ফুলের জন্য বলো না এখন, পাতাঝরা দিন এখানে!
তীব্র হিমের ছোবলে আমার ছোট্ট বাগান শীর্ণ,
রোদ পলাতক কুয়াশার ঘন কালো থাবা যেন হিংস্র-
নেকড়ের ক্রোধে ঝাঁপিয়ে পড়েছে দরিদ্র এই কুটিরে।
বসন্তমুখী প্রতীক্ষা নিয়ে ভালোবাসা আজ কাঁপছে!
তোমার জন্য বাসন্তী রং ফুলের খোঁজেই ছুটছি,
চেনা পৃথিবীর সেই রূপরং এখানে পাবে না আজকে।
এই শীতে খুব মনে পড়ে সেই কৃষ্ণচূড়ার আগুন ছড়ানো তোমাকে।
বিপরীত ঋতু, ভিন গোলার্ধে বৈপরীত্যে আমরা
দু’জন দু’দিকে। ভোলা-বরিশাল যদিও নদীর সখ্যে
মিশে যায় আজও একই জলস্রোতে, আমরাই বিচ্ছিন্ন।
এই শীত শেষে আসবেই জানি স্বপ্নের সে বসন্ত।
তীব্র শীতের এই কুয়াশায় তুমি যে একাকী কাঁপছ
আমি জানি আর জানে বাংলার শিশিরসিক্ত ঘাসেরা,
কবিতার শাদা রাজহাঁসগুলো ভাসছে স্মৃতির দিঘিতে;
শীত শেষে এসো ছেঁড়াসুতো জোড়া দিয়ে সেই মালা গাঁথতে।
এখন কোথাও রৌদ্র দেখি না, কুয়াশার কালো তান্ডব!
দিন আসবেই ভালোবাসবার ফাগুনে আগুন রৌদ্রে।