শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শুক্রবার, ০৩ জুন, ২০১৬

হান ক্যাঙ-এর নিরামিষাশী

ভূমিকা ও অনুবাদ : আন্দালিব রাশদী
Not defined
প্রিন্ট ভার্সন
হান ক্যাঙ-এর নিরামিষাশী

[ইংরেজি সাহিত্যের যে মান বুকার পুরস্কার তা ছাপিয়ে বৈশ্বিক সাহিত্য পুরস্কার হয়ে উঠেছে মান বুকার ইন্টারন্যাশনাল প্রাণজ। সে ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতা হচ্ছে ফিকশনটি ইংরেজি কিংবা ইংরেজিতে অনূদিত হতে হবে। অনূদিত হলে লেখকের সঙ্গে অনুবাদকও পুরস্কৃত হন। ২০১৬ তে এসে ক্ষেত্রটি এখন ইংরেজিতে অনূদিত গ্রন্থে সীমিত হয়েছে। পুরস্কারের প্রতিযোগিতায় কারা থাকছেন সে দিকটাতে চোখ দিলেই এটি পুরস্কার হিসেবে কত গুরুত্বপূর্ণ তা স্পষ্ট হয়ে ওঠে।

প্রথমবার পুরস্কার দেওয়া হয় ২০০৫ সালে। সে বছরের নমিনিদের মধ্যে দিলেও গ্যাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেজ, গুন্টার গ্রাস, সলবেলো,  নাগিব মাহফুজ, কেনজাবুরো ওয়ে, ডোরিস লেসিং, মার্গারেট অটউড, মিলান কুন্ডেরা, আয়ান ম্যাকইডয়ান,  ইসমাইল কাদারে, ফিলিপ রোথ, সিচথিয়া ওজিক, জন আপডাইক, মুরিয়েল স্পার্ক, টমাস মার্তিনেজ, স্ট্যানিস্লাভ লেম, আন্তোনিও তাবুচি এবং এ বি ইয়েহোসুয়া। প্রথম বছরের পুরস্কার পেলেন আলবেনিয়ান ঔপন্যাসিক ইসমাইল কাদারে। ২০০৭ সালের নমিনিদের মধ্যে ছিলেন কার্লোস ফুয়েন্তেস, এলিস মুনরো অ্যামোক্স ওজ, চিলুয়া আচেবে, মার্গারেট অটউড, জন ব্যানভিল, পিটার ক্যারে, ডন ডেলিলো, ফিলিপ রথ, সালমান রুশদি, আয়ান ম্যাকইউয়ান, হ্যারি মুলিশ, মিশেল তুর্নিয়ে এবং মাইকেল ওনদাতে। দ্বিতীয়বারের পুরস্কারটি পেয়েছিলেন চিনুয়া আচেবে। ২০০৯ সালের বিজয়ী এলিস মুনরো ২০১১ তে ফিলিপ রথ, ২০১৩ তে লিডিয়া ডেভিস, ২০১৫ তে লামলো ক্রাজনাহোকাই। এরপরই ২০১৬ সালে পুরস্কার নীতিমালায় পরিবর্তন আসে। ইংরেজিতে অনূদিত একটি গ্রন্থকে পুরস্কৃত করা হবে; পুরস্কারের অর্থ লেখক ও অনুবাদক সমান সমান ভাগ করে নেবেন। ২০১৬-র জন্য যেসব গ্রন্থ তালিকাভুক্ত হয়েছিল : হোসে ইউদার্দো অগুয়ানুসার ‘এ জেনারেল থিউরি অব অবলিভিয়ন’, ওরহান পামুকের ‘এ স্ট্রেঞ্জনেস ইন মাই মাইন্ড’, রবার্ট সিথালারের ‘এ হোল লাইফ’, ইয়ান লিয়াঙ্কের ‘দ্য ফোর বুকস’, এলেনা ফেরান্তের ‘দ্য স্টোরি অব দ্য লস্ট চাইল্ড এবং দক্ষিণ কোরিয়ার হান ক্যাঙ -এর ‘দ্য ভেজেটারিয়ান’, হান ক্যাঙই হলেন সবচেয়ে কম বয়সী (জন্ম ২৭ নভেম্বর ১৯৭০) মান বুকার ইন্টারন্যাশনাল প্রাইজ বিজয়ী সাহিত্যিক।

হান ক্যাঙের জন্ম দক্ষিণ কোরিয়ার গোয়াঙ্গজুতে। তার বাবা সাহিত্যিক হান সেউঙ্গওয়ান। তার ভাই হান ভঙ্গ রিমও একজন লেখক। ইয়োনসি বিশ্ববিদ্যলয়ে কোরিয়ার সাহিত্য নিয়ে পড়াশোনা করেন। প্রথম প্রকাশ কবিতায়। স্কারলেট এঙ্কর নামের একটি গল্প দিয়ে কথাসাহিত্যে যাত্রা। প্রথম উপন্যাস ‘দ্য কনভিক্টস লাভ’ প্রকাশিত হয় ১৯৯৫ সালে। দ্য ভেজেটারিয়ান ১৯৯৭-তে; ইংরেজিতে অনূদিত প্রথম গ্রন্থ ‘দ্য ভেজেটারিয়ান’ নিরামিষাশী প্রকাশিত হয় ১৯১৫ সালে। ইংরেজিতে অনুবাদ করেন সদ্য কোরিয়ান ভাষা শেখা আঠাশ বছর বয়সী ডেবরা স্মিথ। তার আরও একটি অনূদিত গ্রন্থ হিউম্যান অ্যাক্টস।

ডেবরা স্মিথ কোরিয়াতে স্নাতকোত্তর পাঠ নেওয়ার সময় একই সঙ্গে কোরিয়ান ভাষাও শিখেছিলেন। তিনি কাহিনী বিচারে একটি অসনাতনী উপন্যাস ‘দ্য ভেজেটারিয়ান’-এর দশ পৃষ্ঠা অনুবাদ করে নমুনা হিসেবে ব্রিটিশ প্রকাশক পার্টোবেলো বুকস-এর কাছে পাঠিয়ে দেন এবং অল্প সময়ের মধ্যেই প্রকাশকের সম্মতিপত্র পেয়ে যান। নিরামিষাশীকে চিহ্নিত করা হয় একটি পরাবাস্তববাদী সহিংস উপন্যাস হিসেবে। তার অন্যান্য উপন্যাস : ‘ফ্রটস অব মাই ওমেন’ দ্য ব্ল্যাক ডিয়ার, ইয়োর কোল্ড হ্যান্ড ‘ব্রিথ ফাইটিং এবং গ্রিক লেসন’। পুরস্কারপ্রাপ্ত তার একটি নভেলার নাম ‘বেবি বুদ্ধ।’

দ্য ভেজেটারিয়ান উপন্যাসের সূচনাপর্বের একাংশ অনূদিত হলো।]

নিরামিষাশী : আমার স্ত্রী নিরামিষাশী হয়ে যাওয়ার আগে আমি সব সময়ই ভাবতাম সবদিক থেকেই সে সম্পূর্ণ অনুল্লেখ্য একজন মানুষ। খোলামেলাভাবে বলতে গেলে তার সঙ্গে যখন আমার প্রথম দেখা আমি তার প্রতি একটুও আকর্ষণ বোধ করিনি। মাঝারি উচ্চতা, ববকরা চুল, তেমন বড়ও না ছোটও না, জন্ডিসগ্রস্ত, গায়ের ত্বকে অসুস্থতা দৃশ্যমান; গালের হাড় বেশ স্পষ্ট দেখা যায় তার দুর্বল ও হলদেটে অস্বাস্থ্যকর অবয়ব আমার যা জানার তা বলে দেয়। আমি যে টেবিলে অপেক্ষা করছিলাম সে যখন এদিকটায় এগিয়ে আসে তার জুতার দিকে নজর না দিয়ে আমি পারিনি— যতটা সাদাসিধে কালো জুতা কল্পনা করা যায়, এটা ঠিক তাই। আর তার হাঁটার ভঙ্গি দ্রুতও না শ্লথও না; লম্বা পদক্ষেপ নয় আবার ছোট পা ফেলে এগোনোও নয়।

যাই হোক যদি বিশেষ কোনো আকর্ষণ না থাকে, আবার অপছন্দ করার বিশেষ কারণও না থাকে তাহলে আমাদের দুজনের মধ্যে বিয়ে না হওয়ার কথা নয়। এই মহিলার নিষ্ক্রিয় ব্যক্তিত্বে আমি সতেজ কিছু পাইনি, মুগ্ধকরও কিছু নেই। কিংবা বিশেষ পরিশীলিত কিছু আর আমার জন্য একবারে জলকাদার মতো যুৎসহ হয়ে উঠেছে। তাকে জয় করার জন্য কোনো বুদ্ধিবৃত্তিক ভনিতার প্রয়োজন হয় না। ফ্যাশন ক্যাটালগে পোজ দেওয়া নিজেকে সাজিয়ে গুছিয়ে রাখা মানুষের সঙ্গে সে আমাকে তুলনা করতে পারে এমন কোনো উদ্বেগ আমার নেই। আমাদের সাক্ষাতের দিনগুলোতে আমার পৌঁছতে দেরি হলেও সে উত্তেজিত হয়নি। মধ্যকুড়িতে উঁকি দেওয়া আমার ভুঁড়ি, আমার হাড্ডিসার পা হাতের নিচের অংশ শত চেষ্টার পরও যাতে মাংস লাগে না, সেই সঙ্গে আমার শিশ্নের আকার নিয়ে আমার লালিত হীনমন্যতা— সবকিছু নিয়ে আমি নিশ্চিত থাকতে পারি এসব নিয়ে সে যতক্ষণ আছে আমার অস্থিরতার কারণ নেই।

আমি বরাবরই জীবনের মধ্যপথ অনুসরণের জন্য ঝুঁকে আছি। আমি স্কুলে পড়ার সময় আমার চেয়ে দুতিন বছরের ছোটদের বস হতে চাইতাম। আমার বয়সীদের সঙ্গে না মিশে আমি তাদের রিংলিডারের ভূমিকা পালন করতে পারতাম; পরে আমি এমন একটা কলেজ বেছে নিলাম যার বৃত্তি আমার প্রয়োজনের তুলনায় পর্যাপ্ত। শেষ পর্যন্ত আমি চাকরির জন্য এমন একটা কোম্পানি বেছে নিলাম যে কোম্পানির ছোট আকারের মানেই হচ্ছে আমার অনুল্লেখ্য দক্ষতাকে মূল্য দেবে এবং আমার ওপর অর্পিত দায়িত্ব নিষ্ঠার সঙ্গে পালনের জন্য মাসকাবারিতে যথেষ্ট মাহিনা দেবে।

কাজেই এটাই স্বাভাবিক যে আমি পৃথিবীর সবচেয়ে সাদামাঠা নারীকে বিয়ে করব। আর যেসব নারী সুন্দরী, বুদ্ধিমতী, দারুণ আবেদনময়ী, ধনী পরিবারের কন্যা— তাদের কেউ হলে আমার এই সচেতন সাজানো অস্তিত্বকে বাধাগ্রস্ত করত। আমার প্রত্যাশার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে সে একেবারেই সাধারণ স্ত্রীতে পরিণত হলো। অরুচিকর চপলতা এড়িয়ে সে দিনের কাজ চালিয়ে যেতে লাগল।

প্রতিদিন ভোর ৬টায় সে ঘুম থেকে ওঠে, ভাত রান্না করে ও স্যুপ বানায়, সঙ্গে সাধারণত খানিকটা মাছ। তার সেই বয়ঃসন্ধিকাল থেকে যেনতেন পার্টটাইম কাজ করে তার নিজের পরিবারের আয়ের সঙ্গে কিছুটা যোগ করত। যে কম্পিউটার গ্রাফিক্স কলেজে সে এক বছর পড়েছে সেখানে সহকারী প্রশিক্ষক হিসেবে শেষ চাকরি করেছে, আর কার্টুন আর কমিক স্ট্রিপ প্রকাশনের হয়ে কমিন বেলুনে কথোপকথন বসানোর যে কাজটি সাব-কন্ট্রাক্ট নিয়েছে তা বাসায় থেকেই করতে পারত।

সে কম কথা বলা একজন নারী। আমার কাছে তার কোনোকিছু চাওয়া একটি দুর্লভ ঘটনা। আমি যত দেরিতেই বাসায় ফিরি না কেন এটা নিয়ে কখনো ফ্যাসাদ বাধাতো না। এমনকি কখনো যদি আমাদের দুজনের ছুটি একই দিনে হতো সে কখনো বলেনি, চলো একসঙ্গে কোথাও ঘুরে আসি। আমি যখন টেলিভিশনের রিমোট হাতে নিয়ে আলস্যে বিকালটা পার করতাম সে দরজা বন্ধ করে নিজের রুমে পড়ে থাকত। বই পড়ে সময় কাটানোর সম্ভাবনাই বেশি। এটাই আসলে তার একমাত্র শখ। বই পড়া কেন তার এত প্রিয় এর কারণ উদঘাটন করা না গেলেও সে এতে নিজেকে পুরো ডুবিয়ে রাখতে পারে। বই পড়া আমার কাছে এত নিরস ও বিরক্তিকর যে প্রচ্ছদের ভিতরে কি আছে পাতা উল্টে  তাও আমার দেখতে ইচ্ছে করে না। কেবল খাবার সময় সে দরজা খোলে এবং নিঃশব্দে  খাবার তৈরি করতে এগিয়ে যায়। এ ধরনের স্ত্রী এ ধরনের জীবনশৈলী এটা নিশ্চিত করে যে আমার দিনগুলো উত্তেজনাপূর্ণ হবে, এটা মনে করার কোনো কারণ নেই। অন্যদিকে যেসব নারীর ফোন সারাদিনই বাজে, বন্ধু কিংবা সহকর্মীর ফোন, সে রকম একজন যদি আমার স্ত্রী হতো, যাদের ন্যাকামিতে তাদের স্বামীরা বিরক্ত, বিশেষ করে সেই স্বামীদের ঝগড়া ও চিৎকার করতে হয়, তার কাছে আমার কৃতজ্ঞ থাকা উচিত, কারণ সে নিজেকে এসব থেকে গুটিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।

কেবল একটা ব্যাপারে আমার স্ত্রীকে অস্বাভাবিক মনে হয়ে থাকে তা হচ্ছে ব্রা পরতে পছন্দ না করা। আমি তখন বয়োঃসন্ধি পেরিয়ে আসা তরুণ, আমার স্ত্রী ও আমি তখন ডেটিং করছি, আমার হাত যখন তার পিঠে রাখি, আমি তার সোয়েটারের নিচে ব্রার স্ট্র্যাপ অনুভব করলাম না আর এর মানে কি যখন বুঝতে পারলাম আমার শরীর তখন বেশ জেগে ওঠেছে।

ব্রা না পরে সে আসলেই আমাকে কিছু বলতে চাচ্ছে কিনা তা বোঝার জন্য আমি তার চোখের দিকে দু-এক মিনিট তাকিয়ে থেকে মনোভাব বোঝার চেষ্টা করলাম। আমার এই পরীক্ষা ও পর্যবেক্ষণের ফলাফল হচ্ছে, ব্রা না পরে সে আমাকে কোনো ধরনের সিগন্যালই দেয়নি। যদি তা না হয়ে থাকে তাহলে এটা কি তার অলসতা নাকি ডাহা উদ্বেগহীনতা? আমি এর মাথামুণ্ডু কিছুই বুঝিনি। এটা এমনও নয় যে তার একজোড়া সুন্দর সুগঠিত স্তন রয়েছে যা ব্রা ছাড়া বেশ মানিয়ে যায়। আমি বরং তার জন্য চাইতাম সে পুরু প্যাড লাগানো ব্রা পরে আমার সঙ্গে ঘুরুক, যাতে পরিচিতজনের সামনে আমি মুখ বাঁচাতে পারি।

এমনকি গ্রীষ্মকালে আমি তাকে কিছু সময়ের জন্য ব্রা পরতে রাজি করাই, বাসা থেকে বেরোনোর এক মিনিট পরই ব্রা’র হুক খুলে ফেলে। এই হুক খোলা ব্রা-ই বরং তার পাতলা হালকা রঙের শার্টের নিচে আরও স্পষ্টভাবে দৃশ্যমান হবে, কিন্তু এ নিয়ে তার এতটুকুও উদ্বেগ নেই। আমি তাকে বকা দিতে চেষ্টা করি, এই গুমোট গরমে তাহলে ব্রার বদলে সেমিজ পরার নসিহত করি। সে একথা বলে তার কৃতকর্মকে যৌক্তিকতা দেখানোর চেষ্টা করল : যেভাবে ব্রা তার স্তন চেপে ধরে তা সহ্য করা তার পক্ষে সম্ভব নয়, তাছাড়া আরও বলল, তুমি তো আর কখনো নিজে ব্রা পরনি, এটা যে কী রকম চাপ দেয় তা তুমি বুঝবে না।

তার কথা সত্ত্বেও বহু নারী ব্রা পরে না, তাদের কারোরই ব্রার ব্যাপারে কোনো মন্তব্য নেই। ব্রার ব্যাপারে তার অতি সংবেদনশীলতার কথা শুনতে গিয়ে আমি সন্দিহান হয়ে উঠি। আর অন্যান্য সবদিক থেকে আমাদের দাম্পত্য জীবন বেশ চলে যাচ্ছে। আমাদের বিয়ের পাঁচ বছর পূর্ণ হতে যাচ্ছে আর যেহেতু কেউ কাউকে পাগলের মতো ভালোবাসিনি সে কারণেই ক্লান্ত কিংবা বিরক্ত হওয়ার মতো পর্যায় আমরা এড়িয়ে যেতে পেরেছি, তা না হলে দাম্পত্য জীবন একটি কাঠগড়ার বিচারের মতো মনে হতো। যতক্ষণ না আমাদের নিজেদের একটি নিরাপদ বাসস্থান হচ্ছে আমরা বাচ্চা নেওয়ার কাজটা এড়িয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, কেবল গত শরতে আমাদের নিজেদের একটা থাকার জায়গা হয়েছে। কখনো আমি অবাক হয়ে ভেবেছি আমি কি কখনো বাচ্চার কলকল কণ্ঠে ডাডাডাডা শুনতে পাব? যার মানে বাচ্চা আমাকে ডাকছে।

ফেব্রুয়ারির এক ভোরে আমার স্ত্রীকে দেখলাম রাতের পোশাকে রান্নাঘরে দাঁড়িয়ে আছে, তার আগে আমি কখনো ভাবিনি আমাদের জীবনে কী ভয়াবহ একটি পরিবর্তনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।

‘তুমি এখানে দাঁড়িয়ে কী করছ?’

আমি বাথরুমের আলো জ্বালতে গিয়ে থমকে যাই। তখন ভোর চারটে হবে, প্রচণ্ড তৃষ্ণা নিয়ে জেগে উঠি—ডিনারে আমি আধ বোতল সজু পান করেছিলাম, তার মানে সচেতন অবস্থায় ফিরতে আমার স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা বেশি সময় লাগছিল। আমি জিজ্ঞেস করি, ‘হ্যালো, তুমি কী করছ?’ এমনিতেই খুব ঠাণ্ডা কিন্তু আমার স্ত্রীকে যেভাবে দেখলাম তা আরও বেশি শীতল করা। তাতে এলকোহলজনিত ঝিমুনি দ্রুত কেটে যায়। সে ফ্রিজের সামনে নিশ্চল নিশ্চুপ দাঁড়িয়ে আছে। তার মুখমণ্ডল আঁধারে ডুবে আছে, তাই তার অভিব্যক্তি আমি বুঝে উঠতে পারিনি, কিন্তু যেসব অভিব্যক্তির সম্ভাবনার কথা আমার মনে পড়ছে সব আমাকে আরও বেশি আতঙ্কিত করে তোলে। তার পুরু স্বাভাবিক কালো চুল ফুলে ফেঁপে উস্কুখুস্কু হয়ে আছে, তার পরনে বরাবরের মতো গোড়ালি পর্যন্ত লম্বা সাদা নাইটড্রেস।

এমন শীতের রাতে আমার স্ত্রী সাধারণত দ্রুত কার্ডিগান গায়ে চাপিয়ে মখমলের চটি খোঁজ করত। কতক্ষণ ধরে সে এভাবে ঠায় দাঁড়িয়ে আছে, নিশ্চল, খালি পায়ে গ্রীষ্মকালের রাত পোশাকে। রডের মতো ঋজু, আমার বারবার করা প্রশ্নের কথা বেমালুম ভুলে গেছে। তার মুখ আমার ঠিক উল্টোদিকে ঘুরানো, অস্বাভাবিকভাবে সে দাঁড়িয়ে আছে যেন যে এক ধরনের প্রেতাত্মা; ভূমির উপর দাঁড়ানো। তাহলে হচ্ছেটা কি? সে যদি আমার কথা শুনে থাকে তাহলে কি সে স্লিপওয়াক করছে— ঘুমের ঘোরে বেরিয়ে এসে এখানে ঘুমোচ্ছে। আমি তার দিকে এগিয়ে যাই, ঘাড় ঘুরিয়ে তার চেহারাটা একবার দেখার চেষ্টা করি। ‘তুমি এভাবে ওখানে দাঁড়িয়ে আছ কেন? এসব কী হচ্ছে?’

আমি যখন তার কাঁধে হাত দিই, তার এতটুকুও প্রতিক্রিয়া না হওয়ায় আমি অবাক হই। আমার কোনো সন্দেহ নেই যে আমি খুব স্বাভাবিক অবস্থাতেই আছি, আর এসব সত্যিই ঘটছে। আমি শোবার ঘর থেকে বেরোনোর পর থেকে সবকিছু সম্পর্কে সম্পূর্ণ সচেতন রয়েছি—সে কি করছে জিজ্ঞেস করেছি, তার দিকে এগিয়ে গেছি। সম্পূর্ণ সাড়াহীনভাবে যেন সে নিজস্ব পৃথিবীতে হারিয়ে গেছে—এভাবেই ঠায় দাঁড়িয়ে আছে। কদাচিৎ এমন ঘটেছে। মধ্যরাতের টিভি নাটকে সে এমনভাবে ডুবে আছে যে আমি যে ঘরের ভিতরে ঢুকেছি টেরই পায়নি কিন্তু ভোর ৪টায় ঘনকালো রান্নাঘরে ফ্রিজের সাদা দরজার পাণ্ডুর আভায় সম্পূর্ণ মনোযোগ ডুবিয়ে রাখার মতো কী আছে?

‘এই শুনছ?’

অন্ধকার থেকে তার শরীর সাঁতরে আমার দিকে এগোয়। আমি তার চোখের দিকে তাকাই। উজ্জ্বল, তবে উদ্বিগ্ন নয়। ধীরে ধীরে তার ঠোঁট আলগা হয়, ‘আমি একটা স্বপ্ন দেখেছি।’

তার স্বর বিস্ময়কর রকম স্পষ্ট।

‘একটা স্বপ্ন? তুমি কি বলছ তা জান? এখন কটা বাজে তোমার ধারণা আছে?’

ঘুরতেই তার শরীরটা আমার মুখোমুখি হলো, তারপর ধীরে ধীরে খোলা দরজা গলে শোবার ঘরে চলে গেল। সে ভিতরে গিয়ে পা বাড়িয়ে আলতো করে দরজাটা ঠেলে দিল। আমি অন্ধকার রান্নাঘরে একা রয়ে গেলাম। অসহায়ের মতো দেখলাম তার ফিরে যাওয়া দেহকাঠামো হা করা দরজা গিলে ফেলেছে। আমি আলো জ্বেলে বাথরুমে যাই। এই হিমশীতল আবহাওয়া বেশ কদিন ধরেই চলছে, চারদিকে লাগাতার ১০ ডিগ্রি সেন্টি গ্রেড; আমি মাত্র ক’ঘণ্টা আগে গোসল করেছি, কাজেই প্লাস্টিকের স্লিপার তখনো শীতল ও সিক্ত। নির্মম মৌসুমের নৈঃসঙ্গ কেবল অনুভব করাতে শুরু করেছে, গোসল শাওয়ারের উপরের দিকে ভেনটিলেশন ফ্যানের কালো ফাটল দিয়ে, মেঝে ও দেয়ালের সাদা টাইলস চুইয়ে নৈঃসঙ্গ ভিতরে প্রবেশ করছে। আমি যখন শোবার ঘরে ঢুকি, ততক্ষণে আমার স্ত্রী শুয়ে পড়েছে, তার পা বুকের সঙ্গে গুটানো, নির্জনতার ভার এতই বেশি যে আমার মনে হয়েছে সেই রুমে কেবল আমিই আছি। এটা অবশ্যই আমার কল্পনা।  আমি আমার নিঃশ্বাস ধরে রেখে একবারে স্থির হয়ে নিশ্চুপ টান টান দাঁড়িয়ে রইলাম, আমার স্ত্রী যেখানে শুয়ে আছে সেখানকার নিঃশ্বাসের ক্ষীণতম শব্দও আমি তখন শুনতে পাচ্ছি। তারপরও কেউ একজন ঘুমিয়ে আছে, তার নিয়মিত গভীর নিঃশ্বাসের শব্দ তাতে নেই। আমি তার কাছে পৌঁছে যেতে পারি, আমার হাত তার উষ্ণ ত্বকের মোকাবিলা করতে পারে। কিন্তু কোনো কারণে আমি তাকে স্পর্শ করতে পারছিলাম না। শব্দ করে আমি তার কাছে যেতেও চাচ্ছিলাম না। পরদিন সকালে চোখ খোলার ঠিক কয়েক মুহূর্ত পরই যখন বাস্তবতা তার স্বাভাবিক শুদ্ধ অবস্থানে পৌঁছেনি, আমি লেপমুড়ি দিয়ে শুয়ে, সাদা পর্দার ফাঁক দিয়ে শীতের রোদ্দুর যতটা ঢুকছিল আমি অন্যমনষ্ক হয়ে সে রোদের উষ্ণতা পরিমাপ করছিলাম। আমার এই বিমূর্ত কাজের মাঝখানে, আমি দেয়াল ঘড়ির দিকে তাকালাম, সময়টা দেখার সঙ্গে লাফিয়ে উঠলাম, লাথি মেরে দরজা খুলে দ্রুত রুমের বাইরে চলে এলাম। আমার স্ত্রী ফ্রিজের সামনে। ‘তুমি কি পাগল হয়েছে? আমাকে ডাকনি কেন? ক’টা বাজে তোমার...।

বাক্যের মাঝখানে পায়ের নিচে চ্যাপ্টা হয়ে যাওয়া একটা কিছু আমাকে থামিয়ে দিল। আমি আমার চোখকে বিশ্বাস করতে পারছিলাম না।

[চিয়ঙ্গ-এর স্ত্রী ইয়ঙ হি ফ্রিজ থেকে সব ধরনের মাংস বের করে ফেলে দিচ্ছে। তাকে নিরামিষাশী হতে হবে।]

এই বিভাগের আরও খবর
একগুচ্ছ কবিতা
একগুচ্ছ কবিতা
লাল শাপলার বক্ষটান
লাল শাপলার বক্ষটান
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথাসাহিত্য
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথাসাহিত্য
রূপকথার গান গানের রূপকথা
রূপকথার গান গানের রূপকথা
একটি চুমুর আকাঙ্ক্ষা
একটি চুমুর আকাঙ্ক্ষা
প্রভাত পাখির গান
প্রভাত পাখির গান
রঙ বদলের খেলা
রঙ বদলের খেলা
বিষণ্নতা
বিষণ্নতা
একা দাঁড়িয়ে একটি গাছ
একা দাঁড়িয়ে একটি গাছ
চূর্ণ পঙ্ক্তি
চূর্ণ পঙ্ক্তি
ইস্কুলকালের ইরেজার
ইস্কুলকালের ইরেজার
আঁকারীতি
আঁকারীতি
সর্বশেষ খবর
খিলগাঁওয়ে কলেজ শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা
খিলগাঁওয়ে কলেজ শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

১১ মিনিট আগে | নগর জীবন

ফিলিস্তিন রাষ্ট্রদূতের নৈশভোজে বিএনপি নেতাদের অংশগ্রহণ
ফিলিস্তিন রাষ্ট্রদূতের নৈশভোজে বিএনপি নেতাদের অংশগ্রহণ

৫১ মিনিট আগে | রাজনীতি

শাকসু নির্বাচন ১৭ ডিসেম্বর
শাকসু নির্বাচন ১৭ ডিসেম্বর

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

কুমিল্লায় ৬২ স্কুলের দুই সহস্রাধিক শিক্ষার্থীর বৃত্তি পরীক্ষা
কুমিল্লায় ৬২ স্কুলের দুই সহস্রাধিক শিক্ষার্থীর বৃত্তি পরীক্ষা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

প্রত্যাহার করা ২০ ডিসিকে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগে পদায়ন
প্রত্যাহার করা ২০ ডিসিকে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগে পদায়ন

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মৃত্যুর দুই বছর পর বীর মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি
মৃত্যুর দুই বছর পর বীর মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

সুপার সাইক্লোন সিডর দিবস, বাগেরহাটে এখনো আতঙ্ক কাটেনি
সুপার সাইক্লোন সিডর দিবস, বাগেরহাটে এখনো আতঙ্ক কাটেনি

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কালিগঞ্জে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে যুবক নিহত
কালিগঞ্জে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে যুবক নিহত

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

পিরোজপুর সরকারি কলেজে ভাঙচুর: ভিডিওধারণকারী ছাত্রদল নেতা বহিষ্কার
পিরোজপুর সরকারি কলেজে ভাঙচুর: ভিডিওধারণকারী ছাত্রদল নেতা বহিষ্কার

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

৯ দিনে এনসিপির ১০১১ মনোনয়ন ফরম বিক্রি
৯ দিনে এনসিপির ১০১১ মনোনয়ন ফরম বিক্রি

২ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবকের মৃত্যু
বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবকের মৃত্যু

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মুন্সীগঞ্জে তারেক রহমানের ৩১ দফা প্রচারে লিফলেট বিতরণ
মুন্সীগঞ্জে তারেক রহমানের ৩১ দফা প্রচারে লিফলেট বিতরণ

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কলকাতায় বুমরাহর পেসে কাঁপল দক্ষিণ আফ্রিকা
কলকাতায় বুমরাহর পেসে কাঁপল দক্ষিণ আফ্রিকা

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ষড়যন্ত্রের পথ ছেড়ে ভোটের রাজনীতিতে ফিরে আসুন: মোশারফ হোসেন
ষড়যন্ত্রের পথ ছেড়ে ভোটের রাজনীতিতে ফিরে আসুন: মোশারফ হোসেন

২ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

অসুস্থ ধর্মেন্দ্রর ব্যক্তিগত ভিডিও ফাঁস, হাসপাতালের কর্মী গ্রেপ্তার
অসুস্থ ধর্মেন্দ্রর ব্যক্তিগত ভিডিও ফাঁস, হাসপাতালের কর্মী গ্রেপ্তার

২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

‘লিটল স্টারের’ বিচারকের আসনে কারা?
‘লিটল স্টারের’ বিচারকের আসনে কারা?

২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

পুসকাস মনোনয়নে আছেন যারা
পুসকাস মনোনয়নে আছেন যারা

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

পৃথিবীর ‘হাই রিস্ক জোন’ উঠে এলো নতুন গবেষণায়
পৃথিবীর ‘হাই রিস্ক জোন’ উঠে এলো নতুন গবেষণায়

৩ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

নাশকতার চেষ্টা, গ্রেফতার আওয়ামী লীগের ৫ নেতাকর্মী
নাশকতার চেষ্টা, গ্রেফতার আওয়ামী লীগের ৫ নেতাকর্মী

৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

রাশিয়ায় যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়ে ২ পাইলট নিহত
রাশিয়ায় যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়ে ২ পাইলট নিহত

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘দাঁড়িপাল্লার বিজয় নিশ্চিত করতে ময়দানে আপোষহীন থাকতে হবে’
‘দাঁড়িপাল্লার বিজয় নিশ্চিত করতে ময়দানে আপোষহীন থাকতে হবে’

৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

প্রকাশ হলো মাহমুদ মানজুরের বই ‘গীতিজীবন’
প্রকাশ হলো মাহমুদ মানজুরের বই ‘গীতিজীবন’

৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

বগুড়ায় শুরু হচ্ছে এনসিএলের চার দিনের ম্যাচ
বগুড়ায় শুরু হচ্ছে এনসিএলের চার দিনের ম্যাচ

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বান্দরবানে খাদে পড়ে প্রাণ গেলো পর্যটকের
বান্দরবানে খাদে পড়ে প্রাণ গেলো পর্যটকের

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার দাবি দুলুর
ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার দাবি দুলুর

৩ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

গোপনে অ্যাপে সংগঠিত হচ্ছে দুর্বৃত্তরা, ৫০ থানায় নিরাপত্তা জোরদার
গোপনে অ্যাপে সংগঠিত হচ্ছে দুর্বৃত্তরা, ৫০ থানায় নিরাপত্তা জোরদার

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মাইজভান্ডারী তরিকার মূল শিক্ষা মানবকল্যাণ : কাদের গনি
মাইজভান্ডারী তরিকার মূল শিক্ষা মানবকল্যাণ : কাদের গনি

৩ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

কৃষি গুচ্ছের ভর্তি পরীক্ষা ৩ জানুয়ারি
কৃষি গুচ্ছের ভর্তি পরীক্ষা ৩ জানুয়ারি

৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

‘বিদেশিদের প্রেসক্রিপশনে এদেশের মানুষ চলতে চায় না’
‘বিদেশিদের প্রেসক্রিপশনে এদেশের মানুষ চলতে চায় না’

৩ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

বিহার বিধানসভায় এনডিএর জয়যাত্রা, কংগ্রেসের শোচনীয় পরাজয়
বিহার বিধানসভায় এনডিএর জয়যাত্রা, কংগ্রেসের শোচনীয় পরাজয়

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সর্বাধিক পঠিত
বাসে আগুন দিয়ে করছিলেন ভিডিও, ধাওয়া খেয়ে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে মৃত্যু
বাসে আগুন দিয়ে করছিলেন ভিডিও, ধাওয়া খেয়ে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে মৃত্যু

২১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

বিচারকের ছেলে তাওসিফের মৃত্যু অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে : ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক
বিচারকের ছেলে তাওসিফের মৃত্যু অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে : ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক

১০ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

জীবদ্দশায় আর কোনো রাজনৈতিক দল করব না: লতিফ সিদ্দিকী
জীবদ্দশায় আর কোনো রাজনৈতিক দল করব না: লতিফ সিদ্দিকী

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

স্কুলে ভর্তির নতুন নীতিমালা প্রকাশ, ৬৩ শতাংশই কোটা
স্কুলে ভর্তির নতুন নীতিমালা প্রকাশ, ৬৩ শতাংশই কোটা

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আরও ২৩ জেলায় নতুন ডিসি, চার বিভাগে কমিশনার
আরও ২৩ জেলায় নতুন ডিসি, চার বিভাগে কমিশনার

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আমি আবার কখনো নির্বাচন করতে পারব ভাবিনি: বাবর
আমি আবার কখনো নির্বাচন করতে পারব ভাবিনি: বাবর

৬ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

গণভোটে আইন প্রণয়ন হয়ে যাবে না, সেজন্য সংসদ গঠিত হতে হবে : সালাহউদ্দিন
গণভোটে আইন প্রণয়ন হয়ে যাবে না, সেজন্য সংসদ গঠিত হতে হবে : সালাহউদ্দিন

১১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না : প্রধান উপদেষ্টা
আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না : প্রধান উপদেষ্টা

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভারতে যাচ্ছেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা
ভারতে যাচ্ছেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নতুন দুই দূতাবাস স্থাপনের প্রস্তাব অনুমোদন
নতুন দুই দূতাবাস স্থাপনের প্রস্তাব অনুমোদন

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সাড়ে ১৮ হাজার শ্রমিক পাঠিয়ে ৩১৪ কোটি টাকা লুট
সাড়ে ১৮ হাজার শ্রমিক পাঠিয়ে ৩১৪ কোটি টাকা লুট

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সংবিধান সংশোধনে ক্ষুব্ধ হয়ে পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতির পদত্যাগ
সংবিধান সংশোধনে ক্ষুব্ধ হয়ে পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতির পদত্যাগ

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গোপনে অ্যাপে সংগঠিত হচ্ছে দুর্বৃত্তরা, ৫০ থানায় নিরাপত্তা জোরদার
গোপনে অ্যাপে সংগঠিত হচ্ছে দুর্বৃত্তরা, ৫০ থানায় নিরাপত্তা জোরদার

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

৩০টি বিদেশি নম্বর থেকে হত্যার হুমকি পেয়েছি : ওসমান হাদি
৩০টি বিদেশি নম্বর থেকে হত্যার হুমকি পেয়েছি : ওসমান হাদি

৭ ঘণ্টা আগে | ফেসবুক কর্নার

কুষ্টিয়া-১ আসনে এনসিপির মনোনয়ন নিলেন নুসরাত
কুষ্টিয়া-১ আসনে এনসিপির মনোনয়ন নিলেন নুসরাত

৭ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

গুঁড়িয়ে দেওয়া হল উমরের পুলওয়ামার বাড়ি
গুঁড়িয়ে দেওয়া হল উমরের পুলওয়ামার বাড়ি

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাজা নিয়ে মার্কিন প্রস্তাবে রাশিয়া-চীনসহ আরব দেশগুলোর আপত্তি
গাজা নিয়ে মার্কিন প্রস্তাবে রাশিয়া-চীনসহ আরব দেশগুলোর আপত্তি

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এক লাখ গাড়ি ফেরত নেবে টয়োটা
এক লাখ গাড়ি ফেরত নেবে টয়োটা

১৫ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ঢাকা ও আশপাশের জেলায় ১২ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন
ঢাকা ও আশপাশের জেলায় ১২ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৪ নভেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৪ নভেম্বর)

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এখন দেশের মানুষের প্রধান চাহিদা উৎসবমুখর নির্বাচন: আমীর খসরু
এখন দেশের মানুষের প্রধান চাহিদা উৎসবমুখর নির্বাচন: আমীর খসরু

৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

অ্যাঙ্গোলার বিপক্ষে শুরু থেকেই খেলবেন মেসি
অ্যাঙ্গোলার বিপক্ষে শুরু থেকেই খেলবেন মেসি

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

আদর্শ সমাজ বিনির্মাণে আলেমদের ভূমিকা
আদর্শ সমাজ বিনির্মাণে আলেমদের ভূমিকা

২৩ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স চতুর্থ বর্ষের ফল প্রকাশ
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স চতুর্থ বর্ষের ফল প্রকাশ

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রেমিকাকে ভিডিও কলে রেখে এমসি কলেজ শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা
প্রেমিকাকে ভিডিও কলে রেখে এমসি কলেজ শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

১২ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

জেমস ও পাকিস্তানের আলী আজমতের কনসার্ট স্থগিত
জেমস ও পাকিস্তানের আলী আজমতের কনসার্ট স্থগিত

১২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

একটি দল ভোটের মাঠে জান্নাতের টিকিট বিক্রি করছে: নবীউল্লাহ নবী
একটি দল ভোটের মাঠে জান্নাতের টিকিট বিক্রি করছে: নবীউল্লাহ নবী

৪ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

৫ ইসলামী ব্যাংক পাচ্ছে ছাড়, এখনই দিতে হচ্ছে না টাকা ফেরত
৫ ইসলামী ব্যাংক পাচ্ছে ছাড়, এখনই দিতে হচ্ছে না টাকা ফেরত

৭ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

হামজা-জায়ানের চোটের শঙ্কা উড়িয়ে দিলেন কোচ কাবরেরা
হামজা-জায়ানের চোটের শঙ্কা উড়িয়ে দিলেন কোচ কাবরেরা

১৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

আয়ারল্যান্ডকে ইনিংস ও ৪৭ রানে হারাল বাংলাদেশ
আয়ারল্যান্ডকে ইনিংস ও ৪৭ রানে হারাল বাংলাদেশ

১০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

প্রিন্ট সর্বাধিক