১৮ নভেম্বর, ২০২০ ০২:০৮

ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইভজি অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহারে জোর দিলো হুয়াওয়ে

প্রেস বিজ্ঞপ্তি

ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইভজি অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহারে জোর দিলো হুয়াওয়ে

সম্প্রতি চীনের সাংহাইয়ে সফলভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে ১১তম বৈশ্বিক মোবাইল ব্রডব্যান্ড ফোরাম। ফাইভজি’র সম্ভাবনা এবং এই শিল্পখাতের প্রবণতা নিয়ে নিজেদের ভাবনা তুলে ধরার পাশাপাশি ইন্টেলিজেন্ট বিশ্ব তৈরিতে প্রযুক্তিখাতে উদ্ভাবন কীভাবে সহায়তা করতে পারে তা নিয়ে আলোচনা হয়।

বৈশ্বিক ক্যারিয়ার, ইন্ডাস্ট্রি চেইন পার্টনার, শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের নিয়ে উন্মুক্ত এ ফোরাম আয়োজন করে শীর্ষস্থানীয় আইসিটি পণ্য ও সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে। 

ফোরামের প্রথম দিন ‘ম্যাক্সিমাইজিং ওয়্যারলেস নেটওয়ার্ক ভ্যালু ফর আ গোল্ডেন ডেকেড অব ফাইভ জি’ শীর্ষক মূল বক্তব্য প্রদান করেন হুয়াওয়ের নির্বাহী পরিচালক এবং ক্যারিয়ার বিজনেস গ্রুপের প্রেসিডেন্ট রায়ান ডিং। 

ডিং বলেন, আগামী দশকে বিশ্বজুড়েই ফাইভজির উন্নয়নে সোনালী যুগ হিসেবে বিবেচিত হবে এবং পুরো শিল্পখাতকেই ফাইভজির ওপর আস্থা রাখতে হবে এবং সর্বোত্তম ফাইভজি নেটওয়ার্ক তৈরি করতে হবে। পাশাপাশি সবার সুবিধার জন্য এর উপযোগিতা নিয়ে কাজ করতে হবে।

বিগত প্রজন্মের চেয়ে ফাইভজির বিকাশ এখন দ্রুতগতিতে হচ্ছে। বিশ্বজুড়ে বর্তমানে একশ’টির বেশি বাণিজ্যিক ফাইভজি সেবাদানকারী নেটওয়ার্ক অপারেটর রয়েছে এবং শীর্ষস্থানীয় ক্যারিয়ার প্রতিষ্ঠানগুলো ইতিমধ্যেই ফাইভজি ডাটা প্ল্যান থেকে উপকৃত হচ্ছে।

তাই ফাইভজির উন্নয়নে এবং মানুষদের ফাইভজি সেবা ব্যবহারে উৎসাহিত করতে ক্যারিয়ারগুলোকে সেরা নেটওয়ার্ক তৈরি করতে হবে। তাদের সকল ক্ষেত্রে সব জায়গায় কাভারেজ দিতে হবে। এর মধ্যে থাকবে-জনবহুল এলাকা, শহর এবং বাসার ভেতরেও যাতে ব্যবহারকারীরা সবসময় ফাইভজি সেবা পেতে পারেন।

টেলিযোগাযোগ খাতকেও নেটওয়ার্ক পরিকল্পনা, বিনির্মাণ, রক্ষণাবেক্ষণ এবং কার্যক্রম সহজ করাসহ এন্ড-টু-এন্ড এর নানা পর্যায়ে উন্নয়ন করতে হবে। যা ইন্ডাস্ট্রি অ্যাপ্লিকেশন স্থাপনের ব্যয় হ্রাস করবে।

ডিং বলেন যে, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইভজি অ্যাপ্লিকেশনের উন্নয়নে খাত সংশ্লিষ্ট সবার প্রচেষ্টা প্রয়োজন। এটা শুধুমাত্র ক্যারিয়ার প্রতিষ্ঠানগুলোর দায়িত্ব নয়। উন্নয়ন ত্বরান্বিত করা তখনই সম্ভব যখন টেলিযোগাযোগ অন্যান্য খাতের সাথে সমন্বিতভাবে কাজ করবে।

১১তম বৈশ্বিক মোবাইল ব্রডব্যান্ড ফোরামে বিশ্বের নানা ক্যারিয়ার প্রতিষ্ঠান, নিয়ন্ত্রক সংস্থা, অংশীদার ও মিডিয়া বিশ্লেষকদের সাথে হুয়াওয়ে বৈশ্বিক খাতের প্রবণতা নিয়ে ধারণা শেয়ার করেছে। ফোরামে অংশগ্রহণকারীরা কীভাবে ফাইভজি ও এর এআই’র মতো আইসিটি প্রযুক্তি এ শিল্পখাতসহ সমাজে সবার জন্য সুবিধাজনক হবে তা নিয়ে আলোচনা করেন। ফোরমান নিয়ে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন: https://www.huawei.com/minisite/mbbf2020/en/

হুয়াওয়ে

হুয়াওয়ে বিশ্বের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান। সমৃদ্ধ জীবন নিশ্চিতকরণ ও উদ্ভাবনী দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে একটি উন্নত ও সংযুক্ত পৃথিবী গড়ে তোলাই প্রতিষ্ঠানটির উদ্দেশ্য। নতুন উদ্ভাবনের মাধ্যমে হুয়াওয়ে একটি পরিপূর্ণ আইসিটি সল্যুশন পোর্টফোলিও প্রতিষ্ঠা করেছে, যা গ্রাহকদের টেলিকম ও এন্টারপ্রাইজ নেটওয়ার্ক, ডিভাইস এবং ক্লাউড কম্পিউটিং-এর সুবিধাসমূহ প্রদান করে।

প্রতিষ্ঠানটি বিশ্বের ১৭০টির বেশি দেশ ও অঞ্চলে সেবা দিচ্ছে, যা বিশ্বের এক তৃতীয়াংশ জনসংখ্যার সমান। এক লাখ ৯৪ হাজার কর্মী নিয়ে বিশ্বব্যাপী টেলিকম অপারেটর, উদ্যোক্তা ও গ্রাহকদের সর্বোচ্চ সেবা নিশ্চিত করে ভবিষ্যতের তথ্যপ্রযুক্তি ভিত্তিক সমাজ তৈরির লক্ষ্যে হুয়াওয়ে এগিয়ে চলেছে। 

শীর্ষস্থানীয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে, গত ২১ বছর ধরে বাংলাদেশের তথ্য-প্রযুক্তি শিল্প, টেলিকম অপারেটর এবং স্থানীয় অংশীদারদের সাথে নিবিড়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে, যার মাধ্যমে দেশের সাধারণ মানুষের কাছে তথ্য-প্রযুক্তির সেবা পৌঁছে দিয়ে ’ডিজিটাল বাংলাদেশে’র স্বপ্ন পূরণে অসামান্য ভূমিকা রেখে চলেছে প্রতিষ্ঠানটি। এছাড়া বিভিন্ন সিএসআর কর্মসূচি পরিচালনার মাধ্যমে সামাজিক ক্ষেত্রেও নানান অবদান রাখছে হুয়াওয়ে। অগ্রযাত্রার পথে বাংলাদেশের সাথে এই লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছে হুয়াওয়ে।

বিডি প্রতিদিন/এমআই

সর্বশেষ খবর