মঙ্গলবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

পদ্মাপাড়ে সমুদ্রের ছোঁয়া

কাজী শাহেদ, রাজশাহী

পদ্মাপাড়ে সমুদ্রের ছোঁয়া

ভ্রমণ পিপাসুদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে ঢেলে সাজানো হচ্ছে রাজশাহীর রাস্তাঘাট ও বিনোদন কেন্দ্রগুলো। সেই ভাবনা থেকেই অনেকটা কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের আদলে সাজানো হচ্ছে রাজশাহীর পদ্মাপাড়কে। পদ্মাপাড়ে পাতা হয়েছে বিচ চেয়ার, বালুচরে ব্যবস্থা করা হয়েছে বাইক রাইডিংয়ের। শুক্রবার সিটি মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন বিচ চেয়ার ও বাইক রাইডিংয়ের উদ্বোধন করেছেন।

রাজশাহী সিটি করপোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা মোস্তাফিজ মিশু বলেন, পদ্মাপাড়কে পর্যটকদের জন্য আরও আকর্ষণীয় করতে বিচ বাইক ও বিচ চেয়ারের ব্যবস্থা করছে সিটি করপোরেশন। লালন শাহ মুক্ত মঞ্চে বিচ বাইক ও বিচ চেয়ারের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। মূলত পদ্মাপাড়কে পর্যটকবান্ধব ও আরও আকর্ষণীয় করতেই এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, প্রথম অবস্থায় আপাতত দুটি বিচ বাইক ও ১০টি বিচ চেয়ারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে বাড়ানো হবে। বর্তমানে লালন শাহ পার্ক ও পদ্মাপাড়ের বিভিন্ন উন্নয়ন কাজ চলছে। এ ছাড়া সেখানে আরএমপির একটি অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্পও স্থাপন করা হবে।

মোস্তাফিজ মিশু বলেন, এখনো রাজশাহীর যে কোনো আনন্দ-উৎসব উদযাপনের কেন্দ্র হচ্ছে সৌন্দর্যমন্ডিত পদ্মাপাড়। পদ্মাপাড়ে বসে মুক্ত হাওয়ায় অবসর উদযাপন, নৌকা নিয়ে মাঝ নদীতে ছুটে বেড়ানো, পাড়ে বসে মুখরোচক বিভিন্ন খাবার খাওয়া বা সূর্যাস্ত দেখতে প্রতিদিন হাজারও মানুষের সমাগম ঘটে রাজশাহীর পদ্মাপাড়ে। তাই বিচ বাইক রাইডিং চালু এবং বিচ চেয়ার বসালে পদ্মাপাড়ের আনন্দ বিনোদনে নতুন মাত্রা যোগ করবে বলে প্রত্যাশা সিটি করপোরেশনের।

সিটি করপোরেশনের ব্যবস্থাপনায় বিচ বাইক ও বিচ চেয়ার পরিচালনা করা হবে। এক রাউন্ড বিচ বাইক ব্যবহারে প্রতিজন ৫০ টাকা এবং বিচ চেয়ার ব্যবহারে ঘণ্টায় ২০ টাকা দিতে হবে। আগামীতেও আরও বিচ বাইক ও বিচ চেয়ার যুক্ত করার পরিকল্পনা আছে। সিটি করপোরেশনের মুনাফা নয়, বরং নগরবাসীর বিনোদনের জন্য যুক্ত করা হলো বিচ বাইক ও বিচ চেয়ার।

রাসিক মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, রাজশাহীকে পর্যটন নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে পদ্মাপাড়কে ঘিরে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বিচ বাইক ও বিচ চেয়ার পদ্মাপাড়ের বিনোদনের একটি অনন্য মাত্রা যোগ হলো। এটি সূচনা মাত্র। পদ্মাপাড়ে বিনোদন কেন্দ্রের উন্নয়নে বিভিন্ন উন্নয়ন কাজ চলমান আছে। পদ্মায় জেগে ওঠা ৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য ও ৫০০ মিটার প্রশস্ত চরে রিভার সিটি গড়ে তোলার পরিকল্পনা করা হয়েছে। রিভার সিটির ডিজাইন প্রণয়ন করা হয়েছে।

সিটি মেয়র বলেন, পদ্মাপাড়কে এমনভাবে তৈরি করা হবে যাতে চট্টগ্রাম, কক্সবাজারের মতো রাজশাহীর পদ্মাপাড়েও ঘুরতে আসেন দেশি-বিদেশি পর্যটকরা। আগামীতে নদীতে স্পিড বোর্ড চালুসহ বহুমাত্রিক বিনোদন ব্যবস্থার পরিকল্পনা আছে।

সর্বশেষ খবর