মঙ্গলবার, ২৯ নভেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

মডেল রাজশাহী কতদূর?

কাজী শাহেদ, রাজশাহী

সারা দিন যানবাহনে ঠাসা। পাশেই বড় মসজিদ চত্বর। দালানের চিপায় মানুষের ভিড়। ঐতিহ্যবাহী সোনাদীঘির মুখ দেখারই জো নেই। চিপা গলির ভিতরে ধুঁকছে ১৩৯ বছর বয়সী রাজশাহী সাধারণ গ্রন্থাগার। ভেঙে ফেলা হয়েছে ভবনটি। শহরের গুরুত্বপূর্ণ এই জায়গাগুলোতে এখনই মানুষের দম আটকে আসে। ৩০ বছর পর কেমন হবে এই প্রিয় শহর। এই ভাবনা থেকে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) স্থাপত্য বিভাগের শিক্ষার্থীরা তৈরি করেছিলেন ভবিষ্যতের রাজশাহীর নকশা। ২০১৮ সালে তৈরি হয় নকশাটি। প্রজেক্টরের মাধ্যমে পরিকল্পিত রাজশাহী নগরীর ছবি দেখিয়েছেন তারা। নকশার ত্রিমাত্রিক মডেলও তৈরি করেছিলেন। রুয়েটের স্থাপত্য বিভাগের শিক্ষার্থীরা তাদের ‘আরবান ডিজাইন স্টুডিও’তে পাঠক্রমের প্রকল্প হিসেবে এই নকশা প্রণয়ন করেন। তারা আগামী দিনের নগরায়ণের এই পরিকল্পনাকে চারটি ভিন্ন আঙ্গিকে চিন্তা করেছেন। এগুলো হচ্ছে, ‘ট্রান্সপোর্ট ওরিয়েন্টেড ডেভেলপমেন্ট’, ‘প্লেস মেকিং’, ‘নেইবারহুড ডিজাইন’ ও ‘ইকোলোজিক্যাল আরবানিজম’। নগরীর ব্যস্ততম এলাকা সাহেববাজার জিরোপয়েন্ট ও রেলগেট এলাকায় ‘ট্রান্সপোর্ট ওরিয়েন্টেড ডেভেলপমেন্ট’ নকশা তৈরি করা হয়। যানজট কমাতে ভবিষ্যতে শহরজুড়ে গণপরিবহনের প্রস্তাব করা হয়েছে। নগরীর বড় মসজিদ চত্বর, সোনাদীঘির মোড় ও বরেন্দ্র জাদুঘরের মোড়কে তারা ‘প্লেস মেকিং’-এর আওতায় এনে নকশা তৈরি করেছেন। এই জায়গাগুলোতে ব্যাপক জনসমাগম হয়। নকশা অনুযায়ী এই জায়গাগুলোতে মানুষ বেড়াতে পারবেন। তাদের জন্য থাকবে মিনি পার্ক, খাবারের দোকান, বসার জায়গা ও লাইব্রেরি। রাজশাহীতে অপরিকল্পিত নগরায়ণের কারণে আবাসিক এলাকাগুলোতে সামাজিক যোগাযোগ ও খেলাধুলার জায়গার সংকট আছে। ‘নেইবারহুড ডিজাইন’-এর মাধ্যমে এই সংকট কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে।  সিটি মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, মডেল নগর গড়তে যেসব প্রকল্প নেওয়া দরকার সেগুলো করা হচ্ছে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর