বৃহস্পতিবার, ২৬ জানুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

রোগীর আস্থা ধরে রাখাই মূল লক্ষ্য

মোঃ শাহ জহিরুল ইসলাম, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, লুবানা জেনারেল হাসপাতাল ও কার্ডিয়াক সেন্টার

নিজস্ব প্রতিবেদক

রোগীর আস্থা ধরে রাখাই মূল লক্ষ্য

লুবানা জেনারেল হাসপাতাল ও কার্ডিয়াক সেন্টারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ শাহ জহিরুল ইসলাম বলেন, ২০০৫ সালে রাজধানীর উত্তরায় লুবানা জেনারেল হাসপাতাল ও কার্ডিয়াক সেন্টার যাত্রা শুরু করেছিল। বেসরকারি হাসপাতালে সেবা নিতে গিয়ে রোগীরা নানা ধরনের বিড়ম্বনায় পড়ে। আমাদের লক্ষ্য ছিল রোগীসেবা নিশ্চিত করে কমিশনমুক্ত হাসপাতাল গড়ব। আমরা রোগীদের সেই আস্থা অর্জন করতে পেরেছি।

তিনি বলেন, আমরা পর্যবেক্ষণ করে দেখেছিলাম বেশির ভাগ বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকদের একটা কমিশন দেওয়ার প্রবণতা রয়েছে। আমরা প্রথমেই সেই প্রবণতা বন্ধ করেছি। চিকিৎসক ছাড়াও বিশেষ চক্রের যারা কমিশন নিয়ে রোগী ভর্তি করায়, হাসপাতালে তাদের যাতায়াত বন্ধ করেছি। আমাদের চেষ্টা ছিল ছাড় যদি কিছু দেওয়া যায় সেটা রোগীদের দেব। শুরু থেকেই আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ছিলাম, আমরা সেটা বাস্তবায়ন করেছি। অল্প খরচে ভালো মানের সেবা পাওয়ায় দেশব্যাপী আমাদের সুনাম আছে। ব্যবসায়িকভাবে কতটুকু সফল তা বলতে পারব না, তবে আমরা যে লক্ষ্য নিয়ে শুরু করেছিলাম তা বাস্তবায়ন করতে পেরেছি। বেসরকারি হাসপাতাল সম্পর্কে দেশের মানুষের অনেক অভিযোগ আছে। তবে প্রতিষ্ঠার শুরু থেকেই আমরা অনৈতিক কর্মকান্ড থেকে নিজেদের রক্ষা করে চলার চেষ্টা করেছি। কারণ আমরা সেবায় বিশ্বাস করি। সেজন্যই এ প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। তাই কোনো রোগী এলেই অযাচিত টেস্ট কিংবা অপারেশন বা এমন কোনো চিকিৎসা দেওয়া হয় না। সবকিছু পর্যালোচনা করেই রোগীকে নির্দেশনা দেওয়া হয়। ফলে আমাদের হাসপাতালে রোগীরাই মূল প্রচারের কাজ করেন। রোগীরা সন্তুষ্ট হয়ে ফিরে গিয়ে অন্যদের কাছে সুনাম করেন। তাই বলতে পারি, প্রাতিষ্ঠানিকভাবে আমরা সফল।

 

মোঃ শাহ জহিরুল ইসলাম বলেন, হাসপাতালে ১০০ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, নার্সসহ ৫০০ স্টাফ রয়েছেন। সাধারণ বেড রয়েছে ১০০। এ ছাড়া ১৫টি আইসিইউ শয্যা, ১৫টি সিসিইউ, এইচডিইউ এবং এনআইসিইউ ১০টি করে রয়েছে। ১০ বছর আগেও দেশে তেমন ভালো চিকিৎসাসেবা ছিল না। সরকারি হাসপাতালে থাকলেও অধিক চাপ থাকার কারণে সেটা নিয়েও মানুষ কথা বলে। তাই মূলত বেসরকারি হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা হয়েছে। করোনার সময় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে এখানে করোনা ইউনিট করতে বলেছিল। কিন্তু বিশেষ কারণে তা সম্ভব হয়নি। কেননা একই ক্যাম্পাসে হার্ট ও সাধারণ রোগীর পাশাপাশি করোনার চিকিৎসা ঝুঁকিপূর্ণ। তাই সেই ঝুঁকি নিয়ে আমরা রোগীদের বিপদ বাড়াতে চাইনি। অথচ তখন ব্যবসার একটা মোক্ষম সময় ছিল। কিন্তু আমরা রোগীর সেবাকে গুরুত্ব দিয়েছি। লুবানা জেনারেল হাসপাতাল ও কার্ডিয়াক সেন্টারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরও বলেন, বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাসেবার ক্ষেত্রে সরকারের একটি মানদন্ড তৈরি করা উচিত। এমনকি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা ও সার্বিক ব্যবস্থা পর্যালোচনা করে সেবার মূল্যমান নির্ধারণ করা যেতে পারে। তবে সে ক্ষেত্রে বিদেশি রিএজেন্ট আমদানিকারকদের সঙ্গে আগে দাম নির্ধারণ করতে হবে। কেননা তারা যদি দাম না কমায়, তবে সরকারের দেওয়া নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা চিকিৎসা দিয়ে টিকে থাকতে পারব না।

সর্বশেষ খবর