শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শুক্রবার, ০৩ জুন, ২০১৬

হান ক্যাঙ-এর নিরামিষাশী

ভূমিকা ও অনুবাদ : আন্দালিব রাশদী
Not defined
প্রিন্ট ভার্সন
হান ক্যাঙ-এর নিরামিষাশী

[ইংরেজি সাহিত্যের যে মান বুকার পুরস্কার তা ছাপিয়ে বৈশ্বিক সাহিত্য পুরস্কার হয়ে উঠেছে মান বুকার ইন্টারন্যাশনাল প্রাণজ। সে ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতা হচ্ছে ফিকশনটি ইংরেজি কিংবা ইংরেজিতে অনূদিত হতে হবে। অনূদিত হলে লেখকের সঙ্গে অনুবাদকও পুরস্কৃত হন। ২০১৬ তে এসে ক্ষেত্রটি এখন ইংরেজিতে অনূদিত গ্রন্থে সীমিত হয়েছে। পুরস্কারের প্রতিযোগিতায় কারা থাকছেন সে দিকটাতে চোখ দিলেই এটি পুরস্কার হিসেবে কত গুরুত্বপূর্ণ তা স্পষ্ট হয়ে ওঠে।

প্রথমবার পুরস্কার দেওয়া হয় ২০০৫ সালে। সে বছরের নমিনিদের মধ্যে দিলেও গ্যাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেজ, গুন্টার গ্রাস, সলবেলো,  নাগিব মাহফুজ, কেনজাবুরো ওয়ে, ডোরিস লেসিং, মার্গারেট অটউড, মিলান কুন্ডেরা, আয়ান ম্যাকইডয়ান,  ইসমাইল কাদারে, ফিলিপ রোথ, সিচথিয়া ওজিক, জন আপডাইক, মুরিয়েল স্পার্ক, টমাস মার্তিনেজ, স্ট্যানিস্লাভ লেম, আন্তোনিও তাবুচি এবং এ বি ইয়েহোসুয়া। প্রথম বছরের পুরস্কার পেলেন আলবেনিয়ান ঔপন্যাসিক ইসমাইল কাদারে। ২০০৭ সালের নমিনিদের মধ্যে ছিলেন কার্লোস ফুয়েন্তেস, এলিস মুনরো অ্যামোক্স ওজ, চিলুয়া আচেবে, মার্গারেট অটউড, জন ব্যানভিল, পিটার ক্যারে, ডন ডেলিলো, ফিলিপ রথ, সালমান রুশদি, আয়ান ম্যাকইউয়ান, হ্যারি মুলিশ, মিশেল তুর্নিয়ে এবং মাইকেল ওনদাতে। দ্বিতীয়বারের পুরস্কারটি পেয়েছিলেন চিনুয়া আচেবে। ২০০৯ সালের বিজয়ী এলিস মুনরো ২০১১ তে ফিলিপ রথ, ২০১৩ তে লিডিয়া ডেভিস, ২০১৫ তে লামলো ক্রাজনাহোকাই। এরপরই ২০১৬ সালে পুরস্কার নীতিমালায় পরিবর্তন আসে। ইংরেজিতে অনূদিত একটি গ্রন্থকে পুরস্কৃত করা হবে; পুরস্কারের অর্থ লেখক ও অনুবাদক সমান সমান ভাগ করে নেবেন। ২০১৬-র জন্য যেসব গ্রন্থ তালিকাভুক্ত হয়েছিল : হোসে ইউদার্দো অগুয়ানুসার ‘এ জেনারেল থিউরি অব অবলিভিয়ন’, ওরহান পামুকের ‘এ স্ট্রেঞ্জনেস ইন মাই মাইন্ড’, রবার্ট সিথালারের ‘এ হোল লাইফ’, ইয়ান লিয়াঙ্কের ‘দ্য ফোর বুকস’, এলেনা ফেরান্তের ‘দ্য স্টোরি অব দ্য লস্ট চাইল্ড এবং দক্ষিণ কোরিয়ার হান ক্যাঙ -এর ‘দ্য ভেজেটারিয়ান’, হান ক্যাঙই হলেন সবচেয়ে কম বয়সী (জন্ম ২৭ নভেম্বর ১৯৭০) মান বুকার ইন্টারন্যাশনাল প্রাইজ বিজয়ী সাহিত্যিক।

হান ক্যাঙের জন্ম দক্ষিণ কোরিয়ার গোয়াঙ্গজুতে। তার বাবা সাহিত্যিক হান সেউঙ্গওয়ান। তার ভাই হান ভঙ্গ রিমও একজন লেখক। ইয়োনসি বিশ্ববিদ্যলয়ে কোরিয়ার সাহিত্য নিয়ে পড়াশোনা করেন। প্রথম প্রকাশ কবিতায়। স্কারলেট এঙ্কর নামের একটি গল্প দিয়ে কথাসাহিত্যে যাত্রা। প্রথম উপন্যাস ‘দ্য কনভিক্টস লাভ’ প্রকাশিত হয় ১৯৯৫ সালে। দ্য ভেজেটারিয়ান ১৯৯৭-তে; ইংরেজিতে অনূদিত প্রথম গ্রন্থ ‘দ্য ভেজেটারিয়ান’ নিরামিষাশী প্রকাশিত হয় ১৯১৫ সালে। ইংরেজিতে অনুবাদ করেন সদ্য কোরিয়ান ভাষা শেখা আঠাশ বছর বয়সী ডেবরা স্মিথ। তার আরও একটি অনূদিত গ্রন্থ হিউম্যান অ্যাক্টস।

ডেবরা স্মিথ কোরিয়াতে স্নাতকোত্তর পাঠ নেওয়ার সময় একই সঙ্গে কোরিয়ান ভাষাও শিখেছিলেন। তিনি কাহিনী বিচারে একটি অসনাতনী উপন্যাস ‘দ্য ভেজেটারিয়ান’-এর দশ পৃষ্ঠা অনুবাদ করে নমুনা হিসেবে ব্রিটিশ প্রকাশক পার্টোবেলো বুকস-এর কাছে পাঠিয়ে দেন এবং অল্প সময়ের মধ্যেই প্রকাশকের সম্মতিপত্র পেয়ে যান। নিরামিষাশীকে চিহ্নিত করা হয় একটি পরাবাস্তববাদী সহিংস উপন্যাস হিসেবে। তার অন্যান্য উপন্যাস : ‘ফ্রটস অব মাই ওমেন’ দ্য ব্ল্যাক ডিয়ার, ইয়োর কোল্ড হ্যান্ড ‘ব্রিথ ফাইটিং এবং গ্রিক লেসন’। পুরস্কারপ্রাপ্ত তার একটি নভেলার নাম ‘বেবি বুদ্ধ।’

দ্য ভেজেটারিয়ান উপন্যাসের সূচনাপর্বের একাংশ অনূদিত হলো।]

নিরামিষাশী : আমার স্ত্রী নিরামিষাশী হয়ে যাওয়ার আগে আমি সব সময়ই ভাবতাম সবদিক থেকেই সে সম্পূর্ণ অনুল্লেখ্য একজন মানুষ। খোলামেলাভাবে বলতে গেলে তার সঙ্গে যখন আমার প্রথম দেখা আমি তার প্রতি একটুও আকর্ষণ বোধ করিনি। মাঝারি উচ্চতা, ববকরা চুল, তেমন বড়ও না ছোটও না, জন্ডিসগ্রস্ত, গায়ের ত্বকে অসুস্থতা দৃশ্যমান; গালের হাড় বেশ স্পষ্ট দেখা যায় তার দুর্বল ও হলদেটে অস্বাস্থ্যকর অবয়ব আমার যা জানার তা বলে দেয়। আমি যে টেবিলে অপেক্ষা করছিলাম সে যখন এদিকটায় এগিয়ে আসে তার জুতার দিকে নজর না দিয়ে আমি পারিনি— যতটা সাদাসিধে কালো জুতা কল্পনা করা যায়, এটা ঠিক তাই। আর তার হাঁটার ভঙ্গি দ্রুতও না শ্লথও না; লম্বা পদক্ষেপ নয় আবার ছোট পা ফেলে এগোনোও নয়।

যাই হোক যদি বিশেষ কোনো আকর্ষণ না থাকে, আবার অপছন্দ করার বিশেষ কারণও না থাকে তাহলে আমাদের দুজনের মধ্যে বিয়ে না হওয়ার কথা নয়। এই মহিলার নিষ্ক্রিয় ব্যক্তিত্বে আমি সতেজ কিছু পাইনি, মুগ্ধকরও কিছু নেই। কিংবা বিশেষ পরিশীলিত কিছু আর আমার জন্য একবারে জলকাদার মতো যুৎসহ হয়ে উঠেছে। তাকে জয় করার জন্য কোনো বুদ্ধিবৃত্তিক ভনিতার প্রয়োজন হয় না। ফ্যাশন ক্যাটালগে পোজ দেওয়া নিজেকে সাজিয়ে গুছিয়ে রাখা মানুষের সঙ্গে সে আমাকে তুলনা করতে পারে এমন কোনো উদ্বেগ আমার নেই। আমাদের সাক্ষাতের দিনগুলোতে আমার পৌঁছতে দেরি হলেও সে উত্তেজিত হয়নি। মধ্যকুড়িতে উঁকি দেওয়া আমার ভুঁড়ি, আমার হাড্ডিসার পা হাতের নিচের অংশ শত চেষ্টার পরও যাতে মাংস লাগে না, সেই সঙ্গে আমার শিশ্নের আকার নিয়ে আমার লালিত হীনমন্যতা— সবকিছু নিয়ে আমি নিশ্চিত থাকতে পারি এসব নিয়ে সে যতক্ষণ আছে আমার অস্থিরতার কারণ নেই।

আমি বরাবরই জীবনের মধ্যপথ অনুসরণের জন্য ঝুঁকে আছি। আমি স্কুলে পড়ার সময় আমার চেয়ে দুতিন বছরের ছোটদের বস হতে চাইতাম। আমার বয়সীদের সঙ্গে না মিশে আমি তাদের রিংলিডারের ভূমিকা পালন করতে পারতাম; পরে আমি এমন একটা কলেজ বেছে নিলাম যার বৃত্তি আমার প্রয়োজনের তুলনায় পর্যাপ্ত। শেষ পর্যন্ত আমি চাকরির জন্য এমন একটা কোম্পানি বেছে নিলাম যে কোম্পানির ছোট আকারের মানেই হচ্ছে আমার অনুল্লেখ্য দক্ষতাকে মূল্য দেবে এবং আমার ওপর অর্পিত দায়িত্ব নিষ্ঠার সঙ্গে পালনের জন্য মাসকাবারিতে যথেষ্ট মাহিনা দেবে।

কাজেই এটাই স্বাভাবিক যে আমি পৃথিবীর সবচেয়ে সাদামাঠা নারীকে বিয়ে করব। আর যেসব নারী সুন্দরী, বুদ্ধিমতী, দারুণ আবেদনময়ী, ধনী পরিবারের কন্যা— তাদের কেউ হলে আমার এই সচেতন সাজানো অস্তিত্বকে বাধাগ্রস্ত করত। আমার প্রত্যাশার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে সে একেবারেই সাধারণ স্ত্রীতে পরিণত হলো। অরুচিকর চপলতা এড়িয়ে সে দিনের কাজ চালিয়ে যেতে লাগল।

প্রতিদিন ভোর ৬টায় সে ঘুম থেকে ওঠে, ভাত রান্না করে ও স্যুপ বানায়, সঙ্গে সাধারণত খানিকটা মাছ। তার সেই বয়ঃসন্ধিকাল থেকে যেনতেন পার্টটাইম কাজ করে তার নিজের পরিবারের আয়ের সঙ্গে কিছুটা যোগ করত। যে কম্পিউটার গ্রাফিক্স কলেজে সে এক বছর পড়েছে সেখানে সহকারী প্রশিক্ষক হিসেবে শেষ চাকরি করেছে, আর কার্টুন আর কমিক স্ট্রিপ প্রকাশনের হয়ে কমিন বেলুনে কথোপকথন বসানোর যে কাজটি সাব-কন্ট্রাক্ট নিয়েছে তা বাসায় থেকেই করতে পারত।

সে কম কথা বলা একজন নারী। আমার কাছে তার কোনোকিছু চাওয়া একটি দুর্লভ ঘটনা। আমি যত দেরিতেই বাসায় ফিরি না কেন এটা নিয়ে কখনো ফ্যাসাদ বাধাতো না। এমনকি কখনো যদি আমাদের দুজনের ছুটি একই দিনে হতো সে কখনো বলেনি, চলো একসঙ্গে কোথাও ঘুরে আসি। আমি যখন টেলিভিশনের রিমোট হাতে নিয়ে আলস্যে বিকালটা পার করতাম সে দরজা বন্ধ করে নিজের রুমে পড়ে থাকত। বই পড়ে সময় কাটানোর সম্ভাবনাই বেশি। এটাই আসলে তার একমাত্র শখ। বই পড়া কেন তার এত প্রিয় এর কারণ উদঘাটন করা না গেলেও সে এতে নিজেকে পুরো ডুবিয়ে রাখতে পারে। বই পড়া আমার কাছে এত নিরস ও বিরক্তিকর যে প্রচ্ছদের ভিতরে কি আছে পাতা উল্টে  তাও আমার দেখতে ইচ্ছে করে না। কেবল খাবার সময় সে দরজা খোলে এবং নিঃশব্দে  খাবার তৈরি করতে এগিয়ে যায়। এ ধরনের স্ত্রী এ ধরনের জীবনশৈলী এটা নিশ্চিত করে যে আমার দিনগুলো উত্তেজনাপূর্ণ হবে, এটা মনে করার কোনো কারণ নেই। অন্যদিকে যেসব নারীর ফোন সারাদিনই বাজে, বন্ধু কিংবা সহকর্মীর ফোন, সে রকম একজন যদি আমার স্ত্রী হতো, যাদের ন্যাকামিতে তাদের স্বামীরা বিরক্ত, বিশেষ করে সেই স্বামীদের ঝগড়া ও চিৎকার করতে হয়, তার কাছে আমার কৃতজ্ঞ থাকা উচিত, কারণ সে নিজেকে এসব থেকে গুটিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।

কেবল একটা ব্যাপারে আমার স্ত্রীকে অস্বাভাবিক মনে হয়ে থাকে তা হচ্ছে ব্রা পরতে পছন্দ না করা। আমি তখন বয়োঃসন্ধি পেরিয়ে আসা তরুণ, আমার স্ত্রী ও আমি তখন ডেটিং করছি, আমার হাত যখন তার পিঠে রাখি, আমি তার সোয়েটারের নিচে ব্রার স্ট্র্যাপ অনুভব করলাম না আর এর মানে কি যখন বুঝতে পারলাম আমার শরীর তখন বেশ জেগে ওঠেছে।

ব্রা না পরে সে আসলেই আমাকে কিছু বলতে চাচ্ছে কিনা তা বোঝার জন্য আমি তার চোখের দিকে দু-এক মিনিট তাকিয়ে থেকে মনোভাব বোঝার চেষ্টা করলাম। আমার এই পরীক্ষা ও পর্যবেক্ষণের ফলাফল হচ্ছে, ব্রা না পরে সে আমাকে কোনো ধরনের সিগন্যালই দেয়নি। যদি তা না হয়ে থাকে তাহলে এটা কি তার অলসতা নাকি ডাহা উদ্বেগহীনতা? আমি এর মাথামুণ্ডু কিছুই বুঝিনি। এটা এমনও নয় যে তার একজোড়া সুন্দর সুগঠিত স্তন রয়েছে যা ব্রা ছাড়া বেশ মানিয়ে যায়। আমি বরং তার জন্য চাইতাম সে পুরু প্যাড লাগানো ব্রা পরে আমার সঙ্গে ঘুরুক, যাতে পরিচিতজনের সামনে আমি মুখ বাঁচাতে পারি।

এমনকি গ্রীষ্মকালে আমি তাকে কিছু সময়ের জন্য ব্রা পরতে রাজি করাই, বাসা থেকে বেরোনোর এক মিনিট পরই ব্রা’র হুক খুলে ফেলে। এই হুক খোলা ব্রা-ই বরং তার পাতলা হালকা রঙের শার্টের নিচে আরও স্পষ্টভাবে দৃশ্যমান হবে, কিন্তু এ নিয়ে তার এতটুকুও উদ্বেগ নেই। আমি তাকে বকা দিতে চেষ্টা করি, এই গুমোট গরমে তাহলে ব্রার বদলে সেমিজ পরার নসিহত করি। সে একথা বলে তার কৃতকর্মকে যৌক্তিকতা দেখানোর চেষ্টা করল : যেভাবে ব্রা তার স্তন চেপে ধরে তা সহ্য করা তার পক্ষে সম্ভব নয়, তাছাড়া আরও বলল, তুমি তো আর কখনো নিজে ব্রা পরনি, এটা যে কী রকম চাপ দেয় তা তুমি বুঝবে না।

তার কথা সত্ত্বেও বহু নারী ব্রা পরে না, তাদের কারোরই ব্রার ব্যাপারে কোনো মন্তব্য নেই। ব্রার ব্যাপারে তার অতি সংবেদনশীলতার কথা শুনতে গিয়ে আমি সন্দিহান হয়ে উঠি। আর অন্যান্য সবদিক থেকে আমাদের দাম্পত্য জীবন বেশ চলে যাচ্ছে। আমাদের বিয়ের পাঁচ বছর পূর্ণ হতে যাচ্ছে আর যেহেতু কেউ কাউকে পাগলের মতো ভালোবাসিনি সে কারণেই ক্লান্ত কিংবা বিরক্ত হওয়ার মতো পর্যায় আমরা এড়িয়ে যেতে পেরেছি, তা না হলে দাম্পত্য জীবন একটি কাঠগড়ার বিচারের মতো মনে হতো। যতক্ষণ না আমাদের নিজেদের একটি নিরাপদ বাসস্থান হচ্ছে আমরা বাচ্চা নেওয়ার কাজটা এড়িয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, কেবল গত শরতে আমাদের নিজেদের একটা থাকার জায়গা হয়েছে। কখনো আমি অবাক হয়ে ভেবেছি আমি কি কখনো বাচ্চার কলকল কণ্ঠে ডাডাডাডা শুনতে পাব? যার মানে বাচ্চা আমাকে ডাকছে।

ফেব্রুয়ারির এক ভোরে আমার স্ত্রীকে দেখলাম রাতের পোশাকে রান্নাঘরে দাঁড়িয়ে আছে, তার আগে আমি কখনো ভাবিনি আমাদের জীবনে কী ভয়াবহ একটি পরিবর্তনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।

‘তুমি এখানে দাঁড়িয়ে কী করছ?’

আমি বাথরুমের আলো জ্বালতে গিয়ে থমকে যাই। তখন ভোর চারটে হবে, প্রচণ্ড তৃষ্ণা নিয়ে জেগে উঠি—ডিনারে আমি আধ বোতল সজু পান করেছিলাম, তার মানে সচেতন অবস্থায় ফিরতে আমার স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা বেশি সময় লাগছিল। আমি জিজ্ঞেস করি, ‘হ্যালো, তুমি কী করছ?’ এমনিতেই খুব ঠাণ্ডা কিন্তু আমার স্ত্রীকে যেভাবে দেখলাম তা আরও বেশি শীতল করা। তাতে এলকোহলজনিত ঝিমুনি দ্রুত কেটে যায়। সে ফ্রিজের সামনে নিশ্চল নিশ্চুপ দাঁড়িয়ে আছে। তার মুখমণ্ডল আঁধারে ডুবে আছে, তাই তার অভিব্যক্তি আমি বুঝে উঠতে পারিনি, কিন্তু যেসব অভিব্যক্তির সম্ভাবনার কথা আমার মনে পড়ছে সব আমাকে আরও বেশি আতঙ্কিত করে তোলে। তার পুরু স্বাভাবিক কালো চুল ফুলে ফেঁপে উস্কুখুস্কু হয়ে আছে, তার পরনে বরাবরের মতো গোড়ালি পর্যন্ত লম্বা সাদা নাইটড্রেস।

এমন শীতের রাতে আমার স্ত্রী সাধারণত দ্রুত কার্ডিগান গায়ে চাপিয়ে মখমলের চটি খোঁজ করত। কতক্ষণ ধরে সে এভাবে ঠায় দাঁড়িয়ে আছে, নিশ্চল, খালি পায়ে গ্রীষ্মকালের রাত পোশাকে। রডের মতো ঋজু, আমার বারবার করা প্রশ্নের কথা বেমালুম ভুলে গেছে। তার মুখ আমার ঠিক উল্টোদিকে ঘুরানো, অস্বাভাবিকভাবে সে দাঁড়িয়ে আছে যেন যে এক ধরনের প্রেতাত্মা; ভূমির উপর দাঁড়ানো। তাহলে হচ্ছেটা কি? সে যদি আমার কথা শুনে থাকে তাহলে কি সে স্লিপওয়াক করছে— ঘুমের ঘোরে বেরিয়ে এসে এখানে ঘুমোচ্ছে। আমি তার দিকে এগিয়ে যাই, ঘাড় ঘুরিয়ে তার চেহারাটা একবার দেখার চেষ্টা করি। ‘তুমি এভাবে ওখানে দাঁড়িয়ে আছ কেন? এসব কী হচ্ছে?’

আমি যখন তার কাঁধে হাত দিই, তার এতটুকুও প্রতিক্রিয়া না হওয়ায় আমি অবাক হই। আমার কোনো সন্দেহ নেই যে আমি খুব স্বাভাবিক অবস্থাতেই আছি, আর এসব সত্যিই ঘটছে। আমি শোবার ঘর থেকে বেরোনোর পর থেকে সবকিছু সম্পর্কে সম্পূর্ণ সচেতন রয়েছি—সে কি করছে জিজ্ঞেস করেছি, তার দিকে এগিয়ে গেছি। সম্পূর্ণ সাড়াহীনভাবে যেন সে নিজস্ব পৃথিবীতে হারিয়ে গেছে—এভাবেই ঠায় দাঁড়িয়ে আছে। কদাচিৎ এমন ঘটেছে। মধ্যরাতের টিভি নাটকে সে এমনভাবে ডুবে আছে যে আমি যে ঘরের ভিতরে ঢুকেছি টেরই পায়নি কিন্তু ভোর ৪টায় ঘনকালো রান্নাঘরে ফ্রিজের সাদা দরজার পাণ্ডুর আভায় সম্পূর্ণ মনোযোগ ডুবিয়ে রাখার মতো কী আছে?

‘এই শুনছ?’

অন্ধকার থেকে তার শরীর সাঁতরে আমার দিকে এগোয়। আমি তার চোখের দিকে তাকাই। উজ্জ্বল, তবে উদ্বিগ্ন নয়। ধীরে ধীরে তার ঠোঁট আলগা হয়, ‘আমি একটা স্বপ্ন দেখেছি।’

তার স্বর বিস্ময়কর রকম স্পষ্ট।

‘একটা স্বপ্ন? তুমি কি বলছ তা জান? এখন কটা বাজে তোমার ধারণা আছে?’

ঘুরতেই তার শরীরটা আমার মুখোমুখি হলো, তারপর ধীরে ধীরে খোলা দরজা গলে শোবার ঘরে চলে গেল। সে ভিতরে গিয়ে পা বাড়িয়ে আলতো করে দরজাটা ঠেলে দিল। আমি অন্ধকার রান্নাঘরে একা রয়ে গেলাম। অসহায়ের মতো দেখলাম তার ফিরে যাওয়া দেহকাঠামো হা করা দরজা গিলে ফেলেছে। আমি আলো জ্বেলে বাথরুমে যাই। এই হিমশীতল আবহাওয়া বেশ কদিন ধরেই চলছে, চারদিকে লাগাতার ১০ ডিগ্রি সেন্টি গ্রেড; আমি মাত্র ক’ঘণ্টা আগে গোসল করেছি, কাজেই প্লাস্টিকের স্লিপার তখনো শীতল ও সিক্ত। নির্মম মৌসুমের নৈঃসঙ্গ কেবল অনুভব করাতে শুরু করেছে, গোসল শাওয়ারের উপরের দিকে ভেনটিলেশন ফ্যানের কালো ফাটল দিয়ে, মেঝে ও দেয়ালের সাদা টাইলস চুইয়ে নৈঃসঙ্গ ভিতরে প্রবেশ করছে। আমি যখন শোবার ঘরে ঢুকি, ততক্ষণে আমার স্ত্রী শুয়ে পড়েছে, তার পা বুকের সঙ্গে গুটানো, নির্জনতার ভার এতই বেশি যে আমার মনে হয়েছে সেই রুমে কেবল আমিই আছি। এটা অবশ্যই আমার কল্পনা।  আমি আমার নিঃশ্বাস ধরে রেখে একবারে স্থির হয়ে নিশ্চুপ টান টান দাঁড়িয়ে রইলাম, আমার স্ত্রী যেখানে শুয়ে আছে সেখানকার নিঃশ্বাসের ক্ষীণতম শব্দও আমি তখন শুনতে পাচ্ছি। তারপরও কেউ একজন ঘুমিয়ে আছে, তার নিয়মিত গভীর নিঃশ্বাসের শব্দ তাতে নেই। আমি তার কাছে পৌঁছে যেতে পারি, আমার হাত তার উষ্ণ ত্বকের মোকাবিলা করতে পারে। কিন্তু কোনো কারণে আমি তাকে স্পর্শ করতে পারছিলাম না। শব্দ করে আমি তার কাছে যেতেও চাচ্ছিলাম না। পরদিন সকালে চোখ খোলার ঠিক কয়েক মুহূর্ত পরই যখন বাস্তবতা তার স্বাভাবিক শুদ্ধ অবস্থানে পৌঁছেনি, আমি লেপমুড়ি দিয়ে শুয়ে, সাদা পর্দার ফাঁক দিয়ে শীতের রোদ্দুর যতটা ঢুকছিল আমি অন্যমনষ্ক হয়ে সে রোদের উষ্ণতা পরিমাপ করছিলাম। আমার এই বিমূর্ত কাজের মাঝখানে, আমি দেয়াল ঘড়ির দিকে তাকালাম, সময়টা দেখার সঙ্গে লাফিয়ে উঠলাম, লাথি মেরে দরজা খুলে দ্রুত রুমের বাইরে চলে এলাম। আমার স্ত্রী ফ্রিজের সামনে। ‘তুমি কি পাগল হয়েছে? আমাকে ডাকনি কেন? ক’টা বাজে তোমার...।

বাক্যের মাঝখানে পায়ের নিচে চ্যাপ্টা হয়ে যাওয়া একটা কিছু আমাকে থামিয়ে দিল। আমি আমার চোখকে বিশ্বাস করতে পারছিলাম না।

[চিয়ঙ্গ-এর স্ত্রী ইয়ঙ হি ফ্রিজ থেকে সব ধরনের মাংস বের করে ফেলে দিচ্ছে। তাকে নিরামিষাশী হতে হবে।]

এই বিভাগের আরও খবর
রঙ বদলের খেলা
রঙ বদলের খেলা
বিষণ্নতা
বিষণ্নতা
একা দাঁড়িয়ে একটি গাছ
একা দাঁড়িয়ে একটি গাছ
চূর্ণ পঙ্ক্তি
চূর্ণ পঙ্ক্তি
ইস্কুলকালের ইরেজার
ইস্কুলকালের ইরেজার
আঁকারীতি
আঁকারীতি
একলা হয়ে যায় সন্ধ্যা
একলা হয়ে যায় সন্ধ্যা
অব্যক্ত আলাপ
অব্যক্ত আলাপ
কবিতার ময়মনসিংহ সেকাল-একাল
কবিতার ময়মনসিংহ সেকাল-একাল
ভুল নদীর পাড়ে
ভুল নদীর পাড়ে
অগ্নি ভালো
অগ্নি ভালো
মেঘের অন্ধকার
মেঘের অন্ধকার
সর্বশেষ খবর
সুদানে রাস্তায় শত শত লাশ, কবর দেওয়ার কেউ নেই
সুদানে রাস্তায় শত শত লাশ, কবর দেওয়ার কেউ নেই

৮ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চুরি বা নকল ফোন আর চলবে না দেশের নেটওয়ার্কে
চুরি বা নকল ফোন আর চলবে না দেশের নেটওয়ার্কে

২০ মিনিট আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

সংকট থেকে উত্তরণের পথ সরকারকেই খুঁজে বের করতে হবে : মির্জা ফখরুল
সংকট থেকে উত্তরণের পথ সরকারকেই খুঁজে বের করতে হবে : মির্জা ফখরুল

২০ মিনিট আগে | রাজনীতি

টঙ্গীতে মারামারি থামাতে গিয়ে বৃদ্ধের মৃত্যু
টঙ্গীতে মারামারি থামাতে গিয়ে বৃদ্ধের মৃত্যু

৩৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত হাইমচর থানার ওসি মহিউদ্দিন আর নেই
ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত হাইমচর থানার ওসি মহিউদ্দিন আর নেই

৪০ মিনিট আগে | নগর জীবন

বান্দরবানে একজনের মরদেহ উদ্ধার
বান্দরবানে একজনের মরদেহ উদ্ধার

৪৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

হোয়াইটওয়াশ এড়াতে পারল না বাংলাদেশ
হোয়াইটওয়াশ এড়াতে পারল না বাংলাদেশ

৫৮ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

স্বাস্থ্য সহকারীরা স্বাস্থ্যখাতের সুনাম অর্জনের মূল কারিগর : ডা. জাহিদ
স্বাস্থ্য সহকারীরা স্বাস্থ্যখাতের সুনাম অর্জনের মূল কারিগর : ডা. জাহিদ

৫৯ মিনিট আগে | রাজনীতি

চাঁদপুরে যানবাহনে যৌথ বাহিনীর তল্লাশি
চাঁদপুরে যানবাহনে যৌথ বাহিনীর তল্লাশি

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

লিবিয়া থেকে ফিরলেন আরও ৩১০ বাংলাদেশি
লিবিয়া থেকে ফিরলেন আরও ৩১০ বাংলাদেশি

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রাতেই যেসব জেলায় ঝড়ের আভাস
রাতেই যেসব জেলায় ঝড়ের আভাস

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চেস-অগাস্তের ব্যাটে জয়ের পথে ওয়েস্ট ইন্ডিজ
চেস-অগাস্তের ব্যাটে জয়ের পথে ওয়েস্ট ইন্ডিজ

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

কুমিল্লায় ৪০ সেকেন্ডের ঝটিকা মিছিল, গ্রেফতার ১২
কুমিল্লায় ৪০ সেকেন্ডের ঝটিকা মিছিল, গ্রেফতার ১২

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সালমানকে নিয়ে এক কথায় কি বললেন শাহরুখ?
সালমানকে নিয়ে এক কথায় কি বললেন শাহরুখ?

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

জামালপুরে নদীতে ডুবে ৩ শিশুর মৃত্যু
জামালপুরে নদীতে ডুবে ৩ শিশুর মৃত্যু

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

জিয়াউর রহমান খাল খনন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে উন্নয়নের সূচনা করেছিলেন : বাবুল
জিয়াউর রহমান খাল খনন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে উন্নয়নের সূচনা করেছিলেন : বাবুল

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

পুলিশ সদস্যদের বহনকারী বাস দুর্ঘটনায়, আহত ২০
পুলিশ সদস্যদের বহনকারী বাস দুর্ঘটনায়, আহত ২০

১ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

যাত্রাবাড়ীতে ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ নবীউল্লাহ নবীর
যাত্রাবাড়ীতে ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ নবীউল্লাহ নবীর

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বিএনপির ৩১ দফা বাস্তবায়নে নিয়ামতপুরে কর্মীসভা অনুষ্ঠিত
বিএনপির ৩১ দফা বাস্তবায়নে নিয়ামতপুরে কর্মীসভা অনুষ্ঠিত

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশক্তির আহ্বায়কের পদত্যাগ
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশক্তির আহ্বায়কের পদত্যাগ

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

পিকআপভ্যান চাপায় অটোরিকশার তিন যাত্রী আহত
পিকআপভ্যান চাপায় অটোরিকশার তিন যাত্রী আহত

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

জুবিনের বিশেষ দিনে প্রেক্ষাগৃহে চলল না অন্য কোনও সিনেমা
জুবিনের বিশেষ দিনে প্রেক্ষাগৃহে চলল না অন্য কোনও সিনেমা

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

নারায়ণগঞ্জে জুমার নামাজ শেষে বিএনপির ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ
নারায়ণগঞ্জে জুমার নামাজ শেষে বিএনপির ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

'সমবায়ভিত্তিক অর্থনৈতিক কার্যক্রমের মাধ্যমে আত্মনির্ভরশীল দেশ গড়া সম্ভব'
'সমবায়ভিত্তিক অর্থনৈতিক কার্যক্রমের মাধ্যমে আত্মনির্ভরশীল দেশ গড়া সম্ভব'

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বান্দরবানে ভাল্লুকের আক্রমণে জুমচাষি আহত
বান্দরবানে ভাল্লুকের আক্রমণে জুমচাষি আহত

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বঙ্গোপসাগরে একটানেই জালে উঠল ১৪০ মণ ইলিশ!
বঙ্গোপসাগরে একটানেই জালে উঠল ১৪০ মণ ইলিশ!

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ধর্মীয় মূল্যবোধকে সম্মান করা উচিত: এ্যানি
ধর্মীয় মূল্যবোধকে সম্মান করা উচিত: এ্যানি

২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

লেবার পার্টির ৭৫ সংসদ সদস্য প্রার্থীর প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ
লেবার পার্টির ৭৫ সংসদ সদস্য প্রার্থীর প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ

২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বরিশালে ইজিবাইক চালককে হত্যায় গ্রেফতার ১
বরিশালে ইজিবাইক চালককে হত্যায় গ্রেফতার ১

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বাঞ্ছারামপুরে যুবদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে আনন্দ র‌্যালি ও সমাবেশ
বাঞ্ছারামপুরে যুবদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে আনন্দ র‌্যালি ও সমাবেশ

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
বাড্ডায় মেট্রো লাইন স্থানান্তর শুরু, বিকল্প সড়ক ব্যবহারের পরামর্শ
বাড্ডায় মেট্রো লাইন স্থানান্তর শুরু, বিকল্প সড়ক ব্যবহারের পরামর্শ

২২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

চাকরির শেষ কর্মদিবসে বিদ্যালয়েই মারা গেলেন প্রধান শিক্ষক
চাকরির শেষ কর্মদিবসে বিদ্যালয়েই মারা গেলেন প্রধান শিক্ষক

১৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

পুলিশ একাডেমি থেকে পালালেন ডিআইজি এহসানুল্লাহ!
পুলিশ একাডেমি থেকে পালালেন ডিআইজি এহসানুল্লাহ!

৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

রান তাড়ার বিশ্ব রেকর্ড গড়ে ফাইনালে ভারত
রান তাড়ার বিশ্ব রেকর্ড গড়ে ফাইনালে ভারত

২১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞার কারণ জানতে চেয়ে সদুত্তর পাইনি : এহসানুল হক মিলন
বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞার কারণ জানতে চেয়ে সদুত্তর পাইনি : এহসানুল হক মিলন

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শাপলা কলি দিয়ে বুঝিয়েছে এনসিপি বাচ্চাদের দল: সামান্তা শারমিন
শাপলা কলি দিয়ে বুঝিয়েছে এনসিপি বাচ্চাদের দল: সামান্তা শারমিন

১১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বাণিজ্য-মানচিত্র বদলে দেয়া রেলপথ বানাচ্ছে ইরান-রাশিয়া
বাণিজ্য-মানচিত্র বদলে দেয়া রেলপথ বানাচ্ছে ইরান-রাশিয়া

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জনপ্রশাসনবিষয়ক কমিটি বাতিল
জনপ্রশাসনবিষয়ক কমিটি বাতিল

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সরানো হলো ডিএসসিসির প্রশাসক ও ঢাকা ওয়াসার এমডিকে
সরানো হলো ডিএসসিসির প্রশাসক ও ঢাকা ওয়াসার এমডিকে

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

১৫ নভেম্বর থেকে মহানগর ও বিশেষায়িত পুলিশ ইউনিটে নতুন পোশাক
১৫ নভেম্বর থেকে মহানগর ও বিশেষায়িত পুলিশ ইউনিটে নতুন পোশাক

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রাজধানীতে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল, গ্রেফতার ২৯
রাজধানীতে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল, গ্রেফতার ২৯

৮ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

১০ বছরের প্রতিরক্ষা চুক্তি সই করল যুক্তরাষ্ট্র-ভারত
১০ বছরের প্রতিরক্ষা চুক্তি সই করল যুক্তরাষ্ট্র-ভারত

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জাতীয় নির্বাচন বানচাল করার জন্য একটি মহল কাজ করছে : মির্জা ফখরুল
জাতীয় নির্বাচন বানচাল করার জন্য একটি মহল কাজ করছে : মির্জা ফখরুল

৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতেই, তফসিল ডিসেম্বরে : ইসি আনোয়ারুল
নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতেই, তফসিল ডিসেম্বরে : ইসি আনোয়ারুল

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ট্রাম্পের পারমাণবিক পরীক্ষার নির্দেশ নিয়ে যা বলল ইরান
ট্রাম্পের পারমাণবিক পরীক্ষার নির্দেশ নিয়ে যা বলল ইরান

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যুদ্ধবিরতি বজায় রাখতে রাজি হয়েছে পাকিস্তান-আফগানিস্তান : তুরস্ক
যুদ্ধবিরতি বজায় রাখতে রাজি হয়েছে পাকিস্তান-আফগানিস্তান : তুরস্ক

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কাল থেকে যাওয়া যাবে সেন্টমার্টিন, মানতে হবে ১২ নির্দেশনা
কাল থেকে যাওয়া যাবে সেন্টমার্টিন, মানতে হবে ১২ নির্দেশনা

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

তফসিলের পর প্রশাসন-পুলিশে রদবদলের উদ্যোগ নেবে ইসি
তফসিলের পর প্রশাসন-পুলিশে রদবদলের উদ্যোগ নেবে ইসি

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বাসে নারীকে হেনস্তা করা সেই হেলপার গ্রেফতার
বাসে নারীকে হেনস্তা করা সেই হেলপার গ্রেফতার

৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

দেশের বাজারে কমল স্বর্ণের দাম, আজ থেকে কার্যকর
দেশের বাজারে কমল স্বর্ণের দাম, আজ থেকে কার্যকর

১১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

তিন বিভাগে অতিভারি বর্ষণের আভাস
তিন বিভাগে অতিভারি বর্ষণের আভাস

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গুম-খুনের অভিযোগ : সিআইডির এডিশনাল এসপি মশিউর কারাগারে
গুম-খুনের অভিযোগ : সিআইডির এডিশনাল এসপি মশিউর কারাগারে

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হাসিনাসহ ২৬১ পলাতক আসামির বিরুদ্ধে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি
হাসিনাসহ ২৬১ পলাতক আসামির বিরুদ্ধে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

২০ জেলায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস
২০ জেলায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বঙ্গোপসাগরে একটানেই জালে উঠল ১৪০ মণ ইলিশ!
বঙ্গোপসাগরে একটানেই জালে উঠল ১৪০ মণ ইলিশ!

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

জেরুজালেমের প্রবেশপথ অবরোধ করে ২ লাখ ইহুদির বিক্ষোভ
জেরুজালেমের প্রবেশপথ অবরোধ করে ২ লাখ ইহুদির বিক্ষোভ

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জাতির সঙ্গে প্রতারণাকে আমরা ‘না’ বলছি: রুমিন ফারহানা
জাতির সঙ্গে প্রতারণাকে আমরা ‘না’ বলছি: রুমিন ফারহানা

৭ ঘণ্টা আগে | টক শো

ক্যাটরিনা কাইফের ছবি ভাইরাল, ক্ষুব্ধ পরিবার
ক্যাটরিনা কাইফের ছবি ভাইরাল, ক্ষুব্ধ পরিবার

৫ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ওমরাহ ভিসা নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত সৌদির
ওমরাহ ভিসা নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত সৌদির

১২ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

হাসিনার সাবেক পিয়ন জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে ১০০ কোটি টাকার অর্থপাচার মামলা
হাসিনার সাবেক পিয়ন জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে ১০০ কোটি টাকার অর্থপাচার মামলা

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
বিশ্ব তাকিয়ে আছে ড. ইউনূসের দিকে
বিশ্ব তাকিয়ে আছে ড. ইউনূসের দিকে

প্রথম পৃষ্ঠা

ভাঙছে সঞ্চয়পত্র কমছে কেনা
ভাঙছে সঞ্চয়পত্র কমছে কেনা

পেছনের পৃষ্ঠা

প্রতি কেজি আলু উৎপাদনে কৃষকের ক্ষতি ২০ টাকা
প্রতি কেজি আলু উৎপাদনে কৃষকের ক্ষতি ২০ টাকা

নগর জীবন

বিএনপিসহ তিন দলের একক প্রার্থী মাঠে সব পক্ষের সরব উপস্থিতি
বিএনপিসহ তিন দলের একক প্রার্থী মাঠে সব পক্ষের সরব উপস্থিতি

নগর জীবন

হাসিনা পালানোর খবর শুনেও এলোপাতাড়ি গুলি করে পুলিশ
হাসিনা পালানোর খবর শুনেও এলোপাতাড়ি গুলি করে পুলিশ

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

এক বছরে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড
এক বছরে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড

মাঠে ময়দানে

বসুন্ধরা কিংস-কুয়েত এসসি মুখোমুখি আজ
বসুন্ধরা কিংস-কুয়েত এসসি মুখোমুখি আজ

মাঠে ময়দানে

একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকুন
একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকুন

প্রথম পৃষ্ঠা

জুলাই সনদের আইনি ভিত্তির জন্য গণভোট দরকার
জুলাই সনদের আইনি ভিত্তির জন্য গণভোট দরকার

নগর জীবন

মোজাম্মেল হক ও খোকন দম্পতির আয়কর নথি জব্দের আদেশ
মোজাম্মেল হক ও খোকন দম্পতির আয়কর নথি জব্দের আদেশ

নগর জীবন

নজরুল ইসলাম মজুমদারকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ করবে দুদক
নজরুল ইসলাম মজুমদারকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ করবে দুদক

নগর জীবন

বেরোবির ছাত্র সংসদ নির্বাচনে তোড়জোড় শুরু
বেরোবির ছাত্র সংসদ নির্বাচনে তোড়জোড় শুরু

নগর জীবন

চ্যালেঞ্জটা নিতে পারলেন না লিটনরা!
চ্যালেঞ্জটা নিতে পারলেন না লিটনরা!

মাঠে ময়দানে

টি স্পোর্টস
টি স্পোর্টস

মাঠে ময়দানে

বাংলাদেশের ‘রেডিমেড’ প্রতিপক্ষ নেপাল
বাংলাদেশের ‘রেডিমেড’ প্রতিপক্ষ নেপাল

মাঠে ময়দানে

তমালের সত্য ঘটনায় আরশ-উর্বী
তমালের সত্য ঘটনায় আরশ-উর্বী

শোবিজ

কী কথা হলো ট্রাম্প-শি জিনপিং
কী কথা হলো ট্রাম্প-শি জিনপিং

প্রথম পৃষ্ঠা

বদলে যাওয়া বাঁধন
বদলে যাওয়া বাঁধন

শোবিজ

মুক্তিযুদ্ধ আর বিরোধীদের একসঙ্গে মেলানো যাবে না
মুক্তিযুদ্ধ আর বিরোধীদের একসঙ্গে মেলানো যাবে না

নগর জীবন

নব্বইয়ের দশকের রোমান্টিক জুটি নাঈম-শাবনাজ
নব্বইয়ের দশকের রোমান্টিক জুটি নাঈম-শাবনাজ

শোবিজ

ফেব্রুয়ারিতে সংসদ নির্বাচন আলোচনায় নেই গণভোট
ফেব্রুয়ারিতে সংসদ নির্বাচন আলোচনায় নেই গণভোট

প্রথম পৃষ্ঠা

আদালতের সেরেস্তাদার রিমান্ডে
আদালতের সেরেস্তাদার রিমান্ডে

নগর জীবন

চাকরি ছাড়ায় হুমকির অভিযোগ
চাকরি ছাড়ায় হুমকির অভিযোগ

দেশগ্রাম

ক্ষমা চাইলেন নিজের আচরণের জন্য
ক্ষমা চাইলেন নিজের আচরণের জন্য

মাঠে ময়দানে

বিএনপি ‘না’ ভোটে গেলে গণভোট অর্থহীন হবে
বিএনপি ‘না’ ভোটে গেলে গণভোট অর্থহীন হবে

নগর জীবন

সিলেটে অনলাইন জুয়া খেলার সময় ১৫ জন গ্রেপ্তার
সিলেটে অনলাইন জুয়া খেলার সময় ১৫ জন গ্রেপ্তার

নগর জীবন

এশিয়ান আর্চারি চ্যাম্পিয়নশিপ
এশিয়ান আর্চারি চ্যাম্পিয়নশিপ

মাঠে ময়দানে

টিভিতে
টিভিতে

মাঠে ময়দানে

হেমন্তে গাঁয়ের রূপ
হেমন্তে গাঁয়ের রূপ

ডাংগুলি