শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, সোমবার, ১৮ জুলাই, ২০১৬ আপডেট:

গণতন্ত্র আমার ভালো লাগে না

প্রভাষ আমিন
Not defined
প্রিন্ট ভার্সন
গণতন্ত্র আমার ভালো লাগে না

অনেকদিন ধরেই গণতন্ত্রের সংখ্যাগরিষ্ঠতার ধারণাটি নিয়ে আমার মধ্যে সংশয় তৈরি হচ্ছিল। ইউরোপীয় ইউনিয়নে থাকা না থাকা নিয়ে, ব্রেক্সিট নামে পরিচিত, যুক্তরাজ্যের গণভোটের পর এ সংশয় কেটে গেছে। আমি এখন নিশ্চিত, সংখ্যাগরিষ্ঠের রায়ের ভিত্তিতে গণতন্ত্রের যে ধারণা, তা অনেকটাই অকার্যকর হয়ে যাবে। গণতন্ত্রের সবচেয়ে জনপ্রিয় ধারণা সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিঙ্কনের, ‘অব দ্য পিপল, বাই দ্য পিপল, ফর দ্য পিপল।’ সবকিছুই জনগণের জন্য— এ ধারণার সঙ্গে একশ ভাগ একমত। তবে সবকিছু, সবসময় জনগণের দ্বারাই হতে হবে কিনা এ নিয়ে আমার দ্বিমত তৈরি হচ্ছে। স্ববিরোধী মনে হতে পারে। তবে আমি নিজে একজন চূড়ান্ত গণতন্ত্রী মানুষ। আমি চাই সব দেশের, সব সরকারের সব করণীয় যেন সাধারণ মানুষের কল্যাণের জন্য হয়। আমি সবসময় ভিন্নমতকে স্বাগত জানাই, সব মতকে ধারণ করে একটি বৈচিত্র্যপূর্ণ সমাজের বিকাশ চাই। আমি রাষ্ট্রবিজ্ঞান পড়িনি। গণতন্ত্রের সংজ্ঞা বইয়ে কী লেখা আছে জানি না। কিন্তু সাধারণভাবে গণতন্ত্র সম্পর্কে ধারণা হলো, সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের মতামতের ভিত্তিতে কোনো কিছু পরিচালনা করা। সেটা রাষ্ট্র হোক বা কোনো সংগঠন হোক। রাষ্ট্র পরিচালনায় গণতন্ত্রের ধারণাটিই এখন বিশ্বে সবচেয়ে জনপ্রিয়। আমরাও বিশ্বাস করি সবচেয়ে খারাপ গণতন্ত্রটাও অন্য যে কোনো ব্যবস্থার চেয়ে ভালো। কিন্তু গণতন্ত্রের প্রাথমিক ধারণাটাই ত্রুটিপূর্ণ। বাংলাদেশে সরকারের মেয়াদ পাঁচ বছর। বিভিন্ন দেশে মেয়াদের রকমফের থাকলেও নির্বাচনের ধরনটা একই। বর্তমান গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় নির্বাচনের মাধ্যমে একটি রাজনৈতিক দলের কাছে দেশকে মোটামুটি লিজ দেওয়া হয়ে যায়। কোনোরকমে একটা নির্বাচন করে ফেলতে পারলে পরের পাঁচ বছর বৈধতার বাতাবরণে তাদের যা ইচ্ছা তাই করার অধিকার জন্মে যায় এবং কখনো কখনো তা করেও। এর জবাবে গণতন্ত্রপন্থিরা বলেন, খারাপ কাজ করলে জনগণ জবাব দেবে। কিন্তু জবাব দেওয়ার জন্য তো জনগণকে পাঁচ বছর অপেক্ষা করতে হবে। আর এ পাঁচ বছর যদি সেই নির্বাচিত গণতান্ত্রিক সরকার জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয় তাহলে জনগণ কী করবে? এর কোনো রক্ষাকবচ প্রচলিত গণতান্ত্রিক ধারণায় নেই। অনেকে বলতে পারেন, সরকার গণবিরোধী কাজ করলে জনগণ রাজপথে নেমে সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করবে। কিন্তু নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত সরকার কি রাজপথের আন্দোলনে পতন ঘটে, না ঘটানো উচিত? কোন মাত্রার আন্দোলন হলে, সেটা সরকার পতনের জন্য যথেষ্ট বিবেচিত হবে? বাংলাদেশে সরকার গঠিত হলো, ধরেন তিন কোটি লোকের ভোটে। কিন্তু পাঁচ লাখ লোক ঢাকার রাস্তায় আন্দোলন করলেই তো মনে হবে, গণঅভ্যুত্থান ঘটে গেছে। এখন তিন কোটি লোকের ভোটে গঠিত সরকার কি পাঁচ লাখ লোকের আন্দোলনে পদত্যাগ করবে, না করা উচিত? অনেকে রাজপথের আন্দোলনের সাফল্য হিসেবে স্বৈরাচারী এরশাদের পতনকে উদাহরণ হিসেবে টানেন। আমি নিজেও স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে একজন মাঠের কর্মী ছিলাম। নিজের যৌবন স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে ব্যয় করতে পেরেছি বলে আমি খুব গর্বিত। কিন্তু এখন আমি জানি, এরশাদের পতন আন্দোলনের কারণে হয়নি। ৯০-এর আন্দোলনের চেয়েও কঠোর আন্দোলন হয়েছিল ৮৭ সালে। ৯০ সালে এরশাদ পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন, আন্দোলনের চাপে নয়, সেনাবাহিনী পেছন থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করে নেওয়ায়। স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের সাফল্যের মূল কৃতিত্ব আসলে তখনকার সেনাপ্রধান জেনারেল নূরউদ্দিনের। তাই আন্দোলনের আশায় বসে থেকে লাভ নেই। আসলে গণতন্ত্র মানে পাঁচ বছরের জন্য একটি দল বা সরকারের কাছে দেশকে জিম্মি করে ফেলা।

গণতন্ত্র মানে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের মত। শুনতে খুব ভালো লাগে। কিন্তু সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ কি সবসময় ভালোটা বেছে নিতে পারে? পারে না। পারে যে না, তার উদাহরণ হলো ব্রেক্সিট। ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ছেড়ে যাওয়া না যাওয়ার প্রশ্নে যুক্তরাজ্যের গণভোট গণতন্ত্রের নিকৃষ্টতম উদাহরণ হিসেবে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের বইয়ে লেখা থাকবে। নিকৃষ্টতম বললাম এ কারণে, নির্বাচনী ভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠরা ভুল করলেও পাঁচ বছর পর তা শোধরানোর সুযোগ থাকে। কিন্তু যুক্তরাজ্যকে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন থেকে বের করে আনার যে রায় দিয়েছে সে দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণ, তা সারাজীবনের জন্য। সম্ভবত এ ভুল শোধরানোর সুযোগ তারা পাবে না। যুক্তরাজ্য ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে গেলে কী হবে এ নিয়ে বিশ্বজুড়ে তোলপাড়, নানা হিসাব-নিকাশ চলছে। তাত্ক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় পাউন্ডের দাম ৩০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে কমে গেছে। শেয়ারবাজারে দরপতন ঘটেছে দেশে দেশে। এর আরও অনেক সুদূরপ্রসারী নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হতে পারে। আমি নিশ্চিত, যুক্তরাজ্যের জাত্যাভিমানী বুড়োরা এ সিদ্ধান্তের জন্য পরে মাথা চাপড়াবে, অনুতাপ করবে। কিন্তু কান্নাকাটি করেও ফেরানো যাবে না। অবশ্য ভোট শেষ হতে না হতেই শুরু হয়ে গেছে কান্নাকাটি। বিচ্ছিন্নতার পক্ষে ভোট দিয়েছেন, এমন অনেকে জানতেনই না ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন কী। ভোটের পর গুগল সার্চ দিয়ে দেখে এখন বলছে, আগে জানলে তারা থাকার পক্ষেই ভোট দিতেন। এতদিন হুজুগে শব্দটার সঙ্গে বাঙালি লিখতাম, আজ থেকে লিখব হুজুগে ব্রিটিশ। গ্রামে-গঞ্জে এখনো খারাপ লোকদের দেখলে বলা হয়, শালা একটা ব্রিটিশ। এতদিন এ গালির পুরোটা বুঝতে পারিনি। এখন বুঝতে পারছি, ব্রিটিশ মানে কী। কিন্তু ইতিমধ্যেই যুক্তরাজ্যে থুক্কু থুক্কু রব উঠেছে। আবার গণভোটের দাবিতে সোচ্চার অনেকেই। মানলাম গণতন্ত্রের রায় সবাইকে মানতে হবে, আমিও মানছি। কিন্তু তাহলে স্কটল্যান্ড, উত্তর আয়ারল্যান্ড, লন্ডন কেন মানবে? তারা তো ইইউতে থাকার পক্ষেই ভোট দিয়েছিল। থাকার পক্ষে ভোট দিলেও, সামষ্টিক ভোটের বিবেচনায় স্কটল্যান্ড, উত্তর আয়ারল্যান্ড ও লন্ডনকেও ইইউ ছেড়ে যেতে হবে। ইতিমধ্যে স্কটল্যান্ডে আবার গণভোটের দাবি উঠেছে। তারা যুক্তরাজ্য থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে ইইউতে থেকে যেতে চায়। একই দাবি উত্তর আয়ারল্যান্ডেও। আর লন্ডনবাসী মেয়রকে বলছেন, লন্ডনকে স্বাধীন ঘোষণা করে ইইউতে থেকে যাওয়ার। পুরো বিষয়টি ছেলেমানুষী মনে হচ্ছে। কিন্তু যুক্তরাজ্যের ইইউ ছেড়ে যাওয়া কোনো ছেলেখেলা নয়। এর সঙ্গে শুধু এক কোটি ৭৪ লাখ জাত্যাভিমানী ব্রিটিশের ভাগ্য জড়িত নয়। বিশ্ব রাজনীতি, অর্থনীতি, সমাজব্যবস্থায় বড় ধরনের ওলট-পালট ঘটবে এতে। সেটা ভালো হবে না মন্দ, তা নিয়ে অনেক আলোচনা হচ্ছে। সেটা ঠিক হবে ভবিষ্যতে।

অনেকেই এ গণভোটকে গণতন্ত্রের সৌন্দর্য হিসেবে দেখছেন। তারা বলছেন, ভালো হোক, মন্দ হোক, জনগণের রায় সবাইকে মেনে নিতে হবে। কিন্তু জনপ্রিয় রায় কি সব সময় কল্যাণকর? জনপ্রিয় সবকিছু কি সবসময় ভালো? সবকিছু কি জনগণের রায়ের ওপর নির্ভর করে করা সম্ভব না করা উচিত? জনপ্রিয় সিনেমা মানেই ক্ল্যাসিক নয়, জনপ্রিয় উপন্যাস মহৎ সাহিত্য না-ও হতে পারে। সবকিছু সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে করা হলে অনেক আগেই বিশ্ব থেকে সংখ্যালঘুরা হারিয়ে যেত। যেমন ধরুন, বাংলাদেশে চাকরির কোটা থাকা না থাকা প্রশ্নে গণভোট হলে কোটা বাতিলের পক্ষে বিপুল জনরায় পাওয়া যাবে। কিন্তু অবহেলিত, সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর পাশে দাঁড়াতে সরকার কিন্তু কোটা ব্যবস্থাই বহাল রেখেছে। বাংলাদেশে গণভোট হলে ক্রসফায়ারের পক্ষেও বিপুল জনরায় পাওয়া যাবে। তাই বলে কি ক্রসফায়ার চলতে দেওয়া উচিত? জনগণের রায়ে গঠিত সরকার, জনগণের কল্যাণে সিদ্ধান্ত নেবে, তবে সব সিদ্ধান্ত যে জনগণের মত নিয়েই নিতে হবে, এমন কোনো কথা নেই।

সব টেকনিক্যাল বিষয়ে কি জনগণ সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারে? যুক্তরাজ্যের ক্ষমতাসীন ও বিরোধী দল ইইউতে থেকে যাওয়ার পক্ষে ছিল। চাইলে তারা পার্লামেন্টে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে পারত। কিন্তু তা না করে, তারা এত গুরুত্বপূর্ণ ওয়ানওয়ে সিদ্ধান্তের দায়িত্ব চাপালেন জনগণের ঘাড়ে। গণতন্ত্রে এক ধরনের প্রতারণাও আছে। নির্বাচনের আগে জনগণের সামনে সত্য-মিথ্যা, সম্ভব-অসম্ভব অনেক প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। নির্বাচনের পর রাজনীতিবিদরা যা ভুলে যান। যেমন বাংলাদেশে নির্বাচন এলেই সবাই খুব ধার্মিক হয়ে যান। কোন দল ক্ষমতায় গেলে মসজিদে আজানের বদলে উলুধ্বনি হবে, কোন দল ক্ষমতায় গেলে মদিনা সনদে দেশ চালাবে; এ নিয়ে রীতিমতো প্রতিযোগিতা হয়। যুক্তরাজ্যের লোকদেরও বোঝানো হয়েছিল, ইইউতে থাকলে অভিবাসীদের স্রোত ব্রিটিশ ঐতিহ্যকে ধ্বংস করে দেবে, ইইউ থেকে বেরিয়ে এলে নাকি স্বাস্থ্যবীমা খাতে অর্থের ঢল নামবে। কিন্তু ভোটের পরদিনই ব্রেক্সিটের মূল হোতা ইউকে ইন্ডিপেন্ডেন্ট দলের নেতা নাইজেল ফারাজ স্বীকার করেছেন স্বাস্থ্যবীমা খাতে অর্থের প্রতিশ্রুতিটা ভুল ছিল। এখন এই ভুল প্রতিশ্রুতি দেওয়ার কারণে কি নির্বাচনের ফলাফল বদলে যাবে, নাকি সাজা হবে ফারাজের? গণতন্ত্রের আরেকটা বড় ত্রুটি হলো, যার কাছে টাকা বেশি, নির্বাচনী প্রচারণায় যিনি বেশি খরচ করতে পারেন, তার জয়ের সম্ভাবনা বেশি। তাই যৌক্তিক অবস্থানে থেকেও অনেকে ট্যাক দুর্বল থাকলে হেরে যেতে পারেন। বাংলাদেশে ড. কামালরা বারবার হেরে যান খালেকদের কাছে। তৃতীয় বিশ্বে অর্থের সঙ্গে যোগ হয় অস্ত্র, পেশিশক্তি। অর্থ আর অস্ত্র গণতন্ত্রের রায় নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড় ত্রুটি, অন্তত ব্রেক্সিটের ক্ষেত্রে, হলো পক্ষে-বিপক্ষে ভোট। ৫১.৯ শতাংশ মানে এক কোটি ৭৪ লাখ ১০ হাজার মানুষের ভোটে যুক্তরাজ্য ইইউ থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু ৪৮.১ শতাংশ মানুষ মানে এক কোটি ৬১ লাখ ৪১ হাজার জন যে থেকে যেতে চাইলেন, তাদের মতের কি কোনো দাম নেই?

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর কল্যাণকর বিশ্ব গড়ার যে ধারণা থেকে ছয়টি দেশ মিলে ১৯৫২ সালে গড়ে তুলেছিল ইউরোপিয়ান কোল অ্যান্ড স্টিল কমিউনিটি, ১৯৫৭ সালে তা পরিণত হয় ইউরোপিয়ান ইকোনমিক কমিউনিটি-ইইসিতে। আর ১৯৯৩ সালে পূর্ণাঙ্গ রূপ পায় আজকের ২৮ রাষ্ট্রের ইউরোপিয়ান ইউনিয়নে। যুক্তরাজ্য ১৯৭৩ সালে রীতিমতো আবেদন করে এ জোটে যোগ দিয়েছিল। ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের ২৮ রাষ্ট্রের সবগুলোর অর্থনৈতিক সামর্থ্য সমান নয়, রয়েছে নানা বৈষম্যও। ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন এ বৈষম্য কমিয়ে এক ধরনের সমতা আনার চেষ্টা করেছে। তাতে বড় দেশগুলোকে কিছুটা ছাড় দিতে হয়। এখানেই ব্রিটিশরা স্বার্থপরতার পরিচয় দিল। যখন বুঝে গেল তাদের লাভ কম, অন্যদের লাভ বেশি, তখনই গণভোট। নগদ লাভ-ক্ষতিটাই তাদের চোখে পড়েছে। একসঙ্গে থাকলে যে দারুণ একটা শক্তি হিসেবে এগোতে পারে ইউরোপ, সেটা মাথায়ই আসেনি মাথামোটা ব্রিটিশ বুড়োদের। বুড়োদের বললাম, কারণ গণভোটে তরুণরা ভোট দিয়েছিল ইইউতে থাকার পক্ষে, আর বুড়োরা ছিল বিপক্ষে। এ গণভোটের সবচেয়ে অমানবিক দিক হলো, অভিবাসীদের স্রোতে বাঁধ দিতেই যুক্তরাজ্য নিজেদের বিচ্ছিন্ন করে ফেলতে চেয়েছে। কেউ ইচ্ছা করে নিজেদের শিকড় ছেড়ে উদ্বাস্তু হয় না। বিশ্ব রাজনীতি আর অর্থনৈতিক বৈষম্যই তাদের বাধ্য করে। আমি বলছি না, সব উদ্বাস্তুর জন্য সব দেশের সীমান্ত খুলে দিতে হবে। কিন্তু সাম্প্রতিক অভিবাসন ইস্যুতে জার্মানি যতটা মানবিকতার পরিচয় দিতে পেরেছে, ব্রিটিশরা নিজেদের ততটাই অমানবিক ও স্বার্থপর প্রমাণ করেছে। ২৬০ বছর আগে ১৭৫৭ সালে পলাশীর আম্রকাননে অস্ত গিয়েছিল বাংলার স্বাধীনতার সূর্য। সেদিন জয় হয়েছিল ব্রিটিশদের ষড়যন্ত্র, বিশ্বাসঘাতকতার। তাদের বাণিজ্য দণ্ড পরিণত হয়েছিল রাজদণ্ডে। ২৬০ বছর পর আবার ২৩ জুন, নাইজেল ফারাজে একে দাবি করলেন যুক্তরাজ্যের নতুন স্বাধীনতা দিবস হিসেবে। স্বাধীনতা বটে; তবে এ স্বাধীনতা স্বার্থপরতার, অমানবিকতার, বিচ্ছিন্নতার, আত্মমুখিতার, আত্মমগ্নতার। একশ বছর আগেও ব্রিটিশ সাম্রাজ্যে সূর্য অস্ত যেত না। আর আজ যুক্তরাজ্য গুটিয়ে নিতে নিতে নিজেদের ঘরবন্দী করে ফেলছে। আমার শঙ্কা, এ গণভোট যে বিচ্ছিন্নতার যাত্রা শুরু করল, তা ভেঙে দিতে পারে যুক্তরাজ্যকেও। স্কটল্যান্ড আর উত্তর আয়ারল্যান্ডের স্বাধীনতার দাবি এখন আরও উচ্চকিত। থাকুক ব্রিটিশরা জগৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে নিজেদের ঘরে, সব সমস্যা থেকে নিজেদের আড়াল করে উটপাখির মতো বালিতে মুখ বুজে। এ গণভোট উসকে দিল উগ্র জাতীয়তাবাদ ও অন্ধ বর্ণবাদ। আটলান্টিকের ওপাড়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প যে উগ্র জাতীয়তাবাদের ধুয়া তুলে নির্বাচনী বৈতরণী পার হতে চাইছেন, যুক্তরাজ্যেও গণভোটে জয় হলো সেই ধারণারই। কিন্তু অভিজাত নীল রক্তের জয়ের কথা ভেবে যারা উত্ফুল্ল, তারা বোকার সপ্তম স্বর্গে বাস করছেন। এখন বিশ্ব হলো, পাশে পাশে থাকার; এক দেশ আরেক দেশকে টেনে তোলার। এখন সময় বিচ্ছিন্নতার নয়, আঞ্চলিক ঐক্যের। এখন প্রতিযোগিতার ধারণাটাই বদলে গেছে। এখন গোটা বিশ্ব একটা গ্রাম।

বলছিলাম গণতন্ত্রের কথা। দৃশ্যমান গণতন্ত্র আর গণতান্ত্রিক চেতনা এক নয়। এই যেমন রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক হলেও কোনো দলেই গণতন্ত্র নেই। আওয়ামী লীগে শেখ হাসিনা আর বিএনপিতে বেগম খালেদা জিয়াই শেষ কথা। এ নিয়ে আমরা অনেক সমালোচনা করি। কিন্তু বাস্তবতা হলো, যতবার ভোট হবে, ততবারই তো নিজ নিজ দলে হাসিনা বা খালেদাই জিতবেন। তাহলে কি প্রতিবার ভোটের আয়োজন করতে হবে? হলে ভালো, না হলেই যে গণতন্ত্র ধ্বংস হয়ে যাবে, তা নয়। গণতান্ত্রিক চেতনাটাই আসল। গত ২৩ জুন আওয়ামী  লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে দৈনিক প্রথম আলোয় মহিউদ্দিন আহমদের একটি লেখায় বাংলাদেশে ‘গণতন্ত্রের মানসপুত্র’ হিসেবে পরিচিত হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী প্রসঙ্গে একটি কথা পড়ে চমকে গেছি। উদ্ধৃত করছি, ‘১৯৫৪ সালের ডিসেম্বরে পাকিস্তান আওয়ামী লীগের সভাপতি সোহরাওয়ার্দী দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে মোহাম্মদ আলীর মন্ত্রিপরিষদে যোগ দিয়েছিলেন। মন্ত্রিত্ব নেওয়ার পর এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছিলেন, ‘আওয়ামী লীগ আবার কী? আমিই আওয়ামী লীগ।’

সাংবাদিক আবার প্রশ্ন করলেন, ‘এটা কি আওয়ামী লীগের ম্যানিফেস্টো বিরোধী না?’ সোহরাওয়ার্দীর জবাব ছিল, ‘আমিই আওয়ামী লীগের ম্যানিফেস্টো।’ এ হলো আমাদের গণতন্ত্রের মানসপুত্রের গণতান্ত্রিক চেতনা! এটা মোটেই গণতন্ত্র নয়। আবার শেখ হাসিনা ২০০৮ সালে নির্বাচনে ভূমিধস জয় পাওয়ার পর প্রথম সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, ‘বিরোধী দলকে আমি সংখ্যা দিয়ে গুনব না।’ যদিও শেখ হাসিনা পরে তার এ অঙ্গীকারে স্থির থাকেননি বা থাকতে পারেননি। তবে এটাই হলো গণতন্ত্রের আসল চেতনা। তবে আমি গণতন্ত্রের শেষ কথা মানি বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের একটি লাইনকে, ‘আমি বললাম, এসেম্বলির মধ্যে আলোচনা করবো, এমনকি আমি এ পর্যন্তও বললাম, যদি কেউ ন্যায্য কথা বলে, আমরা সংখ্যায় বেশি হলেও, একজনও যদি হয় সে, তার ন্যায্য কথা আমরা মেনে নেবো।’ এটাই গণতন্ত্র। গণতন্ত্র মানে নিছক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নয়, গণতন্ত্র হলো ন্যায্যতা, গণতন্ত্র মানে জনগণের কল্যাণ।

     লেখক : সাংবাদিক।

     [email protected]

এই বিভাগের আরও খবর
ভীতিকর ভূমিকম্প
ভীতিকর ভূমিকম্প
তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল
তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল
ইসলাম ন্যায়বিচারে উৎসাহিত করে
ইসলাম ন্যায়বিচারে উৎসাহিত করে
ডলফিন বাঁচবে কী করে
ডলফিন বাঁচবে কী করে
নগরের ছাদে সবুজ বিপ্লব
নগরের ছাদে সবুজ বিপ্লব
আমরা কোন রাজনীতির কথা ভাবছি
আমরা কোন রাজনীতির কথা ভাবছি
নদী দখল-দূষণ
নদী দখল-দূষণ
অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানি
অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানি
ঝুঁকিপূর্ণ জনবিস্ফোরণ
ঝুঁকিপূর্ণ জনবিস্ফোরণ
খতমে নবুয়ত ইমানের অংশ
খতমে নবুয়ত ইমানের অংশ
বেরুলা বাঁচানো সময়ের দাবি
বেরুলা বাঁচানো সময়ের দাবি
সশস্ত্র বাহিনী দিবসের প্রেক্ষাপট ও বাস্তবতা
সশস্ত্র বাহিনী দিবসের প্রেক্ষাপট ও বাস্তবতা
সর্বশেষ খবর
আলজারি-শামারের চোটে উইন্ডিজ দলে রোচ
আলজারি-শামারের চোটে উইন্ডিজ দলে রোচ

১৬ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

বিএনপির রাজনীতিতে সব ধর্মের প্রতি সম্মান আছে : এ্যানী
বিএনপির রাজনীতিতে সব ধর্মের প্রতি সম্মান আছে : এ্যানী

৫৭ মিনিট আগে | রাজনীতি

কুষ্টিয়ায় কৃষককে গুলি করে হত্যা, আহত ১
কুষ্টিয়ায় কৃষককে গুলি করে হত্যা, আহত ১

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মোহাম্মদপুরের শীর্ষ ছিনতাইকারী পিচ্চি আবির গ্রেফতার
মোহাম্মদপুরের শীর্ষ ছিনতাইকারী পিচ্চি আবির গ্রেফতার

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

জনগণের ভালো থাকাই আমাদের মূল এজেন্ডা
জনগণের ভালো থাকাই আমাদের মূল এজেন্ডা

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভূমিকম্প আতঙ্কে হল থেকে লাফ, ঢাবির ২১ শিক্ষার্থী আহত
ভূমিকম্প আতঙ্কে হল থেকে লাফ, ঢাবির ২১ শিক্ষার্থী আহত

৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ইসলাম ন্যায়বিচারে উৎসাহিত করে
ইসলাম ন্যায়বিচারে উৎসাহিত করে

৪ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

আমরা কোন রাজনীতির কথা ভাবছি
আমরা কোন রাজনীতির কথা ভাবছি

৪ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

জবি শিক্ষার্থীকে হেনস্তা, অভিযুক্তকে খুঁজতে গিয়ে আরেক হেনস্তাকারী আটক
জবি শিক্ষার্থীকে হেনস্তা, অভিযুক্তকে খুঁজতে গিয়ে আরেক হেনস্তাকারী আটক

৫ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

উরুর চোটে মাঠের বাইরে আর্সেনাল ডিফেন্ডার গ্যাব্রিয়েল
উরুর চোটে মাঠের বাইরে আর্সেনাল ডিফেন্ডার গ্যাব্রিয়েল

৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

রাজধানীতে বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে আগুন, পুড়ল দোকান
রাজধানীতে বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে আগুন, পুড়ল দোকান

৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ঢাকায় ভূমিকম্পে জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্রের সমবেদনা
ঢাকায় ভূমিকম্পে জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্রের সমবেদনা

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে ঢাকায় ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের তালিকা প্রকাশ
ভূমিকম্পে ঢাকায় ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের তালিকা প্রকাশ

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নারায়ণগঞ্জ জেলায় ভূমিকম্পে শিশুর মৃত্যু, আহত ২৪
নারায়ণগঞ্জ জেলায় ভূমিকম্পে শিশুর মৃত্যু, আহত ২৪

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শেকৃবিতে ছাত্রদলের ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প
শেকৃবিতে ছাত্রদলের ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প

৬ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

যাত্রাবাড়ীতে নবীউল্লাহ নবীর গণসংযোগ
যাত্রাবাড়ীতে নবীউল্লাহ নবীর গণসংযোগ

৭ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

রাজধানীতে পরিবার পরিকল্পনা কর্মীদের অবস্থান কর্মসূচি
রাজধানীতে পরিবার পরিকল্পনা কর্মীদের অবস্থান কর্মসূচি

৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

এআই অবকাঠামোতে বিনিয়োগ বাড়াতে বড় প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর রেকর্ড ঋণ গ্রহণ
এআই অবকাঠামোতে বিনিয়োগ বাড়াতে বড় প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর রেকর্ড ঋণ গ্রহণ

৭ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

‌‘তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে হাসিনার বিচার হয়েছে, তবে আপিলের সুযোগ আছে’
‌‘তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে হাসিনার বিচার হয়েছে, তবে আপিলের সুযোগ আছে’

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রুয়েট প্রাক্তন ছাত্রদল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি তুষার, সাধারণ সম্পাদক আহসান
রুয়েট প্রাক্তন ছাত্রদল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি তুষার, সাধারণ সম্পাদক আহসান

৭ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

পোস্টাল ভোটিং: দুই দিনে সাড়ে ৬ হাজার নিবন্ধন
পোস্টাল ভোটিং: দুই দিনে সাড়ে ৬ হাজার নিবন্ধন

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

একসঙ্গে সহকারী অধ্যাপক হলেন ১৮৭০ শিক্ষক
একসঙ্গে সহকারী অধ্যাপক হলেন ১৮৭০ শিক্ষক

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মোটরসাইকেল না পেয়ে বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ, তরুণ কারাগারে
মোটরসাইকেল না পেয়ে বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ, তরুণ কারাগারে

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শেষ বলের ভুলে ক্ষমা চাইলেন আকবর
শেষ বলের ভুলে ক্ষমা চাইলেন আকবর

৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

পারমাণবিক বিস্ফোরণ-সহনশীল ভাসমান কৃত্রিম দ্বীপ নির্মাণ করছে চীন
পারমাণবিক বিস্ফোরণ-সহনশীল ভাসমান কৃত্রিম দ্বীপ নির্মাণ করছে চীন

৮ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

চট্টগ্রামে ভূমিকম্পে হেলে পড়েছে ভবন
চট্টগ্রামে ভূমিকম্পে হেলে পড়েছে ভবন

৮ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বসুন্ধরা ইনডোর টেনিস কোর্টে দুই দিনব্যাপী চাইনিজ ব্যাডমিন্টন উৎসব
বসুন্ধরা ইনডোর টেনিস কোর্টে দুই দিনব্যাপী চাইনিজ ব্যাডমিন্টন উৎসব

৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের জন্য নতুন সতর্কবার্তা
হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের জন্য নতুন সতর্কবার্তা

৮ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

ফটিকছড়িতে শিল্প জোন করা হবে : সরওয়ার আলমগীর
ফটিকছড়িতে শিল্প জোন করা হবে : সরওয়ার আলমগীর

৮ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

স্বামীর খোঁজ নেই, ৩ বছরের দেবরকে নিয়ে লাপাত্তা গৃহবধূ
স্বামীর খোঁজ নেই, ৩ বছরের দেবরকে নিয়ে লাপাত্তা গৃহবধূ

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত
ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্প : রাজধানীতে রেলিং ভেঙে ৩ জন নিহত
ভূমিকম্প : রাজধানীতে রেলিং ভেঙে ৩ জন নিহত

১৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

‘দেশে ৩০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় ভূমিকম্প, শক্তি হিরোশিমা বোমার সমান’
‘দেশে ৩০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় ভূমিকম্প, শক্তি হিরোশিমা বোমার সমান’

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে দেশের ৭টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ
ভূমিকম্পে দেশের ৭টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০
ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে বাড্ডায় হেলে পড়ল ভবন
ভূমিকম্পে বাড্ডায় হেলে পড়ল ভবন

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে দেশের বিভিন্ন স্থানের ক্ষয়ক্ষতির তথ্য জানাল ফায়ার সার্ভিস
ভূমিকম্পে দেশের বিভিন্ন স্থানের ক্ষয়ক্ষতির তথ্য জানাল ফায়ার সার্ভিস

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত আরমানিটোলা, ধসে পড়েছে ভবনের একাংশ
ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত আরমানিটোলা, ধসে পড়েছে ভবনের একাংশ

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এটি বড় ভূমিকম্পের আগাম বার্তা: গবেষক আনসারী
এটি বড় ভূমিকম্পের আগাম বার্তা: গবেষক আনসারী

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টা ও বিএনপি চেয়ারপারসনের সৌজন্য সাক্ষাৎ
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টা ও বিএনপি চেয়ারপারসনের সৌজন্য সাক্ষাৎ

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পের সময় হুড়োহুড়ি করে নামতে গিয়ে শতাধিক শ্রমিক আহত
ভূমিকম্পের সময় হুড়োহুড়ি করে নামতে গিয়ে শতাধিক শ্রমিক আহত

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ৬, আহত শতাধিক
ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ৬, আহত শতাধিক

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যুদ্ধ বন্ধে মার্কিন পরিকল্পনা মানতে রাজি জেলেনস্কি
যুদ্ধ বন্ধে মার্কিন পরিকল্পনা মানতে রাজি জেলেনস্কি

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নাটকীয় সুপার ওভারে ভারতকে হারিয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ
নাটকীয় সুপার ওভারে ভারতকে হারিয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

আজ সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন বেগম খালেদা জিয়া
আজ সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন বেগম খালেদা জিয়া

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্প : ঢাবি শিক্ষার্থীসহ ২১ জন ঢামেকে
ভূমিকম্প : ঢাবি শিক্ষার্থীসহ ২১ জন ঢামেকে

১৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ভূমিকম্পে ঢাকায় ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের তালিকা প্রকাশ
ভূমিকম্পে ঢাকায় ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের তালিকা প্রকাশ

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্প নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বার্তা
ভূমিকম্প নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বার্তা

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অ্যাশেজে ইতিহাসে লিখল বাংলাদেশ
অ্যাশেজে ইতিহাসে লিখল বাংলাদেশ

১৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ভূমিকম্পে দেয়াল ধসে নবজাতকের মৃত্যু, মাসহ আহত ২
ভূমিকম্পে দেয়াল ধসে নবজাতকের মৃত্যু, মাসহ আহত ২

১৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

কেন ভূমিকম্পের পূর্বাভাস দেয়া যায় না?
কেন ভূমিকম্পের পূর্বাভাস দেয়া যায় না?

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে কন্ট্রোল রুম চালু করলো সরকার
ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে কন্ট্রোল রুম চালু করলো সরকার

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদী জেলায় যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে
ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদী জেলায় যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বিএনপির ৫৫ নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার
বিএনপির ৫৫ নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার

২১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদীতে একজনের মৃত্যু, আহত অর্ধশত
ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদীতে একজনের মৃত্যু, আহত অর্ধশত

১৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ফের উত্তপ্ত নেপাল, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী সুশীলার
ফের উত্তপ্ত নেপাল, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী সুশীলার

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শিক্ষা ক্যাডারে বড় পদোন্নতি, সহকারী অধ্যাপক হলেন ১৮৭০ জন
শিক্ষা ক্যাডারে বড় পদোন্নতি, সহকারী অধ্যাপক হলেন ১৮৭০ জন

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে কাঁপল কলকাতাও
ভূমিকম্পে কাঁপল কলকাতাও

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাজধানীতে বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে আগুন, পুড়ল দোকান
রাজধানীতে বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে আগুন, পুড়ল দোকান

৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ: মার্কিন শান্তি প্রস্তাব মানবে না ইউরোপ
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ: মার্কিন শান্তি প্রস্তাব মানবে না ইউরোপ

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
লন্ডভন্ড উৎপত্তিস্থল নরসিংদী
লন্ডভন্ড উৎপত্তিস্থল নরসিংদী

প্রথম পৃষ্ঠা

পুলিশের নতুন পোশাক নিয়ে আলোচনা চলছেই
পুলিশের নতুন পোশাক নিয়ে আলোচনা চলছেই

পেছনের পৃষ্ঠা

ভয়ংকর ঝুঁকিতে পুরান ঢাকা সিলেট ও চট্টগ্রাম
ভয়ংকর ঝুঁকিতে পুরান ঢাকা সিলেট ও চট্টগ্রাম

প্রথম পৃষ্ঠা

৭০০ উইকেটের স্বপ্ন তাইজুলের
৭০০ উইকেটের স্বপ্ন তাইজুলের

মাঠে ময়দানে

শাবনূরকে নিয়ে অশান্তি চলত সালমানের সংসারে : লিমা
শাবনূরকে নিয়ে অশান্তি চলত সালমানের সংসারে : লিমা

শোবিজ

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

সেই শাবানা এই শাবানা
সেই শাবানা এই শাবানা

শোবিজ

প্রশাসনিক চাঁদাবাজি
প্রশাসনিক চাঁদাবাজি

প্রথম পৃষ্ঠা

সুস্থ জীবনের জন্য হাফ ম্যারাথন
সুস্থ জীবনের জন্য হাফ ম্যারাথন

মাঠে ময়দানে

পার্থে এক দিনে ১৯ উইকেটের পতন
পার্থে এক দিনে ১৯ উইকেটের পতন

মাঠে ময়দানে

ভূমিকম্পে কাঁপল দেশ
ভূমিকম্পে কাঁপল দেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

হাস্যোজ্জ্বল খালেদা জিয়া সেনাকুঞ্জে
হাস্যোজ্জ্বল খালেদা জিয়া সেনাকুঞ্জে

প্রথম পৃষ্ঠা

বিদেশিদের বন্দর ইজারা হুমকিস্বরূপ
বিদেশিদের বন্দর ইজারা হুমকিস্বরূপ

নগর জীবন

সেই কলমতর
সেই কলমতর

শোবিজ

আলোছায়ায় মেহজাবীন
আলোছায়ায় মেহজাবীন

শোবিজ

বাংলাদেশের পদক নিশ্চিত করার ম্যাচ
বাংলাদেশের পদক নিশ্চিত করার ম্যাচ

মাঠে ময়দানে

মেয়েদের আইপিএল নিলামে বাংলাদেশের তিন ক্রিকেটার
মেয়েদের আইপিএল নিলামে বাংলাদেশের তিন ক্রিকেটার

মাঠে ময়দানে

সিরাজগঞ্জ দিনাজপুরে ফুটবল উৎসব
সিরাজগঞ্জ দিনাজপুরে ফুটবল উৎসব

মাঠে ময়দানে

বসুন্ধরা ইনডোর টেনিস কোর্টে চায়নিজ ব্যাডমিন্টন উৎসব
বসুন্ধরা ইনডোর টেনিস কোর্টে চায়নিজ ব্যাডমিন্টন উৎসব

মাঠে ময়দানে

লাউয়ের গ্রাম লালমতি
লাউয়ের গ্রাম লালমতি

শনিবারের সকাল

নষ্ট যন্ত্রে বেহাল স্বাস্থ্যসেবা
নষ্ট যন্ত্রে বেহাল স্বাস্থ্যসেবা

পেছনের পৃষ্ঠা

অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখর চরবিজয়
অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখর চরবিজয়

পেছনের পৃষ্ঠা

সুষ্ঠু নির্বাচনে সশস্ত্র বাহিনীকে ভূমিকা রাখতে হবে  - প্রধান উপদেষ্টা
সুষ্ঠু নির্বাচনে সশস্ত্র বাহিনীকে ভূমিকা রাখতে হবে - প্রধান উপদেষ্টা

প্রথম পৃষ্ঠা

ব্রিটেনে নতুন ইমিগ্রেশন নীতি, বাংলাদেশিদের জন্য দুঃস্বপ্ন
ব্রিটেনে নতুন ইমিগ্রেশন নীতি, বাংলাদেশিদের জন্য দুঃস্বপ্ন

পেছনের পৃষ্ঠা

চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন তোফায়েল আহমেদের স্ত্রী
চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন তোফায়েল আহমেদের স্ত্রী

নগর জীবন

গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই
গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই

নগর জীবন

সবজির সরবরাহ বাড়লেও দাম চড়া, বাড়ছে পিঁয়াজের ঝাঁজ
সবজির সরবরাহ বাড়লেও দাম চড়া, বাড়ছে পিঁয়াজের ঝাঁজ

পেছনের পৃষ্ঠা

ভূমিকম্পে ভয়ে ৮০ জন নারী অজ্ঞান
ভূমিকম্পে ভয়ে ৮০ জন নারী অজ্ঞান

নগর জীবন

জিএসপি টার্গেটে সাত দেশ
জিএসপি টার্গেটে সাত দেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

ঝিনাইগাতীতে তিন দিনব্যাপী ওয়ানগালা উৎসব শুরু
ঝিনাইগাতীতে তিন দিনব্যাপী ওয়ানগালা উৎসব শুরু

পেছনের পৃষ্ঠা