বুধবার, ২ নভেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

ত্বক বুঝে ক্লিনজার

ত্বক বুঝে ক্লিনজার

ত্বকের জন্য পরিষ্কারক হিসেবে ক্লিনজার বেশ কার্যকরী। তবে সেটা হতে হবে ত্বকের ধরন বুঝে। যুক্তরাষ্ট্রের ‘বোর্ড সার্টিফায়েড ডার্মাটোলজিস্ট’-এর বিশেষজ্ঞদের মতে, সব ধরনের ক্লিনজার আসলে সব ধরনের ত্বকের উপযোগী নয়। সাধারণত  তৈলাক্ত, শুষ্ক কিংবা মিশ্র ত্বকের তারতম্যের ওপর নির্ভর করে পরিষ্কারক ব্যবহার করা উচিত। তেল, পানি আর জেল বা ফোমভিত্তিক পরিষ্কারক ব্যবহার করতে হবে অবশ্যই ত্বকের ধরন বুঝে। কেবল তাতেই মিলবে উপকারিতা।

তৈলাক্ত ত্বকের জন্য : নিউইয়র্কের ‘বোর্ড সার্টিফায়েড ডার্মাটোলজিস্ট’ বিশেষজ্ঞ হ্যাডলে কিং বলেন, ক্লে’ ধরনের প্রসাধনী সেবাম শুষে নিতে দারুণ কার্যকরী। এতে আছে ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক ও প্রদাহনাশক গুণাগুণ। তৈলাক্ত ত্বকের জন্য এই ধরনের প্রসাধনী আদর্শ। একইভাবে শুষ্ক ত্বকের জন্য এ ধরনের ‘ক্লিনজার’ আবার একেবারেই অযোগ্য। কারণ ‘ক্লে’ জাতীয় ফেসওয়াশ কাজ করে ত্বক থেকে তেল শুষে নেওয়ার মাধ্যমে। আর ত্বক তৈলাক্ত হলেও এ ধরনের ক্লিনজার লম্বা সময় ত্বকে মাখিয়ে রাখা উচিত হবে না।

শুষ্ক ত্বকের জন্য : ডা. কিং বলেন, শুষ্ক ত্বকের জন্য আদর্শ পরিষ্কারক উপাদান অয়েল বেইজড ক্লিনজার। ত্বক থেকে সহজে উঠতে চায় না এমন যে কোনো প্রসাধনী পরিষ্কার করতে এগুলো দারুণ কার্যকর। শুষ্ক ও সংবেদনশীল ত্বকের জন্য এগুলো কার্যকরী হওয়ার কারণ হলো, এই প্রসাধনীগুলোতে থাকে ‘ক্লেঞ্জিং অয়েল’ ও ‘মিল্ক’। আর এতে বাড়তি ‘সার্ফেকট্যান্টস’ না থাকায় ত্বকের জৈবিক তেলও ধুয়ে যায় না।

মিশ্র ত্বকের জন্য : মায়ামির ত্বক বিশেষজ্ঞ লোরেটা সিরাল্ডো একই প্রতিবেদনে বলেন, জেল-ধর্মী ফেসওয়াশগুলোর প্রধান উপাদান হিসেবে থাকে পানি। এতে যে সার্ফেকট্যান্টস’ থাকে সেগুলো হয় মৃদুমাত্রার। ফলে যাদের ত্বক শুষ্ক আর তৈলাক্ত, মানে মিশ্র ধরনের, তাদের জন্য এগুলো আদর্শ। এই ফেসওয়াশগুলো ব্যবহারে ফেনা হয় কম। ত্বক এতে সতেজ ও শীতল হয়ে যায়। পাতলা হওয়ার কারণে লোমকূপ সহজেই খুলে ফেলতে পারে জেল-ধর্মী ফেসওয়াশ। ফলে যাদের ত্বকে ব্রণ বেশি হয় তাদের জন্য এগুলো খুবই কার্যকর।

সাধারণ থেকে শুষ্ক ত্বকের জন্য : ডা. কিং বলেন, সব ধরনের ত্বকের জন্যই এই ধরনের ফেসওয়াশ উপযোগী। এগুলো আরও মৃদুমাত্রার পরিষ্কারক। এতে মেলে ‘হিউমেকট্যান্টস’ যা ত্বককে আর্দ্র করে, আর ‘ইমোলিয়েন্টস’ ত্বকের রক্ষাকবচকে সুরক্ষা দেয়। ফলে ত্বক খুব বেশি শুষ্ক হয় না। শুষ্ক ত্বকের অধিকারীদের জন্য এগুলো বিশেষ উপকারী।

মিশ্র ত্বকের জন্য : জেল ও ক্রিম ধরনের ফেসওয়াশের মধ্যবর্তী স্থানে আছে ফোম। এগুলোতে পানির মাত্রা বেশি থাকে। তবে ‘হিউমেকট্যান্ট’, ‘ইমোলিয়েন্টস’ ও ‘সার্ফেকট্যান্টস’-এর মাত্রা হয় বিভিন্ন। শুরুতে এগুলো জেল কিংবা ফোমের মতো দেখায়। তবে ত্বকে মাখালে ক্রমেই ‘ফোম’-এ পরিণত হয়। সব ধরনের ত্বকের জন্যই এগুলো উপযোগী। ডা. কিং বলেন, তবে যাদের ত্বক সংবেদনশীল, তাদের উচিত ‘সোডিয়াম লরল সালফেট (এসএসএস)’ এড়িয়ে চলা। এটি এক ধরনের ‘সার্ফেকট্যান্ট’ যা সংবেদনশীল ত্বকের অস্বস্তি তৈরি করে।

তথ্যসূত্র : হেলথলাইন

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর