টি-২০ ক্রিকেট ইতিহাসে নিজেদের সেরা সময় পার করছেন লিটনরা। শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান, নেদারল্যান্ডস ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে টানা চারটি টি-২০ সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ। টানা সিরিজ জয়ের পর এবার হোয়াইটওয়াশ হয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। ঘরের মাঠ চট্টগ্রামে বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লে. মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে সফরকারী ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে কোনো ম্যাচেই লড়াই করতে পারেনি লিটন বাহিনী। হেরেছে যথাক্রমে ১৬ ও ১৪ রানে এবং ৫ উইকেটে। অথচ গত ডিসেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে তাদের মাটিতে হোয়াইটওয়াশ করেছিল লিটন বাহিনী। ১০ মাস পর সেই সিরিজ হারের মধুর প্রতিশোধ নিয়েছেন শাই হোপরা। ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশের পরও মানসিকভাবে বিধ্বস্ত হননি টাইগার অধিনায়ক লিটন। নিজেদের পারফরম্যান্সকে আড়াল করে টানা খেলার ক্লান্তিকে দোষারোপ করেছেন লিটন, ‘দেড়-দুই মাস ধরে একটানা ক্রিকেট খেলায় ক্লান্তি কাজ করেছে। এমন অবস্থায় একটি বিরতি খুব জরুরি। এখন যেহেতু বিশ্রামের সুযোগ পাচ্ছি, সবাই সতেজ হয়ে ফিরবে বলে আমার বিশ্বাস।’
অধিনায়ক একেবারেই ভুল বলেননি। মে মাস থেকে টানা টি-২০ সিরিজ খেলছে বাংলাদেশ। এখন পর্যন্ত ২৭টি টি-২০ ম্যাচ খেলেছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে ৩ ম্যাচ টি-২০ সিরিজ শেষ করেই পাকিস্তান উড়ে যায়। সেখানে খেলে ৩ ম্যাচ টি-২০ সিরিজ। এরপর শ্রীলঙ্কা উড়ে যায় পূর্ণাঙ্গ সফরে। দ্বীপরাষ্ট্রে টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-২০ সিরিজ খেলেছে টাইগাররা। এরপর ঘরের মাঠে পাকিস্তান ও নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে খেলে ৩ ম্যাচের টি-২০ সিরিজ। এরপর উড়ে যায় আমিরাতে টি-২০ এশিয়া কাপ খেলতে। সেটা শেষ করেই সেখানেই আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে ও টি-২০ সিরিজ খেলেছে। এরপর ঘরের মাটিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে ও টি-২০ সিরিজ খেলেছে। টানা ৭ সিরিজ খেলার পর সপ্তাহ দুয়েকের বিশ্রাম পাচ্ছেন ক্রিকেটাররা। ১১ নভেম্বর থেকে পুনরায় মাঠে নেমে পড়বেন ক্রিকেটাররা। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ২ টেস্ট ম্যাচ সিরিজ খেলা শুরু করবে ১১ নভেম্বর। এরপর ২৭ ও ২৯ নভেম্বর এবং ২ ডিসেম্বর তিনটি টি-২০ খেলবে। এই সিরিজ দিয়েই শেষ বাংলাদেশের ২০২৫ সাল। টানা খেলা বন্ধ হওয়ার সুযোগ কম লিটনদের। কারণ ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে টি-২০ বিশ্বকাপ।
এখন দেখার বিষয় দুই সপ্তাহের বিরতির পর কতটা উজ্জীবিত হন ক্রিকেটাররা। চার সপ্তাহের বিশ্রাম নিয়ে টি-২০ ফরম্যাটে খেলতে নেমে কতটা স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন ক্রিকেটাররা। আইরিশদের বিপক্ষে কতটা সফল হন। তবে টানা খেলার ক্লান্তি এড়াতে বিশ্রাম জরুরি এবং সেটা পাচ্ছেন লিটনরা। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশের পর ক্লান্তিতে ভালো খেলা সম্ভব নয় বলেন লিটন, ‘যখন খুব বেশি ক্রিকেট খেলতে হয়, তখন ক্লান্তি কাজ করে। চেষ্টা থাকে, কিন্তু ফল আসে না।’ অথচ ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জিতেছে টানা ক্রিকেট খেলেই।