শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, সোমবার, ১৮ জুলাই, ২০১৬ আপডেট:

গণতন্ত্র আমার ভালো লাগে না

প্রভাষ আমিন
Not defined
প্রিন্ট ভার্সন
গণতন্ত্র আমার ভালো লাগে না

অনেকদিন ধরেই গণতন্ত্রের সংখ্যাগরিষ্ঠতার ধারণাটি নিয়ে আমার মধ্যে সংশয় তৈরি হচ্ছিল। ইউরোপীয় ইউনিয়নে থাকা না থাকা নিয়ে, ব্রেক্সিট নামে পরিচিত, যুক্তরাজ্যের গণভোটের পর এ সংশয় কেটে গেছে। আমি এখন নিশ্চিত, সংখ্যাগরিষ্ঠের রায়ের ভিত্তিতে গণতন্ত্রের যে ধারণা, তা অনেকটাই অকার্যকর হয়ে যাবে। গণতন্ত্রের সবচেয়ে জনপ্রিয় ধারণা সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিঙ্কনের, ‘অব দ্য পিপল, বাই দ্য পিপল, ফর দ্য পিপল।’ সবকিছুই জনগণের জন্য— এ ধারণার সঙ্গে একশ ভাগ একমত। তবে সবকিছু, সবসময় জনগণের দ্বারাই হতে হবে কিনা এ নিয়ে আমার দ্বিমত তৈরি হচ্ছে। স্ববিরোধী মনে হতে পারে। তবে আমি নিজে একজন চূড়ান্ত গণতন্ত্রী মানুষ। আমি চাই সব দেশের, সব সরকারের সব করণীয় যেন সাধারণ মানুষের কল্যাণের জন্য হয়। আমি সবসময় ভিন্নমতকে স্বাগত জানাই, সব মতকে ধারণ করে একটি বৈচিত্র্যপূর্ণ সমাজের বিকাশ চাই। আমি রাষ্ট্রবিজ্ঞান পড়িনি। গণতন্ত্রের সংজ্ঞা বইয়ে কী লেখা আছে জানি না। কিন্তু সাধারণভাবে গণতন্ত্র সম্পর্কে ধারণা হলো, সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের মতামতের ভিত্তিতে কোনো কিছু পরিচালনা করা। সেটা রাষ্ট্র হোক বা কোনো সংগঠন হোক। রাষ্ট্র পরিচালনায় গণতন্ত্রের ধারণাটিই এখন বিশ্বে সবচেয়ে জনপ্রিয়। আমরাও বিশ্বাস করি সবচেয়ে খারাপ গণতন্ত্রটাও অন্য যে কোনো ব্যবস্থার চেয়ে ভালো। কিন্তু গণতন্ত্রের প্রাথমিক ধারণাটাই ত্রুটিপূর্ণ। বাংলাদেশে সরকারের মেয়াদ পাঁচ বছর। বিভিন্ন দেশে মেয়াদের রকমফের থাকলেও নির্বাচনের ধরনটা একই। বর্তমান গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় নির্বাচনের মাধ্যমে একটি রাজনৈতিক দলের কাছে দেশকে মোটামুটি লিজ দেওয়া হয়ে যায়। কোনোরকমে একটা নির্বাচন করে ফেলতে পারলে পরের পাঁচ বছর বৈধতার বাতাবরণে তাদের যা ইচ্ছা তাই করার অধিকার জন্মে যায় এবং কখনো কখনো তা করেও। এর জবাবে গণতন্ত্রপন্থিরা বলেন, খারাপ কাজ করলে জনগণ জবাব দেবে। কিন্তু জবাব দেওয়ার জন্য তো জনগণকে পাঁচ বছর অপেক্ষা করতে হবে। আর এ পাঁচ বছর যদি সেই নির্বাচিত গণতান্ত্রিক সরকার জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয় তাহলে জনগণ কী করবে? এর কোনো রক্ষাকবচ প্রচলিত গণতান্ত্রিক ধারণায় নেই। অনেকে বলতে পারেন, সরকার গণবিরোধী কাজ করলে জনগণ রাজপথে নেমে সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করবে। কিন্তু নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত সরকার কি রাজপথের আন্দোলনে পতন ঘটে, না ঘটানো উচিত? কোন মাত্রার আন্দোলন হলে, সেটা সরকার পতনের জন্য যথেষ্ট বিবেচিত হবে? বাংলাদেশে সরকার গঠিত হলো, ধরেন তিন কোটি লোকের ভোটে। কিন্তু পাঁচ লাখ লোক ঢাকার রাস্তায় আন্দোলন করলেই তো মনে হবে, গণঅভ্যুত্থান ঘটে গেছে। এখন তিন কোটি লোকের ভোটে গঠিত সরকার কি পাঁচ লাখ লোকের আন্দোলনে পদত্যাগ করবে, না করা উচিত? অনেকে রাজপথের আন্দোলনের সাফল্য হিসেবে স্বৈরাচারী এরশাদের পতনকে উদাহরণ হিসেবে টানেন। আমি নিজেও স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে একজন মাঠের কর্মী ছিলাম। নিজের যৌবন স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে ব্যয় করতে পেরেছি বলে আমি খুব গর্বিত। কিন্তু এখন আমি জানি, এরশাদের পতন আন্দোলনের কারণে হয়নি। ৯০-এর আন্দোলনের চেয়েও কঠোর আন্দোলন হয়েছিল ৮৭ সালে। ৯০ সালে এরশাদ পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন, আন্দোলনের চাপে নয়, সেনাবাহিনী পেছন থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করে নেওয়ায়। স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের সাফল্যের মূল কৃতিত্ব আসলে তখনকার সেনাপ্রধান জেনারেল নূরউদ্দিনের। তাই আন্দোলনের আশায় বসে থেকে লাভ নেই। আসলে গণতন্ত্র মানে পাঁচ বছরের জন্য একটি দল বা সরকারের কাছে দেশকে জিম্মি করে ফেলা।

গণতন্ত্র মানে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের মত। শুনতে খুব ভালো লাগে। কিন্তু সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ কি সবসময় ভালোটা বেছে নিতে পারে? পারে না। পারে যে না, তার উদাহরণ হলো ব্রেক্সিট। ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ছেড়ে যাওয়া না যাওয়ার প্রশ্নে যুক্তরাজ্যের গণভোট গণতন্ত্রের নিকৃষ্টতম উদাহরণ হিসেবে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের বইয়ে লেখা থাকবে। নিকৃষ্টতম বললাম এ কারণে, নির্বাচনী ভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠরা ভুল করলেও পাঁচ বছর পর তা শোধরানোর সুযোগ থাকে। কিন্তু যুক্তরাজ্যকে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন থেকে বের করে আনার যে রায় দিয়েছে সে দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণ, তা সারাজীবনের জন্য। সম্ভবত এ ভুল শোধরানোর সুযোগ তারা পাবে না। যুক্তরাজ্য ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে গেলে কী হবে এ নিয়ে বিশ্বজুড়ে তোলপাড়, নানা হিসাব-নিকাশ চলছে। তাত্ক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় পাউন্ডের দাম ৩০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে কমে গেছে। শেয়ারবাজারে দরপতন ঘটেছে দেশে দেশে। এর আরও অনেক সুদূরপ্রসারী নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হতে পারে। আমি নিশ্চিত, যুক্তরাজ্যের জাত্যাভিমানী বুড়োরা এ সিদ্ধান্তের জন্য পরে মাথা চাপড়াবে, অনুতাপ করবে। কিন্তু কান্নাকাটি করেও ফেরানো যাবে না। অবশ্য ভোট শেষ হতে না হতেই শুরু হয়ে গেছে কান্নাকাটি। বিচ্ছিন্নতার পক্ষে ভোট দিয়েছেন, এমন অনেকে জানতেনই না ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন কী। ভোটের পর গুগল সার্চ দিয়ে দেখে এখন বলছে, আগে জানলে তারা থাকার পক্ষেই ভোট দিতেন। এতদিন হুজুগে শব্দটার সঙ্গে বাঙালি লিখতাম, আজ থেকে লিখব হুজুগে ব্রিটিশ। গ্রামে-গঞ্জে এখনো খারাপ লোকদের দেখলে বলা হয়, শালা একটা ব্রিটিশ। এতদিন এ গালির পুরোটা বুঝতে পারিনি। এখন বুঝতে পারছি, ব্রিটিশ মানে কী। কিন্তু ইতিমধ্যেই যুক্তরাজ্যে থুক্কু থুক্কু রব উঠেছে। আবার গণভোটের দাবিতে সোচ্চার অনেকেই। মানলাম গণতন্ত্রের রায় সবাইকে মানতে হবে, আমিও মানছি। কিন্তু তাহলে স্কটল্যান্ড, উত্তর আয়ারল্যান্ড, লন্ডন কেন মানবে? তারা তো ইইউতে থাকার পক্ষেই ভোট দিয়েছিল। থাকার পক্ষে ভোট দিলেও, সামষ্টিক ভোটের বিবেচনায় স্কটল্যান্ড, উত্তর আয়ারল্যান্ড ও লন্ডনকেও ইইউ ছেড়ে যেতে হবে। ইতিমধ্যে স্কটল্যান্ডে আবার গণভোটের দাবি উঠেছে। তারা যুক্তরাজ্য থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে ইইউতে থেকে যেতে চায়। একই দাবি উত্তর আয়ারল্যান্ডেও। আর লন্ডনবাসী মেয়রকে বলছেন, লন্ডনকে স্বাধীন ঘোষণা করে ইইউতে থেকে যাওয়ার। পুরো বিষয়টি ছেলেমানুষী মনে হচ্ছে। কিন্তু যুক্তরাজ্যের ইইউ ছেড়ে যাওয়া কোনো ছেলেখেলা নয়। এর সঙ্গে শুধু এক কোটি ৭৪ লাখ জাত্যাভিমানী ব্রিটিশের ভাগ্য জড়িত নয়। বিশ্ব রাজনীতি, অর্থনীতি, সমাজব্যবস্থায় বড় ধরনের ওলট-পালট ঘটবে এতে। সেটা ভালো হবে না মন্দ, তা নিয়ে অনেক আলোচনা হচ্ছে। সেটা ঠিক হবে ভবিষ্যতে।

অনেকেই এ গণভোটকে গণতন্ত্রের সৌন্দর্য হিসেবে দেখছেন। তারা বলছেন, ভালো হোক, মন্দ হোক, জনগণের রায় সবাইকে মেনে নিতে হবে। কিন্তু জনপ্রিয় রায় কি সব সময় কল্যাণকর? জনপ্রিয় সবকিছু কি সবসময় ভালো? সবকিছু কি জনগণের রায়ের ওপর নির্ভর করে করা সম্ভব না করা উচিত? জনপ্রিয় সিনেমা মানেই ক্ল্যাসিক নয়, জনপ্রিয় উপন্যাস মহৎ সাহিত্য না-ও হতে পারে। সবকিছু সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে করা হলে অনেক আগেই বিশ্ব থেকে সংখ্যালঘুরা হারিয়ে যেত। যেমন ধরুন, বাংলাদেশে চাকরির কোটা থাকা না থাকা প্রশ্নে গণভোট হলে কোটা বাতিলের পক্ষে বিপুল জনরায় পাওয়া যাবে। কিন্তু অবহেলিত, সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর পাশে দাঁড়াতে সরকার কিন্তু কোটা ব্যবস্থাই বহাল রেখেছে। বাংলাদেশে গণভোট হলে ক্রসফায়ারের পক্ষেও বিপুল জনরায় পাওয়া যাবে। তাই বলে কি ক্রসফায়ার চলতে দেওয়া উচিত? জনগণের রায়ে গঠিত সরকার, জনগণের কল্যাণে সিদ্ধান্ত নেবে, তবে সব সিদ্ধান্ত যে জনগণের মত নিয়েই নিতে হবে, এমন কোনো কথা নেই।

সব টেকনিক্যাল বিষয়ে কি জনগণ সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারে? যুক্তরাজ্যের ক্ষমতাসীন ও বিরোধী দল ইইউতে থেকে যাওয়ার পক্ষে ছিল। চাইলে তারা পার্লামেন্টে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে পারত। কিন্তু তা না করে, তারা এত গুরুত্বপূর্ণ ওয়ানওয়ে সিদ্ধান্তের দায়িত্ব চাপালেন জনগণের ঘাড়ে। গণতন্ত্রে এক ধরনের প্রতারণাও আছে। নির্বাচনের আগে জনগণের সামনে সত্য-মিথ্যা, সম্ভব-অসম্ভব অনেক প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। নির্বাচনের পর রাজনীতিবিদরা যা ভুলে যান। যেমন বাংলাদেশে নির্বাচন এলেই সবাই খুব ধার্মিক হয়ে যান। কোন দল ক্ষমতায় গেলে মসজিদে আজানের বদলে উলুধ্বনি হবে, কোন দল ক্ষমতায় গেলে মদিনা সনদে দেশ চালাবে; এ নিয়ে রীতিমতো প্রতিযোগিতা হয়। যুক্তরাজ্যের লোকদেরও বোঝানো হয়েছিল, ইইউতে থাকলে অভিবাসীদের স্রোত ব্রিটিশ ঐতিহ্যকে ধ্বংস করে দেবে, ইইউ থেকে বেরিয়ে এলে নাকি স্বাস্থ্যবীমা খাতে অর্থের ঢল নামবে। কিন্তু ভোটের পরদিনই ব্রেক্সিটের মূল হোতা ইউকে ইন্ডিপেন্ডেন্ট দলের নেতা নাইজেল ফারাজ স্বীকার করেছেন স্বাস্থ্যবীমা খাতে অর্থের প্রতিশ্রুতিটা ভুল ছিল। এখন এই ভুল প্রতিশ্রুতি দেওয়ার কারণে কি নির্বাচনের ফলাফল বদলে যাবে, নাকি সাজা হবে ফারাজের? গণতন্ত্রের আরেকটা বড় ত্রুটি হলো, যার কাছে টাকা বেশি, নির্বাচনী প্রচারণায় যিনি বেশি খরচ করতে পারেন, তার জয়ের সম্ভাবনা বেশি। তাই যৌক্তিক অবস্থানে থেকেও অনেকে ট্যাক দুর্বল থাকলে হেরে যেতে পারেন। বাংলাদেশে ড. কামালরা বারবার হেরে যান খালেকদের কাছে। তৃতীয় বিশ্বে অর্থের সঙ্গে যোগ হয় অস্ত্র, পেশিশক্তি। অর্থ আর অস্ত্র গণতন্ত্রের রায় নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড় ত্রুটি, অন্তত ব্রেক্সিটের ক্ষেত্রে, হলো পক্ষে-বিপক্ষে ভোট। ৫১.৯ শতাংশ মানে এক কোটি ৭৪ লাখ ১০ হাজার মানুষের ভোটে যুক্তরাজ্য ইইউ থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু ৪৮.১ শতাংশ মানুষ মানে এক কোটি ৬১ লাখ ৪১ হাজার জন যে থেকে যেতে চাইলেন, তাদের মতের কি কোনো দাম নেই?

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর কল্যাণকর বিশ্ব গড়ার যে ধারণা থেকে ছয়টি দেশ মিলে ১৯৫২ সালে গড়ে তুলেছিল ইউরোপিয়ান কোল অ্যান্ড স্টিল কমিউনিটি, ১৯৫৭ সালে তা পরিণত হয় ইউরোপিয়ান ইকোনমিক কমিউনিটি-ইইসিতে। আর ১৯৯৩ সালে পূর্ণাঙ্গ রূপ পায় আজকের ২৮ রাষ্ট্রের ইউরোপিয়ান ইউনিয়নে। যুক্তরাজ্য ১৯৭৩ সালে রীতিমতো আবেদন করে এ জোটে যোগ দিয়েছিল। ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের ২৮ রাষ্ট্রের সবগুলোর অর্থনৈতিক সামর্থ্য সমান নয়, রয়েছে নানা বৈষম্যও। ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন এ বৈষম্য কমিয়ে এক ধরনের সমতা আনার চেষ্টা করেছে। তাতে বড় দেশগুলোকে কিছুটা ছাড় দিতে হয়। এখানেই ব্রিটিশরা স্বার্থপরতার পরিচয় দিল। যখন বুঝে গেল তাদের লাভ কম, অন্যদের লাভ বেশি, তখনই গণভোট। নগদ লাভ-ক্ষতিটাই তাদের চোখে পড়েছে। একসঙ্গে থাকলে যে দারুণ একটা শক্তি হিসেবে এগোতে পারে ইউরোপ, সেটা মাথায়ই আসেনি মাথামোটা ব্রিটিশ বুড়োদের। বুড়োদের বললাম, কারণ গণভোটে তরুণরা ভোট দিয়েছিল ইইউতে থাকার পক্ষে, আর বুড়োরা ছিল বিপক্ষে। এ গণভোটের সবচেয়ে অমানবিক দিক হলো, অভিবাসীদের স্রোতে বাঁধ দিতেই যুক্তরাজ্য নিজেদের বিচ্ছিন্ন করে ফেলতে চেয়েছে। কেউ ইচ্ছা করে নিজেদের শিকড় ছেড়ে উদ্বাস্তু হয় না। বিশ্ব রাজনীতি আর অর্থনৈতিক বৈষম্যই তাদের বাধ্য করে। আমি বলছি না, সব উদ্বাস্তুর জন্য সব দেশের সীমান্ত খুলে দিতে হবে। কিন্তু সাম্প্রতিক অভিবাসন ইস্যুতে জার্মানি যতটা মানবিকতার পরিচয় দিতে পেরেছে, ব্রিটিশরা নিজেদের ততটাই অমানবিক ও স্বার্থপর প্রমাণ করেছে। ২৬০ বছর আগে ১৭৫৭ সালে পলাশীর আম্রকাননে অস্ত গিয়েছিল বাংলার স্বাধীনতার সূর্য। সেদিন জয় হয়েছিল ব্রিটিশদের ষড়যন্ত্র, বিশ্বাসঘাতকতার। তাদের বাণিজ্য দণ্ড পরিণত হয়েছিল রাজদণ্ডে। ২৬০ বছর পর আবার ২৩ জুন, নাইজেল ফারাজে একে দাবি করলেন যুক্তরাজ্যের নতুন স্বাধীনতা দিবস হিসেবে। স্বাধীনতা বটে; তবে এ স্বাধীনতা স্বার্থপরতার, অমানবিকতার, বিচ্ছিন্নতার, আত্মমুখিতার, আত্মমগ্নতার। একশ বছর আগেও ব্রিটিশ সাম্রাজ্যে সূর্য অস্ত যেত না। আর আজ যুক্তরাজ্য গুটিয়ে নিতে নিতে নিজেদের ঘরবন্দী করে ফেলছে। আমার শঙ্কা, এ গণভোট যে বিচ্ছিন্নতার যাত্রা শুরু করল, তা ভেঙে দিতে পারে যুক্তরাজ্যকেও। স্কটল্যান্ড আর উত্তর আয়ারল্যান্ডের স্বাধীনতার দাবি এখন আরও উচ্চকিত। থাকুক ব্রিটিশরা জগৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে নিজেদের ঘরে, সব সমস্যা থেকে নিজেদের আড়াল করে উটপাখির মতো বালিতে মুখ বুজে। এ গণভোট উসকে দিল উগ্র জাতীয়তাবাদ ও অন্ধ বর্ণবাদ। আটলান্টিকের ওপাড়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প যে উগ্র জাতীয়তাবাদের ধুয়া তুলে নির্বাচনী বৈতরণী পার হতে চাইছেন, যুক্তরাজ্যেও গণভোটে জয় হলো সেই ধারণারই। কিন্তু অভিজাত নীল রক্তের জয়ের কথা ভেবে যারা উত্ফুল্ল, তারা বোকার সপ্তম স্বর্গে বাস করছেন। এখন বিশ্ব হলো, পাশে পাশে থাকার; এক দেশ আরেক দেশকে টেনে তোলার। এখন সময় বিচ্ছিন্নতার নয়, আঞ্চলিক ঐক্যের। এখন প্রতিযোগিতার ধারণাটাই বদলে গেছে। এখন গোটা বিশ্ব একটা গ্রাম।

বলছিলাম গণতন্ত্রের কথা। দৃশ্যমান গণতন্ত্র আর গণতান্ত্রিক চেতনা এক নয়। এই যেমন রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক হলেও কোনো দলেই গণতন্ত্র নেই। আওয়ামী লীগে শেখ হাসিনা আর বিএনপিতে বেগম খালেদা জিয়াই শেষ কথা। এ নিয়ে আমরা অনেক সমালোচনা করি। কিন্তু বাস্তবতা হলো, যতবার ভোট হবে, ততবারই তো নিজ নিজ দলে হাসিনা বা খালেদাই জিতবেন। তাহলে কি প্রতিবার ভোটের আয়োজন করতে হবে? হলে ভালো, না হলেই যে গণতন্ত্র ধ্বংস হয়ে যাবে, তা নয়। গণতান্ত্রিক চেতনাটাই আসল। গত ২৩ জুন আওয়ামী  লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে দৈনিক প্রথম আলোয় মহিউদ্দিন আহমদের একটি লেখায় বাংলাদেশে ‘গণতন্ত্রের মানসপুত্র’ হিসেবে পরিচিত হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী প্রসঙ্গে একটি কথা পড়ে চমকে গেছি। উদ্ধৃত করছি, ‘১৯৫৪ সালের ডিসেম্বরে পাকিস্তান আওয়ামী লীগের সভাপতি সোহরাওয়ার্দী দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে মোহাম্মদ আলীর মন্ত্রিপরিষদে যোগ দিয়েছিলেন। মন্ত্রিত্ব নেওয়ার পর এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছিলেন, ‘আওয়ামী লীগ আবার কী? আমিই আওয়ামী লীগ।’

সাংবাদিক আবার প্রশ্ন করলেন, ‘এটা কি আওয়ামী লীগের ম্যানিফেস্টো বিরোধী না?’ সোহরাওয়ার্দীর জবাব ছিল, ‘আমিই আওয়ামী লীগের ম্যানিফেস্টো।’ এ হলো আমাদের গণতন্ত্রের মানসপুত্রের গণতান্ত্রিক চেতনা! এটা মোটেই গণতন্ত্র নয়। আবার শেখ হাসিনা ২০০৮ সালে নির্বাচনে ভূমিধস জয় পাওয়ার পর প্রথম সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, ‘বিরোধী দলকে আমি সংখ্যা দিয়ে গুনব না।’ যদিও শেখ হাসিনা পরে তার এ অঙ্গীকারে স্থির থাকেননি বা থাকতে পারেননি। তবে এটাই হলো গণতন্ত্রের আসল চেতনা। তবে আমি গণতন্ত্রের শেষ কথা মানি বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের একটি লাইনকে, ‘আমি বললাম, এসেম্বলির মধ্যে আলোচনা করবো, এমনকি আমি এ পর্যন্তও বললাম, যদি কেউ ন্যায্য কথা বলে, আমরা সংখ্যায় বেশি হলেও, একজনও যদি হয় সে, তার ন্যায্য কথা আমরা মেনে নেবো।’ এটাই গণতন্ত্র। গণতন্ত্র মানে নিছক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নয়, গণতন্ত্র হলো ন্যায্যতা, গণতন্ত্র মানে জনগণের কল্যাণ।

     লেখক : সাংবাদিক।

     [email protected]

এই বিভাগের আরও খবর
শান্তি ও মুক্তির পাথেয় আল কোরআন
শান্তি ও মুক্তির পাথেয় আল কোরআন
পাসপোর্টের মান
পাসপোর্টের মান
কার্গো ভিলেজ অগ্নিকাণ্ড
কার্গো ভিলেজ অগ্নিকাণ্ড
টক-মিষ্টি আমড়া
টক-মিষ্টি আমড়া
এনসিপির নাগরিক রাষ্ট্রের অঙ্গীকার
এনসিপির নাগরিক রাষ্ট্রের অঙ্গীকার
উপাদেয় হিরণ্ময় হাতিয়া
উপাদেয় হিরণ্ময় হাতিয়া
আগুন থেকে রক্ষা পাওয়ার আমল
আগুন থেকে রক্ষা পাওয়ার আমল
চট্টগ্রাম বন্দরে অচলাবস্থা
চট্টগ্রাম বন্দরে অচলাবস্থা
একের পর এক আগুন
একের পর এক আগুন
আগুন : দুর্ঘটনা না অন্তর্ঘাত
আগুন : দুর্ঘটনা না অন্তর্ঘাত
প্রয়োজন অর্থনীতিবান্ধব রাজনীতি
প্রয়োজন অর্থনীতিবান্ধব রাজনীতি
আমি, পাপিয়া এবং সেই রাজনীতি
আমি, পাপিয়া এবং সেই রাজনীতি
সর্বশেষ খবর
রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়ল উড়োজাহাজ, ১৬২ আরোহী অক্ষত
রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়ল উড়োজাহাজ, ১৬২ আরোহী অক্ষত

২৯ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শান্তি ও মুক্তির পাথেয় আল কোরআন
শান্তি ও মুক্তির পাথেয় আল কোরআন

১ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

২৭তম বিসিএসে বাতিলদের কী হবে কেউ জানে না!
২৭তম বিসিএসে বাতিলদের কী হবে কেউ জানে না!

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যুদ্ধবিরতি টিকিয়ে রাখতে কাবুলকে যা করতে বললো পাকিস্তান
যুদ্ধবিরতি টিকিয়ে রাখতে কাবুলকে যা করতে বললো পাকিস্তান

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আদানির বিদ্যুৎ কেন্দ্র এখন গলার কাঁটা
আদানির বিদ্যুৎ কেন্দ্র এখন গলার কাঁটা

১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

যুদ্ধবিরতি ভাঙলে হামাসকে সম্পূর্ণভাবে নির্মূল করবেন ট্রাম্প!
যুদ্ধবিরতি ভাঙলে হামাসকে সম্পূর্ণভাবে নির্মূল করবেন ট্রাম্প!

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রোহিঙ্গাদের সহায়তায় ৫০ লাখ ডলার অনুদান দিল দক্ষিণ কোরিয়া
রোহিঙ্গাদের সহায়তায় ৫০ লাখ ডলার অনুদান দিল দক্ষিণ কোরিয়া

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গবেষণায় অবদান রাখায় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২ শিক্ষককে প্রণোদনা
গবেষণায় অবদান রাখায় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২ শিক্ষককে প্রণোদনা

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

দুঃসংবাদ পেল ওয়েস্ট ইন্ডিজ
দুঃসংবাদ পেল ওয়েস্ট ইন্ডিজ

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বাড়ির ছাদে শুকানো হচ্ছিল গাঁজা, আটক ১
বাড়ির ছাদে শুকানো হচ্ছিল গাঁজা, আটক ১

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

লঙ্কার কাছে হেরে টাইগ্রেসদের সেমির স্বপ্নভঙ্গ
লঙ্কার কাছে হেরে টাইগ্রেসদের সেমির স্বপ্নভঙ্গ

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

এ কে আজাদ যে আওয়ামী লীগ নেতা, তা সর্বজনস্বীকৃত : নায়াব ইউসুফ
এ কে আজাদ যে আওয়ামী লীগ নেতা, তা সর্বজনস্বীকৃত : নায়াব ইউসুফ

৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

কিশোরগঞ্জে ভর সকালে বাড়ির গেট কেটে ১৩ ভরি স্বর্ণালংকারসহ টাকা চুরি
কিশোরগঞ্জে ভর সকালে বাড়ির গেট কেটে ১৩ ভরি স্বর্ণালংকারসহ টাকা চুরি

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

পিএসজি ভক্তদের জন্য জোড়া সুসংবাদ ও দুঃসংবাদ
পিএসজি ভক্তদের জন্য জোড়া সুসংবাদ ও দুঃসংবাদ

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

৯ সচিবকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠাল সরকার
৯ সচিবকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠাল সরকার

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মারা গেলেন 'শোলে'র জেলার গোবর্ধন আসরানি
মারা গেলেন 'শোলে'র জেলার গোবর্ধন আসরানি

৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

গাজায় একদিনে ১৫৩ টন বোমা ফেলেছে ইসরায়েল: নেতানিয়াহু
গাজায় একদিনে ১৫৩ টন বোমা ফেলেছে ইসরায়েল: নেতানিয়াহু

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বুড়িমারী স্থলবন্দরে ৩ দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
বুড়িমারী স্থলবন্দরে ৩ দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ভারতের ওপর আবারও শুল্কারোপের হুমকি ট্রাম্পের
ভারতের ওপর আবারও শুল্কারোপের হুমকি ট্রাম্পের

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অতিরিক্ত দুই জজের বাংলোতে দুঃসাহসিক চুরি, আটক ৪
অতিরিক্ত দুই জজের বাংলোতে দুঃসাহসিক চুরি, আটক ৪

৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

চট্টগ্রাম বন্দরে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার
চট্টগ্রাম বন্দরে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার

৪ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

‘আমাদের একটু বেশি ধারাবাহিকতা তৈরি করতে হবে’
‘আমাদের একটু বেশি ধারাবাহিকতা তৈরি করতে হবে’

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

চুলের রুক্ষতা দূর করার উপায়
চুলের রুক্ষতা দূর করার উপায়

৪ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

স্ত্রীসহ সাংবাদিক সুভাষ সিংহের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
স্ত্রীসহ সাংবাদিক সুভাষ সিংহের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অবৈধ বালু উত্তোলনে নৌকাসহ আটক ১
অবৈধ বালু উত্তোলনে নৌকাসহ আটক ১

৪ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

দূর মহাকাশে জন্ম নিল নতুন তারা
দূর মহাকাশে জন্ম নিল নতুন তারা

৪ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

যান্ত্রিক ত্রুটিতে বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের সব ইউনিট বন্ধ
যান্ত্রিক ত্রুটিতে বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের সব ইউনিট বন্ধ

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আগস্টে বিদেশে বাংলাদেশিদের ক্রেডিট কার্ডে ব্যয় বছর ব্যবধানে ১৯ শতাংশ বেড়েছে
আগস্টে বিদেশে বাংলাদেশিদের ক্রেডিট কার্ডে ব্যয় বছর ব্যবধানে ১৯ শতাংশ বেড়েছে

৪ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

নাটোরে আগুনে বসতবাড়ি পুড়ে ছাই
নাটোরে আগুনে বসতবাড়ি পুড়ে ছাই

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

খাগড়াছড়িতে পরিসংখ্যান দিবস পালিত
খাগড়াছড়িতে পরিসংখ্যান দিবস পালিত

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার আরও ১-২ বছর থাকবে : ইকবাল করিম ভূঁইয়া
বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার আরও ১-২ বছর থাকবে : ইকবাল করিম ভূঁইয়া

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বলিউডে কার আয় কত? অভিনেত্রীদের পারিশ্রমিক তালিকা প্রকাশ
বলিউডে কার আয় কত? অভিনেত্রীদের পারিশ্রমিক তালিকা প্রকাশ

১৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সম্মানি বাড়িয়ে পুনঃনির্ধারণ
সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সম্মানি বাড়িয়ে পুনঃনির্ধারণ

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আর্জেন্টিনাকে কাঁদিয়ে অনূর্ধ্ব–২০ বিশ্বকাপ শিরোপা জিতলো মরক্কো
আর্জেন্টিনাকে কাঁদিয়ে অনূর্ধ্ব–২০ বিশ্বকাপ শিরোপা জিতলো মরক্কো

১৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

পর্নোগ্রাফির সঙ্গে জড়িত বাংলাদেশি যুগল গ্রেফতার
পর্নোগ্রাফির সঙ্গে জড়িত বাংলাদেশি যুগল গ্রেফতার

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রেলপথে নতুন উদ্যোগ সৌদির, চার ঘণ্টায় যাবে ১৫০০ কিমি
রেলপথে নতুন উদ্যোগ সৌদির, চার ঘণ্টায় যাবে ১৫০০ কিমি

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

স্বপ্ন দেখতেই থাকুন, পরমাণু স্থাপনা ধ্বংসের দাবি নিয়ে ট্রাম্পকে খোঁচা খামেনির
স্বপ্ন দেখতেই থাকুন, পরমাণু স্থাপনা ধ্বংসের দাবি নিয়ে ট্রাম্পকে খোঁচা খামেনির

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৯ সচিবকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠাল সরকার
৯ সচিবকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠাল সরকার

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যে কারণে সেনাবাহিনীকে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিতে বললেন ইরানের সেনাপ্রধান
যে কারণে সেনাবাহিনীকে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিতে বললেন ইরানের সেনাপ্রধান

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এ কে আজাদ যে আওয়ামী লীগ নেতা, তা সর্বজনস্বীকৃত : নায়াব ইউসুফ
এ কে আজাদ যে আওয়ামী লীগ নেতা, তা সর্বজনস্বীকৃত : নায়াব ইউসুফ

৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

নবাবদের বংশধররা আজও ব্রিটিশদের পেনশন পাচ্ছেন, কিন্তু কত?
নবাবদের বংশধররা আজও ব্রিটিশদের পেনশন পাচ্ছেন, কিন্তু কত?

১০ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

যুদ্ধবিরতির মধ্যে এবার গাজায় ইসরায়েলের দুই সেনা নিহত
যুদ্ধবিরতির মধ্যে এবার গাজায় ইসরায়েলের দুই সেনা নিহত

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সেনাবাহিনীকে দোষারোপ করে উচ্ছ্বাস জাতির স্নায়ুতন্ত্রে আঘাতের শামিল
সেনাবাহিনীকে দোষারোপ করে উচ্ছ্বাস জাতির স্নায়ুতন্ত্রে আঘাতের শামিল

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জন্ম নিয়েই বাপের সঙ্গে পাল্লা দিও না: গোলাম পরওয়ার
জন্ম নিয়েই বাপের সঙ্গে পাল্লা দিও না: গোলাম পরওয়ার

৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

কানাডা থেকে রেকর্ডসংখ্যক ভারতীয় ফেরত পাঠানো হচ্ছে, নেপথ্যে যা...
কানাডা থেকে রেকর্ডসংখ্যক ভারতীয় ফেরত পাঠানো হচ্ছে, নেপথ্যে যা...

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রতিরক্ষা জোরদারে ৮৮৫০ তরুণ-তরুণীকে প্রশিক্ষণ দেবে সরকার
প্রতিরক্ষা জোরদারে ৮৮৫০ তরুণ-তরুণীকে প্রশিক্ষণ দেবে সরকার

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মোসাদ গুপ্তচরকে ফাঁসি দিল ইরান
মোসাদ গুপ্তচরকে ফাঁসি দিল ইরান

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাওয়ার ব্যাংক থেকে ইন্ডিগোর বিমানে আগুন!
পাওয়ার ব্যাংক থেকে ইন্ডিগোর বিমানে আগুন!

২৩ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

স্ত্রীসহ সাংবাদিক সুভাষ সিংহের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
স্ত্রীসহ সাংবাদিক সুভাষ সিংহের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইমিগ্রেশন কোর্টে হাজিরা দিতে গিয়ে গ্রেফতার বাংলাদেশি নারী
ইমিগ্রেশন কোর্টে হাজিরা দিতে গিয়ে গ্রেফতার বাংলাদেশি নারী

৯ ঘণ্টা আগে | পরবাস

জবি ছাত্রদল নেতা খুন : এখনো মামলা হয়নি, থানায় অপেক্ষায় স্বজনরা
জবি ছাত্রদল নেতা খুন : এখনো মামলা হয়নি, থানায় অপেক্ষায় স্বজনরা

১৫ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে নিগারদের বাঁচা-মরার লড়াই আজ
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে নিগারদের বাঁচা-মরার লড়াই আজ

১৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

৪ হাজার এএসআই নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারি
৪ হাজার এএসআই নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারি

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নিয়োগবিধি পেল রেজিস্ট্রেশন ডিপার্টমেন্ট, সাব-রেজিস্ট্রাররা পদোন্নতি পাবেন শীর্ষপদ পর্যন্ত
নিয়োগবিধি পেল রেজিস্ট্রেশন ডিপার্টমেন্ট, সাব-রেজিস্ট্রাররা পদোন্নতি পাবেন শীর্ষপদ পর্যন্ত

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ঋণ অবলোপন বিধিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন নির্দেশনা
ঋণ অবলোপন বিধিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন নির্দেশনা

১৬ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের পূর্বাভাস
বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের পূর্বাভাস

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে বগুড়াকে সিটি কর্পোরেশন ঘোষণা
আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে বগুড়াকে সিটি কর্পোরেশন ঘোষণা

১০ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সালমান শাহর মৃত্যুর ঘটনায় হত্যা মামলা দায়েরের নির্দেশ
সালমান শাহর মৃত্যুর ঘটনায় হত্যা মামলা দায়েরের নির্দেশ

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সীমান্তে ‘ভূতের আওয়াজ’ বাজিয়ে ভয় দেখাচ্ছে থাইল্যান্ড, জাতিসংঘে কম্বোডিয়ার অভিযোগ
সীমান্তে ‘ভূতের আওয়াজ’ বাজিয়ে ভয় দেখাচ্ছে থাইল্যান্ড, জাতিসংঘে কম্বোডিয়ার অভিযোগ

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দেবরের ছেলের সাথে ‘ব্রেকআপ’, কবজি কাটলেন দুই সন্তানের মা
দেবরের ছেলের সাথে ‘ব্রেকআপ’, কবজি কাটলেন দুই সন্তানের মা

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
গৃহিণী স্ত্রীকে রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ী দেখিয়ে গড়েছেন অঢেল সম্পদ
গৃহিণী স্ত্রীকে রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ী দেখিয়ে গড়েছেন অঢেল সম্পদ

পেছনের পৃষ্ঠা

উপাদেয় হিরণ্ময় হাতিয়া
উপাদেয় হিরণ্ময় হাতিয়া

সম্পাদকীয়

বিএনপির প্রার্থী হতে মরিয়া রুমিন ফারহানাসহ আটজন
বিএনপির প্রার্থী হতে মরিয়া রুমিন ফারহানাসহ আটজন

নগর জীবন

থাইল্যান্ডে ভালো করার প্রত্যাশা আফঈদাদের
থাইল্যান্ডে ভালো করার প্রত্যাশা আফঈদাদের

মাঠে ময়দানে

আদেশ জারির পর গণভোট
আদেশ জারির পর গণভোট

প্রথম পৃষ্ঠা

চট্টগ্রামে এবার শিক্ষার্থীর রগ কাটা লাশ
চট্টগ্রামে এবার শিক্ষার্থীর রগ কাটা লাশ

পেছনের পৃষ্ঠা

আবারও ই-কমার্স প্রতারণা
আবারও ই-কমার্স প্রতারণা

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

জামায়াত ক্ষমতায় এলে ফেরার আশঙ্কা আওয়ামী লীগের
জামায়াত ক্ষমতায় এলে ফেরার আশঙ্কা আওয়ামী লীগের

প্রথম পৃষ্ঠা

ভোগান্তির ১১৪ কিলোমিটার
ভোগান্তির ১১৪ কিলোমিটার

পেছনের পৃষ্ঠা

বিরোধী দল দমনই যার একমাত্র যোগ্যতা
বিরোধী দল দমনই যার একমাত্র যোগ্যতা

প্রথম পৃষ্ঠা

বাপের সঙ্গে পাল্লা দিতে যেয়ো না
বাপের সঙ্গে পাল্লা দিতে যেয়ো না

প্রথম পৃষ্ঠা

পর্নোগ্রাফিতে যুক্ত দম্পতি সিআইডির অভিযানে গ্রেপ্তার
পর্নোগ্রাফিতে যুক্ত দম্পতি সিআইডির অভিযানে গ্রেপ্তার

পেছনের পৃষ্ঠা

বিপর্যয় কাটবে কীভাবে
বিপর্যয় কাটবে কীভাবে

প্রথম পৃষ্ঠা

আবারও আসতে পারে ১/১১
আবারও আসতে পারে ১/১১

নগর জীবন

আজই সিরিজ নিশ্চিত করতে চান মিরাজরা
আজই সিরিজ নিশ্চিত করতে চান মিরাজরা

মাঠে ময়দানে

প্রেমিকার ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে খুন করেন মাহির
প্রেমিকার ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে খুন করেন মাহির

প্রথম পৃষ্ঠা

যুক্তরাষ্ট্রে হাজিরা দিতে গিয়ে গ্রেপ্তার বাংলাদেশি নারী
যুক্তরাষ্ট্রে হাজিরা দিতে গিয়ে গ্রেপ্তার বাংলাদেশি নারী

পেছনের পৃষ্ঠা

রাজনীতিবিদরা ঐক্য হারিয়ে ফেলছেন
রাজনীতিবিদরা ঐক্য হারিয়ে ফেলছেন

প্রথম পৃষ্ঠা

আমরণ অনশন চলছে
আমরণ অনশন চলছে

পেছনের পৃষ্ঠা

আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে বগুড়াকে সিটি করপোরেশন ঘোষণা
আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে বগুড়াকে সিটি করপোরেশন ঘোষণা

নগর জীবন

পাঁচ মামলায় সাবেক প্রধান বিচারপতির জামিন আবেদন
পাঁচ মামলায় সাবেক প্রধান বিচারপতির জামিন আবেদন

নগর জীবন

ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার আইনজীবীর যুক্তিতর্ক উপস্থাপন
ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার আইনজীবীর যুক্তিতর্ক উপস্থাপন

পেছনের পৃষ্ঠা

আওয়ামী লীগ শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস করেছে
আওয়ামী লীগ শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস করেছে

নগর জীবন

অনলাইন জুয়ায় আসক্ত নাতি গ্রেপ্তার
অনলাইন জুয়ায় আসক্ত নাতি গ্রেপ্তার

নগর জীবন

আদানির বিদ্যুৎ কেন্দ্র এখন গলার কাঁটা
আদানির বিদ্যুৎ কেন্দ্র এখন গলার কাঁটা

পেছনের পৃষ্ঠা

আগাম শীতের সবজি চাষে স্বপ্ন বুনছেন কৃষক
আগাম শীতের সবজি চাষে স্বপ্ন বুনছেন কৃষক

পেছনের পৃষ্ঠা

গণমাধ্যমকর্মী স্বর্ণময়ীর শেষকৃত্য সম্পন্ন অপমৃত্যু মামলা
গণমাধ্যমকর্মী স্বর্ণময়ীর শেষকৃত্য সম্পন্ন অপমৃত্যু মামলা

নগর জীবন

শহীদ জোহার কবর জিয়ারত করলেন রাকসুর নবনির্বাচিত প্রতিনিধিরা
শহীদ জোহার কবর জিয়ারত করলেন রাকসুর নবনির্বাচিত প্রতিনিধিরা

নগর জীবন

নানান আয়োজনে দীপাবলি উদ্যাপিত
নানান আয়োজনে দীপাবলি উদ্যাপিত

পেছনের পৃষ্ঠা