শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, সোমবার, ১৮ জুলাই, ২০১৬ আপডেট:

গণতন্ত্র আমার ভালো লাগে না

প্রভাষ আমিন
Not defined
প্রিন্ট ভার্সন
গণতন্ত্র আমার ভালো লাগে না

অনেকদিন ধরেই গণতন্ত্রের সংখ্যাগরিষ্ঠতার ধারণাটি নিয়ে আমার মধ্যে সংশয় তৈরি হচ্ছিল। ইউরোপীয় ইউনিয়নে থাকা না থাকা নিয়ে, ব্রেক্সিট নামে পরিচিত, যুক্তরাজ্যের গণভোটের পর এ সংশয় কেটে গেছে। আমি এখন নিশ্চিত, সংখ্যাগরিষ্ঠের রায়ের ভিত্তিতে গণতন্ত্রের যে ধারণা, তা অনেকটাই অকার্যকর হয়ে যাবে। গণতন্ত্রের সবচেয়ে জনপ্রিয় ধারণা সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিঙ্কনের, ‘অব দ্য পিপল, বাই দ্য পিপল, ফর দ্য পিপল।’ সবকিছুই জনগণের জন্য— এ ধারণার সঙ্গে একশ ভাগ একমত। তবে সবকিছু, সবসময় জনগণের দ্বারাই হতে হবে কিনা এ নিয়ে আমার দ্বিমত তৈরি হচ্ছে। স্ববিরোধী মনে হতে পারে। তবে আমি নিজে একজন চূড়ান্ত গণতন্ত্রী মানুষ। আমি চাই সব দেশের, সব সরকারের সব করণীয় যেন সাধারণ মানুষের কল্যাণের জন্য হয়। আমি সবসময় ভিন্নমতকে স্বাগত জানাই, সব মতকে ধারণ করে একটি বৈচিত্র্যপূর্ণ সমাজের বিকাশ চাই। আমি রাষ্ট্রবিজ্ঞান পড়িনি। গণতন্ত্রের সংজ্ঞা বইয়ে কী লেখা আছে জানি না। কিন্তু সাধারণভাবে গণতন্ত্র সম্পর্কে ধারণা হলো, সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের মতামতের ভিত্তিতে কোনো কিছু পরিচালনা করা। সেটা রাষ্ট্র হোক বা কোনো সংগঠন হোক। রাষ্ট্র পরিচালনায় গণতন্ত্রের ধারণাটিই এখন বিশ্বে সবচেয়ে জনপ্রিয়। আমরাও বিশ্বাস করি সবচেয়ে খারাপ গণতন্ত্রটাও অন্য যে কোনো ব্যবস্থার চেয়ে ভালো। কিন্তু গণতন্ত্রের প্রাথমিক ধারণাটাই ত্রুটিপূর্ণ। বাংলাদেশে সরকারের মেয়াদ পাঁচ বছর। বিভিন্ন দেশে মেয়াদের রকমফের থাকলেও নির্বাচনের ধরনটা একই। বর্তমান গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় নির্বাচনের মাধ্যমে একটি রাজনৈতিক দলের কাছে দেশকে মোটামুটি লিজ দেওয়া হয়ে যায়। কোনোরকমে একটা নির্বাচন করে ফেলতে পারলে পরের পাঁচ বছর বৈধতার বাতাবরণে তাদের যা ইচ্ছা তাই করার অধিকার জন্মে যায় এবং কখনো কখনো তা করেও। এর জবাবে গণতন্ত্রপন্থিরা বলেন, খারাপ কাজ করলে জনগণ জবাব দেবে। কিন্তু জবাব দেওয়ার জন্য তো জনগণকে পাঁচ বছর অপেক্ষা করতে হবে। আর এ পাঁচ বছর যদি সেই নির্বাচিত গণতান্ত্রিক সরকার জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয় তাহলে জনগণ কী করবে? এর কোনো রক্ষাকবচ প্রচলিত গণতান্ত্রিক ধারণায় নেই। অনেকে বলতে পারেন, সরকার গণবিরোধী কাজ করলে জনগণ রাজপথে নেমে সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করবে। কিন্তু নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত সরকার কি রাজপথের আন্দোলনে পতন ঘটে, না ঘটানো উচিত? কোন মাত্রার আন্দোলন হলে, সেটা সরকার পতনের জন্য যথেষ্ট বিবেচিত হবে? বাংলাদেশে সরকার গঠিত হলো, ধরেন তিন কোটি লোকের ভোটে। কিন্তু পাঁচ লাখ লোক ঢাকার রাস্তায় আন্দোলন করলেই তো মনে হবে, গণঅভ্যুত্থান ঘটে গেছে। এখন তিন কোটি লোকের ভোটে গঠিত সরকার কি পাঁচ লাখ লোকের আন্দোলনে পদত্যাগ করবে, না করা উচিত? অনেকে রাজপথের আন্দোলনের সাফল্য হিসেবে স্বৈরাচারী এরশাদের পতনকে উদাহরণ হিসেবে টানেন। আমি নিজেও স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে একজন মাঠের কর্মী ছিলাম। নিজের যৌবন স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে ব্যয় করতে পেরেছি বলে আমি খুব গর্বিত। কিন্তু এখন আমি জানি, এরশাদের পতন আন্দোলনের কারণে হয়নি। ৯০-এর আন্দোলনের চেয়েও কঠোর আন্দোলন হয়েছিল ৮৭ সালে। ৯০ সালে এরশাদ পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন, আন্দোলনের চাপে নয়, সেনাবাহিনী পেছন থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করে নেওয়ায়। স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের সাফল্যের মূল কৃতিত্ব আসলে তখনকার সেনাপ্রধান জেনারেল নূরউদ্দিনের। তাই আন্দোলনের আশায় বসে থেকে লাভ নেই। আসলে গণতন্ত্র মানে পাঁচ বছরের জন্য একটি দল বা সরকারের কাছে দেশকে জিম্মি করে ফেলা।

গণতন্ত্র মানে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের মত। শুনতে খুব ভালো লাগে। কিন্তু সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ কি সবসময় ভালোটা বেছে নিতে পারে? পারে না। পারে যে না, তার উদাহরণ হলো ব্রেক্সিট। ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ছেড়ে যাওয়া না যাওয়ার প্রশ্নে যুক্তরাজ্যের গণভোট গণতন্ত্রের নিকৃষ্টতম উদাহরণ হিসেবে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের বইয়ে লেখা থাকবে। নিকৃষ্টতম বললাম এ কারণে, নির্বাচনী ভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠরা ভুল করলেও পাঁচ বছর পর তা শোধরানোর সুযোগ থাকে। কিন্তু যুক্তরাজ্যকে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন থেকে বের করে আনার যে রায় দিয়েছে সে দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণ, তা সারাজীবনের জন্য। সম্ভবত এ ভুল শোধরানোর সুযোগ তারা পাবে না। যুক্তরাজ্য ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে গেলে কী হবে এ নিয়ে বিশ্বজুড়ে তোলপাড়, নানা হিসাব-নিকাশ চলছে। তাত্ক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় পাউন্ডের দাম ৩০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে কমে গেছে। শেয়ারবাজারে দরপতন ঘটেছে দেশে দেশে। এর আরও অনেক সুদূরপ্রসারী নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হতে পারে। আমি নিশ্চিত, যুক্তরাজ্যের জাত্যাভিমানী বুড়োরা এ সিদ্ধান্তের জন্য পরে মাথা চাপড়াবে, অনুতাপ করবে। কিন্তু কান্নাকাটি করেও ফেরানো যাবে না। অবশ্য ভোট শেষ হতে না হতেই শুরু হয়ে গেছে কান্নাকাটি। বিচ্ছিন্নতার পক্ষে ভোট দিয়েছেন, এমন অনেকে জানতেনই না ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন কী। ভোটের পর গুগল সার্চ দিয়ে দেখে এখন বলছে, আগে জানলে তারা থাকার পক্ষেই ভোট দিতেন। এতদিন হুজুগে শব্দটার সঙ্গে বাঙালি লিখতাম, আজ থেকে লিখব হুজুগে ব্রিটিশ। গ্রামে-গঞ্জে এখনো খারাপ লোকদের দেখলে বলা হয়, শালা একটা ব্রিটিশ। এতদিন এ গালির পুরোটা বুঝতে পারিনি। এখন বুঝতে পারছি, ব্রিটিশ মানে কী। কিন্তু ইতিমধ্যেই যুক্তরাজ্যে থুক্কু থুক্কু রব উঠেছে। আবার গণভোটের দাবিতে সোচ্চার অনেকেই। মানলাম গণতন্ত্রের রায় সবাইকে মানতে হবে, আমিও মানছি। কিন্তু তাহলে স্কটল্যান্ড, উত্তর আয়ারল্যান্ড, লন্ডন কেন মানবে? তারা তো ইইউতে থাকার পক্ষেই ভোট দিয়েছিল। থাকার পক্ষে ভোট দিলেও, সামষ্টিক ভোটের বিবেচনায় স্কটল্যান্ড, উত্তর আয়ারল্যান্ড ও লন্ডনকেও ইইউ ছেড়ে যেতে হবে। ইতিমধ্যে স্কটল্যান্ডে আবার গণভোটের দাবি উঠেছে। তারা যুক্তরাজ্য থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে ইইউতে থেকে যেতে চায়। একই দাবি উত্তর আয়ারল্যান্ডেও। আর লন্ডনবাসী মেয়রকে বলছেন, লন্ডনকে স্বাধীন ঘোষণা করে ইইউতে থেকে যাওয়ার। পুরো বিষয়টি ছেলেমানুষী মনে হচ্ছে। কিন্তু যুক্তরাজ্যের ইইউ ছেড়ে যাওয়া কোনো ছেলেখেলা নয়। এর সঙ্গে শুধু এক কোটি ৭৪ লাখ জাত্যাভিমানী ব্রিটিশের ভাগ্য জড়িত নয়। বিশ্ব রাজনীতি, অর্থনীতি, সমাজব্যবস্থায় বড় ধরনের ওলট-পালট ঘটবে এতে। সেটা ভালো হবে না মন্দ, তা নিয়ে অনেক আলোচনা হচ্ছে। সেটা ঠিক হবে ভবিষ্যতে।

অনেকেই এ গণভোটকে গণতন্ত্রের সৌন্দর্য হিসেবে দেখছেন। তারা বলছেন, ভালো হোক, মন্দ হোক, জনগণের রায় সবাইকে মেনে নিতে হবে। কিন্তু জনপ্রিয় রায় কি সব সময় কল্যাণকর? জনপ্রিয় সবকিছু কি সবসময় ভালো? সবকিছু কি জনগণের রায়ের ওপর নির্ভর করে করা সম্ভব না করা উচিত? জনপ্রিয় সিনেমা মানেই ক্ল্যাসিক নয়, জনপ্রিয় উপন্যাস মহৎ সাহিত্য না-ও হতে পারে। সবকিছু সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে করা হলে অনেক আগেই বিশ্ব থেকে সংখ্যালঘুরা হারিয়ে যেত। যেমন ধরুন, বাংলাদেশে চাকরির কোটা থাকা না থাকা প্রশ্নে গণভোট হলে কোটা বাতিলের পক্ষে বিপুল জনরায় পাওয়া যাবে। কিন্তু অবহেলিত, সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর পাশে দাঁড়াতে সরকার কিন্তু কোটা ব্যবস্থাই বহাল রেখেছে। বাংলাদেশে গণভোট হলে ক্রসফায়ারের পক্ষেও বিপুল জনরায় পাওয়া যাবে। তাই বলে কি ক্রসফায়ার চলতে দেওয়া উচিত? জনগণের রায়ে গঠিত সরকার, জনগণের কল্যাণে সিদ্ধান্ত নেবে, তবে সব সিদ্ধান্ত যে জনগণের মত নিয়েই নিতে হবে, এমন কোনো কথা নেই।

সব টেকনিক্যাল বিষয়ে কি জনগণ সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারে? যুক্তরাজ্যের ক্ষমতাসীন ও বিরোধী দল ইইউতে থেকে যাওয়ার পক্ষে ছিল। চাইলে তারা পার্লামেন্টে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে পারত। কিন্তু তা না করে, তারা এত গুরুত্বপূর্ণ ওয়ানওয়ে সিদ্ধান্তের দায়িত্ব চাপালেন জনগণের ঘাড়ে। গণতন্ত্রে এক ধরনের প্রতারণাও আছে। নির্বাচনের আগে জনগণের সামনে সত্য-মিথ্যা, সম্ভব-অসম্ভব অনেক প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। নির্বাচনের পর রাজনীতিবিদরা যা ভুলে যান। যেমন বাংলাদেশে নির্বাচন এলেই সবাই খুব ধার্মিক হয়ে যান। কোন দল ক্ষমতায় গেলে মসজিদে আজানের বদলে উলুধ্বনি হবে, কোন দল ক্ষমতায় গেলে মদিনা সনদে দেশ চালাবে; এ নিয়ে রীতিমতো প্রতিযোগিতা হয়। যুক্তরাজ্যের লোকদেরও বোঝানো হয়েছিল, ইইউতে থাকলে অভিবাসীদের স্রোত ব্রিটিশ ঐতিহ্যকে ধ্বংস করে দেবে, ইইউ থেকে বেরিয়ে এলে নাকি স্বাস্থ্যবীমা খাতে অর্থের ঢল নামবে। কিন্তু ভোটের পরদিনই ব্রেক্সিটের মূল হোতা ইউকে ইন্ডিপেন্ডেন্ট দলের নেতা নাইজেল ফারাজ স্বীকার করেছেন স্বাস্থ্যবীমা খাতে অর্থের প্রতিশ্রুতিটা ভুল ছিল। এখন এই ভুল প্রতিশ্রুতি দেওয়ার কারণে কি নির্বাচনের ফলাফল বদলে যাবে, নাকি সাজা হবে ফারাজের? গণতন্ত্রের আরেকটা বড় ত্রুটি হলো, যার কাছে টাকা বেশি, নির্বাচনী প্রচারণায় যিনি বেশি খরচ করতে পারেন, তার জয়ের সম্ভাবনা বেশি। তাই যৌক্তিক অবস্থানে থেকেও অনেকে ট্যাক দুর্বল থাকলে হেরে যেতে পারেন। বাংলাদেশে ড. কামালরা বারবার হেরে যান খালেকদের কাছে। তৃতীয় বিশ্বে অর্থের সঙ্গে যোগ হয় অস্ত্র, পেশিশক্তি। অর্থ আর অস্ত্র গণতন্ত্রের রায় নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড় ত্রুটি, অন্তত ব্রেক্সিটের ক্ষেত্রে, হলো পক্ষে-বিপক্ষে ভোট। ৫১.৯ শতাংশ মানে এক কোটি ৭৪ লাখ ১০ হাজার মানুষের ভোটে যুক্তরাজ্য ইইউ থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু ৪৮.১ শতাংশ মানুষ মানে এক কোটি ৬১ লাখ ৪১ হাজার জন যে থেকে যেতে চাইলেন, তাদের মতের কি কোনো দাম নেই?

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর কল্যাণকর বিশ্ব গড়ার যে ধারণা থেকে ছয়টি দেশ মিলে ১৯৫২ সালে গড়ে তুলেছিল ইউরোপিয়ান কোল অ্যান্ড স্টিল কমিউনিটি, ১৯৫৭ সালে তা পরিণত হয় ইউরোপিয়ান ইকোনমিক কমিউনিটি-ইইসিতে। আর ১৯৯৩ সালে পূর্ণাঙ্গ রূপ পায় আজকের ২৮ রাষ্ট্রের ইউরোপিয়ান ইউনিয়নে। যুক্তরাজ্য ১৯৭৩ সালে রীতিমতো আবেদন করে এ জোটে যোগ দিয়েছিল। ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের ২৮ রাষ্ট্রের সবগুলোর অর্থনৈতিক সামর্থ্য সমান নয়, রয়েছে নানা বৈষম্যও। ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন এ বৈষম্য কমিয়ে এক ধরনের সমতা আনার চেষ্টা করেছে। তাতে বড় দেশগুলোকে কিছুটা ছাড় দিতে হয়। এখানেই ব্রিটিশরা স্বার্থপরতার পরিচয় দিল। যখন বুঝে গেল তাদের লাভ কম, অন্যদের লাভ বেশি, তখনই গণভোট। নগদ লাভ-ক্ষতিটাই তাদের চোখে পড়েছে। একসঙ্গে থাকলে যে দারুণ একটা শক্তি হিসেবে এগোতে পারে ইউরোপ, সেটা মাথায়ই আসেনি মাথামোটা ব্রিটিশ বুড়োদের। বুড়োদের বললাম, কারণ গণভোটে তরুণরা ভোট দিয়েছিল ইইউতে থাকার পক্ষে, আর বুড়োরা ছিল বিপক্ষে। এ গণভোটের সবচেয়ে অমানবিক দিক হলো, অভিবাসীদের স্রোতে বাঁধ দিতেই যুক্তরাজ্য নিজেদের বিচ্ছিন্ন করে ফেলতে চেয়েছে। কেউ ইচ্ছা করে নিজেদের শিকড় ছেড়ে উদ্বাস্তু হয় না। বিশ্ব রাজনীতি আর অর্থনৈতিক বৈষম্যই তাদের বাধ্য করে। আমি বলছি না, সব উদ্বাস্তুর জন্য সব দেশের সীমান্ত খুলে দিতে হবে। কিন্তু সাম্প্রতিক অভিবাসন ইস্যুতে জার্মানি যতটা মানবিকতার পরিচয় দিতে পেরেছে, ব্রিটিশরা নিজেদের ততটাই অমানবিক ও স্বার্থপর প্রমাণ করেছে। ২৬০ বছর আগে ১৭৫৭ সালে পলাশীর আম্রকাননে অস্ত গিয়েছিল বাংলার স্বাধীনতার সূর্য। সেদিন জয় হয়েছিল ব্রিটিশদের ষড়যন্ত্র, বিশ্বাসঘাতকতার। তাদের বাণিজ্য দণ্ড পরিণত হয়েছিল রাজদণ্ডে। ২৬০ বছর পর আবার ২৩ জুন, নাইজেল ফারাজে একে দাবি করলেন যুক্তরাজ্যের নতুন স্বাধীনতা দিবস হিসেবে। স্বাধীনতা বটে; তবে এ স্বাধীনতা স্বার্থপরতার, অমানবিকতার, বিচ্ছিন্নতার, আত্মমুখিতার, আত্মমগ্নতার। একশ বছর আগেও ব্রিটিশ সাম্রাজ্যে সূর্য অস্ত যেত না। আর আজ যুক্তরাজ্য গুটিয়ে নিতে নিতে নিজেদের ঘরবন্দী করে ফেলছে। আমার শঙ্কা, এ গণভোট যে বিচ্ছিন্নতার যাত্রা শুরু করল, তা ভেঙে দিতে পারে যুক্তরাজ্যকেও। স্কটল্যান্ড আর উত্তর আয়ারল্যান্ডের স্বাধীনতার দাবি এখন আরও উচ্চকিত। থাকুক ব্রিটিশরা জগৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে নিজেদের ঘরে, সব সমস্যা থেকে নিজেদের আড়াল করে উটপাখির মতো বালিতে মুখ বুজে। এ গণভোট উসকে দিল উগ্র জাতীয়তাবাদ ও অন্ধ বর্ণবাদ। আটলান্টিকের ওপাড়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প যে উগ্র জাতীয়তাবাদের ধুয়া তুলে নির্বাচনী বৈতরণী পার হতে চাইছেন, যুক্তরাজ্যেও গণভোটে জয় হলো সেই ধারণারই। কিন্তু অভিজাত নীল রক্তের জয়ের কথা ভেবে যারা উত্ফুল্ল, তারা বোকার সপ্তম স্বর্গে বাস করছেন। এখন বিশ্ব হলো, পাশে পাশে থাকার; এক দেশ আরেক দেশকে টেনে তোলার। এখন সময় বিচ্ছিন্নতার নয়, আঞ্চলিক ঐক্যের। এখন প্রতিযোগিতার ধারণাটাই বদলে গেছে। এখন গোটা বিশ্ব একটা গ্রাম।

বলছিলাম গণতন্ত্রের কথা। দৃশ্যমান গণতন্ত্র আর গণতান্ত্রিক চেতনা এক নয়। এই যেমন রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক হলেও কোনো দলেই গণতন্ত্র নেই। আওয়ামী লীগে শেখ হাসিনা আর বিএনপিতে বেগম খালেদা জিয়াই শেষ কথা। এ নিয়ে আমরা অনেক সমালোচনা করি। কিন্তু বাস্তবতা হলো, যতবার ভোট হবে, ততবারই তো নিজ নিজ দলে হাসিনা বা খালেদাই জিতবেন। তাহলে কি প্রতিবার ভোটের আয়োজন করতে হবে? হলে ভালো, না হলেই যে গণতন্ত্র ধ্বংস হয়ে যাবে, তা নয়। গণতান্ত্রিক চেতনাটাই আসল। গত ২৩ জুন আওয়ামী  লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে দৈনিক প্রথম আলোয় মহিউদ্দিন আহমদের একটি লেখায় বাংলাদেশে ‘গণতন্ত্রের মানসপুত্র’ হিসেবে পরিচিত হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী প্রসঙ্গে একটি কথা পড়ে চমকে গেছি। উদ্ধৃত করছি, ‘১৯৫৪ সালের ডিসেম্বরে পাকিস্তান আওয়ামী লীগের সভাপতি সোহরাওয়ার্দী দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে মোহাম্মদ আলীর মন্ত্রিপরিষদে যোগ দিয়েছিলেন। মন্ত্রিত্ব নেওয়ার পর এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছিলেন, ‘আওয়ামী লীগ আবার কী? আমিই আওয়ামী লীগ।’

সাংবাদিক আবার প্রশ্ন করলেন, ‘এটা কি আওয়ামী লীগের ম্যানিফেস্টো বিরোধী না?’ সোহরাওয়ার্দীর জবাব ছিল, ‘আমিই আওয়ামী লীগের ম্যানিফেস্টো।’ এ হলো আমাদের গণতন্ত্রের মানসপুত্রের গণতান্ত্রিক চেতনা! এটা মোটেই গণতন্ত্র নয়। আবার শেখ হাসিনা ২০০৮ সালে নির্বাচনে ভূমিধস জয় পাওয়ার পর প্রথম সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, ‘বিরোধী দলকে আমি সংখ্যা দিয়ে গুনব না।’ যদিও শেখ হাসিনা পরে তার এ অঙ্গীকারে স্থির থাকেননি বা থাকতে পারেননি। তবে এটাই হলো গণতন্ত্রের আসল চেতনা। তবে আমি গণতন্ত্রের শেষ কথা মানি বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের একটি লাইনকে, ‘আমি বললাম, এসেম্বলির মধ্যে আলোচনা করবো, এমনকি আমি এ পর্যন্তও বললাম, যদি কেউ ন্যায্য কথা বলে, আমরা সংখ্যায় বেশি হলেও, একজনও যদি হয় সে, তার ন্যায্য কথা আমরা মেনে নেবো।’ এটাই গণতন্ত্র। গণতন্ত্র মানে নিছক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নয়, গণতন্ত্র হলো ন্যায্যতা, গণতন্ত্র মানে জনগণের কল্যাণ।

     লেখক : সাংবাদিক।

     [email protected]

এই বিভাগের আরও খবর
পাচার টাকা উদ্ধার
পাচার টাকা উদ্ধার
গুমে মৃত্যুদণ্ড
গুমে মৃত্যুদণ্ড
কিয়ামতের ভয়াবহতা ও রসুল (সা.)-এর সুপারিশ
কিয়ামতের ভয়াবহতা ও রসুল (সা.)-এর সুপারিশ
হাসিনার বিরুদ্ধে রায়ের আগে সহিংসতার ষড়যন্ত্র
হাসিনার বিরুদ্ধে রায়ের আগে সহিংসতার ষড়যন্ত্র
শেষ ভালো যার সব ভালো তার
শেষ ভালো যার সব ভালো তার
গণসংযোগে গুলি
গণসংযোগে গুলি
মহান ৭ নভেম্বর
মহান ৭ নভেম্বর
আত্মশুদ্ধি অবহেলিত ফরজ
আত্মশুদ্ধি অবহেলিত ফরজ
মামদানির বিজয় : ইসরায়েলের জন্য দুঃসংবাদ
মামদানির বিজয় : ইসরায়েলের জন্য দুঃসংবাদ
জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস : ঐক্য মুক্তি আর সমৃদ্ধির বাংলাদেশ
জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস : ঐক্য মুক্তি আর সমৃদ্ধির বাংলাদেশ
৭ নভেম্বর সংস্কারের নবযাত্রা
৭ নভেম্বর সংস্কারের নবযাত্রা
পোশাক রপ্তানিতে মন্দা
পোশাক রপ্তানিতে মন্দা
সর্বশেষ খবর
সিদ্ধিরগঞ্জে শামীম ওসমানসহ ৮০ জনের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলা
সিদ্ধিরগঞ্জে শামীম ওসমানসহ ৮০ জনের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলা

২৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ইসলামে পরিবার নিয়ে ভাবনা ও পরিকল্পনা
ইসলামে পরিবার নিয়ে ভাবনা ও পরিকল্পনা

৪৯ মিনিট আগে | ইসলামী জীবন

শেষ ভালো যার সব ভালো তার
শেষ ভালো যার সব ভালো তার

১ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

শেয়ারহোল্ডারদের ক্ষতি ৪৫০০ কোটি টাকা
শেয়ারহোল্ডারদের ক্ষতি ৪৫০০ কোটি টাকা

১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

হবিগঞ্জে ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত
হবিগঞ্জে ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

রাজধানীর বনানীতে গৃহবধূর আত্মহত্যা
রাজধানীর বনানীতে গৃহবধূর আত্মহত্যা

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

বিশ্বকাপে দল বাড়াচ্ছে আইসিসি, সুবিধা পাবে বাংলাদেশ
বিশ্বকাপে দল বাড়াচ্ছে আইসিসি, সুবিধা পাবে বাংলাদেশ

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

পারিবারিক কলহের জেরে চকবাজারে গৃহবধূর আত্মহত্যা
পারিবারিক কলহের জেরে চকবাজারে গৃহবধূর আত্মহত্যা

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

মাছ চুরির অপরাধে দুই যুবককে মারধর, গ্রাম্য বিচারক গ্রেপ্তার
মাছ চুরির অপরাধে দুই যুবককে মারধর, গ্রাম্য বিচারক গ্রেপ্তার

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ঘি খেতে চাইলে চামচ দিয়ে ভদ্রভাবে খান : ডা. সায়ন্থ
ঘি খেতে চাইলে চামচ দিয়ে ভদ্রভাবে খান : ডা. সায়ন্থ

২ ঘণ্টা আগে | টক শো

জবির ১৫ শিক্ষার্থীকে নিয়ে বুড়িগঙ্গায় নৌকাডুবি
জবির ১৫ শিক্ষার্থীকে নিয়ে বুড়িগঙ্গায় নৌকাডুবি

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

মা হারালেন অভিনেতা জায়েদ খান
মা হারালেন অভিনেতা জায়েদ খান

২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

মনোনয়ন না পেয়ে আম্পায়ারের ভঙ্গিতে রিভিউ আবেদন বিএনপি নেতার
মনোনয়ন না পেয়ে আম্পায়ারের ভঙ্গিতে রিভিউ আবেদন বিএনপি নেতার

৩ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

ফিফা দ্য বেস্ট ২০২৫: বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের মনোনয়ন ঘোষণা
ফিফা দ্য বেস্ট ২০২৫: বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের মনোনয়ন ঘোষণা

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বরে দেশ ও জাতির মুক্তি হয়েছিল : সেলিমুজ্জামান
ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বরে দেশ ও জাতির মুক্তি হয়েছিল : সেলিমুজ্জামান

৩ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

জাপানের শ্রম ঘাটতি পূরণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে বাংলাদেশ
জাপানের শ্রম ঘাটতি পূরণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে বাংলাদেশ

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রাজনৈতিক দলগুলোর অবস্থান বুঝে জোটে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হবে: নুর
রাজনৈতিক দলগুলোর অবস্থান বুঝে জোটে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হবে: নুর

৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

‌‌‌‌‘স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র রক্ষায় ঐক্যবদ্ধভাবে ধানের শীষে ভোট দিতে হবে’
‌‌‌‌‘স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র রক্ষায় ঐক্যবদ্ধভাবে ধানের শীষে ভোট দিতে হবে’

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মেহেরপুরে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত
মেহেরপুরে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে গাজীপুরে বিএনপির শোভাযাত্রা
বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে গাজীপুরে বিএনপির শোভাযাত্রা

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আরবি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা উন্নয়নের উদ্যোগ নিচ্ছে উপসাগরীয় দেশগুলো
আরবি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা উন্নয়নের উদ্যোগ নিচ্ছে উপসাগরীয় দেশগুলো

৪ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

আগামীর বাংলাদেশে বাংলাদেশপন্থী রাজনীতি করতে চাই : মাহদী আমিন
আগামীর বাংলাদেশে বাংলাদেশপন্থী রাজনীতি করতে চাই : মাহদী আমিন

৪ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

চট্টগ্রামে পৃথক ঘটনায় গ্রেফতার ৪
চট্টগ্রামে পৃথক ঘটনায় গ্রেফতার ৪

৪ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

পাকিস্তানের পরমাণু কেন্দ্রে হামলার পরিকল্পনা করছিল ভারত-ইসরায়েল
পাকিস্তানের পরমাণু কেন্দ্রে হামলার পরিকল্পনা করছিল ভারত-ইসরায়েল

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নোয়াখালীতে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত
নোয়াখালীতে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শ্রীমঙ্গলে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত
শ্রীমঙ্গলে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নির্বাচন বিরোধীদের ৭ নভেম্বরের চেতনায় পরাজিত করতে হবে : আমীর খসরু
নির্বাচন বিরোধীদের ৭ নভেম্বরের চেতনায় পরাজিত করতে হবে : আমীর খসরু

৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

পরবর্তী আইপিএলও খেলবেন ধোনি
পরবর্তী আইপিএলও খেলবেন ধোনি

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শেরপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় শিশুর মৃত্যু
শেরপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় শিশুর মৃত্যু

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নওগাঁয় কর্মীসভা অনুষ্ঠিত
নওগাঁয় কর্মীসভা অনুষ্ঠিত

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
জামায়াতের আলোচনার প্রস্তাব, যা বললেন বিএনপির মহাসচিব
জামায়াতের আলোচনার প্রস্তাব, যা বললেন বিএনপির মহাসচিব

১২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

এক ওভারে আব্বাস আফ্রিদির ৬ ছক্কা
এক ওভারে আব্বাস আফ্রিদির ৬ ছক্কা

১৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ইরানে ইসরায়েলি হামলায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করলেন ট্রাম্প
ইরানে ইসরায়েলি হামলায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করলেন ট্রাম্প

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জাহানারার মতো ভুক্তভোগীদের মুখ খোলার অনুরোধ তামিমের
জাহানারার মতো ভুক্তভোগীদের মুখ খোলার অনুরোধ তামিমের

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহেই নির্বাচন : প্রেস সচিব
ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহেই নির্বাচন : প্রেস সচিব

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বাড়িতে ঢুকে পড়ছে ভালুক, সেনা মোতায়েন
বাড়িতে ঢুকে পড়ছে ভালুক, সেনা মোতায়েন

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পোড়া কার্গো ভিলেজ থেকে মোবাইল চুরি, বরখাস্ত আনসার সদস্য
পোড়া কার্গো ভিলেজ থেকে মোবাইল চুরি, বরখাস্ত আনসার সদস্য

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জুলাই সনদের ঐকমত্যের আইনানুগ বাস্তবায়নের আহ্বান বিএনপির
জুলাই সনদের ঐকমত্যের আইনানুগ বাস্তবায়নের আহ্বান বিএনপির

২১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

গুলিবিদ্ধ বিএনপি প্রার্থী এরশাদকে হেলিকপ্টারে ঢাকায় স্থানান্তর
গুলিবিদ্ধ বিএনপি প্রার্থী এরশাদকে হেলিকপ্টারে ঢাকায় স্থানান্তর

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অবসরের ঘোষণার পর ন্যান্সি পেলোসিকে ‘শয়তান মহিলা’ বললেন ট্রাম্প
অবসরের ঘোষণার পর ন্যান্সি পেলোসিকে ‘শয়তান মহিলা’ বললেন ট্রাম্প

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আলোচিত সেই বিড়াল হত্যাকারী নারী আটক
আলোচিত সেই বিড়াল হত্যাকারী নারী আটক

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শাহজালাল বিমানবন্দরে জুতা-প্যান্ট-শার্টে লুকানো ১৫ মোবাইল
শাহজালাল বিমানবন্দরে জুতা-প্যান্ট-শার্টে লুকানো ১৫ মোবাইল

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বর্তমান বাস্তবতায় ১০-২০ কোটি টাকা ছাড়া নির্বাচন করা যায় না:  আসিফ মাহমুদ
বর্তমান বাস্তবতায় ১০-২০ কোটি টাকা ছাড়া নির্বাচন করা যায় না:  আসিফ মাহমুদ

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পাকিস্তানের পরমাণু কেন্দ্রে হামলার পরিকল্পনা করছিল ভারত-ইসরায়েল
পাকিস্তানের পরমাণু কেন্দ্রে হামলার পরিকল্পনা করছিল ভারত-ইসরায়েল

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘নো হাংকি পাংকি’ কোনো আদর্শের রাজনৈতিক ভাষা হতে পারে না : এ্যানি
‘নো হাংকি পাংকি’ কোনো আদর্শের রাজনৈতিক ভাষা হতে পারে না : এ্যানি

৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

রাজধানীতে সবজি স্থিতিশীল, অস্থির পেঁয়াজের বাজার
রাজধানীতে সবজি স্থিতিশীল, অস্থির পেঁয়াজের বাজার

১০ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ডি ককের সেঞ্চুরিতে পাকিস্তানকে হেসেখেলে হারাল প্রোটিয়ারা
ডি ককের সেঞ্চুরিতে পাকিস্তানকে হেসেখেলে হারাল প্রোটিয়ারা

১৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ৭ ভেন্যু চূড়ান্ত
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ৭ ভেন্যু চূড়ান্ত

১৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

‘আয়নাঘর’ থেকে বেঁচে ফিরে বিএনপির প্রার্থী হয়ে মাঠে মাজেদ বাবু
‘আয়নাঘর’ থেকে বেঁচে ফিরে বিএনপির প্রার্থী হয়ে মাঠে মাজেদ বাবু

৮ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

সেনাপ্রধানকে নিয়ে অপপ্রচার, সতর্ক থাকার অনুরোধ
সেনাপ্রধানকে নিয়ে অপপ্রচার, সতর্ক থাকার অনুরোধ

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কিছুই জানেন না তিনি, অথচ তাকে নিয়ে ভারতে তুলকালাম!
কিছুই জানেন না তিনি, অথচ তাকে নিয়ে ভারতে তুলকালাম!

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চীনের তৃতীয় বিমানবাহী রণতরী নৌবাহিনীর কাছে হস্তান্তর
চীনের তৃতীয় বিমানবাহী রণতরী নৌবাহিনীর কাছে হস্তান্তর

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিধানসভায় হারলে রাজ্যে বিজেপির অস্তিত্ব থাকবে না: মিঠুন
বিধানসভায় হারলে রাজ্যে বিজেপির অস্তিত্ব থাকবে না: মিঠুন

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে যাচ্ছে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ কাজাখস্তান
ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে যাচ্ছে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ কাজাখস্তান

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বন্যায় ডুবতে পারে এশিয়ার যে দেশ, জারি সতর্কতা
বন্যায় ডুবতে পারে এশিয়ার যে দেশ, জারি সতর্কতা

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মনোনয়ন না পেয়ে আম্পায়ারের ভঙ্গিতে রিভিউ আবেদন বিএনপি নেতার
মনোনয়ন না পেয়ে আম্পায়ারের ভঙ্গিতে রিভিউ আবেদন বিএনপি নেতার

৩ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

যুক্তরাষ্ট্রে শিক্ষিকাকে ৬ বছরের শিক্ষার্থীর গুলি, কোটি ডলার ক্ষতিপূরণের নির্দেশ
যুক্তরাষ্ট্রে শিক্ষিকাকে ৬ বছরের শিক্ষার্থীর গুলি, কোটি ডলার ক্ষতিপূরণের নির্দেশ

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শনিবার থেকে আন্দোলনে নামছেন প্রাথমিকের শিক্ষকরা
শনিবার থেকে আন্দোলনে নামছেন প্রাথমিকের শিক্ষকরা

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মাইকে ভাইয়ের সঙ্গে মারামারির ঘোষণা: মুচলেকায় ছাড়া পেলেন সেই কুদ্দুস
মাইকে ভাইয়ের সঙ্গে মারামারির ঘোষণা: মুচলেকায় ছাড়া পেলেন সেই কুদ্দুস

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মাহবুবউল আলম হানিফের শ্যালকসহ গ্রেফতার ৬ জন
মাহবুবউল আলম হানিফের শ্যালকসহ গ্রেফতার ৬ জন

৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

প্রিন্ট সর্বাধিক
সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করার অপচেষ্টা রুখতে হবে
সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করার অপচেষ্টা রুখতে হবে

নগর জীবন

সেই কাজরী এখন
সেই কাজরী এখন

শোবিজ

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

হাসিনার বিরুদ্ধে রায়ের আগে সহিংসতার ষড়যন্ত্র
হাসিনার বিরুদ্ধে রায়ের আগে সহিংসতার ষড়যন্ত্র

সম্পাদকীয়

খেলবে ব্রাজিল আর্জেন্টিনার ক্লাব
খেলবে ব্রাজিল আর্জেন্টিনার ক্লাব

মাঠে ময়দানে

সিরিজে পিছিয়ে গেলেন যুবারা
সিরিজে পিছিয়ে গেলেন যুবারা

মাঠে ময়দানে

নায়করাজের সেই ছবি
নায়করাজের সেই ছবি

শোবিজ

জাহানারার অভিযোগে টালমাটাল ক্রিকেটপাড়া
জাহানারার অভিযোগে টালমাটাল ক্রিকেটপাড়া

প্রথম পৃষ্ঠা

গণভোটের দাবি নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র
গণভোটের দাবি নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র

প্রথম পৃষ্ঠা

আইরিশ ক্রিকেট দল এখন সিলেটে
আইরিশ ক্রিকেট দল এখন সিলেটে

মাঠে ময়দানে

ঠিক পথেই আছে খুদে কিংসরা
ঠিক পথেই আছে খুদে কিংসরা

মাঠে ময়দানে

ইয়ামাল-দেম্বেলের বর্ষসেরার লড়াই
ইয়ামাল-দেম্বেলের বর্ষসেরার লড়াই

মাঠে ময়দানে

আসছে হেরোইনের কাঁচামাল
আসছে হেরোইনের কাঁচামাল

পেছনের পৃষ্ঠা

উন্নয়নের সব প্রকল্পই আটকা
উন্নয়নের সব প্রকল্পই আটকা

নগর জীবন

এশিয়ান আর্চারির পদকের লড়াই শুরু আজ
এশিয়ান আর্চারির পদকের লড়াই শুরু আজ

মাঠে ময়দানে

নির্বাচন ঠেকাতে নানামুখী ষড়যন্ত্র চলছে
নির্বাচন ঠেকাতে নানামুখী ষড়যন্ত্র চলছে

নগর জীবন

সিলেট-১ ছেড়ে ৪-এ প্রচার শুরু আরিফের
সিলেট-১ ছেড়ে ৪-এ প্রচার শুরু আরিফের

নগর জীবন

হারলে রাজ্যে বিজেপির অস্তিত্ব থাকবে না : মিঠুন
হারলে রাজ্যে বিজেপির অস্তিত্ব থাকবে না : মিঠুন

পূর্ব-পশ্চিম

দুজনকে পিটিয়ে হত্যা, আরও একজন গ্রেপ্তার
দুজনকে পিটিয়ে হত্যা, আরও একজন গ্রেপ্তার

দেশগ্রাম

মাছের আড়তে পড়ে ছিল যুবকের রক্তাক্ত লাশ
মাছের আড়তে পড়ে ছিল যুবকের রক্তাক্ত লাশ

দেশগ্রাম

বগুড়ায় বিড়াল হত্যার ঘটনায় নারী গ্রেপ্তার
বগুড়ায় বিড়াল হত্যার ঘটনায় নারী গ্রেপ্তার

পেছনের পৃষ্ঠা

মতানৈক্য রাজপথের কর্মসূচিতে মীমাংসা হবে না
মতানৈক্য রাজপথের কর্মসূচিতে মীমাংসা হবে না

নগর জীবন

দাম বাড়লেও ঘরে পাট নেই কৃষকের
দাম বাড়লেও ঘরে পাট নেই কৃষকের

দেশগ্রাম

চাঁদা না দেওয়ায় অফিস ভাঙচুর
চাঁদা না দেওয়ায় অফিস ভাঙচুর

দেশগ্রাম

শহীদ জিয়ার আদর্শকে ধারণ করে এগিয়ে যেতে হবে
শহীদ জিয়ার আদর্শকে ধারণ করে এগিয়ে যেতে হবে

নগর জীবন

সাংবাদিক তুহিনের বাবার মৃত্যুবার্ষিকী
সাংবাদিক তুহিনের বাবার মৃত্যুবার্ষিকী

খবর

রাজনীতি থেকে ন্যান্সি পেলোসির অবসরের ঘোষণা
রাজনীতি থেকে ন্যান্সি পেলোসির অবসরের ঘোষণা

পূর্ব-পশ্চিম

বন্যায় ডুবতে পারে থাইল্যান্ড
বন্যায় ডুবতে পারে থাইল্যান্ড

পূর্ব-পশ্চিম

আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লংমার্চ আইনজীবীদের
আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লংমার্চ আইনজীবীদের

দেশগ্রাম

ইকবাল ও নজরুলকে নিয়ে ঢাবিতে আন্তর্জাতিক সম্মেলন শুরু আগামীকাল
ইকবাল ও নজরুলকে নিয়ে ঢাবিতে আন্তর্জাতিক সম্মেলন শুরু আগামীকাল

নগর জীবন