মঙ্গলবার, ৭ জুলাই, ২০২০ ০০:০০ টা

স্বপ্নভঙ্গের স্বপ্নচূড়া ও দারুচিনি

কাজী শাহেদ, রাজশাহী

স্বপ্নভঙ্গের স্বপ্নচূড়া ও দারুচিনি

রাজশাহী শহরের দুটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বহুতল বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণকাজ ১০ বছরেও শেষ হয়নি। রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সঙ্গে অংশীদারির ভিত্তিতে ভবনগুলোর নির্মাণকাজ করছেন আওয়ামী লীগের এক নেতার প্রতিষ্ঠান।

তবে ভবন দুটির অর্ধেক কাজ শেষ হলেও নেওয়া হয়নি রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (আরডিএ) অনুমোদন। ১০ বছরেও অনুমোদনের আবেদনই করেনি সিটি করপোরেশন ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। নকশার অনুমোদন না নিয়েই কাজটি করছেন রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের নেতা শামসুজ্জামান আওয়ালের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান শামসুজ্জামান-জেভি। নিউমার্কেটের কাঁচা বাজার তুলে দিয়ে সেখানে ২ বিঘা জমির ওপর ২ বছরে একটি আটতলা ভবন ‘দারুচিনি প্লাজা’ নির্মাণের কথা ছিল। কিন্তু ১০ বছর পার হলেও এখনো চার তলার কাজই শেষ হয়নি। শুধু দ্বিতীয় তলা পর্যন্ত বরাদ্দের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। এই ভবনের দোকান নেওয়ার জন্য যারা বায়না দিয়েছেন, তারা হতাশায় ভুগছেন। নিউমার্কেটের ব্যবসায়ী অঞ্জন কুমার পাল জানান, ৬ বছর আগে দোকানের জন্য ৪ লাখ টাকা বায়না দিয়েছেন। হস্তান্তরের সময় আরও ২ লাখ টাকা দেওয়ার কথা। এখনো তিনি দোকান বুঝে পাননি। নিউমার্কেটের শিমলা বস্ত্রালয়ের স্বত্বাধিকারী লিটন সাহা জানান, দারুচিনি প্লাজায় দোকানের জন্য ৬ বছর আগে ৫ লাখ টাকা দিয়েছেন। আর ২ লাখ ১৯ হাজার টাকা বাকি আছে। দোকান প্রস্তুত হয়নি, তারা শুধু টাকা চায়। পাশের মৎস্য ভবনের মধ্যে ছিল দারুচিনি প্লাজার জমি। এই জমি মুক্ত করে নির্মাণকাজ শুরু করা হয়। সিটি করপোরেশন প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেয়নি বলে এর নকশাও অনুমোদন হয়নি। সিটি করপোরেশন ভবনের দক্ষিণ-পশ্চিম কোণে ৩১ কাঠা জমির ওপর আট তলা ভবন ‘স্বপ্নচূড়া’ নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২ বছর সময়ের মধ্যে। ভবনটি আট তলা পর্যন্ত উঠেছে, তবে এখন কাজ বন্ধ। পুরো কাজ কবে শেষ হবে কেউ বলতে পারছে না। রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষও (আরডিএ) বলছে, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না পাওয়ায় দারুচিনি ও স্বপ্নচূড়ার নকশা অনুমোদন হয়নি। রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (আরডিএ) অথোরাইজড অফিসার আবুল কালাম আজাদ জানান, সিটি করপোরেশনকে কয়েকবার বলা হয়েছে, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দেওয়ার জন্য। কিন্তু তারা সেই কাগজপত্র জমা দেয়নি। এ কারণে ভবনটি দুটির নকশার অনুমোদন হয়নি।

সর্বশেষ খবর