শিরোপা উঁচিয়ে ধরার যে স্বপ্নটা দেখেছিলেন সেটা আর হয়ে উঠলো না বাংলাদেশি যুবাদের। উত্তেজনায় ঠাঁসা ম্যাচের অন্তিম মুহূর্তে ডি-বক্সের সামান্য বাইরে থেকে ভারতের এক খেলোয়াড়ের নেয়া শটে গোল হজম করে বসে লাল-সবুজ যুবারা। তাতেই আবার রানার্স-আপ হতে হলো বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৮ দলকে।
রবিবার নেপালের কাঠমান্ডুর এপিএফ স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় পৌনে ৩টায় সাফ অনূর্ধ্ব-১৮ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ-ভারত। শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে বাংলাদেশকে ২-১ ব্যবধানে হারায় ভারত।
ম্যাচ শুরুর দ্বিতীয় মিনিটে পিছিয়ে পড়ে বাংলাদেশ। গুরকিরাত সিংয়ের হেড থেকে বল পেয়ে দুর্দান্ত এক গোল করে ভারতকে এগিয়ে দেন মিডফিল্ডার বিক্রম প্রতাপ সিং।
প্রথমার্ধেই দশ জনের দল হয়ে পড়ে দু’দল। ২১ মিনিটে হাতাহাতি-মারারারিতে জড়িয়ে পড়ে দুই ফাইনালিস্ট। রেফারি গুরকিরাত সিংকে সরাসরি লাল কার্ড দেখানোর পাশাপাশি বাংলাদেশের মিডফিল্ডার মোহাম্মদ হৃদয়কে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখান। তাতেও কমেনি ম্যাচের উত্তেজনা।
৪০ মিনিটে ইয়াসিন আরাফাতের মাপা শটে সমতায় ফিরে বাংলাদেশ। আহমদ ফাহিমের কর্নার কিক থেকে ব্যাকহিল করেন আমির হাকিম বাপ্পি। দু’বার ভারতের গোলপোস্টে লেগে বল ফিরে আসে ইয়াসিনের পায়ে। প্রতিপক্ষের জাল খুঁজে পেতে ভুল করেননি লাল-সবুজ অধিনায়ক।
বিরতি থেকে ফিরে দু’দল মরিয়া হয়ে লড়তে থাকে গোলের জন্য। ৯০ মিনিটের সময় জটলার মধ্যে ভারতীয় এক খেলোয়াড়ের শট মুহুর্তে গোলরক্ষক শান্ত কুমার রয়কে ফাঁকি দিয়ে ঢুকে যায় বাংলাদেশের জালে।
এবারের গ্রুপ পর্বের লড়াই বাদ দিলে এর আগে বয়সভিত্তিক এই আসরে দু’বার মুখোমুখি হয়েছে দু’দল। ২০১৫ সালে বাংলাদেশকে টাইব্রেকারে হারিয়ে ফাইনালে ওঠেছিল ভারত। ২০১৭ সালে ভারতকে ৪-৩ ব্যবধানে সেমিতে হারায় বাংলাদেশ। সেবার রানার্সআপ হয়েই ঘরে ফিরে লাল-সবুজের যুবারা।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত