সেলিব্রেটি ক্রিকেট লিগ আইপিএলে (ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ) বিতর্কের গন্ধটা ছিল সেই প্রথম আসর থেকেই। কাড়ি কাড়ি অর্থ আছে বলেই শুরু থেকে বুকিরাও ছিল। প্রথম দিকে ফিক্সিংয়ের কথা বলা হলেও তা আমলে নেয়নি ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড-বিসিসিআই। কিন্তু ক্রমশ তা যখন ভয়াবহ রূপ ধারণ করে তখন যেন খোলস থেকে বের হতে থাকে বিসিসিআই। তখন বড্ড দেরি হয়ে গেছে। এখন আইপিএলের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ফিক্সিংয়ের গন্ধ। আইপিএলের কারণে শ্রীশান্তের মতো পেসারকে হারিয়েছে ভারতীয় দল। তখন শ্রীশান্তের সঙ্গে আজীবন নিষিদ্ধ হয়েছিলেন আরও দুই ক্রিকেটার। তারপর থেকে একের পর এক বেরিয়ে আসতে থাকে নানা-অনিয়মের ঘটনা।
সব শেষে দুই দিন আগে লোধা কমিশন দুই দলের কর্ণধারকে আজীবন নিষিদ্ধ করেছে। মায়াপ্পন ও রাজকুন্দ্রার সঙ্গে তাদের দল চেন্নাই সুপার কিংস ও রাজস্থান রয়েলসকেও দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এখন আইপিএলে থাকল মাত্র ছয় দল। এই ছয় দল নিয়ে কি সামনের আইপিএল-নবম সংস্করণটা মাঠে গড়াবে! নাকি এখানেই থমকে যাবে জনপ্রিয় টি-২০ লিগটি। সব মিলে আইপিএলের ভবিষ্যৎ এখন অন্ধকারে। একের পর এক নানা অনিয়মের খবর বেরিয়ে আসায় দর্শকরাও যে আগ্রহ হারিয়ে ফেলবেন। কেননা ক্রিকেটপ্রেমীরা কষ্ট করে মাঠে যান ছক্কা-চারের ঝড় কিংবা বোলারের দাপুটে বোলিং দেখতে। কিন্তু যখন মনে হবে সব ঘটনাই সাজানো তখন আগ্রহটা হারিয়ে ফেলবেন- এটাই স্বাভাবিক। এতে কপাল পুড়তে পারে দুই দলের ক্রিকেটারদেরও। যদিও এই সমস্যা থেকে উত্তরণের অনেক পথই খোলা আছে। দুই ফ্র্যাঞ্চাইজি যদি তাদের দল বিক্রি করে দেন তাহলে অন্য কেউ তা কিনে নিয়ে লিগে অংশ নিতে পারেন। তবে আবার নতুন করে নিলাম করে দুটি নতুন দলও আনা হতে পারে। সেক্ষেত্রে চেন্নাই ও রাজস্থানের ক্রিকেটারদের নিলামও হবে নতুন করে। সেক্ষেত্রে চুক্তিবদ্ধ অনেক ক্রিকেটারের দাম পড়ে যেতে পারে। আগের দুই দল কোচি ও পুনেকেও ফিরিয়ে আনতে পারে কর্তৃপক্ষ। সব কিছুর পরই ঝামেলা থেকেই যাচ্ছে। এত ঝামেলা পাড়ি দিয়ে আইপিএল মাঠে গড়াতে পারবে কিনা? তবে এটা ঠিক যে, আইপিএল যদি আবার চালুও হয় আগের মতো আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তা যে আর থাকবে না সেটা হলফ করেই বলা যায়।