বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল হক ডারবান টেস্টের আগে বলেছিলেন ইতিহাস গড়তে চান তিনি। তবে প্রথম টেস্টে ২২০ রানের বড় হারে সিরিজ জয় করে ইতিহাস গড়ার মুমিনুলের স্বপ্নটা এবার পূরণ হচ্ছে না। ব্যাটিং ব্যর্থতার ডারবানের কথা ভুলে টাইগারদের চোখ রাখতে হচ্ছে সামনের দিকে। সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে শুক্রবার সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে মাঠে নামছে টাইগাররা।
ডারবান টেস্টে হারের জন্য ব্যাটিং বিপর্যয়কেই দুষেছেন মুমিনুল। তবে এর মাঝেও আছে বাজে আম্পায়ারিংয়ের অভিযোগ। তার মধ্যেই অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে আরেকটা গুরুতর অভিযোগ করেছেন মুমিনুল। তিনি জানিয়েছেন, মাঝে মাঝেই সাউথ আফ্রিকান ক্রিকেটাররা স্লেজিংয়ের নামে গালাগালি করেছে।
পোর্ট এলিজাবেথ টেস্টের আগের দিন বৃহস্পতিবার (৭ এপ্রিল) সংবাদ সম্মেলনে দক্ষিণ আফ্রিকার সাংবাদিকের প্রশ্নে স্লেজিং নিয়ে অভিযোগ করার কথা অস্বীকার করেন মুমিনুল। শুধু তাই নয় বললেন, সহজে মানিয়ে নেওয়ার কথা।
মুমিনুল বলেন, ‘আমি কখনো স্লেজিং নিয়ে অভিযোগ করিনি। কারণ ক্রিকেট স্লেজিং হবে। এটা মানিয়ে নিতে হবে, সহজে গ্রহণ করতে হবে। আমার মনে হয় তোমরা অন্যভাবে শুনেছ।’
অভিযোগ জানালেও ডারবান টেস্টে স্লেজিংয়ের অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে সেদিন রাজি হননি মুমিনুল। তিনি বলেন, ‘এসব বিষয় শেয়ার করা যাবে না। এগুলো আম্পায়াররা হয়তো ওভাবে খেয়াল করেনি। এই ব্যাপারে এখনো কোনো কিছু ওভাবে জানানো হয়নি।’
তবে স্লেজিংসহ পক্ষপাতদুষ্ট আম্পায়ারিংয়ের কথা বলতে গিয়ে মুমিনুল সেদিন বলেছিলেন, নিরপেক্ষ আম্পায়ারের নিয়ম চালু করার কথা।
বাংলাদেশের টেস্ট দলের অধিনায়ক বলেছেন, ‘আম্পায়ারিংয়ের যে ইস্যুটা বললেন সেটাও আমাদের হাতে নেই। কিন্তু আমার কাছে একটা জিনিস গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়, আইসিসির এগুলো নিয়ে চিন্তাভাবনা করা উচিত। নিরপেক্ষ আম্পায়ারিংগুলো আবার নিয়ে আসা উচিত। কোভিডের আগে যে অবস্থা ছিল, এখনতো করোনা মোটামুটি নিয়ন্ত্রণে। আইসিসিসির এই বিষয়গুলো ভাবা দরকার। নিরেপক্ষ আম্পায়ারিং ফেরানো উচিত।’
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ