বৃহস্পতিবার, ২৬ জানুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

স্বল্প খরচে মানসম্পন্ন সেবা

মোঃ লোকমান হোসেন, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, আলোক হেলথকেয়ার লিমিটেড

নিজস্ব প্রতিবেদক

স্বল্প খরচে মানসম্পন্ন সেবা

আলোক হেলথকেয়ার লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ লোকমান হোসেন বলেছেন, বেসরকারি হাসপাতালের খরচ ও সেবার মান নিয়ে মানুষের মধ্যে নানা শঙ্কা কাজ করে। আমরা দুটো বিষয়ে নজর রেখে স্বল্প খরচে মানুষের জন্য মানসম্পন্ন সেবা নিশ্চিত করেছি। আমাদের রয়েছে দক্ষ চিকিৎসক, নার্স এবং অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি। বিশ্বমানের হাসপাতাল গড়ে তোলার স্বপ্ন নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে আলোক হেলথকেয়ার।

হাসপাতালের জন্মলগ্নের কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, দীর্ঘ ২৭ বছরের অধিক সময় ধরে আলোক হেলথকেয়ার অত্যন্ত সুনামের সঙ্গে উন্নত ও মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করে দেশবাসীর আস্থা অর্জন করেছে। সবার সার্বিক সহযোগিতায় আলোক আজ দেশের স্বাস্থ্য খাতে অনন্য এক উচ্চতায় পৌঁছেছে। আমাদের দেশে দক্ষ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, মানসম্মত পরীক্ষা-নিরীক্ষা, উন্নত হাসপাতাল এবং ওষুধের কোনো ঘাটতি নেই। আমরা যদি আন্তরিকভাবে চেষ্টা করি এবং রোগীদের প্রতি মানবিক হই তাহলে দেশেই মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া সম্ভব। এভাবে স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলো সব শ্রেণি-পেশার মানুষের আস্থা অর্জন করতে পারবে। রাজধানীর মিরপুর-১০-এ প্রথম শাখা খোলা হয় আলোক হেলথকেয়ারের। মানুষের সেবাসন্তুষ্টিতে আলোক হেলথকেয়ার এখন ছয়টি শাখা থেকে মানুষকে নিরবচ্ছিন্ন সেবা দিয়ে যাচ্ছে। আমাদের অন্য শাখাগুলো মিরপুর-১, পল্লবী, কচুক্ষেত, মহাখালী (সাহিক) এবং টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে রয়েছে। প্রতিষ্ঠার শুরু থেকেই আমরা রোগীদের যথাযথ স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে কাজ করে যাচ্ছি। সব শ্রেণি-পেশার মানুষের কথা চিন্তা করে এ হাসপাতালে আমরা চিকিৎসাসেবা রেখেছি। হতদরিদ্র, দুস্থ ও অসহায় রোগীদের জন্য এখানে ১০ টাকায় স্বাস্থ্যসেবার ব্যবস্থা আছে। ৩০ টাকায় ডায়াবেটিস, আউটডোরে রোগী দেখানো যায় এবং ২০০ টাকা ফিতে সকাল ৯টা থেকে ৫টা পর্র্যন্ত বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দেখানোর ব্যবস্থা রয়েছে।

আলোকের ছয়টি কনসালটেশন ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে দুই শর বেশি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নিয়মিত রোগী দেখছেন। ঢাকায় (মিরপুরে) ১০০ শয্যার মাল্টি ডিসিপ্লিনারি আলোক হাসপাতাল বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দ্বারা আইসিইউ, এইচডিইউ, ডায়ালাইসিস, জরুরি বিভাগ, সার্বক্ষণিক অপারেশন, ফার্মেসি-মেডিসিনসহ সব ধরনের সেবা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। অচিরেই যুক্ত হচ্ছে নিঃসন্তান দম্পতির জন্য আইভিএফ সেন্টার, ব্যথামুক্ত নরমাল ডেলিভারি, এনআইসিইউ, পিআইসিইউসহ ৮০ শয্যার আলোক ‘মাদার্স এন্ড চাইল্ড কেয়ার হাসপাতাল’। হাসপাতালে সেবার বিষয়ে ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ লোকমান হোসেন বলেন, স্বাধীনতা দিবসসহ দেশের বিশেষ দিনে আমরা ফ্রি ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে থাকি। এই হেলথকেয়ারে প্রায় ১১০০ চিকিৎসক, নার্স ও কর্মচারী রয়েছেন। এখানে প্যাথলজি, গাইনি, হৃদরোগসহ বিভিন্ন জটিল রোগের সেবা দিতে ৭০ জন চিকিৎসক রয়েছেন। যাঁরা বিভিন্ন শাখায় সেবা দেন। এখানে বিশ্বমানের ভিটামিন D3 পরীক্ষা হয়। আগে এ টেস্টের জন্য নমুনা নিয়ে বিদেশে পাঠাতে হতো। এখন এসব রোগী আমাদের হাসপাতালে আসছে। দিনে প্রায় ২০০ ভিটামিন D3 টেস্ট করা সম্ভব এ হাসপাতালের প্যাথলজিতে।

এ ছাড়া কিডনি, ক্যান্সার এবং থ্যালাসেমিয়া রোগীদের রক্তের জটিল পরীক্ষাও এ হাসপাতালে করা হচ্ছে। বিশ্বমানের হাসপাতাল গড়তে উন্নত দেশে ব্যবহৃত সব ধরনের যন্ত্রপাতি আমরা সন্নিবেশের চেষ্ট চালিয়ে যাচ্ছি। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ এখন সন্তান জন্মদানে সিজারিয়ান অপারেশনকে নিরুৎসাহ করে স্বাভাবিক প্রসবকে উৎসাহিত করছে। তাই আমরাও এ হাসপাতালে শতভাগ স্বাভাবিক প্রসবের ব্যবস্থা চালু করতে যাচ্ছি। এটাকে আমরা নাম দেব ‘পেইনলেস ডেলিভারি’।

আলোক হেলথকেয়ার লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরও বলেন, এ হাসপাতালে রোগীদের চাহিদাকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়। রোগীদের যথাযথ সেবা দিচ্ছে না- এমন অভিযোগ পেলে সেই কর্মচারীকে এ হাসপাতালে রাখা হয় না। কারণ রোগীরা এখানে টাকা দিয়ে চিকিৎসা নেন। তাই বিষয়টি আমরা গুরুত্বের সঙ্গে দেখি। হাসপাতাল একটি জটিল জায়গা। তাই প্রতিনিয়ত নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হয়। আমাদের কিছুটা জায়গা সংকট রয়েছে। কেননা আমরা যেভাবে সেবা দিতে চাই, তার জন্য আরও বেশি জায়গার ওপর অবকাঠামো নির্মাণের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। তবে আশা করি দ্রুতই এ সমস্যা কাটিয়ে উঠতে পারব। আমার স্বপ্ন এ হাসপাতালে যুগ যুগ ধরে মানুষ সেবা নেবে। এ হাসপাতালকে বিশ্বমানের সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।

সর্বশেষ খবর