শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

ইসলামিক ব্যাংকিংয়ে আস্থা বাড়ছে

নিজস্ব প্রতিবেদক
ইসলামিক ব্যাংকিংয়ে আস্থা বাড়ছে

দেশে ইসলামিক ব্যাংকিং কার্যক্রম শুরু হয়েছে ১৯৮০-র দশকের গোড়ার দিকে। ধর্মীয় দৃষ্টিভঙ্গির কারণে এ ব্যবস্থা গুরুত্বপূর্ণ খাত হিসেবে বিকশিত হয়েছে। প্রচলিত ব্যাংকগুলোর তুলনায় বেশি লাভজনক করেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুকূল নীতিগত সহায়তা। এসব প্রতিষ্ঠান জনগণকে আর্থিক ব্যবস্থার মধ্যে আনার পাশাপাশি দারিদ্র্যবিমোচনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। ব্যাংকিং সেবার বাইরে থাকা জনগোষ্ঠীকে আর্থিক সেবা দিতে অবদান রাখছে। ফলে বাংলাদেশের অর্থনীতি ও জনজীবনে শরিয়াহভিত্তিক ইসলামিক ব্যাংকিং ব্যবস্থা এক বিশাল প্রাতিষ্ঠানিক মর্যাদা পেয়েছে। ইসলামিক ব্যাংকিং আজ এ দেশের আর্থসামাজিক জীবনের এক অনিবার্য বাস্তবতা। দেশের আর্থিক খাতে ও দৈনন্দিন জীবনে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য মতে, ১০টি পরিপূর্ণ শরিয়াহভিত্তিক ইসলামী ব্যাংক, ২৭টি প্রচলিত ব্যাংকের ৩০টি ইসলামিক ব্যাংকিং শাখা ও ৬১৫টি ইসলামিক ব্যাংকিং ‘উইন্ডো’ সমন্বয়ে পরিচালিত হচ্ছে ইসলামিক ব্যাংকিং কার্যক্রম। দেশের ১২ কোটি গ্রাহকের আর্থিক অংশীদার হিসেবে শরিয়াহভিত্তিক আর্থিক লেনদেন ও কল্যাণের প্রাতিষ্ঠানিক সত্তা নিয়ে সারা দেশে কাজ করছে। পূর্ণাঙ্গ ইসলামী ব্যাংকের ১৬৭২টি শাখা, ১৫টি প্রচলিত ব্যাংকের ৩১টি শাখা এবং ১৬টি প্রচলিত ব্যাংকের ৬৪৬টি উইন্ডো দেশে ইসলামিক ব্যাংকিং সেবা প্রদান করছে। মাত্র চার দশকে ইসলামিক ব্যাংকিং বিভিন্ন খাতে, বিভিন্ন সূচকে এবং মূলধন শেয়ার বৃদ্ধি করতে সক্ষম হয়েছে। দেশের ব্যাংক খাতের মোট আমানতের ২৬ শতাংশ, মোট আমদানি বাণিজ্যের ২৬ শতাংশ, রপ্তানি বাণিজ্যের ২৪ শতাংশ, রেমিট্যান্সের ৩৯ শতাংশ, শিল্প-বিনিয়োগের ২৭ শতাংশ, কৃষি বিনিয়োগের ১৭ শতাংশ এবং ক্ষুদ্র, কুটির ও মাঝারি শিল্পের ৩৮ শতাংশ পরিচালিত হচ্ছে দেশের ইসলামী ব্যাংকগুলোতে। এ অর্জন শুধু সূচকের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়; রীতিমতো বিস্ময়করও। জনসাধারণের ইসলামিক ব্যাংকিং ব্যবস্থার প্রতি গভীর অঙ্গীকার ও অগ্রাধিকারেরই পরিচয় বহন করে। সেই অর্থে ইসলামী ব্যাংকগুলোর সম্মিলিত পরিসম্পদ, বৈধপথে রেমিট্যান্স আনা, দারিদ্র্যবিমোচন ও আত্ম-কর্মসংস্থান, পল্লী ও কৃষি বিনিয়োগ, ইসলামী মূলধন বাজার, ইসলামী বিমা বা ‘তাকাফুল’, নিরাপত্তা সঞ্চয়, ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বিকাশ, নৈতিক ব্যাংকিং, বিনিয়োগ বৈচিত্র্য- প্রভৃতির নিরিখেও বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।

জনগণের ব্যাপক আগ্রহ থাকায় অভূতপূর্ব প্রবৃদ্ধি হয়েছে ইসলামিক ব্যাংকিংয়ের। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর শেষে এ খাতে মোট আমানত ৪ লাখ ২১ হাজার ৩৭৫ কোটি টাকায় পৌঁছায়। বিনিয়োগ দাঁড়ায় ৩ লাখ ৮৬ হাজার ২২১ কোটি টাকা। এ ছাড়া, আইডিআর দাঁড়িয়েছে শূন্য দশমিক ৯২ ও অতিরিক্ত তারল্য দাঁড়িয়েছে ১৭ হাজার ৫২৫ কোটি টাকা।

তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য বলছে, গত মার্চ পর্যন্ত ইসলামিক ব্যাংকিং খাতে মোট আমানত বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৪০ হাজার ৪২৭ কোটি টাকা। প্রচলিত ব্যাংকগুলোর ইসলামিক ব্যাংকিং শাখা ও উইন্ডোগুলোর আমানতের পরিমাণ ৪২,৩৫৩ কোটি টাকা, যা মোট ইসলামী ব্যাংকগুলোর আমানতের ৯.৬%। ২০২৩ সালের হিসাবে, দেশের মোট ব্যাংকিং খাতের সম্পদের ২৫ শতাংশেরও বেশি ইসলামিক ব্যাংকিং ব্যবস্থার অধীনে। মোট বিনিয়োগের পরিমাণ ৫ লাখ ১৩ হাজার ৭৩৪ কোটি টাকা।

বাংলাদেশের ইসলামী ব্যাংক ব্যবস্থার কল্যাণকর বৈশিষ্ট্যের অন্যতম প্রধান ক্ষেত্র হলো সামাজিক দায়বদ্ধতার উদারনৈতিক বহিঃপ্রকাশ। ইসলামিক ব্যাংকিং পণ্যগুলো সাধারণ মানুষের আর্থসামাজিক মঙ্গলের নেপথ্যে নিত্যক্রিয়াশীল। এর কল্যাণকর সেবাকার্যক্রমও তেমনি সামাজিক দায় পালনের এক বড় ধরনের দৃষ্টান্ত। শিক্ষার বিকাশ, প্রযুক্তি শিক্ষার ব্যাপকতা এবং আত্ম-কর্মসংস্থানমুখী দক্ষতা অর্জনে ইসলামী ব্যাংকগুলোর ভূমিকা ও অবদান অবিস্মরণীয়।

বিশেষজ্ঞদের মতে, সংকট মোকাবিলা ও টেকসই প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করতে সুশাসন ও জবাবদিহিতা মূল চাবিকাঠি। এর জন্য অভ্যন্তরীণ নিয়ন্ত্রণ, স্বাধীন নিরীক্ষা ও স্বচ্ছ রিপোর্টিং পদ্ধতি বাস্তবায়নের পাশাপাশি ইসলামী নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যতা দেখতে শরিয়াহ বোর্ডের ভূমিকা ও স্বাধীনতা বাড়ানো প্রয়োজন। সুশাসন বাড়াতে, ঝুঁকি আরও ভালোভাবে পরিচালনা করতে ও জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনতে নিয়ন্ত্রক, ব্যাংক ও অংশীদারদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা প্রয়োজন। কমপ্লায়েন্স নিশ্চিত করতে ইসলামিক ব্যাংকিং আইন প্রয়োজন। বর্তমান সংকট কাটিয়ে উঠে এ খাত অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও আর্থিক অন্তর্ভুক্তিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

২০০২ সালে ইসলামিক ব্যাংকিং পরিচালনা ও সমন্বয়ে এই শীর্ষ এবং জাতীয় পর্যায়ে কেন্দ্রীয় শরিয়াহ বোর্ড গড়ে তোলা হয়েছে। ইসলামী ব্যাংকগুলোর শরিয়াহ ‘কমপ্লায়েন্স’ সুষমভাবে এবং যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে পরিচালিত হচ্ছে কি না, তা পর্যবেক্ষণ এবং নিশ্চিত করাই শরিয়াহ বোর্ডের প্রধান কাজ। এর আগে ১৯৯৫ সালে ‘ইসলামী ব্যাংকস কনসালটেটিভ ফোরাম’ গঠিত হয়। এই সংস্থা ইসলামী ব্যাংকগুলোর স্বার্থ এবং সংশ্লিষ্টতাকে বাংলাদেশ ব্যাংক ও সরকারের অন্যান্য নিয়ন্ত্রণকারী (রেগুলেটরি) সংস্থাগুলোর নিয়মনীতি, বিধিবিধান এবং চাহিদার মধ্যে সমন্বয় সাধন নিশ্চিত করে। ইসলামিক ব্যাংকিং পদ্ধতি নানা দার্শনিক ও ব্যাংকিং কৌশলগত বিবেচনায় বিশ্বব্যাপী এক নতুন আর্থিক ব্যবস্থাপনার ধারণা এবং সেই অভিনব ধারণার প্রাতিষ্ঠানিক ও কাঠামোগত রূপায়ণের একটি অগ্রসরমান, নিত্য-বিবর্তনশীল, বহুমুখী এবং আন্তর্জাতিক আর্থিক কৌশল।

অর্থনীতিবিদরা মনে করেন কল্যাণমুখী, অংশগ্রহণমূলক ও সামাজিক সুবিচার-অভিমুখী ইসলামী শরিয়াহ মোতাবেক পরিচালিত ইসলামিক ব্যাংকিং ধারা আরও নিবিড়ভাবে প্রাসঙ্গিক হয়ে ওঠার সব লক্ষণ স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। এর প্রধান কারণ এবং আনুকূল্যগুলোর মধ্যে রয়েছে ইসলামী ব্যাংক ব্যবস্থার সুদমুক্ত মূলভিত্তি, সততা, নৈতিক মূল্যবোধ, শরিয়াহ অনুশাসন এবং সেগুলো কঠোরভাবে প্রতিপালনের জন্য নিজ নিজ ব্যাংকের শরিয়াহ বোর্ড এবং কেন্দ্রীয় শরিয়াহ অ্যাডভাইজরি বোর্ডের নৈতিক প্রহরা এবং অভিভাবকত্ব। যে জনপ্রিয়তা এবং গণ আস্থা মাত্র চার দশকের মধ্যে একটি অভিনব আর্থিক ব্যবস্থাপনার ধারণাকে প্রাতিষ্ঠানিক ও কাঠামোগত রূপ প্রদানে সমর্থ হয়েছে এবং নবীন ব্যাংকারদের দক্ষতা ও প্রবীণ ব্যাংকারদের অভিজ্ঞতার মিশেলে এই সুদমুক্ত ব্যাংকিং ব্যবস্থাকে এতগুলো বছর অবধি নিয়ে এসেছে, সেই ধারা আর মাত্র একটি দশক চলমান রেখে এর সঙ্গে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সমন্বয় ঘটাতে পারলে ইসলামী ব্যাংকগুলো এবং ইসলামিক ব্যাংকিং গোটা দেশের আর্থিক ব্যবস্থাপনায় আমূল রূপান্তর ঘটাতে পারবে।

ব্যাংকিং বাজারে প্রবল উপস্থিতি, গ্রাহক আস্থার ফলে বিপুল আমানত, বিনিয়োগ, রেমিট্যান্স এবং সব বিধান মেনে চলার মধ্য দিয়ে অর্জিত ‘রেগুলেটর’ বা নিয়ন্ত্রকদের বিশ্বাস এবং আস্থা মাত্র চার দশকের মধ্যে একটি পরীক্ষামূলক ব্যাংকিং ‘টুল’ থেকে আজ ইসলামিক ব্যাংকিংকে একটি পরিপূর্ণ আর্থ-সামাজিক তত্ত্ব, বাস্তব ও নৈতিক ধারণায় উত্তীর্ণ করতে সক্ষম হয়েছে। এ বিষয়ে স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের এমডি মোঃ হাবিবুর রহমান বলেন, বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে ইসলামী ব্যাংকগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। বিশেষ করে কৃষি, শিল্প, তৈরি পোশাক, পরিবহন, আবাসন, চামড়া ও চিংড়ি, শিক্ষা-প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন খাতে ইসলামী ব্যাংকগুলোর ব্যাপক অবদান রয়েছে। একইভাবে ইসলামী ব্যাংকগুলোর সম্মিলিত পরিসম্পদ, ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স প্রবাহ, ক্ষুদ্র ও কৃষি বিনিয়োগ, দারিদ্র্যবিমোচন,  আত্ম-কর্মসংস্থান সৃষ্টি, আর্থিক খাতে স্থিতিশীলতা আনয়ন, ইসলামী মূলধন বাজারের বিকাশ, নৈতিক ব্যাংকিং, বিনিয়োগ বৈচিত্র্য প্রভৃতির নিরিখে ইসলামিক ব্যাংকিংয়ের অবদান বিশেষভাবে মূল্যায়নযোগ্য। আমানত, বিনিয়োগ, আমদানি-রপ্তানি ও রেমিট্যান্স প্রবাহের ক্ষেত্রে ইসলামী ব্যাংকগুলোর ভূমিকা বিস্ময়কর,  যা এ ব্যবস্থার প্রতি মানুষের আস্থার বহিঃপ্রকাশ। এ ছাড়া ইসলামী ক্রেডিট কার্ড, এটিএম, সিআরএম, ইন্টারনেট ব্যাংকিং, এসএমএস ব্যাংকিংসহ ডিজিটাল ব্যাংকিং নানা সেবার মাধ্যমে ইসলামিক ব্যাংকিং বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের সফল অংশীদার।

 

ইসলামিক ব্যাংকিংয়ের উদ্ভব ও বিকাশ

১৯৭৪ সালে জেদ্দায় অনুষ্ঠিত ওআইসির অর্থমন্ত্রীদের সম্মেলনে ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংক (আইডিবি) চার্টার গৃহীত হয়। বাংলাদেশ সরকার ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হিসেবে সেই চার্টারে স্বাক্ষর করে।

ইসলামের সূচনালগ্ন থেকেই ইসলামী অর্থ ব্যবস্থা তথা ইসলামী নীতিমালার ভিত্তিতে ব্যবসা-বাণিজ্য, ক্রয়-বিক্রয় ও লেনদেন পরিচালিত হয়ে আসছে। তবে কোনো খলিফা বা মুসলিম অর্থমন্ত্রী এর প্রচলন করেননি। ত্রয়োদশ শতাব্দী থেকেই ‘ব্যাংক’কে আকর্ষণীয় ও গ্রহণযোগ্য করার জন্য অর্থনীতি বিশেষজ্ঞরা গবেষণা শুরু করেন। তবে তা সমাজে প্রচলিত হতে লেগে যায় ৬০০ বছর! অর্থাৎ ব্যাংকের ‘ইসলামী রূপ’ পাওয়ার ইতিহাস মাত্র ৫০-৬০ বছরের।

প্রথমে অর্থ জমানোর বেশকিছু ‘আধুনিক’ প্রয়োজন, যেমন- হজের টাকা জমানোর মতো প্রয়োজন সামনে রেখে শুরু হয় ‘ইসলামী’ ঘরানার সঞ্চয় পদ্ধতি। ১৯৬২ সালে মালয়েশিয়ায় ‘পিলগ্রিমস সেভিংস করপোরেশন’ হজের জন্য সঞ্চয় গ্রহণের উদ্দেশ্যে সুদমুক্ত আর্থিক প্রতিষ্ঠান চালু করা হয়। তারা মুসলিমদের কিস্তিতে টাকা জমানোর সুযোগ দিত। তবে কোনো ধরনের সুদ দিত না। তৎকালীন স্বাভাবিক ব্যাংকিংয়ে ব্যাংকগুলো ‘আমানত’কারীদের সুদ দিত। সে হিসাবে ‘পিলগ্রিমস সেভিংস করপোরেশন’ আলাদা ছিল না। তবে পরীক্ষামূলকভাবে ইসলামিক ব্যাংকিংয়ের ধারণা বাস্তবায়ন করা হয়েছিল মিসরের ‘মিট ঘামর’ এলাকায় ১৯৬৩ থেকে ১৯৬৭ সালে। যার অনুপ্রেরণা ছিল জার্মান সেভিংস ব্যাংক। তাদের সাফল্য দেখে সে আদলে মিসরের মিট ঘামার এলাকার ব্যাংক প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখেন ড. আহমদ আল নাজ্জার। কিন্তু সেখানকার মানুষ ছিল ধর্মভীরু মুসলিম। তাই তারা টাকা-পয়সা ব্যাংকে জমা রাখত না। এ অবস্থায় ব্যাংক উদ্যোক্তার চ্যালেঞ্জ ছিল- মানুষকে টাকা জমানোর মর্ম বোঝানো ও ইসলামী মূল্যবোধ ধরে রাখা। ওই ব্যাংকটিতে তখন তিন ধরনের অ্যাকাউন্ট খোলা হতো-সেভিংস অ্যাকাউন্ট, ইনভেস্টমেন্ট অ্যাকাউন্ট ও জাকাত অ্যাকাউন্ট।

১. যারা সেভিংস অ্যাকাউন্টে টাকা জমা রাখত, তাদের সুদ বা মুনাফা দেওয়া হতো না, কিন্তু তারা যখন চাইবে তখন টাকা তুলতে পারবে। তাদের ছোট, স্বল্পমেয়াদি সুদবিহীন ঋণ দেওয়া হতো।

২. ইনভেস্টমেন্ট অ্যাকাউন্টে জমাকৃত অর্থ তোলায় ছিল কড়া নিয়ম, চাইলেই টাকা তোলা যেত না। যা শরিয়ার অংশীদারিত্ব ভিত্তিতে বিনিয়োগ করা হতো।

৩. জাকাত অ্যাকাউন্টের অর্থ শরিয়া অনুযায়ী গরিবদের মধ্যে বণ্টন করে দেওয়া হতো।

প্রথম চার বছরে এই ব্যাংক অনেকটা সাফল্য পায়। তারা অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে কাজ করে। প্রথম তিন বছর তারা ৬০ শতাংশ ঋণের আবেদন নাকচ করে। ফলে কোনো দেউলিয়া, ঋণখেলাপি হয়নি। যদিও পরবর্তীকালে ড. আহমদ আল নাজ্জারের ‘মিট ঘামর ব্যাংক’ রাজনৈতিক ও অন্যান্য কারণে বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু তার এ ধারণা দিয়ে যায় ‘ইসলামী মূল্যবোধ’ ধরে রেখে ব্যাংকিং সম্ভব। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল ও বিশ্বব্যাংকের যৌথ কর্মসূচি ‘Sturactural Adjustment Programme’-এর আওতায় মুসলিম দেশগুলোর সরকার ইসলামী ব্যাংকিং ব্যবস্থাকে অনুমোদন দেওয়া শুরু করে। এক্ষেত্রে প্রধান ভূমিকা পালন করেছিলেন শামি’য়াল দারভিশ, আব্বাস মীরাখান ও মহসীন খান, যারা আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল ও বিশ্বব্যাংকের কর্মকর্তা ছিলেন। সৌদি আরবের জেদ্দায় ১৯৭৩ সালে প্রথম ইসলামী অর্থসংস্থা গড়ে তোলার বিষয়ে আলোচনা হয়। ১৯৭৪ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাসনামলে পাকিস্তানে বাংলাদেশ ওআইসির সদস্যপদ লাভ করে।  ১৯৭৫ সালে সৌদি আরবে যাত্রা করে ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংক (আইডিবি)। তাদের হাত ধরে ইসলামী ব্যাংক  দ্রুত বিস্তার লাভ করে। পরবর্তীকালে কুয়েত, ইরান, আম্মান, জর্ডান, সেনেগাল, বাহরাইন, পাকিস্তান, সুইজারল্যান্ড ও বাংলাদেশে ইসলামিক ব্যাংকিং শুরু হয়।

 

ব্যাংকিংয়ের ইতিহাস

বিনিময় প্রথার অবসানের মাধ্যমে প্রাচীনকাল থেকে পৃথিবীতে ব্যাংকিং ব্যবস্থার যাত্রা। তখন ব্যাংকিং বলতে মূলত অর্থ (কয়েন ও স্বর্ণ) জমা রাখা ও ঋণ আদান-প্রদানকে বোঝানো হতো। আর এই ব্যবস্থার প্রথম প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেয় রোমান সাম্রাজ্য। একইভাবে বিশ্বে ব্যাংকিংয়ের বিস্তারে ভূমিকা রাখে ইউরোপের ধনী সম্প্রদায়।

ব্যাংক ব্যবস্থার প্রচলন হয়েছিল মুদ্রাব্যবস্থার সঙ্গেই। মুদ্রাব্যবস্থার আগে প্রাচীন মানুষ নিজেদের মাঝে বিনিময় প্রথার মাধ্যমে লেনদেন করত। তবে বিনিময় প্রথায় নানা অসংগতি ও অসুবিধার কারণে মুদ্রাব্যবস্থার প্রচলন ঘটে। আর তৎকালীন ধনীরা বুঝতে পারেন, নিজেদের বিপুল পরিমাণ অর্থসম্পদ গচ্ছিত রাখার জন্য একটি নিরাপদ স্থান প্রয়োজন। এ ছাড়াও বিভিন্ন রাজ্যের প্রধানরা নিজেদের রাজ্যে সুষ্ঠুভাবে বাণিজ্য পরিচালনা, সম্পদ ব্যবস্থাপনা ও ট্যাক্স কালেকশনের জন্য একটি কেন্দ্রীয় ব্যবস্থার প্রয়োজনবোধ করে। ফলস্বরূপ, আবিষ্কার হয় ব্যাংকিং পদ্ধতি। সংক্ষেপে রইল ব্যাংকিং ব্যবস্থার ইতিহাস।

► প্রায় ৮০০ থেকে ৬০০ খ্রিস্টপূর্বে কয়েন ব্যবস্থা পৃথিবীর বেশির ভাগ অঞ্চলে প্রচলিত হয়ে ওঠায় বিনিময় প্রথার সমাপ্তি ঘটে।

► রোমানদের ব্যাংকিং সিস্টেম থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে ইউরোপের রাজারা নিজেদের সাম্রাজ্যে এই ব্যবস্থার প্রচলন করেন।

► খ্রিস্টপূর্ব ৩২১ থেকে ১৮৫ সালে ভারতে মৌর্য্য সাম্রাজ্যের শাসনামলে ‘আদেশা’ নামক একটি ব্যাংকিং দলিলের সন্ধান পাওয়া যায়।

► ১৯৬০-র দশকে অটোমেটেড টেলার মেশিন বা এটিএম প্রযুক্তি আবিষ্কৃত হয় এবং দশকের শেষের দিকে অনেক ব্যাংক নিজের এটিএম স্থাপন করে।

এই বিভাগের আরও খবর
দেশের অবকাঠামো উন্নয়নের অংশীদার শরিয়াহ ব্যাংক
দেশের অবকাঠামো উন্নয়নের অংশীদার শরিয়াহ ব্যাংক
অর্থনৈতিক-সামাজিক ও নৈতিক উন্নয়নের সমন্বয় করে
অর্থনৈতিক-সামাজিক ও নৈতিক উন্নয়নের সমন্বয় করে
আমানত-বিনিয়োগ এবং মুনাফায় ইসলামিক ব্যাংকিং সুপরিচিত নাম
আমানত-বিনিয়োগ এবং মুনাফায় ইসলামিক ব্যাংকিং সুপরিচিত নাম
সাইবার সিকিউরিটি টিপস
সাইবার সিকিউরিটি টিপস
ঋণখেলাপি ঠেকাবে ইসলামিক ব্যাংকিং
ঋণখেলাপি ঠেকাবে ইসলামিক ব্যাংকিং
ব্যাংক খাতে ইতিবাচক ভাবমূর্তি গড়ে উঠেছে
ব্যাংক খাতে ইতিবাচক ভাবমূর্তি গড়ে উঠেছে
ইসলামিক ব্যাংকিংয়ের প্রতি সব মানুষের অকুণ্ঠ সমর্থন রয়েছে
ইসলামিক ব্যাংকিংয়ের প্রতি সব মানুষের অকুণ্ঠ সমর্থন রয়েছে
আধুনিক শিক্ষা ও গবেষণায় এগিয়ে
আধুনিক শিক্ষা ও গবেষণায় এগিয়ে
দক্ষ গ্র্যাজুয়েট গড়ার লক্ষ্য
দক্ষ গ্র্যাজুয়েট গড়ার লক্ষ্য
মানসম্মত শিক্ষায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়
মানসম্মত শিক্ষায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়
লক্ষ্য দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে শীর্ষস্থান
লক্ষ্য দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে শীর্ষস্থান
স্মার্ট গ্র্যাজুয়েট তৈরিতে অনন্য অবদান রাখছে গ্রিন ইউনিভার্সিটি
স্মার্ট গ্র্যাজুয়েট তৈরিতে অনন্য অবদান রাখছে গ্রিন ইউনিভার্সিটি
সর্বশেষ খবর
ফরিদপুরে এনজিও ফাউন্ডেশন দিবস পালন
ফরিদপুরে এনজিও ফাউন্ডেশন দিবস পালন

এই মাত্র | দেশগ্রাম

গুমের অভিযোগে ট্রাইব্যুনালে হাজির র‍্যাবের সাবেক দুই কর্মকর্তা
গুমের অভিযোগে ট্রাইব্যুনালে হাজির র‍্যাবের সাবেক দুই কর্মকর্তা

২ মিনিট আগে | জাতীয়

পার্বত্য অঞ্চলকে পাশ কাটিয়ে উন্নয়ন সম্ভব নয় : প্রধান উপদেষ্টা
পার্বত্য অঞ্চলকে পাশ কাটিয়ে উন্নয়ন সম্ভব নয় : প্রধান উপদেষ্টা

৪ মিনিট আগে | জাতীয়

শ্বেতপত্র: রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর পাচারের টাকায় করা যেত ৪ মেট্রোরেল
শ্বেতপত্র: রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর পাচারের টাকায় করা যেত ৪ মেট্রোরেল

৬ মিনিট আগে | বাণিজ্য

রাজধানীর সবুজবাগে যুবককে হত্যা করে অটোরিকশা ছিনতাই
রাজধানীর সবুজবাগে যুবককে হত্যা করে অটোরিকশা ছিনতাই

৭ মিনিট আগে | নগর জীবন

শিবগঞ্জে সুপার শপে অগ্নিকাণ্ড, ৭ লাখ টাকার ক্ষতি
শিবগঞ্জে সুপার শপে অগ্নিকাণ্ড, ৭ লাখ টাকার ক্ষতি

৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

নতুন মামলায় গ্রেফতার ইনু-মেনন-দীপু মনি-পলক
নতুন মামলায় গ্রেফতার ইনু-মেনন-দীপু মনি-পলক

১৬ মিনিট আগে | জাতীয়

লিভারপুলের কাছে হার, ‘রিসেট’ বাটনে চাপ দেওয়ার ঘোষণা গার্দিওলার
লিভারপুলের কাছে হার, ‘রিসেট’ বাটনে চাপ দেওয়ার ঘোষণা গার্দিওলার

১৭ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

মানবপাচার: ইতালিতে আটকে গেল ৩ হাজারের বেশি আবেদন
মানবপাচার: ইতালিতে আটকে গেল ৩ হাজারের বেশি আবেদন

১৮ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কক্সবাজারে তিন মাদক কারবারির সম্পদ জব্দ করল দুদক
কক্সবাজারে তিন মাদক কারবারির সম্পদ জব্দ করল দুদক

১৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

গুরুত্ব না দেওয়ায় ডেঙ্গুতে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে : স্বাস্থ্যের ডিজি
গুরুত্ব না দেওয়ায় ডেঙ্গুতে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে : স্বাস্থ্যের ডিজি

২৩ মিনিট আগে | নগর জীবন

ইয়েমেন থেকে মার্কিন ডেস্ট্রয়ার ও সরবরাহ জাহাজে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
ইয়েমেন থেকে মার্কিন ডেস্ট্রয়ার ও সরবরাহ জাহাজে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

২৩ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘যুদ্ধের ময়দান ছেড়ে পালানো ইউক্রেনীয় সেনাদের সংখ্যা বাড়ছে’
‘যুদ্ধের ময়দান ছেড়ে পালানো ইউক্রেনীয় সেনাদের সংখ্যা বাড়ছে’

৩০ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিপিএলের কারণে বিগ ব্যাশে খেলা হচ্ছে না রিশাদের
বিপিএলের কারণে বিগ ব্যাশে খেলা হচ্ছে না রিশাদের

৩২ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

পুঁইশাকের ফল চাষে সাড়া ফেললেন ঝিনাইদহের কৃষকরা
পুঁইশাকের ফল চাষে সাড়া ফেললেন ঝিনাইদহের কৃষকরা

৩৪ মিনিট আগে | প্রকৃতি ও পরিবেশ

ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কে নারীর গুলিবিদ্ধ মরদেহ: অস্ত্রসহ প্রেমিক গ্রেফতার
ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কে নারীর গুলিবিদ্ধ মরদেহ: অস্ত্রসহ প্রেমিক গ্রেফতার

৩৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

এমবাপ্পে-বেলিংহামের নৈপুণ্যে জয়ে ফিরল রিয়াল
এমবাপ্পে-বেলিংহামের নৈপুণ্যে জয়ে ফিরল রিয়াল

৩৯ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

রেফারির বিতর্কিত সিদ্ধান্তে ফুটবল ম্যাচে সংঘর্ষ, নিহত প্রায় ১০০
রেফারির বিতর্কিত সিদ্ধান্তে ফুটবল ম্যাচে সংঘর্ষ, নিহত প্রায় ১০০

৪৩ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

আওয়ামী লীগ আমলের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে শ্বেতপত্র প্রকাশ
আওয়ামী লীগ আমলের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে শ্বেতপত্র প্রকাশ

৪৪ মিনিট আগে | জাতীয়

ছাত্র আন্দোলনে সক্রিয়তার জেরে বহিষ্কার ৮ শিক্ষক, শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
ছাত্র আন্দোলনে সক্রিয়তার জেরে বহিষ্কার ৮ শিক্ষক, শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

৫২ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

মা অসুস্থ-বাবা কারাগারে, সেই দুঃসময়ের স্মৃতিচারণ করলেন মির্জা ফখরুলের মেয়ে
মা অসুস্থ-বাবা কারাগারে, সেই দুঃসময়ের স্মৃতিচারণ করলেন মির্জা ফখরুলের মেয়ে

৫৯ মিনিট আগে | ফেসবুক কর্নার

শৈলকুপায় মোটরসাইকেলের ধাক্কায় কৃষক নিহত
শৈলকুপায় মোটরসাইকেলের ধাক্কায় কৃষক নিহত

১ ঘন্টা আগে | দেশগ্রাম

নওগাঁর রাণীনগরে ট্রেনে কাটা পড়ে বাবা-মেয়ের মৃত্যু
নওগাঁর রাণীনগরে ট্রেনে কাটা পড়ে বাবা-মেয়ের মৃত্যু

১ ঘন্টা আগে | দেশগ্রাম

হাসিনার পতনের পর দলে দলে সংখ্যালঘু ভারতে পালানোর তথ্য সঠিক নয়: দ্য হিন্দু
হাসিনার পতনের পর দলে দলে সংখ্যালঘু ভারতে পালানোর তথ্য সঠিক নয়: দ্য হিন্দু

১ ঘন্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাজধানীতে মাদকবিরোধী পুলিশি অভিযানে গ্রেফতার ২২
রাজধানীতে মাদকবিরোধী পুলিশি অভিযানে গ্রেফতার ২২

১ ঘন্টা আগে | নগর জীবন

৪৭তম বিসিএসে আবেদন ফি কমানোর প্রস্তাব জনপ্রশাসনে পাঠিয়েছে পিএসসি
৪৭তম বিসিএসে আবেদন ফি কমানোর প্রস্তাব জনপ্রশাসনে পাঠিয়েছে পিএসসি

১ ঘন্টা আগে | জাতীয়

‘জয় বাংলা’ জাতীয় স্লোগান : রায় স্থগিত চেয়ে আবেদন রাষ্ট্রপক্ষের
‘জয় বাংলা’ জাতীয় স্লোগান : রায় স্থগিত চেয়ে আবেদন রাষ্ট্রপক্ষের

১ ঘন্টা আগে | জাতীয়

পুলিশে বড় রদবদল, একযোগে ৪১ কর্মকর্তার বদলি
পুলিশে বড় রদবদল, একযোগে ৪১ কর্মকর্তার বদলি

১ ঘন্টা আগে | নগর জীবন

এমন বাংলাদেশ চাই যেখানে কেউ লাঞ্ছিত হবে না : ডা. শফিকুর রহমান
এমন বাংলাদেশ চাই যেখানে কেউ লাঞ্ছিত হবে না : ডা. শফিকুর রহমান

১ ঘন্টা আগে | জাতীয়

নাইজেরিয়ায় ২০০ যাত্রী নিয়ে নৌকাডুবি, নিহত ৫৪
নাইজেরিয়ায় ২০০ যাত্রী নিয়ে নৌকাডুবি, নিহত ৫৪

১ ঘন্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সর্বাধিক পঠিত
আদালত আমাদের ন্যায় বিচার দিয়েছেন : বাবরের স্ত্রী
আদালত আমাদের ন্যায় বিচার দিয়েছেন : বাবরের স্ত্রী

২৩ ঘন্টা আগে | জাতীয়

গোপালগঞ্জে পতাকা মিছিল ও শোভাযাত্রা
গোপালগঞ্জে পতাকা মিছিল ও শোভাযাত্রা

২২ ঘন্টা আগে | দেশগ্রাম

ইসরায়েলে ‘হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র’ হামলা করেছে
ইসরায়েলে ‘হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র’ হামলা করেছে

১৩ ঘন্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পরকীয়ার জেরে স্বামীকে খুন, আদালতে দাঁড়িয়ে মাকে ধরিয়ে দিল ৬ বছরের সন্তান!
পরকীয়ার জেরে স্বামীকে খুন, আদালতে দাঁড়িয়ে মাকে ধরিয়ে দিল ৬ বছরের সন্তান!

৪ ঘন্টা আগে | পাঁচফোড়ন

দুটি অঙ্গের গুনাহে বেশি মানুষ জাহান্নামি হবে
দুটি অঙ্গের গুনাহে বেশি মানুষ জাহান্নামি হবে

৯ ঘন্টা আগে | ইসলামী জীবন

সুপ্রিম কোর্টের সব বিচারপতিকে নিয়ে বিশেষ সভা ডেকেছেন প্রধান বিচারপতি
সুপ্রিম কোর্টের সব বিচারপতিকে নিয়ে বিশেষ সভা ডেকেছেন প্রধান বিচারপতি

১৮ ঘন্টা আগে | জাতীয়

বাংলাদেশিদের জন্য ভিসা আবেদনের সুবিধা বাড়িয়েছে মেক্সিকো
বাংলাদেশিদের জন্য ভিসা আবেদনের সুবিধা বাড়িয়েছে মেক্সিকো

১৭ ঘন্টা আগে | জাতীয়

এবার ত্রিপুরার হাসপাতালে বাংলাদেশিদের চিকিৎসা বন্ধের ঘোষণা
এবার ত্রিপুরার হাসপাতালে বাংলাদেশিদের চিকিৎসা বন্ধের ঘোষণা

২১ ঘন্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

'২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায় দেখে, নির্দেশনা নিয়ে আপিলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত'
'২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায় দেখে, নির্দেশনা নিয়ে আপিলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত'

২১ ঘন্টা আগে | জাতীয়

‘ভারত থেকে ছেড়ে আসা যাত্রীবাহী বাসটি হামলা নয়, দুর্ঘটনার শিকার’
‘ভারত থেকে ছেড়ে আসা যাত্রীবাহী বাসটি হামলা নয়, দুর্ঘটনার শিকার’

১৯ ঘন্টা আগে | দেশগ্রাম

‌‘ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া আমাদের দায়িত্ব’
‌‘ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া আমাদের দায়িত্ব’

১৯ ঘন্টা আগে | জাতীয়

বিচ্ছেদের জল্পনার মাঝেই নতুন অধ্যায় শুরু করছেন ঐশ্বরিয়া
বিচ্ছেদের জল্পনার মাঝেই নতুন অধ্যায় শুরু করছেন ঐশ্বরিয়া

৪ ঘন্টা আগে | শোবিজ

পোষা কুকুরের জন্য নিজের বিয়ে ভাঙলেন তরুণী!
পোষা কুকুরের জন্য নিজের বিয়ে ভাঙলেন তরুণী!

৩ ঘন্টা আগে | পাঁচফোড়ন

যৌনকর্মীদের মাতৃত্বকালীন ছুটি ও পেনশন দেওয়ার আইন করল বেলজিয়াম
যৌনকর্মীদের মাতৃত্বকালীন ছুটি ও পেনশন দেওয়ার আইন করল বেলজিয়াম

২০ ঘন্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলে লাউড স্পিকারে আজান দেয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা
ইসরায়েলে লাউড স্পিকারে আজান দেয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা

৪ ঘন্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ব্যাংক খাতে সৃষ্ট মন্দ ঋণ দিয়ে করা যেত ২৪টি পদ্মা সেতু
ব্যাংক খাতে সৃষ্ট মন্দ ঋণ দিয়ে করা যেত ২৪টি পদ্মা সেতু

৪ ঘন্টা আগে | জাতীয়

চিন্ময় দাসের জামিন শুনানি মঙ্গলবার
চিন্ময় দাসের জামিন শুনানি মঙ্গলবার

২৩ ঘন্টা আগে | জাতীয়

রুশ বন্দিশিবিরে যৌন নির্যাতনের শিকার পুরুষরা
রুশ বন্দিশিবিরে যৌন নির্যাতনের শিকার পুরুষরা

২১ ঘন্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দেশ থেকে বছরে ১৬ বিলিয়ন ডলার পাচারের তথ্য এসেছে শ্বেতপত্রে
দেশ থেকে বছরে ১৬ বিলিয়ন ডলার পাচারের তথ্য এসেছে শ্বেতপত্রে

২১ ঘন্টা আগে | জাতীয়

জাতি-গঠন প্রক্রিয়ায় যোগ্য তরুণদের খুঁজছেন উপদেষ্টা মাহফুজ
জাতি-গঠন প্রক্রিয়ায় যোগ্য তরুণদের খুঁজছেন উপদেষ্টা মাহফুজ

১৫ ঘন্টা আগে | জাতীয়

প্রেমিককে জীবনসঙ্গী হিসেবে পেতে পাগলা মসজিদের দানবাক্সে চিঠি
প্রেমিককে জীবনসঙ্গী হিসেবে পেতে পাগলা মসজিদের দানবাক্সে চিঠি

২৩ ঘন্টা আগে | দেশগ্রাম

বিচারিক আদালতে আইনের ভিত্তিতে বিচারটা হয়নি : আইনজীবী শিশির মনির
বিচারিক আদালতে আইনের ভিত্তিতে বিচারটা হয়নি : আইনজীবী শিশির মনির

২২ ঘন্টা আগে | জাতীয়

ঢাকার রাস্তায় নামাজ পড়লেন আতিফ আসলাম
ঢাকার রাস্তায় নামাজ পড়লেন আতিফ আসলাম

১৭ ঘন্টা আগে | শোবিজ

সচিবালয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মহাসমাবেশ স্থগিত
সচিবালয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মহাসমাবেশ স্থগিত

২২ ঘন্টা আগে | জাতীয়

মগবাজার লেভেল ক্রসিংয়ে ট্রেনের ধাক্কায় ভেঙে চুরমার কয়েকটি গাড়ি
মগবাজার লেভেল ক্রসিংয়ে ট্রেনের ধাক্কায় ভেঙে চুরমার কয়েকটি গাড়ি

১৭ ঘন্টা আগে | নগর জীবন

এনআইডি সংশোধন: আবেদন নিষ্পত্তিতে নির্বাচন কমিশনের ১৪ দিনের আল্টিমেটাম
এনআইডি সংশোধন: আবেদন নিষ্পত্তিতে নির্বাচন কমিশনের ১৪ দিনের আল্টিমেটাম

২০ ঘন্টা আগে | জাতীয়

সিভিল সার্ভিসে ‍‘ক্যাডার’ শব্দ বাদ দেওয়ার সুপারিশ করবে কমিশন
সিভিল সার্ভিসে ‍‘ক্যাডার’ শব্দ বাদ দেওয়ার সুপারিশ করবে কমিশন

২১ ঘন্টা আগে | জাতীয়

সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে সেনাবাহিনী প্রধান কর্তৃক সংবর্ধনা ও পদক প্রদান
সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে সেনাবাহিনী প্রধান কর্তৃক সংবর্ধনা ও পদক প্রদান

১৯ ঘন্টা আগে | জাতীয়

২০২৪ সালে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিয়েছে যেসব দেশ
২০২৪ সালে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিয়েছে যেসব দেশ

২৩ ঘন্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হাসিনার পতনের পর দলে দলে সংখ্যালঘু ভারতে পালানোর তথ্য সঠিক নয়: দ্য হিন্দু
হাসিনার পতনের পর দলে দলে সংখ্যালঘু ভারতে পালানোর তথ্য সঠিক নয়: দ্য হিন্দু

১ ঘন্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
শতাব্দীর জটিল রাজনীতির কবলে দেশ!
শতাব্দীর জটিল রাজনীতির কবলে দেশ!

সম্পাদকীয়

শ্বেতপত্রে হাসিনার কালো অধ্যায়
শ্বেতপত্রে হাসিনার কালো অধ্যায়

প্রথম পৃষ্ঠা

জানুয়ারিতে ফিরছেন তারেক
জানুয়ারিতে ফিরছেন তারেক

প্রথম পৃষ্ঠা

তিন এজেন্ডা নিয়ে আজ প্রথম বৈঠকে ইসি
তিন এজেন্ডা নিয়ে আজ প্রথম বৈঠকে ইসি

পেছনের পৃষ্ঠা

তারেক রহমানসহ সবাই খালাস
তারেক রহমানসহ সবাই খালাস

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

রাজধানীতে ট্রেনের ধাক্কায় দুমড়েমুচড়ে গেল গাড়ি
রাজধানীতে ট্রেনের ধাক্কায় দুমড়েমুচড়ে গেল গাড়ি

পেছনের পৃষ্ঠা

এভারেস্ট চূড়ায় সাইকেলে বাংলাদেশির বিশ্ব রেকর্ড
এভারেস্ট চূড়ায় সাইকেলে বাংলাদেশির বিশ্ব রেকর্ড

পেছনের পৃষ্ঠা

৬৩ জনকে ভারত ভ্রমণের অনুমতি দেয়নি ইমিগ্রেশন
৬৩ জনকে ভারত ভ্রমণের অনুমতি দেয়নি ইমিগ্রেশন

প্রথম পৃষ্ঠা

বিদেশে কম যাচ্ছেন নারী শ্রমিক
বিদেশে কম যাচ্ছেন নারী শ্রমিক

পেছনের পৃষ্ঠা

উত্তপ্ত পশ্চিমবঙ্গ
উত্তপ্ত পশ্চিমবঙ্গ

প্রথম পৃষ্ঠা

হকির বিশ্বকাপে এক পা বাংলাদেশের
হকির বিশ্বকাপে এক পা বাংলাদেশের

মাঠে ময়দানে

বিশেষ সভা ডেকেছেন প্রধান বিচারপতি
বিশেষ সভা ডেকেছেন প্রধান বিচারপতি

প্রথম পৃষ্ঠা

আগে রাষ্ট্র সংস্কার পরে নির্বাচন
আগে রাষ্ট্র সংস্কার পরে নির্বাচন

প্রথম পৃষ্ঠা

এস আলমের সব শেয়ার ক্রোকের আদেশ
এস আলমের সব শেয়ার ক্রোকের আদেশ

পেছনের পৃষ্ঠা

রাতেই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে  মুন্নী সাহাকে
রাতেই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে মুন্নী সাহাকে

পেছনের পৃষ্ঠা

দেশের ক্রান্তিকালে দিনরাত পরিশ্রম করছে সেনাবাহিনী
দেশের ক্রান্তিকালে দিনরাত পরিশ্রম করছে সেনাবাহিনী

প্রথম পৃষ্ঠা

রাজশাহীতে আলুর চাষাবাদ ব্যাহত হওয়ার শঙ্কা
রাজশাহীতে আলুর চাষাবাদ ব্যাহত হওয়ার শঙ্কা

নগর জীবন

চালক ছাড়াই চলবে শাবিপ্রবির অটোমামা
চালক ছাড়াই চলবে শাবিপ্রবির অটোমামা

পেছনের পৃষ্ঠা

রায় দেখে আপিলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত : অ্যাটর্নি জেনারেল
রায় দেখে আপিলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত : অ্যাটর্নি জেনারেল

প্রথম পৃষ্ঠা

রাজনৈতিক সংকট সংলাপে সমাধান হওয়া উচিত
রাজনৈতিক সংকট সংলাপে সমাধান হওয়া উচিত

প্রথম পৃষ্ঠা

উপদেষ্টাদের সম্পদবিবরণী প্রকাশের দাবি
উপদেষ্টাদের সম্পদবিবরণী প্রকাশের দাবি

পেছনের পৃষ্ঠা

শেয়ারবাজারে লেনদেন ফের ৪০০ কোটির নিচে
শেয়ারবাজারে লেনদেন ফের ৪০০ কোটির নিচে

পেছনের পৃষ্ঠা

ভারতীয় আগ্রাসন আশ্রয়-প্রশ্রয়ের  সুযোগ নেই
ভারতীয় আগ্রাসন আশ্রয়-প্রশ্রয়ের সুযোগ নেই

পেছনের পৃষ্ঠা

বিলুপ্ত প্রায় লাউডগা সাপ উদ্ধার
বিলুপ্ত প্রায় লাউডগা সাপ উদ্ধার

নগর জীবন

২০২৫ থেকে ক্রেডিট কার্ডের সুদ সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ
২০২৫ থেকে ক্রেডিট কার্ডের সুদ সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ

পেছনের পৃষ্ঠা

পাচার অর্থ ফেরত সরকারের অন্যতম অঙ্গীকার
পাচার অর্থ ফেরত সরকারের অন্যতম অঙ্গীকার

প্রথম পৃষ্ঠা

এইডস উদ্বেগজনক কক্সবাজারে
এইডস উদ্বেগজনক কক্সবাজারে

পেছনের পৃষ্ঠা

সব মামলাই ছিল ষড়যন্ত্রমূলক
সব মামলাই ছিল ষড়যন্ত্রমূলক

প্রথম পৃষ্ঠা

সেন্টমার্টিন পৌঁছেছে মৌসুমের প্রথম জাহাজ
সেন্টমার্টিন পৌঁছেছে মৌসুমের প্রথম জাহাজ

খবর