শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

ইসলামিক ব্যাংকিংয়ে আস্থা বাড়ছে

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট ভার্সন
ইসলামিক ব্যাংকিংয়ে আস্থা বাড়ছে

দেশে ইসলামিক ব্যাংকিং কার্যক্রম শুরু হয়েছে ১৯৮০-র দশকের গোড়ার দিকে। ধর্মীয় দৃষ্টিভঙ্গির কারণে এ ব্যবস্থা গুরুত্বপূর্ণ খাত হিসেবে বিকশিত হয়েছে। প্রচলিত ব্যাংকগুলোর তুলনায় বেশি লাভজনক করেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুকূল নীতিগত সহায়তা। এসব প্রতিষ্ঠান জনগণকে আর্থিক ব্যবস্থার মধ্যে আনার পাশাপাশি দারিদ্র্যবিমোচনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। ব্যাংকিং সেবার বাইরে থাকা জনগোষ্ঠীকে আর্থিক সেবা দিতে অবদান রাখছে। ফলে বাংলাদেশের অর্থনীতি ও জনজীবনে শরিয়াহভিত্তিক ইসলামিক ব্যাংকিং ব্যবস্থা এক বিশাল প্রাতিষ্ঠানিক মর্যাদা পেয়েছে। ইসলামিক ব্যাংকিং আজ এ দেশের আর্থসামাজিক জীবনের এক অনিবার্য বাস্তবতা। দেশের আর্থিক খাতে ও দৈনন্দিন জীবনে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য মতে, ১০টি পরিপূর্ণ শরিয়াহভিত্তিক ইসলামী ব্যাংক, ২৭টি প্রচলিত ব্যাংকের ৩০টি ইসলামিক ব্যাংকিং শাখা ও ৬১৫টি ইসলামিক ব্যাংকিং ‘উইন্ডো’ সমন্বয়ে পরিচালিত হচ্ছে ইসলামিক ব্যাংকিং কার্যক্রম। দেশের ১২ কোটি গ্রাহকের আর্থিক অংশীদার হিসেবে শরিয়াহভিত্তিক আর্থিক লেনদেন ও কল্যাণের প্রাতিষ্ঠানিক সত্তা নিয়ে সারা দেশে কাজ করছে। পূর্ণাঙ্গ ইসলামী ব্যাংকের ১৬৭২টি শাখা, ১৫টি প্রচলিত ব্যাংকের ৩১টি শাখা এবং ১৬টি প্রচলিত ব্যাংকের ৬৪৬টি উইন্ডো দেশে ইসলামিক ব্যাংকিং সেবা প্রদান করছে। মাত্র চার দশকে ইসলামিক ব্যাংকিং বিভিন্ন খাতে, বিভিন্ন সূচকে এবং মূলধন শেয়ার বৃদ্ধি করতে সক্ষম হয়েছে। দেশের ব্যাংক খাতের মোট আমানতের ২৬ শতাংশ, মোট আমদানি বাণিজ্যের ২৬ শতাংশ, রপ্তানি বাণিজ্যের ২৪ শতাংশ, রেমিট্যান্সের ৩৯ শতাংশ, শিল্প-বিনিয়োগের ২৭ শতাংশ, কৃষি বিনিয়োগের ১৭ শতাংশ এবং ক্ষুদ্র, কুটির ও মাঝারি শিল্পের ৩৮ শতাংশ পরিচালিত হচ্ছে দেশের ইসলামী ব্যাংকগুলোতে। এ অর্জন শুধু সূচকের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়; রীতিমতো বিস্ময়করও। জনসাধারণের ইসলামিক ব্যাংকিং ব্যবস্থার প্রতি গভীর অঙ্গীকার ও অগ্রাধিকারেরই পরিচয় বহন করে। সেই অর্থে ইসলামী ব্যাংকগুলোর সম্মিলিত পরিসম্পদ, বৈধপথে রেমিট্যান্স আনা, দারিদ্র্যবিমোচন ও আত্ম-কর্মসংস্থান, পল্লী ও কৃষি বিনিয়োগ, ইসলামী মূলধন বাজার, ইসলামী বিমা বা ‘তাকাফুল’, নিরাপত্তা সঞ্চয়, ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বিকাশ, নৈতিক ব্যাংকিং, বিনিয়োগ বৈচিত্র্য- প্রভৃতির নিরিখেও বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।

জনগণের ব্যাপক আগ্রহ থাকায় অভূতপূর্ব প্রবৃদ্ধি হয়েছে ইসলামিক ব্যাংকিংয়ের। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর শেষে এ খাতে মোট আমানত ৪ লাখ ২১ হাজার ৩৭৫ কোটি টাকায় পৌঁছায়। বিনিয়োগ দাঁড়ায় ৩ লাখ ৮৬ হাজার ২২১ কোটি টাকা। এ ছাড়া, আইডিআর দাঁড়িয়েছে শূন্য দশমিক ৯২ ও অতিরিক্ত তারল্য দাঁড়িয়েছে ১৭ হাজার ৫২৫ কোটি টাকা।

তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য বলছে, গত মার্চ পর্যন্ত ইসলামিক ব্যাংকিং খাতে মোট আমানত বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৪০ হাজার ৪২৭ কোটি টাকা। প্রচলিত ব্যাংকগুলোর ইসলামিক ব্যাংকিং শাখা ও উইন্ডোগুলোর আমানতের পরিমাণ ৪২,৩৫৩ কোটি টাকা, যা মোট ইসলামী ব্যাংকগুলোর আমানতের ৯.৬%। ২০২৩ সালের হিসাবে, দেশের মোট ব্যাংকিং খাতের সম্পদের ২৫ শতাংশেরও বেশি ইসলামিক ব্যাংকিং ব্যবস্থার অধীনে। মোট বিনিয়োগের পরিমাণ ৫ লাখ ১৩ হাজার ৭৩৪ কোটি টাকা।

বাংলাদেশের ইসলামী ব্যাংক ব্যবস্থার কল্যাণকর বৈশিষ্ট্যের অন্যতম প্রধান ক্ষেত্র হলো সামাজিক দায়বদ্ধতার উদারনৈতিক বহিঃপ্রকাশ। ইসলামিক ব্যাংকিং পণ্যগুলো সাধারণ মানুষের আর্থসামাজিক মঙ্গলের নেপথ্যে নিত্যক্রিয়াশীল। এর কল্যাণকর সেবাকার্যক্রমও তেমনি সামাজিক দায় পালনের এক বড় ধরনের দৃষ্টান্ত। শিক্ষার বিকাশ, প্রযুক্তি শিক্ষার ব্যাপকতা এবং আত্ম-কর্মসংস্থানমুখী দক্ষতা অর্জনে ইসলামী ব্যাংকগুলোর ভূমিকা ও অবদান অবিস্মরণীয়।

বিশেষজ্ঞদের মতে, সংকট মোকাবিলা ও টেকসই প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করতে সুশাসন ও জবাবদিহিতা মূল চাবিকাঠি। এর জন্য অভ্যন্তরীণ নিয়ন্ত্রণ, স্বাধীন নিরীক্ষা ও স্বচ্ছ রিপোর্টিং পদ্ধতি বাস্তবায়নের পাশাপাশি ইসলামী নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যতা দেখতে শরিয়াহ বোর্ডের ভূমিকা ও স্বাধীনতা বাড়ানো প্রয়োজন। সুশাসন বাড়াতে, ঝুঁকি আরও ভালোভাবে পরিচালনা করতে ও জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনতে নিয়ন্ত্রক, ব্যাংক ও অংশীদারদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা প্রয়োজন। কমপ্লায়েন্স নিশ্চিত করতে ইসলামিক ব্যাংকিং আইন প্রয়োজন। বর্তমান সংকট কাটিয়ে উঠে এ খাত অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও আর্থিক অন্তর্ভুক্তিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

২০০২ সালে ইসলামিক ব্যাংকিং পরিচালনা ও সমন্বয়ে এই শীর্ষ এবং জাতীয় পর্যায়ে কেন্দ্রীয় শরিয়াহ বোর্ড গড়ে তোলা হয়েছে। ইসলামী ব্যাংকগুলোর শরিয়াহ ‘কমপ্লায়েন্স’ সুষমভাবে এবং যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে পরিচালিত হচ্ছে কি না, তা পর্যবেক্ষণ এবং নিশ্চিত করাই শরিয়াহ বোর্ডের প্রধান কাজ। এর আগে ১৯৯৫ সালে ‘ইসলামী ব্যাংকস কনসালটেটিভ ফোরাম’ গঠিত হয়। এই সংস্থা ইসলামী ব্যাংকগুলোর স্বার্থ এবং সংশ্লিষ্টতাকে বাংলাদেশ ব্যাংক ও সরকারের অন্যান্য নিয়ন্ত্রণকারী (রেগুলেটরি) সংস্থাগুলোর নিয়মনীতি, বিধিবিধান এবং চাহিদার মধ্যে সমন্বয় সাধন নিশ্চিত করে। ইসলামিক ব্যাংকিং পদ্ধতি নানা দার্শনিক ও ব্যাংকিং কৌশলগত বিবেচনায় বিশ্বব্যাপী এক নতুন আর্থিক ব্যবস্থাপনার ধারণা এবং সেই অভিনব ধারণার প্রাতিষ্ঠানিক ও কাঠামোগত রূপায়ণের একটি অগ্রসরমান, নিত্য-বিবর্তনশীল, বহুমুখী এবং আন্তর্জাতিক আর্থিক কৌশল।

অর্থনীতিবিদরা মনে করেন কল্যাণমুখী, অংশগ্রহণমূলক ও সামাজিক সুবিচার-অভিমুখী ইসলামী শরিয়াহ মোতাবেক পরিচালিত ইসলামিক ব্যাংকিং ধারা আরও নিবিড়ভাবে প্রাসঙ্গিক হয়ে ওঠার সব লক্ষণ স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। এর প্রধান কারণ এবং আনুকূল্যগুলোর মধ্যে রয়েছে ইসলামী ব্যাংক ব্যবস্থার সুদমুক্ত মূলভিত্তি, সততা, নৈতিক মূল্যবোধ, শরিয়াহ অনুশাসন এবং সেগুলো কঠোরভাবে প্রতিপালনের জন্য নিজ নিজ ব্যাংকের শরিয়াহ বোর্ড এবং কেন্দ্রীয় শরিয়াহ অ্যাডভাইজরি বোর্ডের নৈতিক প্রহরা এবং অভিভাবকত্ব। যে জনপ্রিয়তা এবং গণ আস্থা মাত্র চার দশকের মধ্যে একটি অভিনব আর্থিক ব্যবস্থাপনার ধারণাকে প্রাতিষ্ঠানিক ও কাঠামোগত রূপ প্রদানে সমর্থ হয়েছে এবং নবীন ব্যাংকারদের দক্ষতা ও প্রবীণ ব্যাংকারদের অভিজ্ঞতার মিশেলে এই সুদমুক্ত ব্যাংকিং ব্যবস্থাকে এতগুলো বছর অবধি নিয়ে এসেছে, সেই ধারা আর মাত্র একটি দশক চলমান রেখে এর সঙ্গে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সমন্বয় ঘটাতে পারলে ইসলামী ব্যাংকগুলো এবং ইসলামিক ব্যাংকিং গোটা দেশের আর্থিক ব্যবস্থাপনায় আমূল রূপান্তর ঘটাতে পারবে।

ব্যাংকিং বাজারে প্রবল উপস্থিতি, গ্রাহক আস্থার ফলে বিপুল আমানত, বিনিয়োগ, রেমিট্যান্স এবং সব বিধান মেনে চলার মধ্য দিয়ে অর্জিত ‘রেগুলেটর’ বা নিয়ন্ত্রকদের বিশ্বাস এবং আস্থা মাত্র চার দশকের মধ্যে একটি পরীক্ষামূলক ব্যাংকিং ‘টুল’ থেকে আজ ইসলামিক ব্যাংকিংকে একটি পরিপূর্ণ আর্থ-সামাজিক তত্ত্ব, বাস্তব ও নৈতিক ধারণায় উত্তীর্ণ করতে সক্ষম হয়েছে। এ বিষয়ে স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের এমডি মোঃ হাবিবুর রহমান বলেন, বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে ইসলামী ব্যাংকগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। বিশেষ করে কৃষি, শিল্প, তৈরি পোশাক, পরিবহন, আবাসন, চামড়া ও চিংড়ি, শিক্ষা-প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন খাতে ইসলামী ব্যাংকগুলোর ব্যাপক অবদান রয়েছে। একইভাবে ইসলামী ব্যাংকগুলোর সম্মিলিত পরিসম্পদ, ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স প্রবাহ, ক্ষুদ্র ও কৃষি বিনিয়োগ, দারিদ্র্যবিমোচন,  আত্ম-কর্মসংস্থান সৃষ্টি, আর্থিক খাতে স্থিতিশীলতা আনয়ন, ইসলামী মূলধন বাজারের বিকাশ, নৈতিক ব্যাংকিং, বিনিয়োগ বৈচিত্র্য প্রভৃতির নিরিখে ইসলামিক ব্যাংকিংয়ের অবদান বিশেষভাবে মূল্যায়নযোগ্য। আমানত, বিনিয়োগ, আমদানি-রপ্তানি ও রেমিট্যান্স প্রবাহের ক্ষেত্রে ইসলামী ব্যাংকগুলোর ভূমিকা বিস্ময়কর,  যা এ ব্যবস্থার প্রতি মানুষের আস্থার বহিঃপ্রকাশ। এ ছাড়া ইসলামী ক্রেডিট কার্ড, এটিএম, সিআরএম, ইন্টারনেট ব্যাংকিং, এসএমএস ব্যাংকিংসহ ডিজিটাল ব্যাংকিং নানা সেবার মাধ্যমে ইসলামিক ব্যাংকিং বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের সফল অংশীদার।

 

ইসলামিক ব্যাংকিংয়ের উদ্ভব ও বিকাশ

১৯৭৪ সালে জেদ্দায় অনুষ্ঠিত ওআইসির অর্থমন্ত্রীদের সম্মেলনে ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংক (আইডিবি) চার্টার গৃহীত হয়। বাংলাদেশ সরকার ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হিসেবে সেই চার্টারে স্বাক্ষর করে।

ইসলামের সূচনালগ্ন থেকেই ইসলামী অর্থ ব্যবস্থা তথা ইসলামী নীতিমালার ভিত্তিতে ব্যবসা-বাণিজ্য, ক্রয়-বিক্রয় ও লেনদেন পরিচালিত হয়ে আসছে। তবে কোনো খলিফা বা মুসলিম অর্থমন্ত্রী এর প্রচলন করেননি। ত্রয়োদশ শতাব্দী থেকেই ‘ব্যাংক’কে আকর্ষণীয় ও গ্রহণযোগ্য করার জন্য অর্থনীতি বিশেষজ্ঞরা গবেষণা শুরু করেন। তবে তা সমাজে প্রচলিত হতে লেগে যায় ৬০০ বছর! অর্থাৎ ব্যাংকের ‘ইসলামী রূপ’ পাওয়ার ইতিহাস মাত্র ৫০-৬০ বছরের।

প্রথমে অর্থ জমানোর বেশকিছু ‘আধুনিক’ প্রয়োজন, যেমন- হজের টাকা জমানোর মতো প্রয়োজন সামনে রেখে শুরু হয় ‘ইসলামী’ ঘরানার সঞ্চয় পদ্ধতি। ১৯৬২ সালে মালয়েশিয়ায় ‘পিলগ্রিমস সেভিংস করপোরেশন’ হজের জন্য সঞ্চয় গ্রহণের উদ্দেশ্যে সুদমুক্ত আর্থিক প্রতিষ্ঠান চালু করা হয়। তারা মুসলিমদের কিস্তিতে টাকা জমানোর সুযোগ দিত। তবে কোনো ধরনের সুদ দিত না। তৎকালীন স্বাভাবিক ব্যাংকিংয়ে ব্যাংকগুলো ‘আমানত’কারীদের সুদ দিত। সে হিসাবে ‘পিলগ্রিমস সেভিংস করপোরেশন’ আলাদা ছিল না। তবে পরীক্ষামূলকভাবে ইসলামিক ব্যাংকিংয়ের ধারণা বাস্তবায়ন করা হয়েছিল মিসরের ‘মিট ঘামর’ এলাকায় ১৯৬৩ থেকে ১৯৬৭ সালে। যার অনুপ্রেরণা ছিল জার্মান সেভিংস ব্যাংক। তাদের সাফল্য দেখে সে আদলে মিসরের মিট ঘামার এলাকার ব্যাংক প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখেন ড. আহমদ আল নাজ্জার। কিন্তু সেখানকার মানুষ ছিল ধর্মভীরু মুসলিম। তাই তারা টাকা-পয়সা ব্যাংকে জমা রাখত না। এ অবস্থায় ব্যাংক উদ্যোক্তার চ্যালেঞ্জ ছিল- মানুষকে টাকা জমানোর মর্ম বোঝানো ও ইসলামী মূল্যবোধ ধরে রাখা। ওই ব্যাংকটিতে তখন তিন ধরনের অ্যাকাউন্ট খোলা হতো-সেভিংস অ্যাকাউন্ট, ইনভেস্টমেন্ট অ্যাকাউন্ট ও জাকাত অ্যাকাউন্ট।

১. যারা সেভিংস অ্যাকাউন্টে টাকা জমা রাখত, তাদের সুদ বা মুনাফা দেওয়া হতো না, কিন্তু তারা যখন চাইবে তখন টাকা তুলতে পারবে। তাদের ছোট, স্বল্পমেয়াদি সুদবিহীন ঋণ দেওয়া হতো।

২. ইনভেস্টমেন্ট অ্যাকাউন্টে জমাকৃত অর্থ তোলায় ছিল কড়া নিয়ম, চাইলেই টাকা তোলা যেত না। যা শরিয়ার অংশীদারিত্ব ভিত্তিতে বিনিয়োগ করা হতো।

৩. জাকাত অ্যাকাউন্টের অর্থ শরিয়া অনুযায়ী গরিবদের মধ্যে বণ্টন করে দেওয়া হতো।

প্রথম চার বছরে এই ব্যাংক অনেকটা সাফল্য পায়। তারা অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে কাজ করে। প্রথম তিন বছর তারা ৬০ শতাংশ ঋণের আবেদন নাকচ করে। ফলে কোনো দেউলিয়া, ঋণখেলাপি হয়নি। যদিও পরবর্তীকালে ড. আহমদ আল নাজ্জারের ‘মিট ঘামর ব্যাংক’ রাজনৈতিক ও অন্যান্য কারণে বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু তার এ ধারণা দিয়ে যায় ‘ইসলামী মূল্যবোধ’ ধরে রেখে ব্যাংকিং সম্ভব। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল ও বিশ্বব্যাংকের যৌথ কর্মসূচি ‘Sturactural Adjustment Programme’-এর আওতায় মুসলিম দেশগুলোর সরকার ইসলামী ব্যাংকিং ব্যবস্থাকে অনুমোদন দেওয়া শুরু করে। এক্ষেত্রে প্রধান ভূমিকা পালন করেছিলেন শামি’য়াল দারভিশ, আব্বাস মীরাখান ও মহসীন খান, যারা আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল ও বিশ্বব্যাংকের কর্মকর্তা ছিলেন। সৌদি আরবের জেদ্দায় ১৯৭৩ সালে প্রথম ইসলামী অর্থসংস্থা গড়ে তোলার বিষয়ে আলোচনা হয়। ১৯৭৪ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাসনামলে পাকিস্তানে বাংলাদেশ ওআইসির সদস্যপদ লাভ করে।  ১৯৭৫ সালে সৌদি আরবে যাত্রা করে ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংক (আইডিবি)। তাদের হাত ধরে ইসলামী ব্যাংক  দ্রুত বিস্তার লাভ করে। পরবর্তীকালে কুয়েত, ইরান, আম্মান, জর্ডান, সেনেগাল, বাহরাইন, পাকিস্তান, সুইজারল্যান্ড ও বাংলাদেশে ইসলামিক ব্যাংকিং শুরু হয়।

 

ব্যাংকিংয়ের ইতিহাস

বিনিময় প্রথার অবসানের মাধ্যমে প্রাচীনকাল থেকে পৃথিবীতে ব্যাংকিং ব্যবস্থার যাত্রা। তখন ব্যাংকিং বলতে মূলত অর্থ (কয়েন ও স্বর্ণ) জমা রাখা ও ঋণ আদান-প্রদানকে বোঝানো হতো। আর এই ব্যবস্থার প্রথম প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেয় রোমান সাম্রাজ্য। একইভাবে বিশ্বে ব্যাংকিংয়ের বিস্তারে ভূমিকা রাখে ইউরোপের ধনী সম্প্রদায়।

ব্যাংক ব্যবস্থার প্রচলন হয়েছিল মুদ্রাব্যবস্থার সঙ্গেই। মুদ্রাব্যবস্থার আগে প্রাচীন মানুষ নিজেদের মাঝে বিনিময় প্রথার মাধ্যমে লেনদেন করত। তবে বিনিময় প্রথায় নানা অসংগতি ও অসুবিধার কারণে মুদ্রাব্যবস্থার প্রচলন ঘটে। আর তৎকালীন ধনীরা বুঝতে পারেন, নিজেদের বিপুল পরিমাণ অর্থসম্পদ গচ্ছিত রাখার জন্য একটি নিরাপদ স্থান প্রয়োজন। এ ছাড়াও বিভিন্ন রাজ্যের প্রধানরা নিজেদের রাজ্যে সুষ্ঠুভাবে বাণিজ্য পরিচালনা, সম্পদ ব্যবস্থাপনা ও ট্যাক্স কালেকশনের জন্য একটি কেন্দ্রীয় ব্যবস্থার প্রয়োজনবোধ করে। ফলস্বরূপ, আবিষ্কার হয় ব্যাংকিং পদ্ধতি। সংক্ষেপে রইল ব্যাংকিং ব্যবস্থার ইতিহাস।

► প্রায় ৮০০ থেকে ৬০০ খ্রিস্টপূর্বে কয়েন ব্যবস্থা পৃথিবীর বেশির ভাগ অঞ্চলে প্রচলিত হয়ে ওঠায় বিনিময় প্রথার সমাপ্তি ঘটে।

► রোমানদের ব্যাংকিং সিস্টেম থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে ইউরোপের রাজারা নিজেদের সাম্রাজ্যে এই ব্যবস্থার প্রচলন করেন।

► খ্রিস্টপূর্ব ৩২১ থেকে ১৮৫ সালে ভারতে মৌর্য্য সাম্রাজ্যের শাসনামলে ‘আদেশা’ নামক একটি ব্যাংকিং দলিলের সন্ধান পাওয়া যায়।

► ১৯৬০-র দশকে অটোমেটেড টেলার মেশিন বা এটিএম প্রযুক্তি আবিষ্কৃত হয় এবং দশকের শেষের দিকে অনেক ব্যাংক নিজের এটিএম স্থাপন করে।

এই বিভাগের আরও খবর
চোখের যত্ন নিন
চোখের যত্ন নিন
আলো ছড়াচ্ছে গাক চক্ষু হাসপাতাল
আলো ছড়াচ্ছে গাক চক্ষু হাসপাতাল
মেডিকেল ডিভাইস স্বতন্ত্র শিল্প হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া জরুরি
মেডিকেল ডিভাইস স্বতন্ত্র শিল্প হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া জরুরি
কলাবাগানের গলি থেকে সারা দেশে পৌঁছেছে লাজফার্মা
কলাবাগানের গলি থেকে সারা দেশে পৌঁছেছে লাজফার্মা
বিশ্বমানের সেবা নিশ্চিত করা আমাদের লক্ষ্য
বিশ্বমানের সেবা নিশ্চিত করা আমাদের লক্ষ্য
হুয়াওয়ে আমাকে শিক্ষকতা পেশার জন্য তৈরি করেছে
হুয়াওয়ে আমাকে শিক্ষকতা পেশার জন্য তৈরি করেছে
সৌরবিদ্যুৎ খাতে যুগান্তকারী পরিবর্তনের অগ্রদূত
সৌরবিদ্যুৎ খাতে যুগান্তকারী পরিবর্তনের অগ্রদূত
বাংলাদেশের অগ্রগতিতে বিশ্বস্ত সহযোগী হুয়াওয়ে
বাংলাদেশের অগ্রগতিতে বিশ্বস্ত সহযোগী হুয়াওয়ে
চীনের প্রতি আগ্রহ বাড়ছে বাংলাদেশিদের
চীনের প্রতি আগ্রহ বাড়ছে বাংলাদেশিদের
৭৬ বছরের প্রয়াস, ৫০ বছরের অংশীদারি
৭৬ বছরের প্রয়াস, ৫০ বছরের অংশীদারি
হৃদরোগ প্রতিরোধে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন জরুরি
হৃদরোগ প্রতিরোধে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন জরুরি
হার্ট মানবদেহের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ
হার্ট মানবদেহের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ
সর্বশেষ খবর
রুশ হামলার একদিন পরেও নিখোঁজ ২২ : জেলেনস্কি
রুশ হামলার একদিন পরেও নিখোঁজ ২২ : জেলেনস্কি

১ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাংলাদেশে প্রথম জাতীয় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রস্তুতি মূল্যায়ন প্রতিবেদন প্রকাশ
বাংলাদেশে প্রথম জাতীয় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রস্তুতি মূল্যায়ন প্রতিবেদন প্রকাশ

৩ মিনিট আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

আজ সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন বেগম খালেদা জিয়া
আজ সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন বেগম খালেদা জিয়া

৫০ মিনিট আগে | জাতীয়

বিভিন্ন মন্ত্রণালয়-বিভাগের প্রধানদের সঙ্গে ইসির সভা ৩০ নভেম্বর
বিভিন্ন মন্ত্রণালয়-বিভাগের প্রধানদের সঙ্গে ইসির সভা ৩০ নভেম্বর

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইসির ৯ কর্মকর্তাকে বদলি-পদায়ন
ইসির ৯ কর্মকর্তাকে বদলি-পদায়ন

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জাতির গর্বিত প্রতিষ্ঠান সশস্ত্র বাহিনী: তারেক রহমান
জাতির গর্বিত প্রতিষ্ঠান সশস্ত্র বাহিনী: তারেক রহমান

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জাতিসংঘের কপ-৩০ জলবায়ু সম্মেলন ভেন‍্যুতে ভয়াবহ আগুন
জাতিসংঘের কপ-৩০ জলবায়ু সম্মেলন ভেন‍্যুতে ভয়াবহ আগুন

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিদেশে কর্মী পাঠাতে সমন্বিত প্ল্যাটফর্ম ওইপি চালু
বিদেশে কর্মী পাঠাতে সমন্বিত প্ল্যাটফর্ম ওইপি চালু

৫ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

অস্ট্রেলিয়ায় কার্যকর হতে যাচ্ছে শিশুদের ফেসবুক-টিকটক ব্যবহার বন্ধের আইন
অস্ট্রেলিয়ায় কার্যকর হতে যাচ্ছে শিশুদের ফেসবুক-টিকটক ব্যবহার বন্ধের আইন

৫ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

খতমে নবুয়ত ইমানের অংশ
খতমে নবুয়ত ইমানের অংশ

৫ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

সশস্ত্র বাহিনী দিবসের প্রেক্ষাপট ও বাস্তবতা
সশস্ত্র বাহিনী দিবসের প্রেক্ষাপট ও বাস্তবতা

৫ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

মুন্সীগঞ্জে নির্যাতনের শিকার শিশু জুবায়েরের মৃত্যু
মুন্সীগঞ্জে নির্যাতনের শিকার শিশু জুবায়েরের মৃত্যু

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আমাদের ঠকানো হবে আরও কতবার
আমাদের ঠকানো হবে আরও কতবার

৫ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

রাজনীতির নামে ধর্মকে পুঁজি করার চেষ্টা করবেন না: খোকন তালুকদার
রাজনীতির নামে ধর্মকে পুঁজি করার চেষ্টা করবেন না: খোকন তালুকদার

৫ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

তারেক রহমানের জন্মদিনে মালয়েশিয়ায় দোয়া মাহফিল
তারেক রহমানের জন্মদিনে মালয়েশিয়ায় দোয়া মাহফিল

৬ ঘণ্টা আগে | পরবাস

নাশকতাকারীদের ঢাকায় অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হবে: ডিএমপি কমিশনার
নাশকতাকারীদের ঢাকায় অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হবে: ডিএমপি কমিশনার

৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

তারেক রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে কুমিল্লায় দোয়া ও খাবার বিতরণ
তারেক রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে কুমিল্লায় দোয়া ও খাবার বিতরণ

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

হারপিকের উদ্যোগে বিশ্ব টয়লেট দিবস উদযাপন
হারপিকের উদ্যোগে বিশ্ব টয়লেট দিবস উদযাপন

৬ ঘণ্টা আগে | কর্পোরেট কর্নার

নেত্রকোনায় ধানকাটার মেশিনে কাটা পড়ে শিশুর মৃত্যু
নেত্রকোনায় ধানকাটার মেশিনে কাটা পড়ে শিশুর মৃত্যু

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মালয়েশিয়ায় ১৭৪ বাংলাদেশি গ্রেপ্তার
মালয়েশিয়ায় ১৭৪ বাংলাদেশি গ্রেপ্তার

৭ ঘণ্টা আগে | পরবাস

নওগাঁয় বিএনপির মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী কর্মীসভা
নওগাঁয় বিএনপির মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী কর্মীসভা

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সিলেটে শুক্রবার যে এলাকাগুলোতে বিদ্যুৎ থাকবে না
সিলেটে শুক্রবার যে এলাকাগুলোতে বিদ্যুৎ থাকবে না

৮ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

রাজবাড়ীতে তারেক রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ
রাজবাড়ীতে তারেক রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ঝিনাইদহে বৃদ্ধকে কুপিয়ে হত্যাচেষ্টা, অস্ত্রসহ যুবক গ্রেপ্তার
ঝিনাইদহে বৃদ্ধকে কুপিয়ে হত্যাচেষ্টা, অস্ত্রসহ যুবক গ্রেপ্তার

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চা শ্রমিকদের দুর্দশার কথা শুনলেন খন্দকার মুক্তাদির
চা শ্রমিকদের দুর্দশার কথা শুনলেন খন্দকার মুক্তাদির

৮ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

দেশের বাজারে কমলো স্বর্ণের দাম
দেশের বাজারে কমলো স্বর্ণের দাম

৯ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

তারেক রহমানের হাতে দেশ কখনো পথ হারাবে না: মনিরুল হক
তারেক রহমানের হাতে দেশ কখনো পথ হারাবে না: মনিরুল হক

৯ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

তারেক রহমানের ভিশনারি নেতৃত্বে আগামীর সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠিত হবে : মীর হেলাল
তারেক রহমানের ভিশনারি নেতৃত্বে আগামীর সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠিত হবে : মীর হেলাল

৯ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

তরুণরাই গড়বে সুন্দর বাংলাদেশ: ইসরাফিল খসরু
তরুণরাই গড়বে সুন্দর বাংলাদেশ: ইসরাফিল খসরু

৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

২৪ সপ্তাহে জন্ম, ওজন ৬৪০ গ্রাম, ৯০ দিনের লড়াই; জিতল ‘মিরাকল শিশু’
২৪ সপ্তাহে জন্ম, ওজন ৬৪০ গ্রাম, ৯০ দিনের লড়াই; জিতল ‘মিরাকল শিশু’

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সর্বাধিক পঠিত
ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথমবার এমন রেকর্ড গড়লেন শাই হোপ
ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথমবার এমন রেকর্ড গড়লেন শাই হোপ

১৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ভারতের সঙ্গে পূর্ণমাত্রায় যুদ্ধ শুরুর আশঙ্কা পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর
ভারতের সঙ্গে পূর্ণমাত্রায় যুদ্ধ শুরুর আশঙ্কা পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ঢাকার যে আসনের প্রার্থী হতে মনোনয়ন কিনলেন রিকশাচালক সুজন
ঢাকার যে আসনের প্রার্থী হতে মনোনয়ন কিনলেন রিকশাচালক সুজন

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনরুজ্জীবিত হলো সংবিধানে, কার্যকর হবে ভবিষ্যতে
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনরুজ্জীবিত হলো সংবিধানে, কার্যকর হবে ভবিষ্যতে

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে কে জয়ী, স্পষ্ট করল মার্কিন প্রতিবেদন
ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে কে জয়ী, স্পষ্ট করল মার্কিন প্রতিবেদন

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তিন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট চাকরিচ্যুত
তিন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট চাকরিচ্যুত

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

১৩ লাখ রোহিঙ্গার ভার আর বহন করা সম্ভব নয়: জাতিসংঘে বাংলাদেশ
১৩ লাখ রোহিঙ্গার ভার আর বহন করা সম্ভব নয়: জাতিসংঘে বাংলাদেশ

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ওসি প্রদীপ ও লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ড বহাল
ওসি প্রদীপ ও লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ড বহাল

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মুশফিক ছাড়াও শততম টেস্টে শতক হাঁকিয়েছেন যারা
মুশফিক ছাড়াও শততম টেস্টে শতক হাঁকিয়েছেন যারা

২০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

নারীদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষায় ৫ প্রতিশ্রুতি তারেক রহমানের
নারীদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষায় ৫ প্রতিশ্রুতি তারেক রহমানের

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হাসিনা পালানোতেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফিরে এলো : জয়নুল আবেদীন
হাসিনা পালানোতেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফিরে এলো : জয়নুল আবেদীন

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত
উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল, প্রতিক্রিয়ায় যা বললো জামায়াত
তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল, প্রতিক্রিয়ায় যা বললো জামায়াত

১৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

পুলিশের মনোবল ভাঙার চেষ্টা করবেন না : ডিএমপি কমিশনার
পুলিশের মনোবল ভাঙার চেষ্টা করবেন না : ডিএমপি কমিশনার

১৮ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

অভ‍্যন্তরীণ ইস্যুতে কোনো দেশের হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ: দিল্লিতে নিরাপত্তা উপদেষ্টা
অভ‍্যন্তরীণ ইস্যুতে কোনো দেশের হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ: দিল্লিতে নিরাপত্তা উপদেষ্টা

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আন্দোলনরত ৮ দলের কর্মসূচিতে পরিবর্তন
আন্দোলনরত ৮ দলের কর্মসূচিতে পরিবর্তন

১২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালের রায় নিয়ে যা বললেন আমির খসরু
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালের রায় নিয়ে যা বললেন আমির খসরু

১৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

শুক্রবার মামদানির সঙ্গে বৈঠকে বসছেন ট্রাম্প
শুক্রবার মামদানির সঙ্গে বৈঠকে বসছেন ট্রাম্প

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আগামী ৩-৪ কার্যদিবসের মধ্যে গণভোট আইন করা হবে
আগামী ৩-৪ কার্যদিবসের মধ্যে গণভোট আইন করা হবে

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চিড়িয়াখানায় ঠাঁই হলো সেই মুখপোড়া হনুমানের
চিড়িয়াখানায় ঠাঁই হলো সেই মুখপোড়া হনুমানের

২২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মোদিকে আরও একবার বোল্ড করলেন ট্রাম্প
মোদিকে আরও একবার বোল্ড করলেন ট্রাম্প

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সৌদি যুবরাজের অনুরোধ, সুদানের সংঘাত অবসান করতে চান ট্রাম্প
সৌদি যুবরাজের অনুরোধ, সুদানের সংঘাত অবসান করতে চান ট্রাম্প

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শততম টেস্টে শতক হাঁকালেন মুশফিক
শততম টেস্টে শতক হাঁকালেন মুশফিক

২১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

৩৯ টাকা কেজিতে ধান, ৫০ টাকায় সিদ্ধ চাল কিনবে সরকার
৩৯ টাকা কেজিতে ধান, ৫০ টাকায় সিদ্ধ চাল কিনবে সরকার

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিহারে রেকর্ড গড়ে ১০ম বার মুখ্যমন্ত্রীর শপথ নীতিশ কুমারের
বিহারে রেকর্ড গড়ে ১০ম বার মুখ্যমন্ত্রীর শপথ নীতিশ কুমারের

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারতকে হারিয়ে ৯ বছরে সর্বোচ্চ র‍্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ
ভারতকে হারিয়ে ৯ বছরে সর্বোচ্চ র‍্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ

২২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মুশফিক-লিটনের সেঞ্চুরিতে রান পাহাড়ে বাংলাদেশ
মুশফিক-লিটনের সেঞ্চুরিতে রান পাহাড়ে বাংলাদেশ

১৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

জাতীয় পুনর্জাগরণের নেতা
জাতীয় পুনর্জাগরণের নেতা

২২ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

২০২৬ ফুটবল বিশ্বকাপ: এক নজরে সবকিছু
২০২৬ ফুটবল বিশ্বকাপ: এক নজরে সবকিছু

১৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

যুক্তরাষ্ট্রের ‘প্রধান নন-ন্যাটো মিত্র’ হিসেবে সৌদিকে শ্রেণিকরণের তাৎপর্য কী?
যুক্তরাষ্ট্রের ‘প্রধান নন-ন্যাটো মিত্র’ হিসেবে সৌদিকে শ্রেণিকরণের তাৎপর্য কী?

১২ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

প্রিন্ট সর্বাধিক
ফিতা কাটাই ভরসা
ফিতা কাটাই ভরসা

শোবিজ

আবার জামায়াতের কঠোর সমালোচনা
আবার জামায়াতের কঠোর সমালোচনা

প্রথম পৃষ্ঠা

নান্দনিক জাহাজ বানাচ্ছে বাংলাদেশ
নান্দনিক জাহাজ বানাচ্ছে বাংলাদেশ

পেছনের পৃষ্ঠা

মানুষ চ্যাপটা এবার চট্টগ্রামে
মানুষ চ্যাপটা এবার চট্টগ্রামে

প্রথম পৃষ্ঠা

সিলেটে পুরোনো কূপে নতুন করে মিলল গ্যাস
সিলেটে পুরোনো কূপে নতুন করে মিলল গ্যাস

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

ফিরল তত্ত্বাবধায়ক সরকার
ফিরল তত্ত্বাবধায়ক সরকার

প্রথম পৃষ্ঠা

সৌদিতে অপহরণ বাংলাদেশে মুক্তিপণ
সৌদিতে অপহরণ বাংলাদেশে মুক্তিপণ

পেছনের পৃষ্ঠা

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে ফের বসছে ইসি
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে ফের বসছে ইসি

পেছনের পৃষ্ঠা

সশস্ত্র বাহিনী দিবস আজ
সশস্ত্র বাহিনী দিবস আজ

প্রথম পৃষ্ঠা

না, আমাকে পয়সা দিতে হবে : ববিতা
না, আমাকে পয়সা দিতে হবে : ববিতা

শোবিজ

তারেক রহমানের ৬১তম জন্মদিন উপলক্ষে তথ্যচিত্র
তারেক রহমানের ৬১তম জন্মদিন উপলক্ষে তথ্যচিত্র

শোবিজ

ক্যাপিটাল ড্রামার নাটক ‘ফার্স্ট লাভ’
ক্যাপিটাল ড্রামার নাটক ‘ফার্স্ট লাভ’

শোবিজ

বড়পর্দায় সাংবাদিক তিশা
বড়পর্দায় সাংবাদিক তিশা

শোবিজ

হাঙ্গেরির মঞ্চে বাংলাদেশি তাওসিফ
হাঙ্গেরির মঞ্চে বাংলাদেশি তাওসিফ

শোবিজ

দেশ এগোলে মা-বোনদের ভয় পেতে হবে না
দেশ এগোলে মা-বোনদের ভয় পেতে হবে না

প্রথম পৃষ্ঠা

বিদেশি কোচদের অধীনে ভারত জয়
বিদেশি কোচদের অধীনে ভারত জয়

মাঠে ময়দানে

ব্যাপক সাড়া পোস্টাল ভোটিং নিবন্ধনে
ব্যাপক সাড়া পোস্টাল ভোটিং নিবন্ধনে

পেছনের পৃষ্ঠা

নির্বাচন নিয়ে নাগরিকদের মনে এখনো শঙ্কা
নির্বাচন নিয়ে নাগরিকদের মনে এখনো শঙ্কা

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রদীপ-লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ড বহাল
প্রদীপ-লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ড বহাল

প্রথম পৃষ্ঠা

হামজার শুভেচ্ছায় মুগ্ধ মুশফিক
হামজার শুভেচ্ছায় মুগ্ধ মুশফিক

মাঠে ময়দানে

১০০-তে ১০০ মুশফিক
১০০-তে ১০০ মুশফিক

প্রথম পৃষ্ঠা

পুলিশের মনোবল ভাঙলে পাহারা দিতে হবে নিজেদের
পুলিশের মনোবল ভাঙলে পাহারা দিতে হবে নিজেদের

প্রথম পৃষ্ঠা

অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে হস্তক্ষেপ চায় না বাংলাদেশ
অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে হস্তক্ষেপ চায় না বাংলাদেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

১ ডিসেম্বর থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ চালু
১ ডিসেম্বর থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ চালু

পেছনের পৃষ্ঠা

নির্বাচন নিয়ে আলোচনা করতে কমনওয়েলথ মহাসচিব ঢাকায়
নির্বাচন নিয়ে আলোচনা করতে কমনওয়েলথ মহাসচিব ঢাকায়

প্রথম পৃষ্ঠা

তিন-চার কর্মদিবসের মধ্যেই গণভোট আইন
তিন-চার কর্মদিবসের মধ্যেই গণভোট আইন

প্রথম পৃষ্ঠা

পুনর্বহালে জাতি হয়েছে কলঙ্কমুক্ত : এনসিপি
পুনর্বহালে জাতি হয়েছে কলঙ্কমুক্ত : এনসিপি

প্রথম পৃষ্ঠা

দ্বারপ্রান্তে পৃথক সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয়
দ্বারপ্রান্তে পৃথক সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয়

প্রথম পৃষ্ঠা

নিখোঁজ শিশুর লাশ মিলল বাগানে
নিখোঁজ শিশুর লাশ মিলল বাগানে

দেশগ্রাম