শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শুক্রবার, ০৩ জুন, ২০১৬

হান ক্যাঙ-এর নিরামিষাশী

ভূমিকা ও অনুবাদ : আন্দালিব রাশদী
Not defined
প্রিন্ট ভার্সন
হান ক্যাঙ-এর নিরামিষাশী

[ইংরেজি সাহিত্যের যে মান বুকার পুরস্কার তা ছাপিয়ে বৈশ্বিক সাহিত্য পুরস্কার হয়ে উঠেছে মান বুকার ইন্টারন্যাশনাল প্রাণজ। সে ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতা হচ্ছে ফিকশনটি ইংরেজি কিংবা ইংরেজিতে অনূদিত হতে হবে। অনূদিত হলে লেখকের সঙ্গে অনুবাদকও পুরস্কৃত হন। ২০১৬ তে এসে ক্ষেত্রটি এখন ইংরেজিতে অনূদিত গ্রন্থে সীমিত হয়েছে। পুরস্কারের প্রতিযোগিতায় কারা থাকছেন সে দিকটাতে চোখ দিলেই এটি পুরস্কার হিসেবে কত গুরুত্বপূর্ণ তা স্পষ্ট হয়ে ওঠে।

প্রথমবার পুরস্কার দেওয়া হয় ২০০৫ সালে। সে বছরের নমিনিদের মধ্যে দিলেও গ্যাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেজ, গুন্টার গ্রাস, সলবেলো,  নাগিব মাহফুজ, কেনজাবুরো ওয়ে, ডোরিস লেসিং, মার্গারেট অটউড, মিলান কুন্ডেরা, আয়ান ম্যাকইডয়ান,  ইসমাইল কাদারে, ফিলিপ রোথ, সিচথিয়া ওজিক, জন আপডাইক, মুরিয়েল স্পার্ক, টমাস মার্তিনেজ, স্ট্যানিস্লাভ লেম, আন্তোনিও তাবুচি এবং এ বি ইয়েহোসুয়া। প্রথম বছরের পুরস্কার পেলেন আলবেনিয়ান ঔপন্যাসিক ইসমাইল কাদারে। ২০০৭ সালের নমিনিদের মধ্যে ছিলেন কার্লোস ফুয়েন্তেস, এলিস মুনরো অ্যামোক্স ওজ, চিলুয়া আচেবে, মার্গারেট অটউড, জন ব্যানভিল, পিটার ক্যারে, ডন ডেলিলো, ফিলিপ রথ, সালমান রুশদি, আয়ান ম্যাকইউয়ান, হ্যারি মুলিশ, মিশেল তুর্নিয়ে এবং মাইকেল ওনদাতে। দ্বিতীয়বারের পুরস্কারটি পেয়েছিলেন চিনুয়া আচেবে। ২০০৯ সালের বিজয়ী এলিস মুনরো ২০১১ তে ফিলিপ রথ, ২০১৩ তে লিডিয়া ডেভিস, ২০১৫ তে লামলো ক্রাজনাহোকাই। এরপরই ২০১৬ সালে পুরস্কার নীতিমালায় পরিবর্তন আসে। ইংরেজিতে অনূদিত একটি গ্রন্থকে পুরস্কৃত করা হবে; পুরস্কারের অর্থ লেখক ও অনুবাদক সমান সমান ভাগ করে নেবেন। ২০১৬-র জন্য যেসব গ্রন্থ তালিকাভুক্ত হয়েছিল : হোসে ইউদার্দো অগুয়ানুসার ‘এ জেনারেল থিউরি অব অবলিভিয়ন’, ওরহান পামুকের ‘এ স্ট্রেঞ্জনেস ইন মাই মাইন্ড’, রবার্ট সিথালারের ‘এ হোল লাইফ’, ইয়ান লিয়াঙ্কের ‘দ্য ফোর বুকস’, এলেনা ফেরান্তের ‘দ্য স্টোরি অব দ্য লস্ট চাইল্ড এবং দক্ষিণ কোরিয়ার হান ক্যাঙ -এর ‘দ্য ভেজেটারিয়ান’, হান ক্যাঙই হলেন সবচেয়ে কম বয়সী (জন্ম ২৭ নভেম্বর ১৯৭০) মান বুকার ইন্টারন্যাশনাল প্রাইজ বিজয়ী সাহিত্যিক।

হান ক্যাঙের জন্ম দক্ষিণ কোরিয়ার গোয়াঙ্গজুতে। তার বাবা সাহিত্যিক হান সেউঙ্গওয়ান। তার ভাই হান ভঙ্গ রিমও একজন লেখক। ইয়োনসি বিশ্ববিদ্যলয়ে কোরিয়ার সাহিত্য নিয়ে পড়াশোনা করেন। প্রথম প্রকাশ কবিতায়। স্কারলেট এঙ্কর নামের একটি গল্প দিয়ে কথাসাহিত্যে যাত্রা। প্রথম উপন্যাস ‘দ্য কনভিক্টস লাভ’ প্রকাশিত হয় ১৯৯৫ সালে। দ্য ভেজেটারিয়ান ১৯৯৭-তে; ইংরেজিতে অনূদিত প্রথম গ্রন্থ ‘দ্য ভেজেটারিয়ান’ নিরামিষাশী প্রকাশিত হয় ১৯১৫ সালে। ইংরেজিতে অনুবাদ করেন সদ্য কোরিয়ান ভাষা শেখা আঠাশ বছর বয়সী ডেবরা স্মিথ। তার আরও একটি অনূদিত গ্রন্থ হিউম্যান অ্যাক্টস।

ডেবরা স্মিথ কোরিয়াতে স্নাতকোত্তর পাঠ নেওয়ার সময় একই সঙ্গে কোরিয়ান ভাষাও শিখেছিলেন। তিনি কাহিনী বিচারে একটি অসনাতনী উপন্যাস ‘দ্য ভেজেটারিয়ান’-এর দশ পৃষ্ঠা অনুবাদ করে নমুনা হিসেবে ব্রিটিশ প্রকাশক পার্টোবেলো বুকস-এর কাছে পাঠিয়ে দেন এবং অল্প সময়ের মধ্যেই প্রকাশকের সম্মতিপত্র পেয়ে যান। নিরামিষাশীকে চিহ্নিত করা হয় একটি পরাবাস্তববাদী সহিংস উপন্যাস হিসেবে। তার অন্যান্য উপন্যাস : ‘ফ্রটস অব মাই ওমেন’ দ্য ব্ল্যাক ডিয়ার, ইয়োর কোল্ড হ্যান্ড ‘ব্রিথ ফাইটিং এবং গ্রিক লেসন’। পুরস্কারপ্রাপ্ত তার একটি নভেলার নাম ‘বেবি বুদ্ধ।’

দ্য ভেজেটারিয়ান উপন্যাসের সূচনাপর্বের একাংশ অনূদিত হলো।]

নিরামিষাশী : আমার স্ত্রী নিরামিষাশী হয়ে যাওয়ার আগে আমি সব সময়ই ভাবতাম সবদিক থেকেই সে সম্পূর্ণ অনুল্লেখ্য একজন মানুষ। খোলামেলাভাবে বলতে গেলে তার সঙ্গে যখন আমার প্রথম দেখা আমি তার প্রতি একটুও আকর্ষণ বোধ করিনি। মাঝারি উচ্চতা, ববকরা চুল, তেমন বড়ও না ছোটও না, জন্ডিসগ্রস্ত, গায়ের ত্বকে অসুস্থতা দৃশ্যমান; গালের হাড় বেশ স্পষ্ট দেখা যায় তার দুর্বল ও হলদেটে অস্বাস্থ্যকর অবয়ব আমার যা জানার তা বলে দেয়। আমি যে টেবিলে অপেক্ষা করছিলাম সে যখন এদিকটায় এগিয়ে আসে তার জুতার দিকে নজর না দিয়ে আমি পারিনি— যতটা সাদাসিধে কালো জুতা কল্পনা করা যায়, এটা ঠিক তাই। আর তার হাঁটার ভঙ্গি দ্রুতও না শ্লথও না; লম্বা পদক্ষেপ নয় আবার ছোট পা ফেলে এগোনোও নয়।

যাই হোক যদি বিশেষ কোনো আকর্ষণ না থাকে, আবার অপছন্দ করার বিশেষ কারণও না থাকে তাহলে আমাদের দুজনের মধ্যে বিয়ে না হওয়ার কথা নয়। এই মহিলার নিষ্ক্রিয় ব্যক্তিত্বে আমি সতেজ কিছু পাইনি, মুগ্ধকরও কিছু নেই। কিংবা বিশেষ পরিশীলিত কিছু আর আমার জন্য একবারে জলকাদার মতো যুৎসহ হয়ে উঠেছে। তাকে জয় করার জন্য কোনো বুদ্ধিবৃত্তিক ভনিতার প্রয়োজন হয় না। ফ্যাশন ক্যাটালগে পোজ দেওয়া নিজেকে সাজিয়ে গুছিয়ে রাখা মানুষের সঙ্গে সে আমাকে তুলনা করতে পারে এমন কোনো উদ্বেগ আমার নেই। আমাদের সাক্ষাতের দিনগুলোতে আমার পৌঁছতে দেরি হলেও সে উত্তেজিত হয়নি। মধ্যকুড়িতে উঁকি দেওয়া আমার ভুঁড়ি, আমার হাড্ডিসার পা হাতের নিচের অংশ শত চেষ্টার পরও যাতে মাংস লাগে না, সেই সঙ্গে আমার শিশ্নের আকার নিয়ে আমার লালিত হীনমন্যতা— সবকিছু নিয়ে আমি নিশ্চিত থাকতে পারি এসব নিয়ে সে যতক্ষণ আছে আমার অস্থিরতার কারণ নেই।

আমি বরাবরই জীবনের মধ্যপথ অনুসরণের জন্য ঝুঁকে আছি। আমি স্কুলে পড়ার সময় আমার চেয়ে দুতিন বছরের ছোটদের বস হতে চাইতাম। আমার বয়সীদের সঙ্গে না মিশে আমি তাদের রিংলিডারের ভূমিকা পালন করতে পারতাম; পরে আমি এমন একটা কলেজ বেছে নিলাম যার বৃত্তি আমার প্রয়োজনের তুলনায় পর্যাপ্ত। শেষ পর্যন্ত আমি চাকরির জন্য এমন একটা কোম্পানি বেছে নিলাম যে কোম্পানির ছোট আকারের মানেই হচ্ছে আমার অনুল্লেখ্য দক্ষতাকে মূল্য দেবে এবং আমার ওপর অর্পিত দায়িত্ব নিষ্ঠার সঙ্গে পালনের জন্য মাসকাবারিতে যথেষ্ট মাহিনা দেবে।

কাজেই এটাই স্বাভাবিক যে আমি পৃথিবীর সবচেয়ে সাদামাঠা নারীকে বিয়ে করব। আর যেসব নারী সুন্দরী, বুদ্ধিমতী, দারুণ আবেদনময়ী, ধনী পরিবারের কন্যা— তাদের কেউ হলে আমার এই সচেতন সাজানো অস্তিত্বকে বাধাগ্রস্ত করত। আমার প্রত্যাশার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে সে একেবারেই সাধারণ স্ত্রীতে পরিণত হলো। অরুচিকর চপলতা এড়িয়ে সে দিনের কাজ চালিয়ে যেতে লাগল।

প্রতিদিন ভোর ৬টায় সে ঘুম থেকে ওঠে, ভাত রান্না করে ও স্যুপ বানায়, সঙ্গে সাধারণত খানিকটা মাছ। তার সেই বয়ঃসন্ধিকাল থেকে যেনতেন পার্টটাইম কাজ করে তার নিজের পরিবারের আয়ের সঙ্গে কিছুটা যোগ করত। যে কম্পিউটার গ্রাফিক্স কলেজে সে এক বছর পড়েছে সেখানে সহকারী প্রশিক্ষক হিসেবে শেষ চাকরি করেছে, আর কার্টুন আর কমিক স্ট্রিপ প্রকাশনের হয়ে কমিন বেলুনে কথোপকথন বসানোর যে কাজটি সাব-কন্ট্রাক্ট নিয়েছে তা বাসায় থেকেই করতে পারত।

সে কম কথা বলা একজন নারী। আমার কাছে তার কোনোকিছু চাওয়া একটি দুর্লভ ঘটনা। আমি যত দেরিতেই বাসায় ফিরি না কেন এটা নিয়ে কখনো ফ্যাসাদ বাধাতো না। এমনকি কখনো যদি আমাদের দুজনের ছুটি একই দিনে হতো সে কখনো বলেনি, চলো একসঙ্গে কোথাও ঘুরে আসি। আমি যখন টেলিভিশনের রিমোট হাতে নিয়ে আলস্যে বিকালটা পার করতাম সে দরজা বন্ধ করে নিজের রুমে পড়ে থাকত। বই পড়ে সময় কাটানোর সম্ভাবনাই বেশি। এটাই আসলে তার একমাত্র শখ। বই পড়া কেন তার এত প্রিয় এর কারণ উদঘাটন করা না গেলেও সে এতে নিজেকে পুরো ডুবিয়ে রাখতে পারে। বই পড়া আমার কাছে এত নিরস ও বিরক্তিকর যে প্রচ্ছদের ভিতরে কি আছে পাতা উল্টে  তাও আমার দেখতে ইচ্ছে করে না। কেবল খাবার সময় সে দরজা খোলে এবং নিঃশব্দে  খাবার তৈরি করতে এগিয়ে যায়। এ ধরনের স্ত্রী এ ধরনের জীবনশৈলী এটা নিশ্চিত করে যে আমার দিনগুলো উত্তেজনাপূর্ণ হবে, এটা মনে করার কোনো কারণ নেই। অন্যদিকে যেসব নারীর ফোন সারাদিনই বাজে, বন্ধু কিংবা সহকর্মীর ফোন, সে রকম একজন যদি আমার স্ত্রী হতো, যাদের ন্যাকামিতে তাদের স্বামীরা বিরক্ত, বিশেষ করে সেই স্বামীদের ঝগড়া ও চিৎকার করতে হয়, তার কাছে আমার কৃতজ্ঞ থাকা উচিত, কারণ সে নিজেকে এসব থেকে গুটিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।

কেবল একটা ব্যাপারে আমার স্ত্রীকে অস্বাভাবিক মনে হয়ে থাকে তা হচ্ছে ব্রা পরতে পছন্দ না করা। আমি তখন বয়োঃসন্ধি পেরিয়ে আসা তরুণ, আমার স্ত্রী ও আমি তখন ডেটিং করছি, আমার হাত যখন তার পিঠে রাখি, আমি তার সোয়েটারের নিচে ব্রার স্ট্র্যাপ অনুভব করলাম না আর এর মানে কি যখন বুঝতে পারলাম আমার শরীর তখন বেশ জেগে ওঠেছে।

ব্রা না পরে সে আসলেই আমাকে কিছু বলতে চাচ্ছে কিনা তা বোঝার জন্য আমি তার চোখের দিকে দু-এক মিনিট তাকিয়ে থেকে মনোভাব বোঝার চেষ্টা করলাম। আমার এই পরীক্ষা ও পর্যবেক্ষণের ফলাফল হচ্ছে, ব্রা না পরে সে আমাকে কোনো ধরনের সিগন্যালই দেয়নি। যদি তা না হয়ে থাকে তাহলে এটা কি তার অলসতা নাকি ডাহা উদ্বেগহীনতা? আমি এর মাথামুণ্ডু কিছুই বুঝিনি। এটা এমনও নয় যে তার একজোড়া সুন্দর সুগঠিত স্তন রয়েছে যা ব্রা ছাড়া বেশ মানিয়ে যায়। আমি বরং তার জন্য চাইতাম সে পুরু প্যাড লাগানো ব্রা পরে আমার সঙ্গে ঘুরুক, যাতে পরিচিতজনের সামনে আমি মুখ বাঁচাতে পারি।

এমনকি গ্রীষ্মকালে আমি তাকে কিছু সময়ের জন্য ব্রা পরতে রাজি করাই, বাসা থেকে বেরোনোর এক মিনিট পরই ব্রা’র হুক খুলে ফেলে। এই হুক খোলা ব্রা-ই বরং তার পাতলা হালকা রঙের শার্টের নিচে আরও স্পষ্টভাবে দৃশ্যমান হবে, কিন্তু এ নিয়ে তার এতটুকুও উদ্বেগ নেই। আমি তাকে বকা দিতে চেষ্টা করি, এই গুমোট গরমে তাহলে ব্রার বদলে সেমিজ পরার নসিহত করি। সে একথা বলে তার কৃতকর্মকে যৌক্তিকতা দেখানোর চেষ্টা করল : যেভাবে ব্রা তার স্তন চেপে ধরে তা সহ্য করা তার পক্ষে সম্ভব নয়, তাছাড়া আরও বলল, তুমি তো আর কখনো নিজে ব্রা পরনি, এটা যে কী রকম চাপ দেয় তা তুমি বুঝবে না।

তার কথা সত্ত্বেও বহু নারী ব্রা পরে না, তাদের কারোরই ব্রার ব্যাপারে কোনো মন্তব্য নেই। ব্রার ব্যাপারে তার অতি সংবেদনশীলতার কথা শুনতে গিয়ে আমি সন্দিহান হয়ে উঠি। আর অন্যান্য সবদিক থেকে আমাদের দাম্পত্য জীবন বেশ চলে যাচ্ছে। আমাদের বিয়ের পাঁচ বছর পূর্ণ হতে যাচ্ছে আর যেহেতু কেউ কাউকে পাগলের মতো ভালোবাসিনি সে কারণেই ক্লান্ত কিংবা বিরক্ত হওয়ার মতো পর্যায় আমরা এড়িয়ে যেতে পেরেছি, তা না হলে দাম্পত্য জীবন একটি কাঠগড়ার বিচারের মতো মনে হতো। যতক্ষণ না আমাদের নিজেদের একটি নিরাপদ বাসস্থান হচ্ছে আমরা বাচ্চা নেওয়ার কাজটা এড়িয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, কেবল গত শরতে আমাদের নিজেদের একটা থাকার জায়গা হয়েছে। কখনো আমি অবাক হয়ে ভেবেছি আমি কি কখনো বাচ্চার কলকল কণ্ঠে ডাডাডাডা শুনতে পাব? যার মানে বাচ্চা আমাকে ডাকছে।

ফেব্রুয়ারির এক ভোরে আমার স্ত্রীকে দেখলাম রাতের পোশাকে রান্নাঘরে দাঁড়িয়ে আছে, তার আগে আমি কখনো ভাবিনি আমাদের জীবনে কী ভয়াবহ একটি পরিবর্তনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।

‘তুমি এখানে দাঁড়িয়ে কী করছ?’

আমি বাথরুমের আলো জ্বালতে গিয়ে থমকে যাই। তখন ভোর চারটে হবে, প্রচণ্ড তৃষ্ণা নিয়ে জেগে উঠি—ডিনারে আমি আধ বোতল সজু পান করেছিলাম, তার মানে সচেতন অবস্থায় ফিরতে আমার স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা বেশি সময় লাগছিল। আমি জিজ্ঞেস করি, ‘হ্যালো, তুমি কী করছ?’ এমনিতেই খুব ঠাণ্ডা কিন্তু আমার স্ত্রীকে যেভাবে দেখলাম তা আরও বেশি শীতল করা। তাতে এলকোহলজনিত ঝিমুনি দ্রুত কেটে যায়। সে ফ্রিজের সামনে নিশ্চল নিশ্চুপ দাঁড়িয়ে আছে। তার মুখমণ্ডল আঁধারে ডুবে আছে, তাই তার অভিব্যক্তি আমি বুঝে উঠতে পারিনি, কিন্তু যেসব অভিব্যক্তির সম্ভাবনার কথা আমার মনে পড়ছে সব আমাকে আরও বেশি আতঙ্কিত করে তোলে। তার পুরু স্বাভাবিক কালো চুল ফুলে ফেঁপে উস্কুখুস্কু হয়ে আছে, তার পরনে বরাবরের মতো গোড়ালি পর্যন্ত লম্বা সাদা নাইটড্রেস।

এমন শীতের রাতে আমার স্ত্রী সাধারণত দ্রুত কার্ডিগান গায়ে চাপিয়ে মখমলের চটি খোঁজ করত। কতক্ষণ ধরে সে এভাবে ঠায় দাঁড়িয়ে আছে, নিশ্চল, খালি পায়ে গ্রীষ্মকালের রাত পোশাকে। রডের মতো ঋজু, আমার বারবার করা প্রশ্নের কথা বেমালুম ভুলে গেছে। তার মুখ আমার ঠিক উল্টোদিকে ঘুরানো, অস্বাভাবিকভাবে সে দাঁড়িয়ে আছে যেন যে এক ধরনের প্রেতাত্মা; ভূমির উপর দাঁড়ানো। তাহলে হচ্ছেটা কি? সে যদি আমার কথা শুনে থাকে তাহলে কি সে স্লিপওয়াক করছে— ঘুমের ঘোরে বেরিয়ে এসে এখানে ঘুমোচ্ছে। আমি তার দিকে এগিয়ে যাই, ঘাড় ঘুরিয়ে তার চেহারাটা একবার দেখার চেষ্টা করি। ‘তুমি এভাবে ওখানে দাঁড়িয়ে আছ কেন? এসব কী হচ্ছে?’

আমি যখন তার কাঁধে হাত দিই, তার এতটুকুও প্রতিক্রিয়া না হওয়ায় আমি অবাক হই। আমার কোনো সন্দেহ নেই যে আমি খুব স্বাভাবিক অবস্থাতেই আছি, আর এসব সত্যিই ঘটছে। আমি শোবার ঘর থেকে বেরোনোর পর থেকে সবকিছু সম্পর্কে সম্পূর্ণ সচেতন রয়েছি—সে কি করছে জিজ্ঞেস করেছি, তার দিকে এগিয়ে গেছি। সম্পূর্ণ সাড়াহীনভাবে যেন সে নিজস্ব পৃথিবীতে হারিয়ে গেছে—এভাবেই ঠায় দাঁড়িয়ে আছে। কদাচিৎ এমন ঘটেছে। মধ্যরাতের টিভি নাটকে সে এমনভাবে ডুবে আছে যে আমি যে ঘরের ভিতরে ঢুকেছি টেরই পায়নি কিন্তু ভোর ৪টায় ঘনকালো রান্নাঘরে ফ্রিজের সাদা দরজার পাণ্ডুর আভায় সম্পূর্ণ মনোযোগ ডুবিয়ে রাখার মতো কী আছে?

‘এই শুনছ?’

অন্ধকার থেকে তার শরীর সাঁতরে আমার দিকে এগোয়। আমি তার চোখের দিকে তাকাই। উজ্জ্বল, তবে উদ্বিগ্ন নয়। ধীরে ধীরে তার ঠোঁট আলগা হয়, ‘আমি একটা স্বপ্ন দেখেছি।’

তার স্বর বিস্ময়কর রকম স্পষ্ট।

‘একটা স্বপ্ন? তুমি কি বলছ তা জান? এখন কটা বাজে তোমার ধারণা আছে?’

ঘুরতেই তার শরীরটা আমার মুখোমুখি হলো, তারপর ধীরে ধীরে খোলা দরজা গলে শোবার ঘরে চলে গেল। সে ভিতরে গিয়ে পা বাড়িয়ে আলতো করে দরজাটা ঠেলে দিল। আমি অন্ধকার রান্নাঘরে একা রয়ে গেলাম। অসহায়ের মতো দেখলাম তার ফিরে যাওয়া দেহকাঠামো হা করা দরজা গিলে ফেলেছে। আমি আলো জ্বেলে বাথরুমে যাই। এই হিমশীতল আবহাওয়া বেশ কদিন ধরেই চলছে, চারদিকে লাগাতার ১০ ডিগ্রি সেন্টি গ্রেড; আমি মাত্র ক’ঘণ্টা আগে গোসল করেছি, কাজেই প্লাস্টিকের স্লিপার তখনো শীতল ও সিক্ত। নির্মম মৌসুমের নৈঃসঙ্গ কেবল অনুভব করাতে শুরু করেছে, গোসল শাওয়ারের উপরের দিকে ভেনটিলেশন ফ্যানের কালো ফাটল দিয়ে, মেঝে ও দেয়ালের সাদা টাইলস চুইয়ে নৈঃসঙ্গ ভিতরে প্রবেশ করছে। আমি যখন শোবার ঘরে ঢুকি, ততক্ষণে আমার স্ত্রী শুয়ে পড়েছে, তার পা বুকের সঙ্গে গুটানো, নির্জনতার ভার এতই বেশি যে আমার মনে হয়েছে সেই রুমে কেবল আমিই আছি। এটা অবশ্যই আমার কল্পনা।  আমি আমার নিঃশ্বাস ধরে রেখে একবারে স্থির হয়ে নিশ্চুপ টান টান দাঁড়িয়ে রইলাম, আমার স্ত্রী যেখানে শুয়ে আছে সেখানকার নিঃশ্বাসের ক্ষীণতম শব্দও আমি তখন শুনতে পাচ্ছি। তারপরও কেউ একজন ঘুমিয়ে আছে, তার নিয়মিত গভীর নিঃশ্বাসের শব্দ তাতে নেই। আমি তার কাছে পৌঁছে যেতে পারি, আমার হাত তার উষ্ণ ত্বকের মোকাবিলা করতে পারে। কিন্তু কোনো কারণে আমি তাকে স্পর্শ করতে পারছিলাম না। শব্দ করে আমি তার কাছে যেতেও চাচ্ছিলাম না। পরদিন সকালে চোখ খোলার ঠিক কয়েক মুহূর্ত পরই যখন বাস্তবতা তার স্বাভাবিক শুদ্ধ অবস্থানে পৌঁছেনি, আমি লেপমুড়ি দিয়ে শুয়ে, সাদা পর্দার ফাঁক দিয়ে শীতের রোদ্দুর যতটা ঢুকছিল আমি অন্যমনষ্ক হয়ে সে রোদের উষ্ণতা পরিমাপ করছিলাম। আমার এই বিমূর্ত কাজের মাঝখানে, আমি দেয়াল ঘড়ির দিকে তাকালাম, সময়টা দেখার সঙ্গে লাফিয়ে উঠলাম, লাথি মেরে দরজা খুলে দ্রুত রুমের বাইরে চলে এলাম। আমার স্ত্রী ফ্রিজের সামনে। ‘তুমি কি পাগল হয়েছে? আমাকে ডাকনি কেন? ক’টা বাজে তোমার...।

বাক্যের মাঝখানে পায়ের নিচে চ্যাপ্টা হয়ে যাওয়া একটা কিছু আমাকে থামিয়ে দিল। আমি আমার চোখকে বিশ্বাস করতে পারছিলাম না।

[চিয়ঙ্গ-এর স্ত্রী ইয়ঙ হি ফ্রিজ থেকে সব ধরনের মাংস বের করে ফেলে দিচ্ছে। তাকে নিরামিষাশী হতে হবে।]

এই বিভাগের আরও খবর
নিজের মাটি
নিজের মাটি
কুমির
কুমির
ভুল দুয়ারে এক পশলা কবিতা
ভুল দুয়ারে এক পশলা কবিতা
ছায়া পোড়ার ধোঁয়া
ছায়া পোড়ার ধোঁয়া
সংহার
সংহার
মায়াবী নিঃসঙ্গ ওম
মায়াবী নিঃসঙ্গ ওম
আমি ও জীবনানন্দ
আমি ও জীবনানন্দ
স্কুলের বন্ধু
স্কুলের বন্ধু
কবিধাম-কবির শহর টাঙ্গাইল
কবিধাম-কবির শহর টাঙ্গাইল
জেগে থাকার জন্য
জেগে থাকার জন্য
অগ্নিসখা
অগ্নিসখা
নাই কিছু নাই
নাই কিছু নাই
সর্বশেষ খবর
দুধে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে কিশোরী ধর্ষণ, যাবজ্জীবন সাজা
দুধে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে কিশোরী ধর্ষণ, যাবজ্জীবন সাজা

এই মাত্র | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চট্টগ্রামসহ পাঁচ জেলায় ২০ জুলাই পরিবহণ ধর্মঘট
চট্টগ্রামসহ পাঁচ জেলায় ২০ জুলাই পরিবহণ ধর্মঘট

১২ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

সিলেবাস সংস্কারে ইউনিসেফের সঙ্গে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের চুক্তি
সিলেবাস সংস্কারে ইউনিসেফের সঙ্গে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের চুক্তি

১৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ফেসবুক ও মোবাইল ব্যাংকিং হ্যাক করে চলত প্রতারণা, গ্রেফতার ৪
ফেসবুক ও মোবাইল ব্যাংকিং হ্যাক করে চলত প্রতারণা, গ্রেফতার ৪

২৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

শিক্ষার্থী সেবায় বাউবির সমন্বিত পরিকল্পনা
শিক্ষার্থী সেবায় বাউবির সমন্বিত পরিকল্পনা

৩১ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

ভালুকায় মা ও দুই শিশুকে গলা কেটে হত্যা: গ্রেফতার দেবর নজরুল
ভালুকায় মা ও দুই শিশুকে গলা কেটে হত্যা: গ্রেফতার দেবর নজরুল

৩৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

নির্বাচন ঠেকানোর জন্য ষড়যন্ত্র হচ্ছে : টুকু
নির্বাচন ঠেকানোর জন্য ষড়যন্ত্র হচ্ছে : টুকু

৫৪ মিনিট আগে | রাজনীতি

জবি ছাত্রদলের তিন নেতাকে বহিষ্কার, দুইজনকে ক্যাম্পাসে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা
জবি ছাত্রদলের তিন নেতাকে বহিষ্কার, দুইজনকে ক্যাম্পাসে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

যশোরে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ১৪ পরিবারকে সেনাবাহিনীর সহায়তা
যশোরে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ১৪ পরিবারকে সেনাবাহিনীর সহায়তা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

জুলাইয়ে নারীদের সাহসী উত্থান উদযাপনে ঢাকায় মশাল মিছিল
জুলাইয়ে নারীদের সাহসী উত্থান উদযাপনে ঢাকায় মশাল মিছিল

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

জবির প্রশাসনিক ভবনে শিক্ষার্থীদের তালা, অবরুদ্ধ উপাচার্য
জবির প্রশাসনিক ভবনে শিক্ষার্থীদের তালা, অবরুদ্ধ উপাচার্য

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

রিট করেও পরিষদে আসছেন না পলাতক চেয়ারম্যানরা
রিট করেও পরিষদে আসছেন না পলাতক চেয়ারম্যানরা

২ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বাংলাদেশিদের মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা দেবে মালয়েশিয়া
বাংলাদেশিদের মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা দেবে মালয়েশিয়া

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

৮ বছর পর টেস্ট দলে ফিরলেন লিয়াম ডসন
৮ বছর পর টেস্ট দলে ফিরলেন লিয়াম ডসন

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সুন্দরবনে দুটি নৌকাসহ পাঁচ জেলে আটক
সুন্দরবনে দুটি নৌকাসহ পাঁচ জেলে আটক

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মাদারীপুরে স্বেচ্ছাসেবক দলের বিক্ষোভ মিছিল
মাদারীপুরে স্বেচ্ছাসেবক দলের বিক্ষোভ মিছিল

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মালয়েশিয়ায় নৌকাডুবিতে নিখোঁজ ১১
মালয়েশিয়ায় নৌকাডুবিতে নিখোঁজ ১১

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চোখের নিচের ত্বকে সব প্রসাধনী নয়
চোখের নিচের ত্বকে সব প্রসাধনী নয়

৩ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

দুই বিভাগে ভারি বৃষ্টির আভাস
দুই বিভাগে ভারি বৃষ্টির আভাস

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সুন্দরবনে নিষিদ্ধ সময়ে মাছ ধরায় পাঁচ জেলে আটক
সুন্দরবনে নিষিদ্ধ সময়ে মাছ ধরায় পাঁচ জেলে আটক

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নীতি সুদহার কমিয়ে ৮ শতাংশ করলো বাংলাদেশ ব্যাংক
নীতি সুদহার কমিয়ে ৮ শতাংশ করলো বাংলাদেশ ব্যাংক

৩ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ঢামেক হাসপাতালের সামনে থেকে দুই দালাল আটক
ঢামেক হাসপাতালের সামনে থেকে দুই দালাল আটক

৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যা: আসামি মহিন দ্বিতীয় দফায় রিমান্ডে
ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যা: আসামি মহিন দ্বিতীয় দফায় রিমান্ডে

৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

সরকারি হলো আরও এক বিদ্যালয়
সরকারি হলো আরও এক বিদ্যালয়

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সোনারগাঁয়ে চাঁদাবাজি, ডাকাতি ও ছিনতাই প্রতিরোধে সভা
সোনারগাঁয়ে চাঁদাবাজি, ডাকাতি ও ছিনতাই প্রতিরোধে সভা

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চট্টগ্রামে চার স্কুলে ব্যতিক্রমী বইমেলা
চট্টগ্রামে চার স্কুলে ব্যতিক্রমী বইমেলা

৩ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চট্টগ্রামে স্বেচ্ছাসেবক দলের বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত
চট্টগ্রামে স্বেচ্ছাসেবক দলের বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত

৩ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

মেট্রো স্টেশনে বসছে এটিএম ও সিআরএম বুথ
মেট্রো স্টেশনে বসছে এটিএম ও সিআরএম বুথ

৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

নকল করে শাস্তি পেলেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮২ শিক্ষার্থী
নকল করে শাস্তি পেলেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮২ শিক্ষার্থী

৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

লালমনিরহাটে স্বেচ্ছাসেবক দলের বিক্ষোভ সমাবেশ
লালমনিরহাটে স্বেচ্ছাসেবক দলের বিক্ষোভ সমাবেশ

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
সেই সতর্কবার্তা এখন গুরুত্ব পাচ্ছে, রাজনীতিতে কাদা ছোড়াছুড়ি চরমে
সেই সতর্কবার্তা এখন গুরুত্ব পাচ্ছে, রাজনীতিতে কাদা ছোড়াছুড়ি চরমে

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সাজা ছাড়াই কারাগারে ৩০ বছর, অবশেষে মুক্তি!
সাজা ছাড়াই কারাগারে ৩০ বছর, অবশেষে মুক্তি!

১০ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ভারতের ভিসা জটিলতায় বাংলাদেশিদের চিকিৎসার নতুন গন্তব্য চীনের কুনমিং
ভারতের ভিসা জটিলতায় বাংলাদেশিদের চিকিৎসার নতুন গন্তব্য চীনের কুনমিং

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড নিয়ে ১০টি পরিকল্পিত অপপ্রচার ও তথ্যভিত্তিক বাস্তবতা
মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড নিয়ে ১০টি পরিকল্পিত অপপ্রচার ও তথ্যভিত্তিক বাস্তবতা

১৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

১৪৪টি দলের কোনোটিই ‘উত্তীর্ণ’ হতে পারেনি, সময় পাচ্ছে আরও ১৫ দিন
১৪৪টি দলের কোনোটিই ‘উত্তীর্ণ’ হতে পারেনি, সময় পাচ্ছে আরও ১৫ দিন

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘যুদ্ধবিরতিতে বিশ্বাস করে না ইরান, যে কোনো অভিযানের জন্য প্রস্তুত’
‘যুদ্ধবিরতিতে বিশ্বাস করে না ইরান, যে কোনো অভিযানের জন্য প্রস্তুত’

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

২৭ রানে অলআউট হয়ে লজ্জার রেকর্ড উইন্ডিজের
২৭ রানে অলআউট হয়ে লজ্জার রেকর্ড উইন্ডিজের

১৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতি চুক্তি করতে রাশিয়াকে ৫০ দিনের আল্টিমেটাম ট্রাম্পের
ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতি চুক্তি করতে রাশিয়াকে ৫০ দিনের আল্টিমেটাম ট্রাম্পের

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ট্যাঙ্ক বিস্ফোরণে গাজায় ৩ ইসরায়েলি সেনা নিহত
ট্যাঙ্ক বিস্ফোরণে গাজায় ৩ ইসরায়েলি সেনা নিহত

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইউক্রেন মস্কোতে আঘাত হানতে পারবে কি না জানতে চেয়েছেন ট্রাম্প
ইউক্রেন মস্কোতে আঘাত হানতে পারবে কি না জানতে চেয়েছেন ট্রাম্প

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করলেন কেনিয়ার জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী
ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করলেন কেনিয়ার জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী

১৫ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে অর্থমন্ত্রীর নাম প্রস্তাব করলেন জেলেনস্কি
নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে অর্থমন্ত্রীর নাম প্রস্তাব করলেন জেলেনস্কি

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কোনোভাবেই পিআর পদ্ধতি চায় না বিএনপি
কোনোভাবেই পিআর পদ্ধতি চায় না বিএনপি

৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সকালে রসুন খাওয়ার উপকারিতা
সকালে রসুন খাওয়ার উপকারিতা

১৬ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

বিয়ে ও সন্তান গ্রহণে আগ্রহ কমছে তরুণদের
বিয়ে ও সন্তান গ্রহণে আগ্রহ কমছে তরুণদের

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এইচআরসি গ্রুপের চেয়ারম্যান সাঈদ হোসেন চৌধুরী আর নেই
এইচআরসি গ্রুপের চেয়ারম্যান সাঈদ হোসেন চৌধুরী আর নেই

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যার অন্যতম আসামি নান্নু গ্রেফতার
ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যার অন্যতম আসামি নান্নু গ্রেফতার

১৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বাড়বে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা, টানা ৫ দিন বর্ষণের আভাস
বাড়বে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা, টানা ৫ দিন বর্ষণের আভাস

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

৪৬৩ কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেন, স্ত্রীসহ শামীম ওসমানের নামে মামলা
৪৬৩ কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেন, স্ত্রীসহ শামীম ওসমানের নামে মামলা

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইরাকে মার্কিন কোম্পানির তেল ক্ষেত্রে ড্রোন হামলা, উৎপাদন বন্ধ
ইরাকে মার্কিন কোম্পানির তেল ক্ষেত্রে ড্রোন হামলা, উৎপাদন বন্ধ

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পৃথিবীর সবচেয়ে লম্বা পাখিকে ফিরিয়ে আনতে চায় মার্কিন গবেষণা প্রতিষ্ঠান
পৃথিবীর সবচেয়ে লম্বা পাখিকে ফিরিয়ে আনতে চায় মার্কিন গবেষণা প্রতিষ্ঠান

২২ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

নেতানিয়াহুর সরকার থেকে বেরিয়ে গেল ইসরায়েলের কট্টরপন্থী দল ইউটিজে
নেতানিয়াহুর সরকার থেকে বেরিয়ে গেল ইসরায়েলের কট্টরপন্থী দল ইউটিজে

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আ. লীগ সরকারের বিদ্যুৎ সংক্রান্ত সব ধরনের চুক্তি পর্যালোচনা করা হবে : অর্থ উপদেষ্টা
আ. লীগ সরকারের বিদ্যুৎ সংক্রান্ত সব ধরনের চুক্তি পর্যালোচনা করা হবে : অর্থ উপদেষ্টা

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি নির্বাচন পেছানোর ষড়যন্ত্র : ডা. জাহিদ
সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি নির্বাচন পেছানোর ষড়যন্ত্র : ডা. জাহিদ

১২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সিরাজগঞ্জে ঘূর্ণিঝড়ে লণ্ডভণ্ড ৪ গ্রাম
সিরাজগঞ্জে ঘূর্ণিঝড়ে লণ্ডভণ্ড ৪ গ্রাম

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ওড়িশায় যৌন হয়রানির বিচার না পেয়ে গায়ে আগুন দেয়া সেই ছাত্রী মারা গেছে
ওড়িশায় যৌন হয়রানির বিচার না পেয়ে গায়ে আগুন দেয়া সেই ছাত্রী মারা গেছে

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বদলি আদেশ ছিঁড়ে এনবিআরের ১৪ কর্মকর্তা সাময়িক বরখাস্ত
বদলি আদেশ ছিঁড়ে এনবিআরের ১৪ কর্মকর্তা সাময়িক বরখাস্ত

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ট্রাম্পের আল্টিমেটামের তোয়াক্কা করে না রাশিয়া
ট্রাম্পের আল্টিমেটামের তোয়াক্কা করে না রাশিয়া

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হোয়াটসঅ্যাপে প্রতারণার ফাঁদ, দুবাইয়ে ১০০,০০০ দিরহাম হারালেন এক ভারতীয়!
হোয়াটসঅ্যাপে প্রতারণার ফাঁদ, দুবাইয়ে ১০০,০০০ দিরহাম হারালেন এক ভারতীয়!

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৫ জুলাই)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৫ জুলাই)

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
ফের প্রতিহিংসা রাজনীতিতে
ফের প্রতিহিংসা রাজনীতিতে

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

জাপা চেয়ারম্যান জি এম কাদেরকে দুদকে তলব
জাপা চেয়ারম্যান জি এম কাদেরকে দুদকে তলব

পেছনের পৃষ্ঠা

কী হবে সত্যজিৎ রায়ের বাড়িটির
কী হবে সত্যজিৎ রায়ের বাড়িটির

পেছনের পৃষ্ঠা

পারিবারিক দুর্নীতির প্রতিযোগিতা
পারিবারিক দুর্নীতির প্রতিযোগিতা

প্রথম পৃষ্ঠা

অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকলেই যেতে হবে ডিটেনশন সেন্টারে
অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকলেই যেতে হবে ডিটেনশন সেন্টারে

পেছনের পৃষ্ঠা

কমছে কর্মজীবী নারীর সংখ্যা
কমছে কর্মজীবী নারীর সংখ্যা

পেছনের পৃষ্ঠা

প্রেমাদাসায় জিততে চায় টাইগাররা
প্রেমাদাসায় জিততে চায় টাইগাররা

মাঠে ময়দানে

ওএমএস ডিলার নিয়োগে ঘুষবাণিজ্যের অভিযোগ খাদ্য নিয়ন্ত্রকের বিরুদ্ধে
ওএমএস ডিলার নিয়োগে ঘুষবাণিজ্যের অভিযোগ খাদ্য নিয়ন্ত্রকের বিরুদ্ধে

নগর জীবন

পদ্মার দুই ইলিশ সাড়ে ১৪ হাজারে বিক্রি
পদ্মার দুই ইলিশ সাড়ে ১৪ হাজারে বিক্রি

পেছনের পৃষ্ঠা

ঐকমত্যে নতুন অনৈক্য
ঐকমত্যে নতুন অনৈক্য

প্রথম পৃষ্ঠা

দুই ঘণ্টায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার ১২ রোগী ভর্তি
দুই ঘণ্টায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার ১২ রোগী ভর্তি

পেছনের পৃষ্ঠা

ভীতিকর অপরাধ পরিসংখ্যান
ভীতিকর অপরাধ পরিসংখ্যান

সম্পাদকীয়

দুশ্চিন্তায় মোহামেডান-আবাহনী
দুশ্চিন্তায় মোহামেডান-আবাহনী

মাঠে ময়দানে

বিমানবন্দর থেকে ৯৬ বাংলাদেশিকে ফেরত
বিমানবন্দর থেকে ৯৬ বাংলাদেশিকে ফেরত

প্রথম পৃষ্ঠা

সোহানের রাইডার্সের সামনে সাকিবের ক্যাপিটালস
সোহানের রাইডার্সের সামনে সাকিবের ক্যাপিটালস

মাঠে ময়দানে

বিএনপি নেতার গলায় পুলিশের মালা!
বিএনপি নেতার গলায় পুলিশের মালা!

পেছনের পৃষ্ঠা

মিথ্যা গুজবে অস্বস্তিতে শতাধিক কর্মকর্তা
মিথ্যা গুজবে অস্বস্তিতে শতাধিক কর্মকর্তা

পেছনের পৃষ্ঠা

নিবন্ধনপ্রত্যাশী রাজনৈতিক দলগুলোর যত ভুল
নিবন্ধনপ্রত্যাশী রাজনৈতিক দলগুলোর যত ভুল

প্রথম পৃষ্ঠা

আগামীর বাংলাদেশ হবে বৈষম্যহীন জনতার
আগামীর বাংলাদেশ হবে বৈষম্যহীন জনতার

নগর জীবন

রাষ্ট্রীয়ভাবে শোক পালন করা হবে বুধবার
রাষ্ট্রীয়ভাবে শোক পালন করা হবে বুধবার

পেছনের পৃষ্ঠা

সভ্য আমেরিকার অন্য কাহিনি
সভ্য আমেরিকার অন্য কাহিনি

সম্পাদকীয়

ছাত্রলীগকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণার দাবি এবি পার্টির
ছাত্রলীগকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণার দাবি এবি পার্টির

পেছনের পৃষ্ঠা

টি স্পোর্টস
টি স্পোর্টস

মাঠে ময়দানে

আলোচনায় আরপিও সংশোধন
আলোচনায় আরপিও সংশোধন

পেছনের পৃষ্ঠা

ওয়েস্ট ইন্ডিজ অলআউট ২৭ রানে
ওয়েস্ট ইন্ডিজ অলআউট ২৭ রানে

মাঠে ময়দানে

ব্যাডমিন্টনে ৫০০’র ওপরে ম্যাচ
ব্যাডমিন্টনে ৫০০’র ওপরে ম্যাচ

মাঠে ময়দানে

শান্তির হ্যাটট্রিকে শীর্ষে বাংলাদেশ
শান্তির হ্যাটট্রিকে শীর্ষে বাংলাদেশ

মাঠে ময়দানে

বিচার-পুনর্বাসনসহ চার দাবি ওমান ফেরত প্রবাসীদের
বিচার-পুনর্বাসনসহ চার দাবি ওমান ফেরত প্রবাসীদের

পেছনের পৃষ্ঠা

নিরাপত্তা উপদেষ্টার সঙ্গে মিয়ানমার রাষ্ট্রদূতের বৈঠক
নিরাপত্তা উপদেষ্টার সঙ্গে মিয়ানমার রাষ্ট্রদূতের বৈঠক

পেছনের পৃষ্ঠা