শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা
সাক্ষাৎকার

সামাজিক দায়বদ্ধতা আমাদের অঙ্গীকার

মো. আলী হোসেন, স্বত্বাধিকারী, ড্রিমস ইন্সট্রুমেন্ট টেকনোলজি

সামাজিক দায়বদ্ধতা আমাদের অঙ্গীকার

ড্রিমস ইন্সট্রুমেন্ট টেকনোলজির স্বত্বাধিকারী মো. আলী হোসেন বলেছেন, আমাদের কোম্পানি ড্রিমস ইন্সট্রুমেন্ট টেকনোলজি সামাজিক দায়বদ্ধতা বজায় রেখে ব্যবসা করে। এটাই আমাদের অঙ্গীকার। মানুষ যেন পণ্য কিনে প্রতারিত না হয় সেটাই আমাদের লক্ষ্য। ব্যবসা শুরুর গল্প জানতে চাইলে বলেন, বাংলাদেশে তখন স্বর্ণশিল্প সনাতনী পদ্ধতি থেকে সরে এসে মান উন্নত করতে ক্যাডমিয়াম পদ্ধতির স্বর্ণালংকার তৈরি শুরু করল। আমরা গোল্ড টেস্টিং মেশিন, গোল্ড হলমার্ক মেশিন, গোল্ড মেল্টিং মেশিন এগুলো নিয়ে কাজ করছি। আমাদের দেশে কারিগরের হাতে স্বর্ণের গহনা তৈরি হয়। বিদেশে মেশিনে তৈরি স্বর্ণের গহনা অনেক জনপ্রিয়, সেটাতে অল্প সময়ে গহনা তৈরি করা যায়। এই স্বর্ণালংকার তৈরির আগে এবং পরে গুণগত মান মনিটরিংয়ের জন্য এই মেশিনগুলো মার্কেটিং করি। যা দিয়ে স্বর্ণের মান পরীক্ষা করা যায়। স্বর্ণ কত ক্যারেটের সেটা ক্রেতাকে নিশ্চিত করা যায়।

সব শ্রেণি-পেশার মানুষ সামর্থ্য অনুসারে স্বর্ণালংকার কেনেন। এ সেক্টরকে নিয়ে আমাদের স্বপ্ন শুধু ঢাকাকেন্দ্রিক নয়, সারা দেশেই মানদণ্ড অনুযায়ী ব্যবসা বিস্তার লাভ করবে। স্বর্ণের দাম সমতায় আসবে এবং সঠিক মানে উন্নীত হবে। গহনা বিদেশে রপ্তানি করে রাজস্ব আসবে।

ব্যবসার বর্তমান পরিস্থিতি জানতে চাইলে বলেন, করোনা মহামারির প্রভাব সব ক্ষেত্রেই পড়েছে। ওই সময় ব্যবসা বাড়ানোর প্রত্যাশা আমাদের ছিল না, ব্যবসা ধরে রাখায় অগ্রাধিকার ছিল। করোনা-পরবর্তী সময়ে সেই ধাক্কা আমাদের নিতে হয়েছে আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক মন্দার কারণে। আমরা এখন সে সময়টাই পার করছি। নিয়মিত আমদানি করতে পারছি না, ব্যাংক আপাতত আমদানি সীমিত করেছে।

বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) স্ট্যান্ডিং কমিটির মেম্বার মো. আলী হোসেন বলেন, আমরা স্বর্ণ তৈরির সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত। সরকারের নীতিসহায়তা প্রয়োজন এ খাতের উন্নয়নে। এ খাত পুরনো এবং প্রাচীন। স্বর্ণ সেক্টর সেভাবে বিকশিত হচ্ছিল না। ২০১৮ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বর্ণ নীতিমালা করে দিয়েছেন। এটা নিয়ে আমরা আশাবাদী।

গোল্ড টেস্টিং মেশিন সেলসম্যানরা অপারেট করেন। আমরা তাদের প্রশিক্ষিত করি। তারা টেস্ট করে ক্রেতাদের নিশ্চিত করতে পারেন। শুরু থেকেই আমাদের পরিকল্পনা সামাজিক দায়বদ্ধতা বজায় রেখে ব্যবসা করা। আমাদের প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে স্কাইরে স্পেকট্রোমিটার, ইটালিমপিয়ারটি ওরাফি, মেটলার টোলেডো এবং সিসমা।

দেশে জুয়েলারি শিল্প সুন্দর সুস্থ প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে এগিয়ে যাবে। আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে আমরা তাল মেলাতে পারব। এরপর ২০২১ সালে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীর। উনি আসার পরেই দেশের স্বর্ণ খাতে ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে। ৪ হাজার সদস্য থেকে বাজুস এখন ৪০ হাজার সদস্যের বিশাল পরিবার। বাজুস সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে এই সেক্টরের উন্নয়নে যেসব নীতিসহায়তা প্রয়োজন তা নিয়ে কাজ করছে। এতে হয়তো আমরা দেশের বাজারে বিস্তৃতি এবং আন্তর্জাতিক বাজারে নিজেদের পণ্য পাঠাতে পারব। আমরা স্বর্ণকারদের জন্য গোল্ড টেস্টিং মেশিন, গোল্ড হলমার্ক মেশিন, গোল্ড মেল্টিং মেশিন সরবরাহ করি। আমাদের ক্রেতা স্বর্ণের দোকান মালিকরা। তারা নিজেরা ব্যবসা সরাসরি কম মনিটর করেন। সেলসম্যানরা মূলত সরাসরি ক্রেতাদের সঙ্গে কাজ করেন। গোল্ড টেস্টিং মেশিন সেলসম্যানরা অপারেট করেন। আমরা তাদের প্রশিক্ষিত করি। তারা টেস্ট করে ক্রেতাদের নিশ্চিত করতে পারেন। শুরু থেকেই আমাদের পরিকল্পনা সামাজিক দায়বদ্ধতা বজায় রেখে ব্যবসা করা। আমরা এই অঙ্গীকার বজায় রেখে চলছি। আমাদের প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে স্কাইরে স্পেকট্রোমিটার, ইটালিমপিয়ারটি ওরাফি, মেটলার টোলেডো এবং সিসমা।

এ ব্যবসার ভবিষ্যৎ বিষয়ে বলেন, স্বর্ণালংকার আমাদের সংস্কৃতির অংশ। এ দেশের নারীরা বহু বছর ধরে স্বর্ণের অলংকার ব্যবহার করে আসছেন। কিন্তু মানুষ অনেক সময় এই অলংকার কিনে প্রতারিত হয়েছে। সব শ্রেণি-পেশার মানুষ সামর্থ্য অনুসারে স্বর্ণালঙ্কার কেনেন। এই সেক্টরকে নিয়ে আমাদের স্বপ্ন শুধু ঢাকাকেন্দ্রিক নয়, সারা দেশেই মানদণ্ড অনুযায়ী ব্যবসা বিস্তার লাভ করবে। স্বর্ণের দাম সমতায় আসবে এবং সঠিক মানে উন্নীত হবে। গহনা বিদেশে রপ্তানি করে রাজস্ব আসবে। হাতের তৈরি গহনার পাশাপাশি মেশিনে তৈরি গহনারও বাজার তৈরি হবে।

সর্বশেষ খবর