২০২০ টোকিও অলিম্পিককে সামনে রেখে এখন থেকেই দুশ্চিন্তায় আয়োজকরা। দুশ্চিন্তার কারণ বছরের এই সময়ে টোকিওর তাপপ্রবাহ।
গত বছর টোকিওর তাপপ্রবাহ ১২ জনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছিল। ২০ বছরে প্রথম টোকিও শহরের মাসিক গড়পড়তা তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে যায়। এক বছর পরে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে ধরে নিয়েই এগোচ্ছেন আয়োজকরা। কীভাবে এই প্রচণ্ড গরমের হাত থেকে বাঁচা যায়, তার উপায় খুঁজতে তাই একাধিক পরীক্ষা চালাচ্ছেন টোকিও অলিম্পিকের আয়োজকরা। কোথাও সরাসরি ট্যাঙ্ক থেকে পানি ছেটানো হচ্ছে, কোথাও গরমের হাত থেকে বাঁচার পরীক্ষা চলছে বাতানুকূল তাঁবুর মাধ্যমে।
বৃহস্পতিবার একটি আন্তর্জাতিক ভলিবল প্রতিযোগিতায় এই পরীক্ষা চালানো হয়। এ দিন প্রায় ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা এবং ৭৫ শতাংশ আর্দ্রতা ছিল টোকিওতে। এই পরিবেশই পরীক্ষার জন্য আদর্শ মনে করেন আয়োজকরা। ঠাণ্ডা পানি ছড়ানোর পাশাপাশি দর্শকদের হাতে পাখা ও টাওয়েল তুলে দিতে কাজে লাগানো হয় প্রায় দেড়শ' স্বেচ্ছাসেবককে।
২০২০ টোকিয়ো অলিম্পেকের ডেলিভারি অফিসার হিদেমাসা নাকামুরা বলেন, ‘‘আমরা তো আবহাওয়াকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারব না। তাই বাস্তবের মাটিতে দাঁড়িয়ে অতীত অভিজ্ঞতার সাহায্যে এই সমস্যার মোকাবেলা করতে হবে। তবে রোদের হাত থেকে বাঁচতে কয়েকটি জায়গায় কৃত্রিম ছায়া বা জলীয় বাষ্পের কুয়াশা তৈরি করলেও গোটা এলাকায় সেই ব্যবস্থা রাখা কঠিন।’’
তিনি আরও বলেন, ‘‘অলিম্পিকের সময় অ্যাথলিট, দর্শক, স্বেচ্ছাসেবক, বিদেশি দর্শক, বৃদ্ধ, বাচ্চারা থাকবেই। অনেকেরই আলাদা করে নানা চাহিদা থাকে। আমরা এদের সবার দিকেই সাহায্যের হাত বাঁড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব।’’
নাকামুরা যোগ করেন, ‘‘চেক পয়েন্টেগুলোতে যেন দর্শকদের বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে না হয়, সে দিকে নজর রাখতে হবে। আমরা দর্শকদের অনুরোধ করব নিজের সঙ্গে যতটা সম্ভব কম জিনিসপত্র রাখুন যাতে দীর্ঘ লাইন এড়ানো যায়।’’
উল্লেখ্য, টোকিও অলিম্পিকের আয়োজকরা শুধু দমকলের ইঞ্জিনের আকারের জলীয় বাষ্প তৈরির কেন্দ্র, বাতানুকূল তাঁবুই নয়, পাশাপাশি ফুল দিয়েও এলাকা সাজানোর কাজ করছেন। আয়োজকদের মতো এতে গরমে কাহিল না হয়ে ‘মানসিক’ভাবেও তাজা থাকা যায়।
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ
