বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল, নিউইয়র্কে বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার সাথে বাংলা নববর্ষ, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এবং জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্মবার্ষিকী উদযাপন করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে জাতিসংঘে বালাদেশের রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধি রাবাব ফাতেমা, ইতালিতে বাংলাদেশের রাষ্টদূত মো. শামীম আহসান, নিউইয়র্ক স্টেট সিনেটর জন ল্যু, নিউইয়র্কে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের কনসাল জেনারেল ও কূটনীতিকবৃন্দ, বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ, নিউইয়র্কে বাংলাদেশ কমিউনিটির সামাজিক, রাজনৈতিক, ব্যবসায়িক এবং কমিউনিটির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। দিবসটি উপলক্ষে কনস্যুলেট জেনারেলকে দেশীয় ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির আলোকে সজ্জিত করা হয়।
কনসাল জেনারেল ড. মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম শুরুতে সবাইকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানান এবং পহেলা বৈশাখকে বাঙালির প্রাণের উৎসব বলে অভিহিত করেন। তিনি যোগ করেন, ইউনেস্কো কর্তৃক পহেলা বৈশাখের মঙ্গল শোভাযাত্রাকে ‘Intangible Cultural Heritage of Humanity’ বলে স্বীকৃতি প্রদান করায় এটি দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বৈশ্বিক উৎসবের রূপ নিয়েছে।
কনসাল জেনারেল তার বক্তব্যে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও কাজী নজরুল ইসলামকে বাংলাদেশ তথা বিশ্ব সাহিত্যের অমূল্য সম্পদ বলে উল্লেখ করেন এবং বলেন, বাংলা ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতির উন্নয়ন ও বিকাশে তাদের অবদান চিরস্মরণীয়। কনসাল জেনারেল পহেলা বৈশাখের অন্তর্নিহিত তাৎপর্য এবং রবীন্দ্র-নজরুলের চিন্তা চেতনা ও দর্শন বিশ্ব শান্তি, সাম্য-ঐক্য প্রতিষ্ঠায় বর্তমান বিশ্ব বাস্তবতায় অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক ও কার্যকরী বলে অভিমত ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দেশাত্মবোধক গান, রবীন্দ্র সংগীত, নজরুল গীতি, গ্রাম-বাংলার লোকজ গান ও নৃত্য পরিবেশনের মাধ্যমে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের খ্যাতনামা শিল্পী একুশে পদকপ্রাপ্ত রথীন্দ্রনাথ রায় ও শহিদ হাসান-এর দরদী কণ্ঠের পরিবেশনায় কনস্যুলেটে এক মনোরম আবহ তৈরি হয়। নিউইয়র্কের খ্যাতনামা সাংস্কৃতিক সংগঠন অনুপ কুমার ড্যান্স একাডেমি (আড্ডা) এবং বিপা তাদের নৃত্য ও সঙ্গীতের মাধ্যমে উপস্থিত অতিথিদের মুগ্ধ করে।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা