৮৮ সালের ৩ মার্চ, প্রধান নির্বাচন কমিশনার বিচারপতি সুলতান হোসেন খানের (১৭ ফেব্রুয়ারি, ১৯৯০-২৪ ডিসেম্বর, ১৯৯০) অধীনে। নির্বাচনটি বাংলাদেশের অধিকাংশ প্রধান দলই বর্জন করেছিল। নির্বাচনে জাতীয় পার্টি ৩০০ আসনের মধ্যে ২৫১টি লাভ করে। মোট ভোটারের মধ্যে ৫২.৫% ভোট গৃহীত হয়েছিল। ১৯৯০ সালে এরশাদবিরোধী আন্দোলনকে চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য ‘তিন জোট’-এর জন্ম হয়। জোটে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন আট দল, বিএনপির নেতৃত্বে সাত দল এবং বামপন্থিদের নেতৃত্বাধীন পাঁচ দল মিলে এরশাদ-পরবর্তী সরকারব্যবস্থা কী হবে তার একটি রূপরেখা প্রণয়ন করেছিল। ওই বছরের ১৯ নভেম্বর ওই তিন জোট আলাদা সমাবেশে সেই রূপরেখা তুলে ধরে। এরপর ৬ ডিসেম্বর এরশাদ ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হন। ভোটাধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য পুনরায় রক্তক্ষয়ী আন্দোলন সংগ্রাম চালাতে হয়েছিল। আমার ভোট আমি দেব, যাকে খুশি তাকে দেব। তিন জোটের রূপরেখা বলে খ্যাত দলিলে তিন মাসের মধ্যে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা সুনিশ্চিত করা এবং ভোটার যেন নিজ ইচ্ছা ও বিবেক অনুযায়ী প্রভাবমুক্ত এবং স্বাধীনভাবে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন সে আস্থা পুনঃস্থাপন ও তার নিশ্চয়তা বিধান করার কথা বলা হয়েছিল। তিন জোটের প্রতিশ্রুত সিদ্ধান্তের কারণেই ডকট্রিন অব নেসেসিটিকে প্রাধান্য দিয়ে উ™ূ¢ত পরিস্থিতি সামাল দিতে সংবিধানের বাইরে গিয়ে জাতির প্রয়োজনে প্রধান বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদকে রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব ন্যস্ত করা হয়। তিনি জাতিকে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দিয়ে একাদশ সংশোধনের মাধ্যমে স্বপদে ফেরত যান।

পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৯১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি, প্রধান নির্বাচন কমিশনার বিচারপতি আবদুর রউফের (২৫ ডিসেম্বর, ১৯৯০-১৮ এপ্রিল, ১৯৯৫) অধীনে। আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ প্রায় সব রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করে। মোট ২১টি রাজনৈতিক দল এতে অংশ নেয়। নির্বাচনে বিএনপি ১৪০ আসন পেয়ে জয়লাভ করে এবং সরকার গঠন করে। এ ছাড়া আওয়ামী লীগ ৮৮, জাতীয় পার্টি ৩৫, জামায়াতে ইসলামী ১৮, বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ-বাকশাল ৫, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ-সিরাজ ১, ইসলামী ঐক্যজোট ১, সিপিবি ৫, ওয়ার্কার্স পার্টি ১, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এনডিপি ১, গণতন্ত্রী পার্টি ১, ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-ন্যাপ ১ এবং অন্যান্য দল ৩টি আসন লাভ করে। মোট ভোট গৃহীত হয়েছিল ৫৫.৪%। তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার দাবিতে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে জাতীয় পার্টি, জামায়াতে ইসলামীসহ অন্যান্য দল টানা ৯৬ ঘণ্টা হরতালসহ মোট ১৭৩ দিন হরতাল পালন করে।

ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি, প্রধান নির্বাচন কমিশনার বিচারপতি এ কে এম সাদেকের (২৭ এপ্রিল, ১৯৯৫-৬ এপ্রিল, ১৯৯৬) অধীনে। নির্বাচনে বিএনপি ২৭৮টি আসনে, ফ্রিডম পার্টি ১টি এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী ১০টি আসনে জয়লাভ করে। বাকি ১১টি আসনে ভোট গ্রহণ গোলযোগের কারণে স্থগিত থাকে। নির্বাচনে ৪৯টি আসনে প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হন। আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, জামায়াতসহ প্রায় সব বিরোধী দল এ নির্বাচন বর্জন করে। মোট ভোট গৃহীত হয়েছিল মাত্র ২১%।

১৯৯৬ সালের ২১ মার্চ ত্রয়োদশ সংশোধনের মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিলটি জাতীয় সংসদে উত্থাপিত হয় এবং ২৬ মার্চ ২৬৮-০ ভোটে বিলটি পাস হয়। সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৯৬ সালের ১২ জুন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ আবু হেনার (৯ এপ্রিল, ১৯৯৬-৮ মে, ২০০০) অধীনে। প্রথমবারের মতো তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান উপদেষ্টা ছিলেন সাবেক প্রধান বিচারপতি মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ১৪৬ আসনে জয়ী হয়ে সরকার গঠন করে। এ ছাড়া বিএনপি ১১৬, জাতীয় পার্টি ৩২, জামায়াতে ইসলামী ৩, ইসলামী ঐক্যজোট ১, জাসদ ১ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ১টি আসনে বিজয়ী হয়।

অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ২০০১ সালের ১ অক্টোবর, প্রধান নির্বাচন কমিশনার এম এ সাঈদের (২৩ মে, ২০০০-২২ মে, ২০০৫) অধীনে। দ্বিতীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ছিলেন সাবেক প্রধান বিচারপতি লতিফুর রহমান। নির্বাচনে বিএনপি ১৯৩ আসনে জয়লাভ করে। এ ছাড়া আওয়ামী লীগ ৬২, জামায়াত ইসলামী ১৭, জাতীয় পার্টি ১৪, বিজেপি ৪, জেপি (মঞ্জু) ১, ইসলামী ঐক্যজোট ২, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ ১ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ৬টি আসনে বিজয়ী হয়। নির্বাচনে ৭৪.৯ ভাগ ভোট পড়ে।

নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর, প্রধান নির্বাচন কমিশনার ড. এ টি এম শামসুল হুদার (৫ ফেব্রুয়ারি, ২০০৭-৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১২) অধীনে। প্রধান উপদেষ্টা ছিলেন ১/১১-এর সেনাসমর্থিত, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. ফখরুদ্দীন আহমদ। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ২৩০ আসনে জয়লাভ করে। এ ছাড়া বিএনপি ৩০, জাতীয় পার্টি ২৭, জাসদ ৩, জামায়াতে ইসলামী ২, ওয়ার্কার্স পার্টি ২, বিজেপি ১, এলডিপি ১ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ৪ আসনে জয়লাভ করে। নির্বাচনে ৮৬.২৯ ভাগ ভোট পড়ে।

২০১১ সালের ৩০ জুন, পঞ্চদশ সংশোধনের মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বিলুপ্ত করা হয়। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি, প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দীন আহমদের (৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১২-৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭) অধীনে। এ নির্বাচনে ৩০০ আসনের মধ্যে ১৫৩টিতে প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। বাকি ১৪৭ আসনে নির্বাচন হয়। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মোট ২৩৪, জাতীয় পার্টি ৩৪, ওয়ার্কার্স পার্টি ৬, জাসদ ৫, জাতীয় পার্টি (জেপি) ২, তরিকত ফেডারেশন ২, বিএনএফ ১, স্বতন্ত্র প্রার্থী ১৬টি আসনে জয়লাভ করে। ভোটার উপস্থিতি ৪০.৫৬ শতাংশ দেখানো হয়েছে। প্রধান বিরোধী দল বিএনপিসহ অধিকাংশ রাজনৈতিক দল এ নির্বাচন বর্জন করে।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর, প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদার (১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭-চলমান) অধীনে। এ নির্বাচনে ৩০০ আসনের মধ্যে ১টি আসনের একজন প্রার্থী মারা যাওয়ায় ২৯৯ আসনে নির্বাচন হয়। অন্য ১টি আসনের ফল স্থগিত থাকায় বাকি ২৯৮ আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগ ২৫৯টিতে জয়লাভ করে। এ ছাড়া জাতীয় পার্টি লাঙ্গল প্রতীকে ২০, বিএনপি ৫ ও গণফোরাম ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে ২টি আসনে বিজয়ী হয়। নৌকা প্রতীক নিয়ে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি ৩, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ ২, বিকল্পধারা বাংলাদেশ ২, জাতীয় পার্টি (জেপি) ১, তরিকত ফেডারেশন ১টি আসনে জয়লাভ করে। এ ছাড়া ৩টি আসনে জয় পেয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। নির্বাচন কমিশনের মতে মোট ভোট পড়ে ৮০ শতাংশের মতো।

বিশ্বজুড়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ছায়া অনেক দেশেই অস্থায়ী ভিত্তিতে ভূমিকা রাখে। গণতন্ত্রের ভাবনার সঙ্গে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার সম্পর্ক রয়েছে। কানাডা ও অস্ট্রেলিয়ার মতো কমনওয়েলথভুক্ত আরও কয়েকটি দেশে নির্বাচন-পূর্ববর্তী ক্ষমতাসীন সরকার আপনা-আপনি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের রূপান্তরের রেওয়াজ গড়ে উঠেছে। মূলত নির্বাচন প্রক্রিয়ায় ক্ষমতাসীনদের ক্ষমতার অপব্যবহারে সৃষ্ট অনাস্থার প্রাতিষ্ঠানিকীকরণই হলো ছায়া সরকার বা নির্বাচনী সরকার বা তত্ত্বাবধায়ক সরকার। এটি সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হতে পারে না। কারণ সংবিধানে সুস্পষ্টভাবে গণতান্ত্রিক সরকার গঠনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। সে ক্ষেত্রে সংসদ সদস্যদের ভোটে তত্ত্বাবধায়ক সরকার আইন গণতন্ত্রের স্বার্থেই। পঞ্চদশ সংশোধনে তত্ত্বাবধায়ক সরকার আইনটি বিলুপ্ত না করে তার সাংঘর্ষিক উপধারাগুলো সংশোধন করা হলে এই ভোটারবিহীন বিতর্কিত নির্বাচনের অবতারণা হতো না।

প্রশ্ন আসে, নির্বাচন কমিশন ঢেলে সাজানোই কি সমাধান? তাহলে কথা থেকে যায়, বিএনপি করল না কেন? অন্যদিকে যদিও জামায়াতের উত্থাপিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের স্বত্বাধিকারী দাবিদার আওয়ামী লীগ, তারা এ যাবৎ প্রায় ২৩ বছর ক্ষমতায় রয়েছে। তারা যদি নিষ্ঠার সঙ্গে মনে করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম করে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র পেয়েছে তাহলে তাদের দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনকে সক্রিয় করা। এ ক্ষেত্রে বলা বাহুল্য, এ সরকার যদি সত্যিই সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে চায় তাহলে আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন তৈরি করত না। সংবিধানে সার্চ কমিটির অস্তিত্ব না থাকা সত্ত্বেও ২০১২ ও ২০১৭ সালে দুবার সার্চ কমিটি দ্বারা বাছাইকৃত নির্বাচন কমিশনের যোগ্যতা ও অযোগ্যতা দশম ও একাদশ সংসদ নির্বাচনে প্রতীয়মান হয়েছে। তা ছাড়া সংবিধানের ১১৮ থেকে ১২৬ অনুচ্ছেদ পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনকে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য ক্ষমতায়ন করা হয়েছে। তাহলে কমিশনের ব্যর্থতার কারণ কী?

১৯৯১ সালে পঞ্চম সংসদ নির্বাচনে রাষ্ট্রের নির্বাহী দায়িত্ব ডকট্রিন অব নেসেসিটির কারণে প্রধান বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদকে দেওয়া হয়। তিন জোটের রূপরেখায় জাতীয় পার্টি ছাড়া সবাই সুষ্ঠু নির্বাচন প্রত্যাশী ছিল। আজকের প্রেক্ষাপটে তিন জোট দুই শিবিরে বিভক্ত। ক্ষমতার বলয়ে অর্থাৎ রিংয়ের ভিতরে ও রিংয়ের বাইরে। পরবর্তীতে সপ্তম ও অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছিল। এ ক্ষেত্রে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নিরপেক্ষ ভূমিকার কারণে নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু নির্বাচন পরিচালনায় সক্ষম হয়েছিল। আবারও দলীয় সরকারের অধীনে দশম (৫ জানুয়ারি, ২০১৪) ও একাদশ (৩০ ডিসেম্বর, ২০১৮) নির্বাচনে আগের মতোই ক্ষমতাসীনরা পুনরায় নির্বাচিত হয়। এ ক্ষেত্রে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া শুধু নির্বাচন কমিশনকে সাংবিধানিকভাবে আরও ক্ষমতায়ন করেও সম্ভব নয়। কমিশনের মনোনীত ব্যক্তিরা কোনো না কোনোভাবে সরকারের আজ্ঞাবহ হয়ে থাকেন। এ ক্ষেত্রে পাশের দেশের সঙ্গে তুলনা করে লাভ নেই। আমাদের দেশে ভারতের প্রধান নির্বাচন কমিশনার টি এন সেশানের মতো প্রফেশনাল আমলা নেই। সরকারের ভাব দেখে মনে হচ্ছে তারা আবারও সার্চ কমিটির দিকেই অগ্রসর হচ্ছে। অন্যদিকে দলীয় সরকারের অধীনেই নির্বাচন হতে হবে, সরকার জাতীয়ভাবে আশ্বাস দিচ্ছে সুষ্ঠু নির্বাচন হবেই।  অন্যদিকে মৌলিক গণতন্ত্র প্রতিফলন ঘটে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের মধ্য দিয়ে। আমাদের দেশে ভোটাধিকারের সংস্কৃতি গড়ে উঠেছিল স্থানীয় সরকার নির্বাচনের মধ্য দিয়ে। দলীয়করণের প্রতিযোগিতা প্রান্তিক জনগণের মধ্যে ছিল না। অপ্রিয় হলেও সত্য, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দের কারণে প্রধান বিরোধী দলসহ যারা সোৎসাহে স্বতন্ত্র নির্বাচন করে থাকেন, তারাও এই লোক দেখানো নির্বাচন বয়কট করেছেন। অন্যদিকে ক্ষমতাসীন দলের অভ্যন্তরে ‘প্রতীক’ প্রতিযোগিতার যুদ্ধ শুরু হয়েছে। যিনি প্রতীক পাবেন তিনি নিজেকে মনোনীত ভেবে দলীয় বিদ্রোহী প্রার্থীর সঙ্গে অসম প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হন। উদাহরণস্বরূপ : মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান দুটি দল রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাটিক। এরা আন্তদলীয় কাউন্সিলরদের ভোটে প্রাইমারি ইলেকশনের মাধ্যমে চূড়ান্তভাবে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী মনোনীত করেন, পরে তিনিই জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেন। ঠিক তেমনিভাবে যিনি নৌকা প্রতীক পাবেন তিনিই চূড়ান্ত নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন এবং ধরে নেন তিনিই নির্বাচিত। দলীয় বিদ্রোহী প্রার্থী থাকলে দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে প্রথা অনুযায়ী তাকে বহিষ্কার করা হয়। কিন্তু আজকের স্থানীয় সরকার নির্বাচনে তার কোনো প্রতিচ্ছবি নেই। সে কারণেই আপেক্ষিকভাবে আওয়ামী লীগই এ নির্বাচনী দাঙ্গাকে উৎসাহিত করছে। এটি গণতন্ত্রের এক নতুন উপাখ্যান (আওয়ামী লীগ বনাম আওয়ামী লীগ)। ফলে এবারের স্থানীয় সরকার নির্বাচনে হতাহতের মাত্রা সীমাহীন। অন্যদিকে নির্বাচন কমিশনকে সংবিধান অনুযায়ী সার্বিক সহযোগিতার পরও অনিয়ন্ত্রিত। এ ব্যর্থতার দায় নির্বাচন কমিশনকেই নিতে হবে।

বিগত নির্বাচনগুলো বিশ্লেষণে প্রতীয়মান হয়, ‘নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার’ ছাড়া কেবল নির্বাচন কমিশনের দ্বারা এককভাবে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্পন্ন করা অলীক কল্পনা মাত্র। যদিও বিগত ৫০ বছরেও সংবিধানের ১১৮(১) অনুযায়ী ‘কোনো আইনের বিধানাবলি-সাপেক্ষে রাষ্ট্রপতি প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারকে নিয়োগ দান করিবেন’ তার জন্য নতুন আইন প্রণয়ন হলেও সুষ্ঠু নির্বাচন আদৌ সম্ভব নয়। এ ক্ষেত্রে বাপুরাম সাপুড়ের মতো, দন্তহীন, আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন সার্চ কমিটির মাধ্যমে পুনরায় নিয়োগ দান মানে গণতন্ত্রের সঙ্গে তামাশা। এ ক্ষেত্রে শুধু নির্বাচন কমিশন সংস্কার করা আর ‘আঁধার ঘরে গণতন্ত্র নামক কালো বিড়াল খোঁজা’, একই কথা!...

লেখক : সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী।

 

বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ

এই বিভাগের আরও খবর
ব্যবসা-বিনিয়োগে লাল বাতি
ব্যবসা-বিনিয়োগে লাল বাতি
একটি বন্য ছাগলের আত্মকথা
একটি বন্য ছাগলের আত্মকথা
কৃষি সমবায়ের সাফল্যগাথা ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা
কৃষি সমবায়ের সাফল্যগাথা ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা
বিনিয়োগের জন্য রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা প্রয়োজন
বিনিয়োগের জন্য রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা প্রয়োজন
হাসিনার সর্বোচ্চ শাস্তি চায় জাতি
হাসিনার সর্বোচ্চ শাস্তি চায় জাতি
আমাদের বিজ্ঞ রাজনীতিবিদদের সমস্যা!
আমাদের বিজ্ঞ রাজনীতিবিদদের সমস্যা!
ধূসর হয়ে পড়েছে যে স্বপ্ন
ধূসর হয়ে পড়েছে যে স্বপ্ন
সিসিফাসের পাথর ও রাজনৈতিক বাস্তবতা
সিসিফাসের পাথর ও রাজনৈতিক বাস্তবতা
ঐকমত্য কমিশনের নিরপেক্ষতা ভীষণভাবে নষ্ট হয়েছে
ঐকমত্য কমিশনের নিরপেক্ষতা ভীষণভাবে নষ্ট হয়েছে
রাজনীতির বিবর্তন! বানর থেকে বিজ্ঞানী
রাজনীতির বিবর্তন! বানর থেকে বিজ্ঞানী
কদাকার বিষোদ্‌গার : ছাড় নেই সেনাবাহিনীরও
কদাকার বিষোদ্‌গার : ছাড় নেই সেনাবাহিনীরও
আগামীর রাষ্ট্রনায়কের প্রতি তারুণ্যের আস্থা
আগামীর রাষ্ট্রনায়কের প্রতি তারুণ্যের আস্থা
সর্বশেষ খবর
৯১ আসনে প্রার্থী ঘোষণা গণসংহতি আন্দোলনের
৯১ আসনে প্রার্থী ঘোষণা গণসংহতি আন্দোলনের

এই মাত্র | রাজনীতি

২০৩০ সালে অবসরে যাবে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন
২০৩০ সালে অবসরে যাবে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন

৬ মিনিট আগে | বিজ্ঞান

বিএনপি অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর থেকে বেশ এগিয়ে: জিল্লুর রহমান
বিএনপি অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর থেকে বেশ এগিয়ে: জিল্লুর রহমান

৭ মিনিট আগে | রাজনীতি

তারেকের অনশনে রাজনৈতিক দলের নেতাদের সংহতি
তারেকের অনশনে রাজনৈতিক দলের নেতাদের সংহতি

৯ মিনিট আগে | রাজনীতি

গাজীপুরে আগুনে পুড়ল ৭ ঝুট গুদাম
গাজীপুরে আগুনে পুড়ল ৭ ঝুট গুদাম

১২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

আদর্শিক জায়গা থেকে সমঝোতা বা জোট হতে পারে: নাহিদ ইসলাম
আদর্শিক জায়গা থেকে সমঝোতা বা জোট হতে পারে: নাহিদ ইসলাম

১৫ মিনিট আগে | রাজনীতি

ঝিনাইদহে পিকআপের ধাক্কায় নিহত ১
ঝিনাইদহে পিকআপের ধাক্কায় নিহত ১

২২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

নোয়াখালীতে ট্রাকচাপায় নিহতের ঘটনায় মামলা
নোয়াখালীতে ট্রাকচাপায় নিহতের ঘটনায় মামলা

৩৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

শব্দের চেয়ে তিনগুণ গতির পারমাণবিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র বানাচ্ছে রাশিয়া
শব্দের চেয়ে তিনগুণ গতির পারমাণবিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র বানাচ্ছে রাশিয়া

৩৪ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সন্ধ্যার মধ্যে যেসব জেলায় ঝড়ের আভাস
সন্ধ্যার মধ্যে যেসব জেলায় ঝড়ের আভাস

৩৭ মিনিট আগে | জাতীয়

খসড়া টেলিযোগাযোগ অধ্যাদেশে ওটিটি ও সামাজিক মাধ্যম নিয়ন্ত্রণের বিধান
খসড়া টেলিযোগাযোগ অধ্যাদেশে ওটিটি ও সামাজিক মাধ্যম নিয়ন্ত্রণের বিধান

৪৬ মিনিট আগে | জাতীয়

'দীপিকা আছে ভালোবাসা তো থাকতেই হবে'
'দীপিকা আছে ভালোবাসা তো থাকতেই হবে'

৪৭ মিনিট আগে | শোবিজ

মালদ্বীপে প্রবাসীদের জন্য এনআইডি নিবন্ধন কার্যক্রমে মতবিনিময় সভা
মালদ্বীপে প্রবাসীদের জন্য এনআইডি নিবন্ধন কার্যক্রমে মতবিনিময় সভা

৫২ মিনিট আগে | পরবাস

যুক্তরাষ্ট্রে মেয়র-গভর্নর নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটদের জয়জয়কার, চ্যালেঞ্জের মুখে ট্রাম্প
যুক্তরাষ্ট্রে মেয়র-গভর্নর নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটদের জয়জয়কার, চ্যালেঞ্জের মুখে ট্রাম্প

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দুর্গাপুর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ঝুমাসহ গ্রেফতার ৭
দুর্গাপুর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ঝুমাসহ গ্রেফতার ৭

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

পাঁচ ইসলামিক ব্যাংক একীভূত হয়ে গঠিত হচ্ছে ‘সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক’
পাঁচ ইসলামিক ব্যাংক একীভূত হয়ে গঠিত হচ্ছে ‘সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক’

১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

আজ বিশ্ব সুনামি সচেতনতা দিবস
আজ বিশ্ব সুনামি সচেতনতা দিবস

১ ঘণ্টা আগে | প্রকৃতি ও পরিবেশ

শব্দদূষণ রোধে ভোলায় বসুন্ধরা শুভসংঘের সচেতনতামূলক কর্মসূচি
শব্দদূষণ রোধে ভোলায় বসুন্ধরা শুভসংঘের সচেতনতামূলক কর্মসূচি

১ ঘণ্টা আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

বিজয়ী বক্তব্যে যা বললেন জোহরান মামদানি
বিজয়ী বক্তব্যে যা বললেন জোহরান মামদানি

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কুয়াকাটায় রাস ভক্তদের গঙ্গাস্নান
কুয়াকাটায় রাস ভক্তদের গঙ্গাস্নান

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নিউ জার্সির গভর্নর হলেন মিকি শেরিল
নিউ জার্সির গভর্নর হলেন মিকি শেরিল

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কক্সবাজারে সড়ক দুর্ঘটনায় এক পরিবারের পাঁচজন নিহত
কক্সবাজারে সড়ক দুর্ঘটনায় এক পরিবারের পাঁচজন নিহত

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নিউইয়র্কের প্রথম মুসলিম মেয়র কে এই মামদানি?
নিউইয়র্কের প্রথম মুসলিম মেয়র কে এই মামদানি?

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মোহাম্মদপুরে পুলিশের বিশেষ অভিযানে ২৬ জন গ্রেফতার
মোহাম্মদপুরে পুলিশের বিশেষ অভিযানে ২৬ জন গ্রেফতার

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

সূচকের মিশ্র প্রবণতায় পুঁজিবাজারে চলছে লেনদেন
সূচকের মিশ্র প্রবণতায় পুঁজিবাজারে চলছে লেনদেন

১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

অন্য দেশের ভিসা আবেদন গ্রহণ করে না জার্মান দূতাবাস
অন্য দেশের ভিসা আবেদন গ্রহণ করে না জার্মান দূতাবাস

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘স্পাইডারম্যান-৪’ সিনেমায় ফিরছে হাল্ক
‘স্পাইডারম্যান-৪’ সিনেমায় ফিরছে হাল্ক

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

অ্যাশেজ সিরিজ : অস্ট্রেলিয়ার স্কোয়াডে চমক ওয়েদারল্ড
অ্যাশেজ সিরিজ : অস্ট্রেলিয়ার স্কোয়াডে চমক ওয়েদারল্ড

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান পাচ্ছে সৌদি আরব?
এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান পাচ্ছে সৌদি আরব?

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

টেকনাফে সাবেক ইউপি সদস্যের মরদেহ উদ্ধার
টেকনাফে সাবেক ইউপি সদস্যের মরদেহ উদ্ধার

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
ইশরাক মনোনয়ন পাওয়ায় যা বললেন নুসরাত
ইশরাক মনোনয়ন পাওয়ায় যা বললেন নুসরাত

২৩ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

মাদারীপুর-১ আসনে কামাল মোল্লার মনোনয়ন স্থগিত
মাদারীপুর-১ আসনে কামাল মোল্লার মনোনয়ন স্থগিত

১৯ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

বিএনপিতে যোগ দিলেন শহীদ মীর মুগ্ধের ভাই স্নিগ্ধ
বিএনপিতে যোগ দিলেন শহীদ মীর মুগ্ধের ভাই স্নিগ্ধ

১৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

মামদানির জয়ে যা বললেন ট্রাম্প
মামদানির জয়ে যা বললেন ট্রাম্প

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নিবন্ধন না পেয়ে আমরণ অনশনে আমজনতার তারেক
নিবন্ধন না পেয়ে আমরণ অনশনে আমজনতার তারেক

২০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

আমরা নির্বাচনে জোট করব না: জামায়াত আমির
আমরা নির্বাচনে জোট করব না: জামায়াত আমির

২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

আমার সৌভাগ্য হবে বেগম জিয়া এবং তারেক রহমানের পাশে সংসদে বসার: হুম্মাম কাদের
আমার সৌভাগ্য হবে বেগম জিয়া এবং তারেক রহমানের পাশে সংসদে বসার: হুম্মাম কাদের

১১ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

নিবন্ধন পেল এনসিপিসহ তিন দল
নিবন্ধন পেল এনসিপিসহ তিন দল

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ৩৭ বন্দিকে মুক্তি দিচ্ছে সরকার
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ৩৭ বন্দিকে মুক্তি দিচ্ছে সরকার

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিসিবি থেকে পদত্যাগ করতে যাচ্ছেন সালাহউদ্দিন
বিসিবি থেকে পদত্যাগ করতে যাচ্ছেন সালাহউদ্দিন

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বিএনপির মনোনয়ন না পেয়ে যা বললেন কনকচাঁপা
বিএনপির মনোনয়ন না পেয়ে যা বললেন কনকচাঁপা

২২ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

উট ও স্বর্ণ থেকে সাম্রাজ্য: দাগোলোর হাতে এখন অর্ধেক সুদান
উট ও স্বর্ণ থেকে সাম্রাজ্য: দাগোলোর হাতে এখন অর্ধেক সুদান

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নিউইয়র্কের মেয়র পদে মামদানির ঐতিহাসিক বিজয়
নিউইয়র্কের মেয়র পদে মামদানির ঐতিহাসিক বিজয়

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আনিসুলের বান্ধবী তৌফিকার আয়কর নথি জব্দের আদেশ
আনিসুলের বান্ধবী তৌফিকার আয়কর নথি জব্দের আদেশ

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শওকত-রনির কোলাকুলি, ধানের শীষকে বিজয়ী করার আহ্বান
শওকত-রনির কোলাকুলি, ধানের শীষকে বিজয়ী করার আহ্বান

১৮ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

শাপলা কলি প্রতীকে নিবন্ধন পেয়েছে এনসিপি: সামান্তা
শাপলা কলি প্রতীকে নিবন্ধন পেয়েছে এনসিপি: সামান্তা

১৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

গাজীপুরে জবাইকৃত ঘোড়ার মাংস জব্দ, জীবিত উদ্ধার ৩৭টি
গাজীপুরে জবাইকৃত ঘোড়ার মাংস জব্দ, জীবিত উদ্ধার ৩৭টি

৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

শিগগিরই আসছে ২৫০০ কোটি টাকার ৭ম বিনিয়োগ সুকুক
শিগগিরই আসছে ২৫০০ কোটি টাকার ৭ম বিনিয়োগ সুকুক

২২ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

৪১ ডেপুটি ও ৬৭ সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল নিয়োগ দিল সরকার
৪১ ডেপুটি ও ৬৭ সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল নিয়োগ দিল সরকার

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জাকির নায়েককে আপাতত বাংলাদেশে আসার অনুমতি না দেওয়ার সিদ্ধান্ত
জাকির নায়েককে আপাতত বাংলাদেশে আসার অনুমতি না দেওয়ার সিদ্ধান্ত

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জুডিসিয়াল সার্ভিস কমিশনে নিয়োগ পেলেন বিচারপতি আহমেদ সোহেল
জুডিসিয়াল সার্ভিস কমিশনে নিয়োগ পেলেন বিচারপতি আহমেদ সোহেল

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

খামেনির ছবি পোড়ানোর পর যুবকের গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার
খামেনির ছবি পোড়ানোর পর যুবকের গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পদোন্নতি পাচ্ছেন এক হাজারের বেশি বিচারক
পদোন্নতি পাচ্ছেন এক হাজারের বেশি বিচারক

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মোহাম্মদপুরে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
মোহাম্মদপুরে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

দেশের বাজারে প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম কত
দেশের বাজারে প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম কত

৪ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

সৌদিতে আরও ১৭ হাজার নারী সংগীত শিক্ষক প্রশিক্ষণ পাচ্ছেন
সৌদিতে আরও ১৭ হাজার নারী সংগীত শিক্ষক প্রশিক্ষণ পাচ্ছেন

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিপিএলে ৫ দল, শুরু ডিসেম্বরের মাঝামাঝিতে
বিপিএলে ৫ দল, শুরু ডিসেম্বরের মাঝামাঝিতে

১৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শরীরচর্চা ও সঙ্গীত শিক্ষক নিয়োগ প্রস্তাব বাতিল প্রসঙ্গে ব্যাখ্যা দিলো সরকার
প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শরীরচর্চা ও সঙ্গীত শিক্ষক নিয়োগ প্রস্তাব বাতিল প্রসঙ্গে ব্যাখ্যা দিলো সরকার

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনার বিচারের রায় আগামী সপ্তাহে: মাহফুজ আলম
শেখ হাসিনার বিচারের রায় আগামী সপ্তাহে: মাহফুজ আলম

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গোপনে পরমাণু পরীক্ষা করার বিষয়ে কি বলছে পাকিস্তান
গোপনে পরমাণু পরীক্ষা করার বিষয়ে কি বলছে পাকিস্তান

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
এখন বিএনপির বাকি আসনের হিসাবনিকাশ
এখন বিএনপির বাকি আসনের হিসাবনিকাশ

প্রথম পৃষ্ঠা

নির্বাচনি উত্তাপে দেশ
নির্বাচনি উত্তাপে দেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

জামায়াতের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা শিগগিরই
জামায়াতের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা শিগগিরই

প্রথম পৃষ্ঠা

এ কেমন স্কুল ভবন!
এ কেমন স্কুল ভবন!

পেছনের পৃষ্ঠা

এটাই আমার শেষ নির্বাচন
এটাই আমার শেষ নির্বাচন

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

সিলিন্ডার দুর্ঘটনার বড় ক্ষতি রোধে উদ্যোগ
সিলিন্ডার দুর্ঘটনার বড় ক্ষতি রোধে উদ্যোগ

নগর জীবন

অঙ্গ দিতে পারবেন ইমোশনাল ডোনার
অঙ্গ দিতে পারবেন ইমোশনাল ডোনার

প্রথম পৃষ্ঠা

অবৈধ সুবিধা দিলেই পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা
অবৈধ সুবিধা দিলেই পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা

পেছনের পৃষ্ঠা

১৮ মাসে এক কোটি চাকরি নিছক বাগ্মিতা নয় সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা
১৮ মাসে এক কোটি চাকরি নিছক বাগ্মিতা নয় সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা

নগর জীবন

এ কী কাণ্ড মাধুরীর
এ কী কাণ্ড মাধুরীর

শোবিজ

কুড়িগ্রামে ভাওয়াইয়ার সুরে মায়াভরা ইত্যাদি
কুড়িগ্রামে ভাওয়াইয়ার সুরে মায়াভরা ইত্যাদি

শোবিজ

জলবায়ু তহবিলের ২ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ
জলবায়ু তহবিলের ২ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ

প্রথম পৃষ্ঠা

পারিশ্রমিক পেতে ফুটবলারদের তাগাদা
পারিশ্রমিক পেতে ফুটবলারদের তাগাদা

মাঠে ময়দানে

সংকট পিছু ছাড়ছে না সিইউএফএলের
সংকট পিছু ছাড়ছে না সিইউএফএলের

নগর জীবন

১৬ বছর পর আসিফ
১৬ বছর পর আসিফ

শোবিজ

মতের পার্থক্য যেন সংঘাতে রূপ না নেয়
মতের পার্থক্য যেন সংঘাতে রূপ না নেয়

প্রথম পৃষ্ঠা

সংকট নিরসনে চাই ইসলামি অনুশাসন
সংকট নিরসনে চাই ইসলামি অনুশাসন

নগর জীবন

কার্গো কমপ্লেক্সের ভল্ট ভেঙে সাত অস্ত্র চুরি
কার্গো কমপ্লেক্সের ভল্ট ভেঙে সাত অস্ত্র চুরি

প্রথম পৃষ্ঠা

দেশবাসী ইসলামের পক্ষে ঐক্যবদ্ধ
দেশবাসী ইসলামের পক্ষে ঐক্যবদ্ধ

প্রথম পৃষ্ঠা

রূপবানের ভূত চেপেছিল সর্বত্র
রূপবানের ভূত চেপেছিল সর্বত্র

শোবিজ

নির্বাচনে শীর্ষ নেতাদের পেয়ে বগুড়াজুড়ে আনন্দ উৎসব
নির্বাচনে শীর্ষ নেতাদের পেয়ে বগুড়াজুড়ে আনন্দ উৎসব

পেছনের পৃষ্ঠা

২০০ বছরের রাস উৎসবে পুণ্যার্থীর ঢল
২০০ বছরের রাস উৎসবে পুণ্যার্থীর ঢল

দেশগ্রাম

বিএনপিতে যোগ দিলেন শহীদ মীর মুগ্ধের ভাই স্নিগ্ধ
বিএনপিতে যোগ দিলেন শহীদ মীর মুগ্ধের ভাই স্নিগ্ধ

প্রথম পৃষ্ঠা

পোশাক রপ্তানি কমল টানা তিন মাস
পোশাক রপ্তানি কমল টানা তিন মাস

পেছনের পৃষ্ঠা

নিউমার্কেট মোড়ে বিকাল ৪টার আগে হকার বসতে পারবেন না
নিউমার্কেট মোড়ে বিকাল ৪টার আগে হকার বসতে পারবেন না

নগর জীবন

নিবন্ধন পাচ্ছে নতুন তিন দল
নিবন্ধন পাচ্ছে নতুন তিন দল

প্রথম পৃষ্ঠা

রাজশাহীতে পাঁচ পরিবারকে উচ্ছেদের প্রতিবাদে মানববন্ধন
রাজশাহীতে পাঁচ পরিবারকে উচ্ছেদের প্রতিবাদে মানববন্ধন

নগর জীবন

ঐকমত্য কমিশন সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিতে চাচ্ছে
ঐকমত্য কমিশন সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিতে চাচ্ছে

নগর জীবন

আলাপের জন্য আলাপ
আলাপের জন্য আলাপ

রকমারি রম্য