কানাডায় বুয়েট অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে গত শনিবার ঞলিং ভ্যালি ক্যাম্পগ্রাউন্ডে বার্ষিক বনভোজন সম্পন্ন হয়েছে। উক্ত বনভোজনে বুয়েট থেকে পাস করা প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রীরা পরিবারসহ অংশগ্রহণ করে। ক্যালগেরি শহর থেকে প্রায় ১৭০ কিলোমিটার দূরে মনোরম পরিবেশে লেকে ঘেরা প্রাকৃতিক পরিবেশে প্রাণের মেলায় পরিবার-পরিজন নিয়ে প্রবাসী বাঙালিরা মেতে উঠেছিল আনন্দ আয়োজনে।
সারাদিন এই বার্ষিক বনভোজনে বিভিন্ন খেলাধুলার পাশাপাশি বাঙালির চিরাচরিত আড্ডা শিশু-কিশোরদের পদচারণা আর অতীত স্মৃতি রোমন্থন... সব কিছু মিলে যেন এক খণ্ড বাংলাদেশে রূপান্তরিত হয় এই মিলনমেলা।
উল্লেখ্য, বৈশ্বিক করোনা মহামারীর প্রকোপ গত দু’বছরে সারাবিশ্বকে যেমনি বিপর্যস্ত করেছে তেমনি ভাবে অজানা এই শত্রুর আক্রমণে অনেকেই হারিয়েছে তাদের প্রাণপ্রিয় স্বজনদের। কোয়ারেন্টাইন আর আবদ্ধ ঘরে থাকতে থাকতে মানুষ একঘেয়েমি জীবন থেকে বেরিয়ে আসতে চেয়েও তা পারেনি।
তবে কানাডায় ভ্যাকসিনের তৎপরতা আর কানাডা সরকারের আন্তরিকতা, বিভিন্ন প্রদেশের প্রধানদের বলিষ্ঠ পদক্ষেপ আর নাগরিকদের সহযোগিতায় কানাডায় বিধিনিষেধ এখন অনেকটাই শিথিল। যদিও গতমাস থেকেই কানাডার আলবার্টা প্রদেশে বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়েছে।
বুয়েট অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শুকরুজ্জামান তুহিন বলেন, গত দুই বছর পর মনে হলো আমরা সবাই যেন আবার স্বাভাবিক জীবন ফিরে পেলাম। নতুন প্রজন্মের মাঝে আবহমান বাংলার ইতিহাস ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে তুলে ধরাই ছিল আমাদের মূল উদ্দেশ্য। আর সেই লক্ষ্যেই আমরা বিভিন্ন কার্যক্রমের আওতায় কাজ করে যাচ্ছি। আশা করছি আমরা এভাবেই আনন্দের মধ্য দিয়ে যেন আমাদের বাকিটা সময় কাটিয়ে উঠতে পারি।
উল্লেখ্য, প্রবাসী প্রকৌলীদের উন্নয়ন এবং নতুন আসা অভিবাসীদের চাকরির ক্ষেত্রে সহযোগিতা ও ভবিষ্যতে নিজেদের উন্নয়নের পাশাপাশি কিভাবে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি উন্নয়নে ভূমিকা রাখা যায় তার দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে বুয়েট অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন কাজ করে যাচ্ছে।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক