শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

ইসলামিক ব্যাংকিংয়ে আস্থা বাড়ছে

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট ভার্সন
ইসলামিক ব্যাংকিংয়ে আস্থা বাড়ছে

দেশে ইসলামিক ব্যাংকিং কার্যক্রম শুরু হয়েছে ১৯৮০-র দশকের গোড়ার দিকে। ধর্মীয় দৃষ্টিভঙ্গির কারণে এ ব্যবস্থা গুরুত্বপূর্ণ খাত হিসেবে বিকশিত হয়েছে। প্রচলিত ব্যাংকগুলোর তুলনায় বেশি লাভজনক করেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুকূল নীতিগত সহায়তা। এসব প্রতিষ্ঠান জনগণকে আর্থিক ব্যবস্থার মধ্যে আনার পাশাপাশি দারিদ্র্যবিমোচনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। ব্যাংকিং সেবার বাইরে থাকা জনগোষ্ঠীকে আর্থিক সেবা দিতে অবদান রাখছে। ফলে বাংলাদেশের অর্থনীতি ও জনজীবনে শরিয়াহভিত্তিক ইসলামিক ব্যাংকিং ব্যবস্থা এক বিশাল প্রাতিষ্ঠানিক মর্যাদা পেয়েছে। ইসলামিক ব্যাংকিং আজ এ দেশের আর্থসামাজিক জীবনের এক অনিবার্য বাস্তবতা। দেশের আর্থিক খাতে ও দৈনন্দিন জীবনে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য মতে, ১০টি পরিপূর্ণ শরিয়াহভিত্তিক ইসলামী ব্যাংক, ২৭টি প্রচলিত ব্যাংকের ৩০টি ইসলামিক ব্যাংকিং শাখা ও ৬১৫টি ইসলামিক ব্যাংকিং ‘উইন্ডো’ সমন্বয়ে পরিচালিত হচ্ছে ইসলামিক ব্যাংকিং কার্যক্রম। দেশের ১২ কোটি গ্রাহকের আর্থিক অংশীদার হিসেবে শরিয়াহভিত্তিক আর্থিক লেনদেন ও কল্যাণের প্রাতিষ্ঠানিক সত্তা নিয়ে সারা দেশে কাজ করছে। পূর্ণাঙ্গ ইসলামী ব্যাংকের ১৬৭২টি শাখা, ১৫টি প্রচলিত ব্যাংকের ৩১টি শাখা এবং ১৬টি প্রচলিত ব্যাংকের ৬৪৬টি উইন্ডো দেশে ইসলামিক ব্যাংকিং সেবা প্রদান করছে। মাত্র চার দশকে ইসলামিক ব্যাংকিং বিভিন্ন খাতে, বিভিন্ন সূচকে এবং মূলধন শেয়ার বৃদ্ধি করতে সক্ষম হয়েছে। দেশের ব্যাংক খাতের মোট আমানতের ২৬ শতাংশ, মোট আমদানি বাণিজ্যের ২৬ শতাংশ, রপ্তানি বাণিজ্যের ২৪ শতাংশ, রেমিট্যান্সের ৩৯ শতাংশ, শিল্প-বিনিয়োগের ২৭ শতাংশ, কৃষি বিনিয়োগের ১৭ শতাংশ এবং ক্ষুদ্র, কুটির ও মাঝারি শিল্পের ৩৮ শতাংশ পরিচালিত হচ্ছে দেশের ইসলামী ব্যাংকগুলোতে। এ অর্জন শুধু সূচকের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়; রীতিমতো বিস্ময়করও। জনসাধারণের ইসলামিক ব্যাংকিং ব্যবস্থার প্রতি গভীর অঙ্গীকার ও অগ্রাধিকারেরই পরিচয় বহন করে। সেই অর্থে ইসলামী ব্যাংকগুলোর সম্মিলিত পরিসম্পদ, বৈধপথে রেমিট্যান্স আনা, দারিদ্র্যবিমোচন ও আত্ম-কর্মসংস্থান, পল্লী ও কৃষি বিনিয়োগ, ইসলামী মূলধন বাজার, ইসলামী বিমা বা ‘তাকাফুল’, নিরাপত্তা সঞ্চয়, ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বিকাশ, নৈতিক ব্যাংকিং, বিনিয়োগ বৈচিত্র্য- প্রভৃতির নিরিখেও বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।

জনগণের ব্যাপক আগ্রহ থাকায় অভূতপূর্ব প্রবৃদ্ধি হয়েছে ইসলামিক ব্যাংকিংয়ের। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর শেষে এ খাতে মোট আমানত ৪ লাখ ২১ হাজার ৩৭৫ কোটি টাকায় পৌঁছায়। বিনিয়োগ দাঁড়ায় ৩ লাখ ৮৬ হাজার ২২১ কোটি টাকা। এ ছাড়া, আইডিআর দাঁড়িয়েছে শূন্য দশমিক ৯২ ও অতিরিক্ত তারল্য দাঁড়িয়েছে ১৭ হাজার ৫২৫ কোটি টাকা।

তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য বলছে, গত মার্চ পর্যন্ত ইসলামিক ব্যাংকিং খাতে মোট আমানত বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৪০ হাজার ৪২৭ কোটি টাকা। প্রচলিত ব্যাংকগুলোর ইসলামিক ব্যাংকিং শাখা ও উইন্ডোগুলোর আমানতের পরিমাণ ৪২,৩৫৩ কোটি টাকা, যা মোট ইসলামী ব্যাংকগুলোর আমানতের ৯.৬%। ২০২৩ সালের হিসাবে, দেশের মোট ব্যাংকিং খাতের সম্পদের ২৫ শতাংশেরও বেশি ইসলামিক ব্যাংকিং ব্যবস্থার অধীনে। মোট বিনিয়োগের পরিমাণ ৫ লাখ ১৩ হাজার ৭৩৪ কোটি টাকা।

বাংলাদেশের ইসলামী ব্যাংক ব্যবস্থার কল্যাণকর বৈশিষ্ট্যের অন্যতম প্রধান ক্ষেত্র হলো সামাজিক দায়বদ্ধতার উদারনৈতিক বহিঃপ্রকাশ। ইসলামিক ব্যাংকিং পণ্যগুলো সাধারণ মানুষের আর্থসামাজিক মঙ্গলের নেপথ্যে নিত্যক্রিয়াশীল। এর কল্যাণকর সেবাকার্যক্রমও তেমনি সামাজিক দায় পালনের এক বড় ধরনের দৃষ্টান্ত। শিক্ষার বিকাশ, প্রযুক্তি শিক্ষার ব্যাপকতা এবং আত্ম-কর্মসংস্থানমুখী দক্ষতা অর্জনে ইসলামী ব্যাংকগুলোর ভূমিকা ও অবদান অবিস্মরণীয়।

বিশেষজ্ঞদের মতে, সংকট মোকাবিলা ও টেকসই প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করতে সুশাসন ও জবাবদিহিতা মূল চাবিকাঠি। এর জন্য অভ্যন্তরীণ নিয়ন্ত্রণ, স্বাধীন নিরীক্ষা ও স্বচ্ছ রিপোর্টিং পদ্ধতি বাস্তবায়নের পাশাপাশি ইসলামী নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যতা দেখতে শরিয়াহ বোর্ডের ভূমিকা ও স্বাধীনতা বাড়ানো প্রয়োজন। সুশাসন বাড়াতে, ঝুঁকি আরও ভালোভাবে পরিচালনা করতে ও জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনতে নিয়ন্ত্রক, ব্যাংক ও অংশীদারদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা প্রয়োজন। কমপ্লায়েন্স নিশ্চিত করতে ইসলামিক ব্যাংকিং আইন প্রয়োজন। বর্তমান সংকট কাটিয়ে উঠে এ খাত অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও আর্থিক অন্তর্ভুক্তিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

২০০২ সালে ইসলামিক ব্যাংকিং পরিচালনা ও সমন্বয়ে এই শীর্ষ এবং জাতীয় পর্যায়ে কেন্দ্রীয় শরিয়াহ বোর্ড গড়ে তোলা হয়েছে। ইসলামী ব্যাংকগুলোর শরিয়াহ ‘কমপ্লায়েন্স’ সুষমভাবে এবং যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে পরিচালিত হচ্ছে কি না, তা পর্যবেক্ষণ এবং নিশ্চিত করাই শরিয়াহ বোর্ডের প্রধান কাজ। এর আগে ১৯৯৫ সালে ‘ইসলামী ব্যাংকস কনসালটেটিভ ফোরাম’ গঠিত হয়। এই সংস্থা ইসলামী ব্যাংকগুলোর স্বার্থ এবং সংশ্লিষ্টতাকে বাংলাদেশ ব্যাংক ও সরকারের অন্যান্য নিয়ন্ত্রণকারী (রেগুলেটরি) সংস্থাগুলোর নিয়মনীতি, বিধিবিধান এবং চাহিদার মধ্যে সমন্বয় সাধন নিশ্চিত করে। ইসলামিক ব্যাংকিং পদ্ধতি নানা দার্শনিক ও ব্যাংকিং কৌশলগত বিবেচনায় বিশ্বব্যাপী এক নতুন আর্থিক ব্যবস্থাপনার ধারণা এবং সেই অভিনব ধারণার প্রাতিষ্ঠানিক ও কাঠামোগত রূপায়ণের একটি অগ্রসরমান, নিত্য-বিবর্তনশীল, বহুমুখী এবং আন্তর্জাতিক আর্থিক কৌশল।

অর্থনীতিবিদরা মনে করেন কল্যাণমুখী, অংশগ্রহণমূলক ও সামাজিক সুবিচার-অভিমুখী ইসলামী শরিয়াহ মোতাবেক পরিচালিত ইসলামিক ব্যাংকিং ধারা আরও নিবিড়ভাবে প্রাসঙ্গিক হয়ে ওঠার সব লক্ষণ স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। এর প্রধান কারণ এবং আনুকূল্যগুলোর মধ্যে রয়েছে ইসলামী ব্যাংক ব্যবস্থার সুদমুক্ত মূলভিত্তি, সততা, নৈতিক মূল্যবোধ, শরিয়াহ অনুশাসন এবং সেগুলো কঠোরভাবে প্রতিপালনের জন্য নিজ নিজ ব্যাংকের শরিয়াহ বোর্ড এবং কেন্দ্রীয় শরিয়াহ অ্যাডভাইজরি বোর্ডের নৈতিক প্রহরা এবং অভিভাবকত্ব। যে জনপ্রিয়তা এবং গণ আস্থা মাত্র চার দশকের মধ্যে একটি অভিনব আর্থিক ব্যবস্থাপনার ধারণাকে প্রাতিষ্ঠানিক ও কাঠামোগত রূপ প্রদানে সমর্থ হয়েছে এবং নবীন ব্যাংকারদের দক্ষতা ও প্রবীণ ব্যাংকারদের অভিজ্ঞতার মিশেলে এই সুদমুক্ত ব্যাংকিং ব্যবস্থাকে এতগুলো বছর অবধি নিয়ে এসেছে, সেই ধারা আর মাত্র একটি দশক চলমান রেখে এর সঙ্গে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সমন্বয় ঘটাতে পারলে ইসলামী ব্যাংকগুলো এবং ইসলামিক ব্যাংকিং গোটা দেশের আর্থিক ব্যবস্থাপনায় আমূল রূপান্তর ঘটাতে পারবে।

ব্যাংকিং বাজারে প্রবল উপস্থিতি, গ্রাহক আস্থার ফলে বিপুল আমানত, বিনিয়োগ, রেমিট্যান্স এবং সব বিধান মেনে চলার মধ্য দিয়ে অর্জিত ‘রেগুলেটর’ বা নিয়ন্ত্রকদের বিশ্বাস এবং আস্থা মাত্র চার দশকের মধ্যে একটি পরীক্ষামূলক ব্যাংকিং ‘টুল’ থেকে আজ ইসলামিক ব্যাংকিংকে একটি পরিপূর্ণ আর্থ-সামাজিক তত্ত্ব, বাস্তব ও নৈতিক ধারণায় উত্তীর্ণ করতে সক্ষম হয়েছে। এ বিষয়ে স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের এমডি মোঃ হাবিবুর রহমান বলেন, বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে ইসলামী ব্যাংকগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। বিশেষ করে কৃষি, শিল্প, তৈরি পোশাক, পরিবহন, আবাসন, চামড়া ও চিংড়ি, শিক্ষা-প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন খাতে ইসলামী ব্যাংকগুলোর ব্যাপক অবদান রয়েছে। একইভাবে ইসলামী ব্যাংকগুলোর সম্মিলিত পরিসম্পদ, ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স প্রবাহ, ক্ষুদ্র ও কৃষি বিনিয়োগ, দারিদ্র্যবিমোচন,  আত্ম-কর্মসংস্থান সৃষ্টি, আর্থিক খাতে স্থিতিশীলতা আনয়ন, ইসলামী মূলধন বাজারের বিকাশ, নৈতিক ব্যাংকিং, বিনিয়োগ বৈচিত্র্য প্রভৃতির নিরিখে ইসলামিক ব্যাংকিংয়ের অবদান বিশেষভাবে মূল্যায়নযোগ্য। আমানত, বিনিয়োগ, আমদানি-রপ্তানি ও রেমিট্যান্স প্রবাহের ক্ষেত্রে ইসলামী ব্যাংকগুলোর ভূমিকা বিস্ময়কর,  যা এ ব্যবস্থার প্রতি মানুষের আস্থার বহিঃপ্রকাশ। এ ছাড়া ইসলামী ক্রেডিট কার্ড, এটিএম, সিআরএম, ইন্টারনেট ব্যাংকিং, এসএমএস ব্যাংকিংসহ ডিজিটাল ব্যাংকিং নানা সেবার মাধ্যমে ইসলামিক ব্যাংকিং বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের সফল অংশীদার।

 

ইসলামিক ব্যাংকিংয়ের উদ্ভব ও বিকাশ

১৯৭৪ সালে জেদ্দায় অনুষ্ঠিত ওআইসির অর্থমন্ত্রীদের সম্মেলনে ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংক (আইডিবি) চার্টার গৃহীত হয়। বাংলাদেশ সরকার ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হিসেবে সেই চার্টারে স্বাক্ষর করে।

ইসলামের সূচনালগ্ন থেকেই ইসলামী অর্থ ব্যবস্থা তথা ইসলামী নীতিমালার ভিত্তিতে ব্যবসা-বাণিজ্য, ক্রয়-বিক্রয় ও লেনদেন পরিচালিত হয়ে আসছে। তবে কোনো খলিফা বা মুসলিম অর্থমন্ত্রী এর প্রচলন করেননি। ত্রয়োদশ শতাব্দী থেকেই ‘ব্যাংক’কে আকর্ষণীয় ও গ্রহণযোগ্য করার জন্য অর্থনীতি বিশেষজ্ঞরা গবেষণা শুরু করেন। তবে তা সমাজে প্রচলিত হতে লেগে যায় ৬০০ বছর! অর্থাৎ ব্যাংকের ‘ইসলামী রূপ’ পাওয়ার ইতিহাস মাত্র ৫০-৬০ বছরের।

প্রথমে অর্থ জমানোর বেশকিছু ‘আধুনিক’ প্রয়োজন, যেমন- হজের টাকা জমানোর মতো প্রয়োজন সামনে রেখে শুরু হয় ‘ইসলামী’ ঘরানার সঞ্চয় পদ্ধতি। ১৯৬২ সালে মালয়েশিয়ায় ‘পিলগ্রিমস সেভিংস করপোরেশন’ হজের জন্য সঞ্চয় গ্রহণের উদ্দেশ্যে সুদমুক্ত আর্থিক প্রতিষ্ঠান চালু করা হয়। তারা মুসলিমদের কিস্তিতে টাকা জমানোর সুযোগ দিত। তবে কোনো ধরনের সুদ দিত না। তৎকালীন স্বাভাবিক ব্যাংকিংয়ে ব্যাংকগুলো ‘আমানত’কারীদের সুদ দিত। সে হিসাবে ‘পিলগ্রিমস সেভিংস করপোরেশন’ আলাদা ছিল না। তবে পরীক্ষামূলকভাবে ইসলামিক ব্যাংকিংয়ের ধারণা বাস্তবায়ন করা হয়েছিল মিসরের ‘মিট ঘামর’ এলাকায় ১৯৬৩ থেকে ১৯৬৭ সালে। যার অনুপ্রেরণা ছিল জার্মান সেভিংস ব্যাংক। তাদের সাফল্য দেখে সে আদলে মিসরের মিট ঘামার এলাকার ব্যাংক প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখেন ড. আহমদ আল নাজ্জার। কিন্তু সেখানকার মানুষ ছিল ধর্মভীরু মুসলিম। তাই তারা টাকা-পয়সা ব্যাংকে জমা রাখত না। এ অবস্থায় ব্যাংক উদ্যোক্তার চ্যালেঞ্জ ছিল- মানুষকে টাকা জমানোর মর্ম বোঝানো ও ইসলামী মূল্যবোধ ধরে রাখা। ওই ব্যাংকটিতে তখন তিন ধরনের অ্যাকাউন্ট খোলা হতো-সেভিংস অ্যাকাউন্ট, ইনভেস্টমেন্ট অ্যাকাউন্ট ও জাকাত অ্যাকাউন্ট।

১. যারা সেভিংস অ্যাকাউন্টে টাকা জমা রাখত, তাদের সুদ বা মুনাফা দেওয়া হতো না, কিন্তু তারা যখন চাইবে তখন টাকা তুলতে পারবে। তাদের ছোট, স্বল্পমেয়াদি সুদবিহীন ঋণ দেওয়া হতো।

২. ইনভেস্টমেন্ট অ্যাকাউন্টে জমাকৃত অর্থ তোলায় ছিল কড়া নিয়ম, চাইলেই টাকা তোলা যেত না। যা শরিয়ার অংশীদারিত্ব ভিত্তিতে বিনিয়োগ করা হতো।

৩. জাকাত অ্যাকাউন্টের অর্থ শরিয়া অনুযায়ী গরিবদের মধ্যে বণ্টন করে দেওয়া হতো।

প্রথম চার বছরে এই ব্যাংক অনেকটা সাফল্য পায়। তারা অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে কাজ করে। প্রথম তিন বছর তারা ৬০ শতাংশ ঋণের আবেদন নাকচ করে। ফলে কোনো দেউলিয়া, ঋণখেলাপি হয়নি। যদিও পরবর্তীকালে ড. আহমদ আল নাজ্জারের ‘মিট ঘামর ব্যাংক’ রাজনৈতিক ও অন্যান্য কারণে বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু তার এ ধারণা দিয়ে যায় ‘ইসলামী মূল্যবোধ’ ধরে রেখে ব্যাংকিং সম্ভব। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল ও বিশ্বব্যাংকের যৌথ কর্মসূচি ‘Sturactural Adjustment Programme’-এর আওতায় মুসলিম দেশগুলোর সরকার ইসলামী ব্যাংকিং ব্যবস্থাকে অনুমোদন দেওয়া শুরু করে। এক্ষেত্রে প্রধান ভূমিকা পালন করেছিলেন শামি’য়াল দারভিশ, আব্বাস মীরাখান ও মহসীন খান, যারা আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল ও বিশ্বব্যাংকের কর্মকর্তা ছিলেন। সৌদি আরবের জেদ্দায় ১৯৭৩ সালে প্রথম ইসলামী অর্থসংস্থা গড়ে তোলার বিষয়ে আলোচনা হয়। ১৯৭৪ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাসনামলে পাকিস্তানে বাংলাদেশ ওআইসির সদস্যপদ লাভ করে।  ১৯৭৫ সালে সৌদি আরবে যাত্রা করে ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংক (আইডিবি)। তাদের হাত ধরে ইসলামী ব্যাংক  দ্রুত বিস্তার লাভ করে। পরবর্তীকালে কুয়েত, ইরান, আম্মান, জর্ডান, সেনেগাল, বাহরাইন, পাকিস্তান, সুইজারল্যান্ড ও বাংলাদেশে ইসলামিক ব্যাংকিং শুরু হয়।

 

ব্যাংকিংয়ের ইতিহাস

বিনিময় প্রথার অবসানের মাধ্যমে প্রাচীনকাল থেকে পৃথিবীতে ব্যাংকিং ব্যবস্থার যাত্রা। তখন ব্যাংকিং বলতে মূলত অর্থ (কয়েন ও স্বর্ণ) জমা রাখা ও ঋণ আদান-প্রদানকে বোঝানো হতো। আর এই ব্যবস্থার প্রথম প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেয় রোমান সাম্রাজ্য। একইভাবে বিশ্বে ব্যাংকিংয়ের বিস্তারে ভূমিকা রাখে ইউরোপের ধনী সম্প্রদায়।

ব্যাংক ব্যবস্থার প্রচলন হয়েছিল মুদ্রাব্যবস্থার সঙ্গেই। মুদ্রাব্যবস্থার আগে প্রাচীন মানুষ নিজেদের মাঝে বিনিময় প্রথার মাধ্যমে লেনদেন করত। তবে বিনিময় প্রথায় নানা অসংগতি ও অসুবিধার কারণে মুদ্রাব্যবস্থার প্রচলন ঘটে। আর তৎকালীন ধনীরা বুঝতে পারেন, নিজেদের বিপুল পরিমাণ অর্থসম্পদ গচ্ছিত রাখার জন্য একটি নিরাপদ স্থান প্রয়োজন। এ ছাড়াও বিভিন্ন রাজ্যের প্রধানরা নিজেদের রাজ্যে সুষ্ঠুভাবে বাণিজ্য পরিচালনা, সম্পদ ব্যবস্থাপনা ও ট্যাক্স কালেকশনের জন্য একটি কেন্দ্রীয় ব্যবস্থার প্রয়োজনবোধ করে। ফলস্বরূপ, আবিষ্কার হয় ব্যাংকিং পদ্ধতি। সংক্ষেপে রইল ব্যাংকিং ব্যবস্থার ইতিহাস।

► প্রায় ৮০০ থেকে ৬০০ খ্রিস্টপূর্বে কয়েন ব্যবস্থা পৃথিবীর বেশির ভাগ অঞ্চলে প্রচলিত হয়ে ওঠায় বিনিময় প্রথার সমাপ্তি ঘটে।

► রোমানদের ব্যাংকিং সিস্টেম থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে ইউরোপের রাজারা নিজেদের সাম্রাজ্যে এই ব্যবস্থার প্রচলন করেন।

► খ্রিস্টপূর্ব ৩২১ থেকে ১৮৫ সালে ভারতে মৌর্য্য সাম্রাজ্যের শাসনামলে ‘আদেশা’ নামক একটি ব্যাংকিং দলিলের সন্ধান পাওয়া যায়।

► ১৯৬০-র দশকে অটোমেটেড টেলার মেশিন বা এটিএম প্রযুক্তি আবিষ্কৃত হয় এবং দশকের শেষের দিকে অনেক ব্যাংক নিজের এটিএম স্থাপন করে।

এই বিভাগের আরও খবর
চোখের যত্ন নিন
চোখের যত্ন নিন
আলো ছড়াচ্ছে গাক চক্ষু হাসপাতাল
আলো ছড়াচ্ছে গাক চক্ষু হাসপাতাল
মেডিকেল ডিভাইস স্বতন্ত্র শিল্প হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া জরুরি
মেডিকেল ডিভাইস স্বতন্ত্র শিল্প হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া জরুরি
কলাবাগানের গলি থেকে সারা দেশে পৌঁছেছে লাজফার্মা
কলাবাগানের গলি থেকে সারা দেশে পৌঁছেছে লাজফার্মা
বিশ্বমানের সেবা নিশ্চিত করা আমাদের লক্ষ্য
বিশ্বমানের সেবা নিশ্চিত করা আমাদের লক্ষ্য
হুয়াওয়ে আমাকে শিক্ষকতা পেশার জন্য তৈরি করেছে
হুয়াওয়ে আমাকে শিক্ষকতা পেশার জন্য তৈরি করেছে
সৌরবিদ্যুৎ খাতে যুগান্তকারী পরিবর্তনের অগ্রদূত
সৌরবিদ্যুৎ খাতে যুগান্তকারী পরিবর্তনের অগ্রদূত
বাংলাদেশের অগ্রগতিতে বিশ্বস্ত সহযোগী হুয়াওয়ে
বাংলাদেশের অগ্রগতিতে বিশ্বস্ত সহযোগী হুয়াওয়ে
চীনের প্রতি আগ্রহ বাড়ছে বাংলাদেশিদের
চীনের প্রতি আগ্রহ বাড়ছে বাংলাদেশিদের
৭৬ বছরের প্রয়াস, ৫০ বছরের অংশীদারি
৭৬ বছরের প্রয়াস, ৫০ বছরের অংশীদারি
হৃদরোগ প্রতিরোধে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন জরুরি
হৃদরোগ প্রতিরোধে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন জরুরি
হার্ট মানবদেহের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ
হার্ট মানবদেহের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ
সর্বশেষ খবর
মঙ্গলে রহস্যময় শিলা, ব্যাখা খুঁজছেন বিজ্ঞানীরা
মঙ্গলে রহস্যময় শিলা, ব্যাখা খুঁজছেন বিজ্ঞানীরা

৫২ সেকেন্ড আগে | বিজ্ঞান

পরবর্তী জলবায়ু সম্মেলন হবে তুরস্কে
পরবর্তী জলবায়ু সম্মেলন হবে তুরস্কে

১০ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সিলেটে বাঁশঝাড় থেকে শটগান উদ্ধার
সিলেটে বাঁশঝাড় থেকে শটগান উদ্ধার

১১ মিনিট আগে | চায়ের দেশ

আগামী ৩-৪ কার্যদিবসের মধ্যে গণভোট আইন করা হবে
আগামী ৩-৪ কার্যদিবসের মধ্যে গণভোট আইন করা হবে

১১ মিনিট আগে | জাতীয়

গোপালগঞ্জে বিনামূল্যে ২ হাজার কেজি ব্রি-১০৮ ধানবীজ বিতরণ
গোপালগঞ্জে বিনামূল্যে ২ হাজার কেজি ব্রি-১০৮ ধানবীজ বিতরণ

১২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

২০২৬ ফুটবল বিশ্বকাপ: এক নজরে সবকিছু
২০২৬ ফুটবল বিশ্বকাপ: এক নজরে সবকিছু

১২ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

‘আগামী জাতীয় নির্বাচনে উলামায়ে কেরামের পরস্পরে প্রতিদ্বন্দ্বিতা কাম্য নয়’
‘আগামী জাতীয় নির্বাচনে উলামায়ে কেরামের পরস্পরে প্রতিদ্বন্দ্বিতা কাম্য নয়’

১২ মিনিট আগে | রাজনীতি

লঘুচাপ ঘনীভূত হয়ে নিম্নচাপে রূপ নেওয়ার শঙ্কা, কমবে তাপমাত্রা
লঘুচাপ ঘনীভূত হয়ে নিম্নচাপে রূপ নেওয়ার শঙ্কা, কমবে তাপমাত্রা

১৯ মিনিট আগে | জাতীয়

আইরিশদের পাঁচ উইকেট নিয়ে দিন শেষ করল বাংলাদেশ
আইরিশদের পাঁচ উইকেট নিয়ে দিন শেষ করল বাংলাদেশ

১৯ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

মুন্সীগঞ্জে বিনামূল্যে ধানের বীজ ও সার বিতরণ
মুন্সীগঞ্জে বিনামূল্যে ধানের বীজ ও সার বিতরণ

২০ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ক্রিকেট বোর্ডের অবস্থা আগের তুলনায় ভালো : আসিফ
ক্রিকেট বোর্ডের অবস্থা আগের তুলনায় ভালো : আসিফ

২১ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

নবান্ন উপলক্ষে পীরের আস্তানায় ক্ষীরের উৎসব
নবান্ন উপলক্ষে পীরের আস্তানায় ক্ষীরের উৎসব

২৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

৩৫০ শতাংশ শুল্কের হুমকিতে যুদ্ধ থামিয়েছে ভারত-পাকিস্তান, দাবি ট্রাম্পের
৩৫০ শতাংশ শুল্কের হুমকিতে যুদ্ধ থামিয়েছে ভারত-পাকিস্তান, দাবি ট্রাম্পের

২৯ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিএনপি গণতন্ত্রকে দেশের মানুষের হাতে ফিরিয়ে দেবে: মিল্লাত
বিএনপি গণতন্ত্রকে দেশের মানুষের হাতে ফিরিয়ে দেবে: মিল্লাত

৩২ মিনিট আগে | রাজনীতি

চট্টগ্রাম থেকে আমিরাতে আরও তিন জাহাজ রপ্তানি
চট্টগ্রাম থেকে আমিরাতে আরও তিন জাহাজ রপ্তানি

৩৪ মিনিট আগে | অর্থনীতি

ডেমরায় কাভার্ড ভ্যানের ধাক্কায় বৃদ্ধের মৃত্যু
ডেমরায় কাভার্ড ভ্যানের ধাক্কায় বৃদ্ধের মৃত্যু

৩৪ মিনিট আগে | নগর জীবন

ভারতকে ৯৩ মিলিয়ন ডলারের জ্যাভলিন ক্ষেপণাস্ত্র ও গোলাবারুদ দেবে যুক্তরাষ্ট্র
ভারতকে ৯৩ মিলিয়ন ডলারের জ্যাভলিন ক্ষেপণাস্ত্র ও গোলাবারুদ দেবে যুক্তরাষ্ট্র

৪১ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এই রায়ে সুষ্ঠু নির্বাচনের পথ প্রশস্ত হবে: বদিউল আলম
এই রায়ে সুষ্ঠু নির্বাচনের পথ প্রশস্ত হবে: বদিউল আলম

৪১ মিনিট আগে | জাতীয়

এনভিডিয়ার শেয়ারের অবিশ্বাস্য উত্থান
এনভিডিয়ার শেয়ারের অবিশ্বাস্য উত্থান

৪২ মিনিট আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

আজ বাজারে যে দামে বিক্রি হচ্ছে স্বর্ণ
আজ বাজারে যে দামে বিক্রি হচ্ছে স্বর্ণ

৪৬ মিনিট আগে | অর্থনীতি

শীতে এলার্জির সমস্যা রোধে ৫ উপায়
শীতে এলার্জির সমস্যা রোধে ৫ উপায়

৫০ মিনিট আগে | জীবন ধারা

অর্থ আত্মসাৎ মামলা তদন্তে সাকিবসহ ১৫ জনকে দুদকে তলব
অর্থ আত্মসাৎ মামলা তদন্তে সাকিবসহ ১৫ জনকে দুদকে তলব

৫০ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

ছায়ানটে বসছে লোকসংগীতের সন্ধ্যা
ছায়ানটে বসছে লোকসংগীতের সন্ধ্যা

৫৩ মিনিট আগে | শোবিজ

জলবায়ু ন্যায়বিচারের দাবিতে নোয়াখালীতে মানববন্ধন
জলবায়ু ন্যায়বিচারের দাবিতে নোয়াখালীতে মানববন্ধন

৫৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ছাত্রদলের উদ্যোগে সুবিধাবঞ্চিত ও ছিন্নমূল শিশুদের সাপ্তাহিক স্কুল শুরু
ছাত্রদলের উদ্যোগে সুবিধাবঞ্চিত ও ছিন্নমূল শিশুদের সাপ্তাহিক স্কুল শুরু

৫৯ মিনিট আগে | নগর জীবন

কৈলাশটিলায় বন্ধ কূপে নতুন করে মিলল গ্যাস
কৈলাশটিলায় বন্ধ কূপে নতুন করে মিলল গ্যাস

১ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

ফটিকছড়িতে কৃষকের পাকা ধান পুড়িয়ে দিলো দুর্বৃত্তরা
ফটিকছড়িতে কৃষকের পাকা ধান পুড়িয়ে দিলো দুর্বৃত্তরা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চীনের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তি, ফিলিপাইনের সাবেক মেয়রের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
চীনের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তি, ফিলিপাইনের সাবেক মেয়রের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভিনগ্রহীদের ঘাঁটি টিন্ডায়া পর্বত?
ভিনগ্রহীদের ঘাঁটি টিন্ডায়া পর্বত?

১ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

শ্রীপুরে তারেক রহমানের জন্মদিনে এতিমদের খাবার বিতরণ
শ্রীপুরে তারেক রহমানের জন্মদিনে এতিমদের খাবার বিতরণ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
ভারতের সঙ্গে পূর্ণমাত্রায় যুদ্ধ শুরুর আশঙ্কা পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর
ভারতের সঙ্গে পূর্ণমাত্রায় যুদ্ধ শুরুর আশঙ্কা পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনরুজ্জীবিত হলো সংবিধানে, কার্যকর হবে ভবিষ্যতে
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনরুজ্জীবিত হলো সংবিধানে, কার্যকর হবে ভবিষ্যতে

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথমবার এমন রেকর্ড গড়লেন শাই হোপ
ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথমবার এমন রেকর্ড গড়লেন শাই হোপ

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

তিন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট চাকরিচ্যুত
তিন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট চাকরিচ্যুত

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কারাগারে ইসলামী ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ মাসুদ
কারাগারে ইসলামী ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ মাসুদ

২২ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

১৩ লাখ রোহিঙ্গার ভার আর বহন করা সম্ভব নয়: জাতিসংঘে বাংলাদেশ
১৩ লাখ রোহিঙ্গার ভার আর বহন করা সম্ভব নয়: জাতিসংঘে বাংলাদেশ

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিশ্বকাপের এক গ্রুপে রাখা হলো না ভারত-পাকিস্তানকে
বিশ্বকাপের এক গ্রুপে রাখা হলো না ভারত-পাকিস্তানকে

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

টঙ্গী তা’মীরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসার পাঠদান বন্ধ
টঙ্গী তা’মীরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসার পাঠদান বন্ধ

১৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মুশফিক ছাড়াও শততম টেস্টে শতক হাঁকিয়েছেন যারা
মুশফিক ছাড়াও শততম টেস্টে শতক হাঁকিয়েছেন যারা

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

নির্বাচনে মিজানুর রহমান আজহারীর প্রার্থী হওয়ার খবর সঠিক নয় : জামায়াত
নির্বাচনে মিজানুর রহমান আজহারীর প্রার্থী হওয়ার খবর সঠিক নয় : জামায়াত

২১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

নারীদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষায় ৫ প্রতিশ্রুতি তারেক রহমানের
নারীদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষায় ৫ প্রতিশ্রুতি তারেক রহমানের

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হাসিনা পালানোতেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফিরে এলো : জয়নুল আবেদীন
হাসিনা পালানোতেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফিরে এলো : জয়নুল আবেদীন

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কারচুপির অভিযোগ এনে মিস ইউনিভার্স ছাড়লেন দুই বিচারক
কারচুপির অভিযোগ এনে মিস ইউনিভার্স ছাড়লেন দুই বিচারক

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অজিত দোভালকে বাংলাদেশে আসার আমন্ত্রণ জানালেন খলিলুর রহমান
অজিত দোভালকে বাংলাদেশে আসার আমন্ত্রণ জানালেন খলিলুর রহমান

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রোজ গার্ডেন কিনে ক্ষতি ৩৩২ কোটি, অনুসন্ধানে দুদক
রোজ গার্ডেন কিনে ক্ষতি ৩৩২ কোটি, অনুসন্ধানে দুদক

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দেশে থেকেই কার্ড দিয়ে বিদেশি রুটের বিমানের টিকিট কেনা যাবে
দেশে থেকেই কার্ড দিয়ে বিদেশি রুটের বিমানের টিকিট কেনা যাবে

২১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালের রায় নিয়ে যা বললেন আমির খসরু
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালের রায় নিয়ে যা বললেন আমির খসরু

৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

শুক্রবার মামদানির সঙ্গে বৈঠকে বসছেন ট্রাম্প
শুক্রবার মামদানির সঙ্গে বৈঠকে বসছেন ট্রাম্প

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পুলিশের মনোবল ভাঙার চেষ্টা করবেন না : ডিএমপি কমিশনার
পুলিশের মনোবল ভাঙার চেষ্টা করবেন না : ডিএমপি কমিশনার

৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

মোদির পা ছুঁয়ে প্রণাম ঐশ্বরিয়ার
মোদির পা ছুঁয়ে প্রণাম ঐশ্বরিয়ার

২২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

সৌদি যুবরাজের অনুরোধ, সুদানের সংঘাত অবসান করতে চান ট্রাম্প
সৌদি যুবরাজের অনুরোধ, সুদানের সংঘাত অবসান করতে চান ট্রাম্প

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিশ্বের বৃহত্তম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ফের চালু করবে জাপান
বিশ্বের বৃহত্তম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ফের চালু করবে জাপান

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শততম টেস্টে শতক হাঁকালেন মুশফিক
শততম টেস্টে শতক হাঁকালেন মুশফিক

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

আসছে ‘দাবাং ৪’, পরিচালনায় থাকছেন অভিনব কাশ্যপ!
আসছে ‘দাবাং ৪’, পরিচালনায় থাকছেন অভিনব কাশ্যপ!

২১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ইন্দোনেশিয়ায় জেগে উঠল আগ্নেয়গিরি, সর্বোচ্চ সতর্কতা
ইন্দোনেশিয়ায় জেগে উঠল আগ্নেয়গিরি, সর্বোচ্চ সতর্কতা

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২০ নভেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২০ নভেম্বর)

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দিল্লি বিস্ফোরণে অভিযুক্তদের পরিবারের সদস্যরা কী বলছে
দিল্লি বিস্ফোরণে অভিযুক্তদের পরিবারের সদস্যরা কী বলছে

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল, প্রতিক্রিয়ায় যা বললো জামায়াত
তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল, প্রতিক্রিয়ায় যা বললো জামায়াত

২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ভারতকে হারিয়ে ৯ বছরে সর্বোচ্চ র‍্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ
ভারতকে হারিয়ে ৯ বছরে সর্বোচ্চ র‍্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ

৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

জব্দ করা ট্যাঙ্কারটি ছেড়ে দিয়েছে ইরান
জব্দ করা ট্যাঙ্কারটি ছেড়ে দিয়েছে ইরান

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
রিভিউ হচ্ছে প্রার্থী তালিকা
রিভিউ হচ্ছে প্রার্থী তালিকা

প্রথম পৃষ্ঠা

ইতালি যাওয়ার পথে গুলি করে হত্যা তিনজনকে
ইতালি যাওয়ার পথে গুলি করে হত্যা তিনজনকে

পেছনের পৃষ্ঠা

বিজনেস ভিসা ফের চালু ভারতের
বিজনেস ভিসা ফের চালু ভারতের

পেছনের পৃষ্ঠা

একটি জন্মদিন, একটি মৃত্যুদণ্ডের রায় ও আগামীর বাংলাদেশ
একটি জন্মদিন, একটি মৃত্যুদণ্ডের রায় ও আগামীর বাংলাদেশ

সম্পাদকীয়

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

যে জয় শিরোপার চেয়ে দামি
যে জয় শিরোপার চেয়ে দামি

মাঠে ময়দানে

তারেক রহমানের জন্মদিন আজ
তারেক রহমানের জন্মদিন আজ

প্রথম পৃষ্ঠা

শান্তিপূর্ণ নির্বাচনে সহায়তা প্রয়োজন সেনাবাহিনীর
শান্তিপূর্ণ নির্বাচনে সহায়তা প্রয়োজন সেনাবাহিনীর

প্রথম পৃষ্ঠা

বিএনপি জামায়াতের জমজমাট প্রচার
বিএনপি জামায়াতের জমজমাট প্রচার

পেছনের পৃষ্ঠা

আস্থার বাতিঘর তারেক রহমান
আস্থার বাতিঘর তারেক রহমান

সম্পাদকীয়

হারিয়ে গেছে আগারগাঁওয়ের সেই সাইকেল লেন
হারিয়ে গেছে আগারগাঁওয়ের সেই সাইকেল লেন

রকমারি নগর পরিক্রমা

শ্বেতপত্রের ক্ষেত্রে উপদেষ্টামণ্ডলী উৎসাহিত হননি
শ্বেতপত্রের ক্ষেত্রে উপদেষ্টামণ্ডলী উৎসাহিত হননি

প্রথম পৃষ্ঠা

ভারতের বিপক্ষে জয়ে জাতীয় দলকে প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন
ভারতের বিপক্ষে জয়ে জাতীয় দলকে প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন

মাঠে ময়দানে

খাদে পড়ে আছে সাকুরা পরিবহন
খাদে পড়ে আছে সাকুরা পরিবহন

পেছনের পৃষ্ঠা

নিরপেক্ষ ভোটের প্রতিশ্রুতিতে অটল
নিরপেক্ষ ভোটের প্রতিশ্রুতিতে অটল

প্রথম পৃষ্ঠা

অক্টোবরে সড়কে নিহত ৪৪১ জন
অক্টোবরে সড়কে নিহত ৪৪১ জন

পেছনের পৃষ্ঠা

রং বদলাচ্ছে স্থলপদ্ম
রং বদলাচ্ছে স্থলপদ্ম

পেছনের পৃষ্ঠা

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিরাট চুক্তি সৌদির
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিরাট চুক্তি সৌদির

প্রথম পৃষ্ঠা

মান ঠিক রাখতে গিয়ে কমেছে উৎপাদন
মান ঠিক রাখতে গিয়ে কমেছে উৎপাদন

পেছনের পৃষ্ঠা

রাজনৈতিক পরিচয়ে অপ্রতিরোধ্য চাঁদাবাজি
রাজনৈতিক পরিচয়ে অপ্রতিরোধ্য চাঁদাবাজি

প্রথম পৃষ্ঠা

পরোপকারী মুন্না এখন জীবনমৃত্যুর সন্ধিক্ষণে
পরোপকারী মুন্না এখন জীবনমৃত্যুর সন্ধিক্ষণে

পেছনের পৃষ্ঠা

ফ্যাসিস্টের দোসর ট্যাগের প্রবণতা বেড়েছে
ফ্যাসিস্টের দোসর ট্যাগের প্রবণতা বেড়েছে

নগর জীবন

দিল্লিতে বৈঠক হলো দুই নিরাপত্তা উপদেষ্টার
দিল্লিতে বৈঠক হলো দুই নিরাপত্তা উপদেষ্টার

প্রথম পৃষ্ঠা

আইন লঙ্ঘন করে রেলে দরপত্র
আইন লঙ্ঘন করে রেলে দরপত্র

নগর জীবন

গণ অভ্যুত্থানে নিহত ও আহতদের পরিবারকে চিকিৎসা দেবে আমরা বিএনপি পরিবার
গণ অভ্যুত্থানে নিহত ও আহতদের পরিবারকে চিকিৎসা দেবে আমরা বিএনপি পরিবার

নগর জীবন

আতঙ্কের নাম বাস
আতঙ্কের নাম বাস

রকমারি নগর পরিক্রমা

জামায়াত আমিরের সঙ্গে বৈঠক ফ্রান্স রাষ্ট্রদূতের
জামায়াত আমিরের সঙ্গে বৈঠক ফ্রান্স রাষ্ট্রদূতের

প্রথম পৃষ্ঠা

রোজ গার্ডেন কেনায় ৩৩২ কোটি টাকা ক্ষতি
রোজ গার্ডেন কেনায় ৩৩২ কোটি টাকা ক্ষতি

পেছনের পৃষ্ঠা

রাজসাক্ষীর রোমহর্ষক জবানবন্দি
রাজসাক্ষীর রোমহর্ষক জবানবন্দি

পেছনের পৃষ্ঠা

আসামিকে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা
আসামিকে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা

পেছনের পৃষ্ঠা