রেস্টুরেন্টের ব্যবসায় সফলতা ছিনিয়ে এনে ওমান প্রবাসীদের তাক লাগিয়ে দিয়েছেন দোয়াই বাড়ি গ্রামের এইচ.এম. ইসমাঈল হোসাইন।
ক্বারী মাওঃ শেখ ফরিদ উদ্দিনের বড় ছেলের ছোট বেলা থেকেই ইচ্ছে ছিলো একদিন আকাশ ছোঁবেন; বাস্তবে করেছেনও তাই। ভাগ্য বদলের আশায় ওমানে পাড়ি জমান প্রায় পাঁচ বছর আগে, অন্যদের থেকে একটু ভিন্নভাবেই তার কর্মজীবন শুরু। নিজের পাশাপাশি তার প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠানে কাজ করার সুযোগ পেয়েছেন বেশ কিছু বাংলাদেশি শ্রমিক।
মধ্যপ্রাচ্যের তেল সমৃদ্ধ দেশ ওমান। দেশটিতে ইতিমধ্যেই বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা বেশ সফলতার সাথে ব্যবসা পরিচালনা করে সুনাম অর্জন করেছেন। প্রায় আট লাখ বাংলাদেশি শ্রমিক রয়েছে দেশটিতে। ব্যবসায় যুক্ত আছেন এমন লোকের সংখ্যা খুব একটা বেশি নয়। উল্লেখযোগ্য সংখ্যক প্রবাসী নির্মাণশিল্প ও ছোটখাটো চাকুরীর সাথে জড়িত ।
ওমানে ইসমাইলের কর্মজীবন শুরু হয় মাস্কাট কলেজের একজন কেয়ারটেকার হিসেবে। তিনি মনে করেন চাকরিতে হতাশা সৃষ্টি হয় আর নিজের স্বাধিনতায়ও আঘাত আসে; এ কারণেই চাকুরী ছেড়ে ব্যবসা করার সিদ্ধান্ত নেন তিনি এবং সফলও হন।
সর্বশেষ নতুন একটি রেস্টুরেন্ট আল হেইল শাখার শুভ উদ্ভোধন করেন জমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কমিউনিটির সর্বস্তরের মানুষের উপস্থিতি ছিলো লক্ষণীয়। এসময় স্থানীয় ওমানিরাও উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশীদের এমন সফলতায় মুগ্ধ ওমানিরাও।
কমিউনিটি নেতাদের মধ্যে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সোস্যাল ক্লাবের সভাপতি সিরাজুল হক, সেক্রেটারি এমএন আমিন এবং ক্লাবটির সাবেক সভাপতি শফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া ও সহ-সভাপতি আজিমুল হক বাবুল।
অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় ওমানি এবং রেস্টুরেন্টটির স্পন্সর। বাংলাদেশিদের এমন সফলতায় খুশি ওমানিরাও।
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ
