২০১৮ সালটি ছিল দেশ সেরা ওপেনার তামিম ইকবালের ক্যারিয়ারের সেরা বছর। গড় ছিল ৮৫-রও ওপরে। সেই তামিম ২০১৯ সালে বড় অসহায়! গড় ৩০-র নিচে।
এছাড়াও ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত ওয়ানডে ক্রিকেট বিশ্বকাপেও ভক্তদের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেননি এ ওপেনার। ৮ ম্যাচে নেই কোনো সেঞ্চুরি। হাফ সেঞ্চুরিও মাত্র একটি।
বিশ্বকাপ ব্যর্থতা ভুলে চলমান শ্রীলঙ্কা সিরিজে ভালো করার সুযোগ ছিল তামিম ইকবালের। কিন্তু লঙ্কান সিরিজেও যেন ব্যর্থতার বৃত্ত থেকে বের হতে পারছেন না অধিনায়ক তামিম ইকবাল।
এদিকে প্রথম দু’টি ম্যাচেই হেরে সিরিজ জয় থেকে ছিটকে গেছে বাংলাদেশ। এখন শেষ ম্যাচে শুধু সান্ত্বনার জয় পাওয়ার চেষ্টা। অন্যথায় হোয়াইট ওয়াশের লজ্জায় ডুবতে হবে টাইগারদের।
হেরে যাওয়া দু'টো ম্যাচে যে বিষয়টি দেখা গেছে, সেটা হল তামিম ইকবালের একেবারেই অল্প রানে আউট হওয়া। তবে তার চেয়েও বেশি চোখে লেগেছে দুটো ম্যাচেই তামিমের বোল্ড আউট।
প্রথম ম্যাচে লাসিথ মালিঙ্গা আর দ্বিতীয় ম্যাচে ইসুরু উদানার বলে আউট হওয়ার আগে তামিম পিচেও লুটিয়েছেন ইয়র্কার লেংথের বল সামলাতে গিয়ে। এ নিয়ে তামিম ইকবাল টানা ছয় ম্যাচে বোল্ড হলেন, যা বিশ্ব ক্রিকেটে একটি রেকর্ড।
ওয়ানডে ক্রিকেটে কোনো ওপেনারই টানা ছয় ম্যাচে বোল্ড হওয়া দূরের কথা, কেউ এমনকি টানা পাচঁ ম্যাচেও বোল্ড হননি। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে ০ ও দ্বিতীয় ম্যাচে ১৯ রানে আউট হন তামিম।
যদিও ওয়ানডেতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক তিনি। ২০৩ ওয়ানডেতে ৩৫.৬৯ গড়ে করেছেন ৬,৮৯০ রান। ১১ সেঞ্চুরির সঙ্গে ৪৭টি হাফ সেঞ্চুরি।
কিন্তু তামিম কেন এভাবে আউট হচ্ছেন বারবার? সাধারণত কোনো ব্যাটসম্যান তখনই বারবার প্লেড-অন হয়ে যান যখন তার আত্মবিশ্বাসে ঘাটতি দেখা দেয়! ড্যাসিং ওপেনার কি তবে আত্মবিশ্বাসের অভাবে ভুগছেন?
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন