ছাত্র-জনতার বিজয়ের পরে ঝালকাঠিতে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে ভাঙচুর করে আগুন, নেতা-কর্মীর বাসা, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর, আগ্নিসংযোগ করেছে সাধারণ জনতা। সোমবার দুপুরে আওয়ামী লীগের নেতা আমির হোসেন আমু এমপির রোনাল রোডস্থ বাসভবনে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে লুটপাট শুরু করে। যে যেভাবে পারেন মালামাল নিয়ে যান। আগুন ধরিয়ে দেয়া হয় তার বাসভবনে। এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সদর উপজেলা পরিবষদ চেয়ারম্যান খান আরিফুর রহমানের বাসভবন, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পৌর কাউন্সিলর হাফিজ আল মাহমুদ বাসা ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান, জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক পৌর কাউন্সিলর কামাল শরীফের বাসা ও একাধিক ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ধানসিড়ি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আবুল কালাম মাসুমের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তরিকুল ইসলাম পারভেজের বাসায় হামলা চালিয়েছে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা। এছাড়াও সরকার দলীয় অনেক নেতা-কর্মীর বাসা ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর করা হয়।
দুপুরের পরই জেলা শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে মিছিল নিয়ে জেলা ও উপজেলা শহরে আসতে থাকে। উল্লাস করতে থাকে ছাত্র-জনতা। উপস্থিত জনগণকে মিষ্টি খাওয়ানো হয়।
সোমবার সকাল থেকেই আওয়ামী লীগ ও অংগ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা শহর ছাড়তে শুরু করে। দুপুরের পরে আওয়ামী লীগের কাউকেই শহরে দেখা যায়নি।
ঝালকাঠি পুলিশ সুপার আফরুজুল হক টুটুল বলেন, আওয়ামী লীগের নেতৃস্থানীয় নেতাদের বাসা ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর করেছে বিক্ষুব্ধ জনতা। কিছু বাসায় অগ্নিসংযেগ করা হলেও তা নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এএ