শচীন টেন্ডুলকারের কন্যা সারার নামে টুইটারে খোলা হয়েছিল ভুয়া অ্যাকাউন্ট। আর সেই অ্যাকাউন্ট চলছিল বিতর্কিত পোস্ট। কটা দুটো নয়, একের পর বিতর্কিত পোস্টে সরগরম হয়ে ওঠে সোশ্যাল মিডিয়া।
সেই অ্যাকাউন্ট থেকে এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পাওয়ারের নামেও মানহানিকর মন্তব্য করা হয় বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। এরপরই নড়েচড়ে বসে পুলিশ। তদন্তে উঠে আসে ফেক অ্যাকাউন্টের তথ্য। ঘটনায় ভারতের আন্ধেরি থেকে এক সফ্টওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
জানা গেছে, অভিযুক্ত ৩৯ বছরের নিতিন সিসোদেই শচীনের মেয়ের নামে ঝুটো অ্যাকাউন্ট তৈরি করে এই পোস্টগুলি করেছে। সিসোদের মোবাইল ও ল্যাপটপ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আই টি অ্যাক্টে মামলা রুজু করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, অতীতে আরও পাঁচ সেলিব্রেটির নামে সিসোদে ফেক অ্যাকাউন্ট খোলে। ২০১৭ সালের অক্টোবরে সারা টেন্ডুলকারের (@SaraSachin_rt) নামে টুইটারে ফেক অ্যাকাউন্টটিও তার।
এই ঘটনায় পুলিশের দাড়স্থ হন শচীন। পুলিশের কাছে সারার নামে ফেক প্রোফাইলের অভিযোগ আনতে তৎপর হয়ে ওঠে পুলিশ৷ আইপি’র ঠিকানা খুঁজে গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্ত সিসোদেকে৷
এর আগে দীর্ঘদিন ধরে ক্রিকেটার শচীন টেন্ডুলকারের মেয়ে সারাকে প্রেম নিবেদন এবং ফোনে উত্যক্ত করার অভিযোগে আন্দুলিয়া থেকে দেবকুমার মাইতি নামের এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়। আটক সেই যুবক তার হাতে সারার নাম লিখে রেখেছিল। এমনকি সারার সঙ্গে সারা জীবন কাটানোর জন্য নানা পরিকল্পনার কথাও শোনায় সে।
বিডি-প্রতিদিন/ আব্দুল্লাহ সিফাত তাফসীর