বৃহস্পতিবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২১ ০০:০০ টা

করোনাযুদ্ধে বিচিত্র যা কিছু...

সাইফ ইমন

করোনাযুদ্ধে বিচিত্র যা কিছু...

হাজার ডোজের টিকার ব্যাগ ফেরত দিল চোর

বিশ্বজুড়ে করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর রেকর্ড হচ্ছে। স্বাস্থ্য ব্যবস্থা প্রায় ভেঙে পড়েছে অনেক দেশে। এদিকে অনেক দেশ এখনো টিকা পায়নি। এরই মধ্যে ভারতের হরিয়ানায় জিন্দ জেনারেল হাসপাতালের স্টোর রুম থেকে করোনার এক ব্যাগ টিকা চুরি হয় গত ২১ এপ্রিল। ব্যাগে ১ হাজার ৭’শর বেশি ডোজ টিকা ছিল। এর মধ্যে কোভ্যাকসিন এবং কোভিশিল্ড দুই রকম টিকাই ছিল। এরপর ঘটে বিচিত্র ঘটনা। টিকার ডোজ নিয়ে যখন চারদিকে তোলপাড় তখন জিন্দ সিভিল লাইন্স থানার সামনে ১৭০০টি ভ্যাকসিন এবং একটি চিঠি এক ব্যক্তির কাছে রেখে যায় স্বয়ং চোর। হরিয়ানা পুলিশ জানিয়েছে, জিন্দ সিভিল লাইনস থানার সামনে থেকে ভ্যাকসিনগুলো উদ্ধার করা গেছে। ভ্যাকসিনগুলোর সঙ্গে একটি চিঠিও পাওয়া যায়। ওই চোর চায়ের দোকানে বসে থাকা ব্যক্তিকে বলে, তিনি পুলিশের জন্য খাবার ডেলিভারি করতে এসেছেন এবং তাকে তাড়াতাড়ি আরেকটি জায়গায় যেতে হবে। পুলিশের ধারণা, অ্যান্টি-ভাইরাল ওষুধ রেমডেসিভির মনে করে চোর ভুলে হয়তো টিকাগুলো চুরি করেছিল। চোরের লেখা ওই চিঠিটি হিন্দিতে লেখা। এতে লেখা রয়েছে, ‘দুঃখিত, আমি বুঝতে পারিনি  যে, এগুলো করোনার ভ্যাকসিন।’

 

টিকা নিলেই ১০০ ডলার পুরস্কার

যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি টিকা নেওয়া রাজ্যের একটি ওয়েস্ট ভার্জিনিয়া। কোনো তরুণ করোনার টিকা নিলে তাকে ১০০ ডলারের সঞ্চয়পত্র দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের এই রাজ্য। ওয়েস্ট ভার্জিনিয়া বলছে, ১৬ থেকে ৩৫ বছর বয়সীদের টিকা নিতে উৎসাহিত করতে এই প্রণোদনা দেওয়া হবে। সাম্প্রতিক কয়েক সপ্তাহে টিকাদান কর্মসূচির গতি অনেকটা কমে গেছে। টিকা নেওয়ার ক্ষেত্রে তরুণরা বেশি গড়িমসি করছে। তাদের দোদুল্যমানতা দূর করতে রাজ্যটির গভর্নর এই প্রস্তাব দিয়েছেন। এই বয়সের যারা টিকা নেবেন, তাদের সুদসহ ১০০ ডলার দেওয়া হবে। ১৬ থেকে ৩৫ বছর বয়সী যারা টিকা ইতিমধ্যে নিয়েছেন, তাদেরও এই প্রণোদনা দেওয়া হবে। যুক্তরাষ্ট্রে জনপ্রতি নতুন করোনায় আক্রান্তের হারে ওয়েস্ট ভার্জিনিয়া ১৬তম। সেখানকার ১৫ লাখ বাসিন্দার ৫০ শতাংশকে করোনার টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে পুরো যুক্তরাষ্ট্রে যারা করোনার টিকা গ্রহণ করছেন তাদের জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান নানা প্রণোদনা ঘোষণা করেছে। টিকা নিলেই বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তাদের উপহার দিচ্ছে। এক বছরের বেশি সময় ধরে চলা মহামারীর তা-ব থেকে বেরিয়ে আসার জন্য প্রতিষ্ঠানগুলো গ্রাহকদের  নিয়ে বিষয়টি উদযাপন করার উদ্যোগ নিয়েছে।

 

ভারতে স্বাস্থ্যকর্মীদের ওপর পুষ্পবৃষ্টি

পুরো বিশ্ব যখন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, তখন করোনাযোদ্ধাদের সম্মান জানাতে অনেকে অনেক কিছু করছে। গত বছর ভারতে আকাশ থেকে পুষ্পবৃষ্টি বর্ষণ করে করোনাযোদ্ধাদের স্যালুট জানাতে শুরু করে দেশটির সেনাবাহিনী। দেশের প্রায় সব বড় শহরের হাসপাতালের ওপর পুষ্পবৃষ্টি শুরু করে ভারতীয় বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টার ও যুদ্ধবিমানগুলো। প্রতিদিন সন্ধ্যার পর যুদ্ধজাহাজগুলো আলোয় সাজিয়ে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছিল নৌসেনারাও। করোনাযোদ্ধা চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী, পুলিশ, অধিকারকর্মী, সেনা জওয়ান এবং সাংবাদিকদের অভিবাদন ও কৃতজ্ঞতা জানাতে এই পুষ্পবৃষ্টিসহ অন্যান্য কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলেন চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ (সিডিএস) বিপিন রাওয়াত ও ভারতীয় তিন বাহিনীর প্রধানগণ। তিন বাহিনীর প্রধানগণ দেশজুড়ে এই অনুষ্ঠানের সূচনা করেছিলেন। সেই ঘোষণা অনুযায়ী ভারতের প্রায় সব শহরের আকাশে চক্কর কেটেছে দেশটির বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টার ও যুদ্ধবিমান। সে দেশের রাজধানীর রাজপথে কুচকাওয়াজ করতেও দেখা গেছে।

 

মাস্ক না পরলেই রাস্তা ঝাড়ু দিতে হয়

মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করতে মাদাগাস্কারে আইন করা হয়েছে। গত বছর থেকে মাস্ক না পরলে রাস্তা ঝাড়ু দিতে হয়। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে অনেক দেশ মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করলেও সবাই তা মানছে না। তাই বাধ্য করাতে বিভিন্ন দেশ ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নেয় গত বছরই। এই যেমন মাদাগাস্কার সরকারের নির্দেশ, ঘরের বাইরে কেউ মাস্ক না পরলে তাকে নোংরা রাস্তা ঝাড়ু দিতে হবে। মাস্ক ছাড়া রাস্তায় বের হওয়া নাগরিকদের এ শাস্তি দিতে  দেখা গেছে মাদাগাস্কার পুলিশ বাহিনীকে। রাজধানী আন্তানানারিভোর পাশাপাশি ফিয়ানারান্তসোয়া ও তোয়ামাসিনা শহরে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করেছেন প্রেসিডেন্ট রাজোএলিনা। এই ঘোষণার পরপরই কর্তৃপক্ষ নাগরিকদের সতর্ক করে দেয়, মাস্ক ছাড়া ঘরের বাইরে বের হলে কমিউনিটির সেবা করতে হবে।  এর পর ফলও মিলেছে তৎক্ষণাৎ।

 

লকডাউনে ঘরে ঘরে বিচিত্র অফিস ডেস্ক

করোনাযুদ্ধে চালু হয়েছে ওয়ার্ক ফ্রম হোম পদ্ধতি। বাসায় বসে লকডাউনে নিজের মতো কাজ করতে অনেকেই নানা কৌশল নিচ্ছেন। নিজের কাজের টেবিল বা ডেস্ক বানিয়ে নিচ্ছেন বিচিত্র নানা উপায়ে। তেমনি একজন আলেক্সান্ডার ভোইকা। ফেসবুকে চাকরি করেন। তিনি তার বাড়ির গ্যারাজে নিজে একটি ডেস্ক বানিয়ে নিয়েছেন। এতে তিনি ব্যবহার করেছেন পরিত্যক্ত কিছু বোর্ড। সঙ্গে আছে ফ্যান আর প্লাস্টিকের ড্রয়ার। ডেস্কটা আবার দেয়ালের সঙ্গে লাগানো, তাই হঠাৎ পড়ে যাওয়ার ভয় নেই।

ইস্ত্রি করার বোর্ড দিয়ে এলিস হিলম্যান আরও সহজ পথ নিয়েছেন। এলিসের ডেস্ক তৈরি হয়েছে ইস্ত্রি করার বোর্ড দিয়ে, কাপড় ইস্ত্রি করার পা-ওয়ালা বোর্ডকে তিনি পরিণত করেছেন কাজের টেবিলে। ক্যাট ডাইভার্স নামের একজন ডেস্ক বানিয়েছেন কিছু কার্ডবোর্ডের বাক্স একটির ওপর আরেকটি বসিয়ে। টিভির লাইটিং ডিজাইনারের কাজ করেন মার্টিন। থাকেন সংযুক্ত আরব আমিরাতে। তিনি চারটি বাঁকানো মনিটর জোড়া দিয়ে বেশ জাঁকালো চেহারার ডেস্ক বানিয়ে নিয়েছেন। গ্রিন পার্টির কাউন্সিলর স্টিভ মাস্টার্স।  কর্মজীবনের সমন্বয় ঘটাতে তিনি তার অফিস বানিয়েছেন গাছের ওপর।

 

বহুতল ভবনের ছাদে অভিনব কনসার্ট

লকডাউনে বহুতল ভবনের ছাদে অভিনব কনসার্ট সংগীত অনুরাগীদের জন্য সুখবর হয়ে উঠতে পারে। গত বছর নভেম্বরে ড্রেসডেন শহরের বহুতল ভবন ভরা এলাকায় শুরু হয় ছাদের ওপর কনসার্ট।  শহরের বিখ্যাত সিম্ফনি অর্কেস্ট্রার মহাপরিচালক মার্কুস রিন্ট হাঁটতে বেরিয়ে ১৭তলা ভবনগুলো দেখে করোনার অনেক আগেই ছাদের ওপর কনসার্টের কথা ভেবেছিলেন। রিন্ট বলেন, ‘এমন পরিবেশের সঙ্গে পর্বতের উঁচুনিচু গঠনের অদ্ভুত মিল রয়েছে। ভবনগুলোর মাঝে যেন খাড়া খাদ নেমে গেছে। তখন ভাবলাম, বিভিন্ন ছাদের ওপর শিল্পীদের ছড়িয়ে রাখলে তারা সবাই মিলে বাজনা বাজাতে পারেন।’ তাকে অবাক করে ভবনের বাসিন্দাদের সমিতি এ প্রকল্পে সম্মতি দিয়ে দেয়। এরপর থেকেই একাধিক বহুতল ভবনের ওপর ড্রেসডেন সিম্ফনির শিল্পীরা সংগীত পরিবেশন করেছেন।  একটি পার্কিং ভবনের ওপর অন্য শিল্পীরা ভবনের উপর কনসার্টের আয়োজন শুরু করে।

 

বিস্ময় বালকের ভবিষ্যদ্বাণী

ভাগ্যে অবিশ্বাসী মানুষও ভবিষ্যৎ জানতে চান। এর আগে আমরা দেখেছি অক্টোপাস আগাম বলে দিচ্ছে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার খেলার ফল। করোনাযুদ্ধের মাঝে নতুন করে আলোচনার জন্ম দেয় ইউটিউবে প্রকাশিত একটি ভিডিও। ভিডিওটি প্রকাশিত হয় ২০১৯ সালের আগস্টে। এতে অভিজ্ঞ আনন্দ নামে এক কিশোর করোনাভাইরাসের ইঙ্গিত দিয়েছিল।

আনন্দের ভাষ্যমতে, নভেম্বর ২০১৯ থেকে ২০২০ সালের এপ্রিল এ সময় বেশ বড় সংকটে পড়বে বিশ্ববাসী। ভিডিও বার্তায় অভিজ্ঞ আনন্দ আরও জানায়, ৩১ মের মধ্যে এর প্রকোপ কমতে শুরু করবে। আনন্দের এই ভিডিও সে সময় কেউ পাত্তা দেয়নি। কিন্তু সে বছর ডিসেম্বরের পর থেকে পরিস্থিতি একটু একটু করে যখন বদলে যেতে শুরু করে তখন আলোচনায় উঠে আসে আনন্দ। কারণ এখন সবাই দেখছে আগেই এই বিপর্যয়ের ভবিষ্যদ্বাণী দিয়ে রেখেছে আনন্দ। যেখানে এক অজানা ভাইরাসের কাছে পৃথিবীর মানুষের আত্মসমর্পণের কথা উঠে আসে। এ নিয়ে অনেকেই হতবাক। এত সূক্ষ্ম ভবিষ্যদ্বাণী কীভাবে করল আনন্দ- তা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে শুরু হয়ে যায় তুমুল আলোচনা।  খুব সহজেই ভাইরাল হয়ে যায় আনন্দ।

ভাগ্যে অবিশ্বাসী মানুষ-জনই রীতিমতো বিস্ময় প্রকাশ করেছে অভিজ্ঞ আনন্দ নামের  এই ভারতীয় কিশোরকে নিয়ে।

 

মসজিদ হয়ে গেল কভিড হাসপাতাল

করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কায় ভারতে ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণের গ্রাফ। এই পরিস্থিতিতে হাসপাতালগুলোতে বেড ও অক্সিজেন দুই-ই অমিল হওয়ায় প্রবল সংকটের মুখে পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। এমন পরিস্থিতিতে অভিনব পদক্ষেপ নিয়েছে বরোদার এক মসজিদ। রাতারাতি মসজিদকে ৩০ শয্যার কভিড হাসপাতালে পরিণত করা হয়েছে। এর আগেও মসজিদকে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে রূপান্তর করা হয়েছিল ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য মহারাষ্ট্রের পুনে শহরে।  করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় অনেক স্থানেই ব্যবহৃত হচ্ছে মসজিদ। পুনের আজম ক্যাম্পাসের ক্যাম্পের ভিতরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাশে একটি মসজিদের দোতলায় বিশাল হলঘরে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারটি তৈরি করা হয় গত বছর। করোনায় আক্রান্ত ৮০ জনের বেডে রোগীরা সেখানে চিকিৎসা নিয়েছেন নিয়মিত। সংশ্লিষ্ট মসজিদ কমিটি রোগীদের খাবারের ব্যবস্থা করে। এ মুহূর্তে ভারতের করোনা পরিস্থিতিতে উদ্বেগ ক্রমেই বাড়ছে। নিজেদের মতো করে মারণ ভাইরাসকে রুখতে পদক্ষেপ করেছে অনেকেই। গুজরাটের মসজিদের মতো পদক্ষেপ চোখে পড়ছে ভারতের অনেক জায়গাতেই।

 

আইন ভেঙে মন্ত্রীর জরিমানা পদত্যাগ

গত বছর এপ্রিলে অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্যের শিল্পকলা মন্ত্রী ডন হারউইন পদত্যাগ করেন ও জরিমানা দেন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল তিনি লকডাউনের সময় নিজের নিয়মিত সিডনির বাসায় না থেকে সিডনির বাইরে সেন্ট্রাল কোস্টে তার অবকাশকালীন বাসায় গিয়েছিলেন। বিষয়টি নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার মিডিয়ায় তোলপাড় চলছিল। পরে নিউ সাউথ ওয়েলসের প্রিমিয়ার গ্লাডিস ব্রিজিকলিয়ান তাকে ভর্ৎসনা করেন। মন্ত্রী অবশ্য তার বিরুদ্ধে ওঠা এ অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি মিডিয়াকে জানান, বাসা থেকে বের হওয়ার আদেশ আসার আগেই তিনি তার অবকাশকালীন বাসায় চলে এসেছিলেন।  কিন্তু নিউ সাউথ ওয়েলসের পুলিশ তার এই বক্তব্য যথেষ্ট বলে মনে করেনি।

 

করোনা চিকিৎসায় মানুষের পাশে রোবট

করোনা রোগীদের চিকিৎসায় গত বছর থেকেই রোবট ব্যবহার করছে সৌদি সরকার। বিভিন্ন স্থানে বসানো এই রোবটগুলো সন্দেহভাজন করোনা আক্রান্তদের পরীক্ষা করতে এবং রোগ নির্ণয় করতে সক্ষম। রোবট ব্যবহারের মাধ্যমে চিকিৎসক ও নার্সদের করোনায় আক্রান্তের ঝুঁকি কমানোই লক্ষ্য। স্টেথিস্কোপ, অটোস্কোপ, ক্যামেরা ও ত্বক পরীক্ষার বিশেষ ক্যামেরার মতো মেডিকেল ডিভাইসসহ ইত্যাদি সংযুক্ত করা হয়েছে রোবটগুলোতে। এর ক্যামেরাগুলোর রেজ্যুলেশন অনেক বেশি। এ ছাড়া করোনা আক্রান্তদের কাছ থেকে নিরাপদ দূরত্বে থেকে চিকিৎসক ও নার্সদের কাজ করার মতো যন্ত্রপাতি এতে যুক্ত করা হয়েছে। রোবটগুলো করোনা আক্রান্তদের গুরুতর লক্ষণ শনাক্ত করতে পারবে, রেডিওগ্রাফিক ইমেজ বের করতে পারবে এবং স্মার্টফোন অ্যাপের মাধ্যমে রোগীর ফাইল দেখতে পারবে। অনেকেই বলেন, রোবটের মাধ্যমে কেবল কাজের গতি দ্রুতই হচ্ছে না বরং হাসপাতালের ভিতরে ও বাইরে সেরা চিকিৎসা সেবা দেওয়া যাচ্ছে। রোবটগুলোর সেবা দেওয়ার পর জীবাণুমুক্ত করার ব্যবস্থাও আছে। এর আগে চীনে করোনা চিকিৎসায় রোবটের ব্যবহার দেখা যায়। যেহেতু করোনা ছোঁয়াচে রোগ তাই অনেকেই মনে করছেন রোবট যত বেশি ব্যবহার করা হবে ততই মঙ্গল।

সর্বশেষ খবর