রংপুর নগরীর প্রাণকেন্দ্র সুরভি উদ্যানের সামনের রাস্তার বিপরীতে ফুটপাতের ওপর রসগোল্লা চায়ের সমাহার নিয়ে সাড়া জাগিয়েছে উদ্যোক্তা অনন্যা ও দীপক দম্পতি। নকশা করা মাটির কাপে চিনি, দুধ, মিষ্টি, কাজুবাদাম ও লিকারের মিশ্রণে তৈরি করা হচ্ছে রসগোল্লা চা। নতুন নামের রসগোল্লা চায়ের স্বাদ নিতে ভিড় বাড়ছে চা-প্রেমীদের। দুজনই শিক্ষিত। অনন্যা চাকরি করতেন একটি প্রতিষ্ঠানের আইটি সেক্টরে। দীপক চাকরি করতেন দেশের একটি স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানে ডেপুটি ম্যানেজার হিসেবে। নিজেরা কিছু একটা করার বাসনায় চাকরি ছেড়ে এই ব্যতিক্রমী চায়ের দোকান দিয়েছেন। মূলত সন্ধ্যার পর থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত তাদের চায়ের দোকান খোলা থাকে। চা-প্রেমীদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা যায়।
নিজে ভিন্ন কিছু করার লক্ষ্যে চাকরি বাদ দিয়ে মাত্র ২৫ দিন আগে শুরু করেছেন রসগোল্লা চা, স্পেশাল মাসালা দুধ চা, স্পেশাল মাসালা লেবু চা, স্পেশাল মাসালা চটপটি। গভীর রাত পর্যন্ত এই রসগোল্লা চায়ের দোকানে ভিড় জমে রসনা-প্রেমীদের। পথের ধারে সব বয়সির চায়ের আড্ডায় জমজমাট দৃশ্য চোখে পড়ে। রংপুর নগরীর কোতোয়ালি থানা-সংলগ্ন তাদের বাসা। তিন বছরের একটি কন্যাসন্তান আছে তাদের। পরিবার সামলিয়ে জীবিকার তাগিদে তাদের ব্যতিক্রমী এই উদ্যোগ। রসগোল্লা চায়ের স্বাদ নিতে আসা কয়েকজন চা-প্রেমী বলেন, রসগোল্লা চা আগে কখনো নাম শুনিনি, খাওয়া তো দূরের কথা। প্রথম নাম শুনেই খেতে ইচ্ছা হয়েছে তাই চলে এসেছি। খাওয়ার চেয়ে বেশি আনন্দই লাগছে। খুব মজা লেগেছে, একবার খেলে আবার আসতেই হবে মুখে লেগে থাকার মতো স্বাদ।
বৃহস্পতিবার রাতে কথা হয় ব্যতিক্রমী উদ্যোগে রসগোল্লা চায়ের চমক নিয়ে আসা উদ্যোক্তা অনন্যা ও দীপকের সঙ্গে। তারা বলেন, চাকরি বাদ দিয়ে ভিন্ন কিছু করার ইচ্ছা থেকেই রসগোল্লা চায়ের দোকান দেওয়ার উদ্যোগ। ইউটিউবের সাহায্যে আগে নিজে চেষ্টা করেছি, তারপর ঋণ নিয়ে এই দোকান। নতুন হিসেবে বেশ সাড়া পাচ্ছি নতুন আইটেম রসগোল্লা চায়ে। আগামীতেও এর গুণগতমান ধরে রেখে চা-প্রেমীদের সন্তুষ্টি অর্জনের চেষ্টা করব। রসগোল্লা চাসহ অন্যান্য পদের চা প্রতিদিন বেশ ভালোই বিক্রি হয়। রসগোল্লা চা প্রতি কাপ ৭০ টাকা। অন্য চা ২০ টাকা।