শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, সোমবার, ১৮ জুলাই, ২০১৬ আপডেট:

গণতন্ত্র আমার ভালো লাগে না

প্রভাষ আমিন
Not defined
প্রিন্ট ভার্সন
গণতন্ত্র আমার ভালো লাগে না

অনেকদিন ধরেই গণতন্ত্রের সংখ্যাগরিষ্ঠতার ধারণাটি নিয়ে আমার মধ্যে সংশয় তৈরি হচ্ছিল। ইউরোপীয় ইউনিয়নে থাকা না থাকা নিয়ে, ব্রেক্সিট নামে পরিচিত, যুক্তরাজ্যের গণভোটের পর এ সংশয় কেটে গেছে। আমি এখন নিশ্চিত, সংখ্যাগরিষ্ঠের রায়ের ভিত্তিতে গণতন্ত্রের যে ধারণা, তা অনেকটাই অকার্যকর হয়ে যাবে। গণতন্ত্রের সবচেয়ে জনপ্রিয় ধারণা সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিঙ্কনের, ‘অব দ্য পিপল, বাই দ্য পিপল, ফর দ্য পিপল।’ সবকিছুই জনগণের জন্য— এ ধারণার সঙ্গে একশ ভাগ একমত। তবে সবকিছু, সবসময় জনগণের দ্বারাই হতে হবে কিনা এ নিয়ে আমার দ্বিমত তৈরি হচ্ছে। স্ববিরোধী মনে হতে পারে। তবে আমি নিজে একজন চূড়ান্ত গণতন্ত্রী মানুষ। আমি চাই সব দেশের, সব সরকারের সব করণীয় যেন সাধারণ মানুষের কল্যাণের জন্য হয়। আমি সবসময় ভিন্নমতকে স্বাগত জানাই, সব মতকে ধারণ করে একটি বৈচিত্র্যপূর্ণ সমাজের বিকাশ চাই। আমি রাষ্ট্রবিজ্ঞান পড়িনি। গণতন্ত্রের সংজ্ঞা বইয়ে কী লেখা আছে জানি না। কিন্তু সাধারণভাবে গণতন্ত্র সম্পর্কে ধারণা হলো, সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের মতামতের ভিত্তিতে কোনো কিছু পরিচালনা করা। সেটা রাষ্ট্র হোক বা কোনো সংগঠন হোক। রাষ্ট্র পরিচালনায় গণতন্ত্রের ধারণাটিই এখন বিশ্বে সবচেয়ে জনপ্রিয়। আমরাও বিশ্বাস করি সবচেয়ে খারাপ গণতন্ত্রটাও অন্য যে কোনো ব্যবস্থার চেয়ে ভালো। কিন্তু গণতন্ত্রের প্রাথমিক ধারণাটাই ত্রুটিপূর্ণ। বাংলাদেশে সরকারের মেয়াদ পাঁচ বছর। বিভিন্ন দেশে মেয়াদের রকমফের থাকলেও নির্বাচনের ধরনটা একই। বর্তমান গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় নির্বাচনের মাধ্যমে একটি রাজনৈতিক দলের কাছে দেশকে মোটামুটি লিজ দেওয়া হয়ে যায়। কোনোরকমে একটা নির্বাচন করে ফেলতে পারলে পরের পাঁচ বছর বৈধতার বাতাবরণে তাদের যা ইচ্ছা তাই করার অধিকার জন্মে যায় এবং কখনো কখনো তা করেও। এর জবাবে গণতন্ত্রপন্থিরা বলেন, খারাপ কাজ করলে জনগণ জবাব দেবে। কিন্তু জবাব দেওয়ার জন্য তো জনগণকে পাঁচ বছর অপেক্ষা করতে হবে। আর এ পাঁচ বছর যদি সেই নির্বাচিত গণতান্ত্রিক সরকার জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয় তাহলে জনগণ কী করবে? এর কোনো রক্ষাকবচ প্রচলিত গণতান্ত্রিক ধারণায় নেই। অনেকে বলতে পারেন, সরকার গণবিরোধী কাজ করলে জনগণ রাজপথে নেমে সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করবে। কিন্তু নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত সরকার কি রাজপথের আন্দোলনে পতন ঘটে, না ঘটানো উচিত? কোন মাত্রার আন্দোলন হলে, সেটা সরকার পতনের জন্য যথেষ্ট বিবেচিত হবে? বাংলাদেশে সরকার গঠিত হলো, ধরেন তিন কোটি লোকের ভোটে। কিন্তু পাঁচ লাখ লোক ঢাকার রাস্তায় আন্দোলন করলেই তো মনে হবে, গণঅভ্যুত্থান ঘটে গেছে। এখন তিন কোটি লোকের ভোটে গঠিত সরকার কি পাঁচ লাখ লোকের আন্দোলনে পদত্যাগ করবে, না করা উচিত? অনেকে রাজপথের আন্দোলনের সাফল্য হিসেবে স্বৈরাচারী এরশাদের পতনকে উদাহরণ হিসেবে টানেন। আমি নিজেও স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে একজন মাঠের কর্মী ছিলাম। নিজের যৌবন স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে ব্যয় করতে পেরেছি বলে আমি খুব গর্বিত। কিন্তু এখন আমি জানি, এরশাদের পতন আন্দোলনের কারণে হয়নি। ৯০-এর আন্দোলনের চেয়েও কঠোর আন্দোলন হয়েছিল ৮৭ সালে। ৯০ সালে এরশাদ পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন, আন্দোলনের চাপে নয়, সেনাবাহিনী পেছন থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করে নেওয়ায়। স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের সাফল্যের মূল কৃতিত্ব আসলে তখনকার সেনাপ্রধান জেনারেল নূরউদ্দিনের। তাই আন্দোলনের আশায় বসে থেকে লাভ নেই। আসলে গণতন্ত্র মানে পাঁচ বছরের জন্য একটি দল বা সরকারের কাছে দেশকে জিম্মি করে ফেলা।

গণতন্ত্র মানে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের মত। শুনতে খুব ভালো লাগে। কিন্তু সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ কি সবসময় ভালোটা বেছে নিতে পারে? পারে না। পারে যে না, তার উদাহরণ হলো ব্রেক্সিট। ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ছেড়ে যাওয়া না যাওয়ার প্রশ্নে যুক্তরাজ্যের গণভোট গণতন্ত্রের নিকৃষ্টতম উদাহরণ হিসেবে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের বইয়ে লেখা থাকবে। নিকৃষ্টতম বললাম এ কারণে, নির্বাচনী ভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠরা ভুল করলেও পাঁচ বছর পর তা শোধরানোর সুযোগ থাকে। কিন্তু যুক্তরাজ্যকে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন থেকে বের করে আনার যে রায় দিয়েছে সে দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণ, তা সারাজীবনের জন্য। সম্ভবত এ ভুল শোধরানোর সুযোগ তারা পাবে না। যুক্তরাজ্য ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে গেলে কী হবে এ নিয়ে বিশ্বজুড়ে তোলপাড়, নানা হিসাব-নিকাশ চলছে। তাত্ক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় পাউন্ডের দাম ৩০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে কমে গেছে। শেয়ারবাজারে দরপতন ঘটেছে দেশে দেশে। এর আরও অনেক সুদূরপ্রসারী নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হতে পারে। আমি নিশ্চিত, যুক্তরাজ্যের জাত্যাভিমানী বুড়োরা এ সিদ্ধান্তের জন্য পরে মাথা চাপড়াবে, অনুতাপ করবে। কিন্তু কান্নাকাটি করেও ফেরানো যাবে না। অবশ্য ভোট শেষ হতে না হতেই শুরু হয়ে গেছে কান্নাকাটি। বিচ্ছিন্নতার পক্ষে ভোট দিয়েছেন, এমন অনেকে জানতেনই না ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন কী। ভোটের পর গুগল সার্চ দিয়ে দেখে এখন বলছে, আগে জানলে তারা থাকার পক্ষেই ভোট দিতেন। এতদিন হুজুগে শব্দটার সঙ্গে বাঙালি লিখতাম, আজ থেকে লিখব হুজুগে ব্রিটিশ। গ্রামে-গঞ্জে এখনো খারাপ লোকদের দেখলে বলা হয়, শালা একটা ব্রিটিশ। এতদিন এ গালির পুরোটা বুঝতে পারিনি। এখন বুঝতে পারছি, ব্রিটিশ মানে কী। কিন্তু ইতিমধ্যেই যুক্তরাজ্যে থুক্কু থুক্কু রব উঠেছে। আবার গণভোটের দাবিতে সোচ্চার অনেকেই। মানলাম গণতন্ত্রের রায় সবাইকে মানতে হবে, আমিও মানছি। কিন্তু তাহলে স্কটল্যান্ড, উত্তর আয়ারল্যান্ড, লন্ডন কেন মানবে? তারা তো ইইউতে থাকার পক্ষেই ভোট দিয়েছিল। থাকার পক্ষে ভোট দিলেও, সামষ্টিক ভোটের বিবেচনায় স্কটল্যান্ড, উত্তর আয়ারল্যান্ড ও লন্ডনকেও ইইউ ছেড়ে যেতে হবে। ইতিমধ্যে স্কটল্যান্ডে আবার গণভোটের দাবি উঠেছে। তারা যুক্তরাজ্য থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে ইইউতে থেকে যেতে চায়। একই দাবি উত্তর আয়ারল্যান্ডেও। আর লন্ডনবাসী মেয়রকে বলছেন, লন্ডনকে স্বাধীন ঘোষণা করে ইইউতে থেকে যাওয়ার। পুরো বিষয়টি ছেলেমানুষী মনে হচ্ছে। কিন্তু যুক্তরাজ্যের ইইউ ছেড়ে যাওয়া কোনো ছেলেখেলা নয়। এর সঙ্গে শুধু এক কোটি ৭৪ লাখ জাত্যাভিমানী ব্রিটিশের ভাগ্য জড়িত নয়। বিশ্ব রাজনীতি, অর্থনীতি, সমাজব্যবস্থায় বড় ধরনের ওলট-পালট ঘটবে এতে। সেটা ভালো হবে না মন্দ, তা নিয়ে অনেক আলোচনা হচ্ছে। সেটা ঠিক হবে ভবিষ্যতে।

অনেকেই এ গণভোটকে গণতন্ত্রের সৌন্দর্য হিসেবে দেখছেন। তারা বলছেন, ভালো হোক, মন্দ হোক, জনগণের রায় সবাইকে মেনে নিতে হবে। কিন্তু জনপ্রিয় রায় কি সব সময় কল্যাণকর? জনপ্রিয় সবকিছু কি সবসময় ভালো? সবকিছু কি জনগণের রায়ের ওপর নির্ভর করে করা সম্ভব না করা উচিত? জনপ্রিয় সিনেমা মানেই ক্ল্যাসিক নয়, জনপ্রিয় উপন্যাস মহৎ সাহিত্য না-ও হতে পারে। সবকিছু সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে করা হলে অনেক আগেই বিশ্ব থেকে সংখ্যালঘুরা হারিয়ে যেত। যেমন ধরুন, বাংলাদেশে চাকরির কোটা থাকা না থাকা প্রশ্নে গণভোট হলে কোটা বাতিলের পক্ষে বিপুল জনরায় পাওয়া যাবে। কিন্তু অবহেলিত, সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর পাশে দাঁড়াতে সরকার কিন্তু কোটা ব্যবস্থাই বহাল রেখেছে। বাংলাদেশে গণভোট হলে ক্রসফায়ারের পক্ষেও বিপুল জনরায় পাওয়া যাবে। তাই বলে কি ক্রসফায়ার চলতে দেওয়া উচিত? জনগণের রায়ে গঠিত সরকার, জনগণের কল্যাণে সিদ্ধান্ত নেবে, তবে সব সিদ্ধান্ত যে জনগণের মত নিয়েই নিতে হবে, এমন কোনো কথা নেই।

সব টেকনিক্যাল বিষয়ে কি জনগণ সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারে? যুক্তরাজ্যের ক্ষমতাসীন ও বিরোধী দল ইইউতে থেকে যাওয়ার পক্ষে ছিল। চাইলে তারা পার্লামেন্টে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে পারত। কিন্তু তা না করে, তারা এত গুরুত্বপূর্ণ ওয়ানওয়ে সিদ্ধান্তের দায়িত্ব চাপালেন জনগণের ঘাড়ে। গণতন্ত্রে এক ধরনের প্রতারণাও আছে। নির্বাচনের আগে জনগণের সামনে সত্য-মিথ্যা, সম্ভব-অসম্ভব অনেক প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। নির্বাচনের পর রাজনীতিবিদরা যা ভুলে যান। যেমন বাংলাদেশে নির্বাচন এলেই সবাই খুব ধার্মিক হয়ে যান। কোন দল ক্ষমতায় গেলে মসজিদে আজানের বদলে উলুধ্বনি হবে, কোন দল ক্ষমতায় গেলে মদিনা সনদে দেশ চালাবে; এ নিয়ে রীতিমতো প্রতিযোগিতা হয়। যুক্তরাজ্যের লোকদেরও বোঝানো হয়েছিল, ইইউতে থাকলে অভিবাসীদের স্রোত ব্রিটিশ ঐতিহ্যকে ধ্বংস করে দেবে, ইইউ থেকে বেরিয়ে এলে নাকি স্বাস্থ্যবীমা খাতে অর্থের ঢল নামবে। কিন্তু ভোটের পরদিনই ব্রেক্সিটের মূল হোতা ইউকে ইন্ডিপেন্ডেন্ট দলের নেতা নাইজেল ফারাজ স্বীকার করেছেন স্বাস্থ্যবীমা খাতে অর্থের প্রতিশ্রুতিটা ভুল ছিল। এখন এই ভুল প্রতিশ্রুতি দেওয়ার কারণে কি নির্বাচনের ফলাফল বদলে যাবে, নাকি সাজা হবে ফারাজের? গণতন্ত্রের আরেকটা বড় ত্রুটি হলো, যার কাছে টাকা বেশি, নির্বাচনী প্রচারণায় যিনি বেশি খরচ করতে পারেন, তার জয়ের সম্ভাবনা বেশি। তাই যৌক্তিক অবস্থানে থেকেও অনেকে ট্যাক দুর্বল থাকলে হেরে যেতে পারেন। বাংলাদেশে ড. কামালরা বারবার হেরে যান খালেকদের কাছে। তৃতীয় বিশ্বে অর্থের সঙ্গে যোগ হয় অস্ত্র, পেশিশক্তি। অর্থ আর অস্ত্র গণতন্ত্রের রায় নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড় ত্রুটি, অন্তত ব্রেক্সিটের ক্ষেত্রে, হলো পক্ষে-বিপক্ষে ভোট। ৫১.৯ শতাংশ মানে এক কোটি ৭৪ লাখ ১০ হাজার মানুষের ভোটে যুক্তরাজ্য ইইউ থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু ৪৮.১ শতাংশ মানুষ মানে এক কোটি ৬১ লাখ ৪১ হাজার জন যে থেকে যেতে চাইলেন, তাদের মতের কি কোনো দাম নেই?

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর কল্যাণকর বিশ্ব গড়ার যে ধারণা থেকে ছয়টি দেশ মিলে ১৯৫২ সালে গড়ে তুলেছিল ইউরোপিয়ান কোল অ্যান্ড স্টিল কমিউনিটি, ১৯৫৭ সালে তা পরিণত হয় ইউরোপিয়ান ইকোনমিক কমিউনিটি-ইইসিতে। আর ১৯৯৩ সালে পূর্ণাঙ্গ রূপ পায় আজকের ২৮ রাষ্ট্রের ইউরোপিয়ান ইউনিয়নে। যুক্তরাজ্য ১৯৭৩ সালে রীতিমতো আবেদন করে এ জোটে যোগ দিয়েছিল। ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের ২৮ রাষ্ট্রের সবগুলোর অর্থনৈতিক সামর্থ্য সমান নয়, রয়েছে নানা বৈষম্যও। ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন এ বৈষম্য কমিয়ে এক ধরনের সমতা আনার চেষ্টা করেছে। তাতে বড় দেশগুলোকে কিছুটা ছাড় দিতে হয়। এখানেই ব্রিটিশরা স্বার্থপরতার পরিচয় দিল। যখন বুঝে গেল তাদের লাভ কম, অন্যদের লাভ বেশি, তখনই গণভোট। নগদ লাভ-ক্ষতিটাই তাদের চোখে পড়েছে। একসঙ্গে থাকলে যে দারুণ একটা শক্তি হিসেবে এগোতে পারে ইউরোপ, সেটা মাথায়ই আসেনি মাথামোটা ব্রিটিশ বুড়োদের। বুড়োদের বললাম, কারণ গণভোটে তরুণরা ভোট দিয়েছিল ইইউতে থাকার পক্ষে, আর বুড়োরা ছিল বিপক্ষে। এ গণভোটের সবচেয়ে অমানবিক দিক হলো, অভিবাসীদের স্রোতে বাঁধ দিতেই যুক্তরাজ্য নিজেদের বিচ্ছিন্ন করে ফেলতে চেয়েছে। কেউ ইচ্ছা করে নিজেদের শিকড় ছেড়ে উদ্বাস্তু হয় না। বিশ্ব রাজনীতি আর অর্থনৈতিক বৈষম্যই তাদের বাধ্য করে। আমি বলছি না, সব উদ্বাস্তুর জন্য সব দেশের সীমান্ত খুলে দিতে হবে। কিন্তু সাম্প্রতিক অভিবাসন ইস্যুতে জার্মানি যতটা মানবিকতার পরিচয় দিতে পেরেছে, ব্রিটিশরা নিজেদের ততটাই অমানবিক ও স্বার্থপর প্রমাণ করেছে। ২৬০ বছর আগে ১৭৫৭ সালে পলাশীর আম্রকাননে অস্ত গিয়েছিল বাংলার স্বাধীনতার সূর্য। সেদিন জয় হয়েছিল ব্রিটিশদের ষড়যন্ত্র, বিশ্বাসঘাতকতার। তাদের বাণিজ্য দণ্ড পরিণত হয়েছিল রাজদণ্ডে। ২৬০ বছর পর আবার ২৩ জুন, নাইজেল ফারাজে একে দাবি করলেন যুক্তরাজ্যের নতুন স্বাধীনতা দিবস হিসেবে। স্বাধীনতা বটে; তবে এ স্বাধীনতা স্বার্থপরতার, অমানবিকতার, বিচ্ছিন্নতার, আত্মমুখিতার, আত্মমগ্নতার। একশ বছর আগেও ব্রিটিশ সাম্রাজ্যে সূর্য অস্ত যেত না। আর আজ যুক্তরাজ্য গুটিয়ে নিতে নিতে নিজেদের ঘরবন্দী করে ফেলছে। আমার শঙ্কা, এ গণভোট যে বিচ্ছিন্নতার যাত্রা শুরু করল, তা ভেঙে দিতে পারে যুক্তরাজ্যকেও। স্কটল্যান্ড আর উত্তর আয়ারল্যান্ডের স্বাধীনতার দাবি এখন আরও উচ্চকিত। থাকুক ব্রিটিশরা জগৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে নিজেদের ঘরে, সব সমস্যা থেকে নিজেদের আড়াল করে উটপাখির মতো বালিতে মুখ বুজে। এ গণভোট উসকে দিল উগ্র জাতীয়তাবাদ ও অন্ধ বর্ণবাদ। আটলান্টিকের ওপাড়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প যে উগ্র জাতীয়তাবাদের ধুয়া তুলে নির্বাচনী বৈতরণী পার হতে চাইছেন, যুক্তরাজ্যেও গণভোটে জয় হলো সেই ধারণারই। কিন্তু অভিজাত নীল রক্তের জয়ের কথা ভেবে যারা উত্ফুল্ল, তারা বোকার সপ্তম স্বর্গে বাস করছেন। এখন বিশ্ব হলো, পাশে পাশে থাকার; এক দেশ আরেক দেশকে টেনে তোলার। এখন সময় বিচ্ছিন্নতার নয়, আঞ্চলিক ঐক্যের। এখন প্রতিযোগিতার ধারণাটাই বদলে গেছে। এখন গোটা বিশ্ব একটা গ্রাম।

বলছিলাম গণতন্ত্রের কথা। দৃশ্যমান গণতন্ত্র আর গণতান্ত্রিক চেতনা এক নয়। এই যেমন রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক হলেও কোনো দলেই গণতন্ত্র নেই। আওয়ামী লীগে শেখ হাসিনা আর বিএনপিতে বেগম খালেদা জিয়াই শেষ কথা। এ নিয়ে আমরা অনেক সমালোচনা করি। কিন্তু বাস্তবতা হলো, যতবার ভোট হবে, ততবারই তো নিজ নিজ দলে হাসিনা বা খালেদাই জিতবেন। তাহলে কি প্রতিবার ভোটের আয়োজন করতে হবে? হলে ভালো, না হলেই যে গণতন্ত্র ধ্বংস হয়ে যাবে, তা নয়। গণতান্ত্রিক চেতনাটাই আসল। গত ২৩ জুন আওয়ামী  লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে দৈনিক প্রথম আলোয় মহিউদ্দিন আহমদের একটি লেখায় বাংলাদেশে ‘গণতন্ত্রের মানসপুত্র’ হিসেবে পরিচিত হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী প্রসঙ্গে একটি কথা পড়ে চমকে গেছি। উদ্ধৃত করছি, ‘১৯৫৪ সালের ডিসেম্বরে পাকিস্তান আওয়ামী লীগের সভাপতি সোহরাওয়ার্দী দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে মোহাম্মদ আলীর মন্ত্রিপরিষদে যোগ দিয়েছিলেন। মন্ত্রিত্ব নেওয়ার পর এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছিলেন, ‘আওয়ামী লীগ আবার কী? আমিই আওয়ামী লীগ।’

সাংবাদিক আবার প্রশ্ন করলেন, ‘এটা কি আওয়ামী লীগের ম্যানিফেস্টো বিরোধী না?’ সোহরাওয়ার্দীর জবাব ছিল, ‘আমিই আওয়ামী লীগের ম্যানিফেস্টো।’ এ হলো আমাদের গণতন্ত্রের মানসপুত্রের গণতান্ত্রিক চেতনা! এটা মোটেই গণতন্ত্র নয়। আবার শেখ হাসিনা ২০০৮ সালে নির্বাচনে ভূমিধস জয় পাওয়ার পর প্রথম সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, ‘বিরোধী দলকে আমি সংখ্যা দিয়ে গুনব না।’ যদিও শেখ হাসিনা পরে তার এ অঙ্গীকারে স্থির থাকেননি বা থাকতে পারেননি। তবে এটাই হলো গণতন্ত্রের আসল চেতনা। তবে আমি গণতন্ত্রের শেষ কথা মানি বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের একটি লাইনকে, ‘আমি বললাম, এসেম্বলির মধ্যে আলোচনা করবো, এমনকি আমি এ পর্যন্তও বললাম, যদি কেউ ন্যায্য কথা বলে, আমরা সংখ্যায় বেশি হলেও, একজনও যদি হয় সে, তার ন্যায্য কথা আমরা মেনে নেবো।’ এটাই গণতন্ত্র। গণতন্ত্র মানে নিছক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নয়, গণতন্ত্র হলো ন্যায্যতা, গণতন্ত্র মানে জনগণের কল্যাণ।

     লেখক : সাংবাদিক।

     [email protected]

এই বিভাগের আরও খবর
বেহাল স্বাস্থ্যসেবা
বেহাল স্বাস্থ্যসেবা
নির্বিঘ্ন নির্বাচন
নির্বিঘ্ন নির্বাচন
শান্তি ফেরাতে নির্বাচনই সমাধান
শান্তি ফেরাতে নির্বাচনই সমাধান
রিপু নিয়ন্ত্রণের আবশ্যকতা
রিপু নিয়ন্ত্রণের আবশ্যকতা
সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এখনই
সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এখনই
শেখ হাসিনার মুখে এখনো দেখে নেওয়ার হুমকি
শেখ হাসিনার মুখে এখনো দেখে নেওয়ার হুমকি
ভীতিকর ভূমিকম্প
ভীতিকর ভূমিকম্প
তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল
তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল
ইসলাম ন্যায়বিচারে উৎসাহিত করে
ইসলাম ন্যায়বিচারে উৎসাহিত করে
ডলফিন বাঁচবে কী করে
ডলফিন বাঁচবে কী করে
নগরের ছাদে সবুজ বিপ্লব
নগরের ছাদে সবুজ বিপ্লব
আমরা কোন রাজনীতির কথা ভাবছি
আমরা কোন রাজনীতির কথা ভাবছি
সর্বশেষ খবর
সাদিয়া আয়মানের অভিনয়ে মুগ্ধ অনিরুদ্ধ রায়
সাদিয়া আয়মানের অভিনয়ে মুগ্ধ অনিরুদ্ধ রায়

১ সেকেন্ড আগে | শোবিজ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গুলিসহ অস্ত্র উদ্ধার
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গুলিসহ অস্ত্র উদ্ধার

৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ব্রোঞ্জ পদক নিয়েই নারী কাবাডি বিশ্বকাপ শেষ বাংলাদেশের
ব্রোঞ্জ পদক নিয়েই নারী কাবাডি বিশ্বকাপ শেষ বাংলাদেশের

৪ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

শেকৃবিতে একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ, শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ
শেকৃবিতে একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ, শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ

৬ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

আগুনে পুড়ে ছাই আড়াই হাজার মুরগি
আগুনে পুড়ে ছাই আড়াই হাজার মুরগি

১৮ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে খালেদা জিয়া
স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে খালেদা জিয়া

২৪ মিনিট আগে | জাতীয়

নিউইয়র্কে আন্তর্জাতিক লোকসংগীত সম্মেলনের ২৫ বছর পূর্তি
নিউইয়র্কে আন্তর্জাতিক লোকসংগীত সম্মেলনের ২৫ বছর পূর্তি

৩৩ মিনিট আগে | পরবাস

বগুড়ায় হাইওয়ে পুলিশের কমিউনিটি পুলিশিং ও সুধী সমাবেশ
বগুড়ায় হাইওয়ে পুলিশের কমিউনিটি পুলিশিং ও সুধী সমাবেশ

৩৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

নারায়ণগঞ্জে ধানের শীষের প্রার্থীর পক্ষে গণসংযোগ
নারায়ণগঞ্জে ধানের শীষের প্রার্থীর পক্ষে গণসংযোগ

৩৯ মিনিট আগে | ভোটের হাওয়া

মুশফিকের মাইলফলকে সতীর্থদেরও জেগেছে শত টেস্টের স্বপ্ন
মুশফিকের মাইলফলকে সতীর্থদেরও জেগেছে শত টেস্টের স্বপ্ন

৪০ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

কুবির ভর্তি পরীক্ষার আবেদন ২৭ নভেম্বর শুরু, রাবিতেও থাকবে পরীক্ষার কেন্দ্র
কুবির ভর্তি পরীক্ষার আবেদন ২৭ নভেম্বর শুরু, রাবিতেও থাকবে পরীক্ষার কেন্দ্র

৪৪ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বিএনপির বিকল্প নেই : আমানউল্লাহ আমান
দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বিএনপির বিকল্প নেই : আমানউল্লাহ আমান

৫৩ মিনিট আগে | রাজনীতি

নারীর ক্ষমতায়ন সৃষ্টি করছেন তারেক রহমান: নিপুন রায়
নারীর ক্ষমতায়ন সৃষ্টি করছেন তারেক রহমান: নিপুন রায়

৫৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

গাইবান্ধা কারাগারে অসুস্থ হয়ে আওয়ামী লীগ নেতার মৃত্যু
গাইবান্ধা কারাগারে অসুস্থ হয়ে আওয়ামী লীগ নেতার মৃত্যু

৫৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

আদাবরের শীর্ষ ছিনতাইকারী ‘চোরা রুবেল’ গ্রেপ্তার
আদাবরের শীর্ষ ছিনতাইকারী ‘চোরা রুবেল’ গ্রেপ্তার

৫৭ মিনিট আগে | নগর জীবন

চুয়াডাঙ্গায় মহিলা দলের নির্বাচনী সমাবেশ
চুয়াডাঙ্গায় মহিলা দলের নির্বাচনী সমাবেশ

৫৮ মিনিট আগে | ভোটের হাওয়া

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স প্রথম বর্ষে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স প্রথম বর্ষে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

সমুদ্রপথে ইয়াবা আনতে গিয়ে মাদক কারবারি আটক
সমুদ্রপথে ইয়াবা আনতে গিয়ে মাদক কারবারি আটক

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বাংলাদেশের সঙ্গে জ্বালানি ও পরিবহন সহযোগিতা বাড়াবে ফ্রান্স
বাংলাদেশের সঙ্গে জ্বালানি ও পরিবহন সহযোগিতা বাড়াবে ফ্রান্স

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শিক্ষার্থীদের বাড়ি পৌঁছে দিতে বিভাগীয় শহরে বাস দিল জবি
শিক্ষার্থীদের বাড়ি পৌঁছে দিতে বিভাগীয় শহরে বাস দিল জবি

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ভূমিকম্প অনিশ্চিত তাই বিদ্যালয় বন্ধের সুযোগ নেই: প্রাথমিক শিক্ষা উপদেষ্টা
ভূমিকম্প অনিশ্চিত তাই বিদ্যালয় বন্ধের সুযোগ নেই: প্রাথমিক শিক্ষা উপদেষ্টা

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বরিশালে ডেঙ্গুতে এক নারীর মৃত্যু
বরিশালে ডেঙ্গুতে এক নারীর মৃত্যু

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

বান্দরবানে মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর ৫ সদস্য আটক
বান্দরবানে মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর ৫ সদস্য আটক

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ঢাকা মেডিকেলে একাডেমিক কার্যক্রম আগামী ২৯ নভেম্বর পর্যন্ত বন্ধ
ঢাকা মেডিকেলে একাডেমিক কার্যক্রম আগামী ২৯ নভেম্বর পর্যন্ত বন্ধ

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

জামায়াত ও আওয়ামী লীগ মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ : প্রিন্স
জামায়াত ও আওয়ামী লীগ মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ : প্রিন্স

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ভারতের ওয়ানডে অধিনায়ক হলেন রাহুল
ভারতের ওয়ানডে অধিনায়ক হলেন রাহুল

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বাগেরহাটে ৩ বান্ধবীকে শ্লীলতাহানি ও একজনকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা
বাগেরহাটে ৩ বান্ধবীকে শ্লীলতাহানি ও একজনকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ধর্ষণ মামলার আসামি গ্রেফতার
ধর্ষণ মামলার আসামি গ্রেফতার

১ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চমক রেখে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের দল ঘোষণা
চমক রেখে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের দল ঘোষণা

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

রাবির দুই শিক্ষককে সকল কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার নির্দেশ
রাবির দুই শিক্ষককে সকল কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার নির্দেশ

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

সর্বাধিক পঠিত
শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে বাধ্য ভারত : মুনিরুজ্জামান
শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে বাধ্য ভারত : মুনিরুজ্জামান

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পের পর এবার এলো ‘ঘূর্ণিঝড়’ সতর্কতা
ভূমিকম্পের পর এবার এলো ‘ঘূর্ণিঝড়’ সতর্কতা

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে ২৪ ঘণ্টায় ৯৪ ভূমিকম্প
বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে ২৪ ঘণ্টায় ৯৪ ভূমিকম্প

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফের আলোচনায় মডেল মেঘনা আলম
ফের আলোচনায় মডেল মেঘনা আলম

৭ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

প্রশাসন আমাদের কথায় উঠবে, আমাদের কথায় বসবে: জামায়াত নেতা শাহাজাহান
প্রশাসন আমাদের কথায় উঠবে, আমাদের কথায় বসবে: জামায়াত নেতা শাহাজাহান

৮ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ছাত্রাবাসে ফাটল : চাদর-বালিশ নিয়ে সড়কে শিক্ষার্থীরা
ছাত্রাবাসে ফাটল : চাদর-বালিশ নিয়ে সড়কে শিক্ষার্থীরা

১১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

১৫ দিনের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা, হল ছাড়ার নির্দেশ
১৫ দিনের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা, হল ছাড়ার নির্দেশ

২১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

হল ছেড়ে মধ্যরাতে খোলা আকাশের নিচে ইডেন ছাত্রীরা, বিক্ষোভ
হল ছেড়ে মধ্যরাতে খোলা আকাশের নিচে ইডেন ছাত্রীরা, বিক্ষোভ

১০ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ভারতের ‘চিকেন নেকে’ সর্বোচ্চ সতর্কতা: শিলিগুড়িতে উচ্চপর্যায়ের গোয়েন্দা বৈঠক
ভারতের ‘চিকেন নেকে’ সর্বোচ্চ সতর্কতা: শিলিগুড়িতে উচ্চপর্যায়ের গোয়েন্দা বৈঠক

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল এলাকার মাটিতে ফাটল থেকে নমুনা সংগ্রহ
ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল এলাকার মাটিতে ফাটল থেকে নমুনা সংগ্রহ

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রণবীরের সঙ্গে ট্রাম্পের হবু পুত্রবধূর নাচের ভিডিও ভাইরাল
রণবীরের সঙ্গে ট্রাম্পের হবু পুত্রবধূর নাচের ভিডিও ভাইরাল

৭ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

সাবেক এমপি এসএ খালেকের ছেলে সাজুকে বিএনপির শোকজ
সাবেক এমপি এসএ খালেকের ছেলে সাজুকে বিএনপির শোকজ

৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

হল ছাড়তে শুরু করেছেন ঢাবি শিক্ষার্থীরা
হল ছাড়তে শুরু করেছেন ঢাবি শিক্ষার্থীরা

৯ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

এবার ভূমিকম্পে কাঁপল মিয়ানমার-থাইল্যান্ড-ইন্দোনেশিয়া
এবার ভূমিকম্পে কাঁপল মিয়ানমার-থাইল্যান্ড-ইন্দোনেশিয়া

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সাবেক স্ত্রী রিনাকে চমকে দিলেন আমির
সাবেক স্ত্রী রিনাকে চমকে দিলেন আমির

২৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার
বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার

৯ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

রেকর্ড গড়ার সুযোগ পেলেন না মুশফিক, যা বললেন আশরাফুল
রেকর্ড গড়ার সুযোগ পেলেন না মুশফিক, যা বললেন আশরাফুল

২২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

৩০০ আসনে এনসিপির ১৪৮৪ মনোনয়ন ফরম বিক্রি
৩০০ আসনে এনসিপির ১৪৮৪ মনোনয়ন ফরম বিক্রি

৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সিলেটে ভেঙে ফেলা হবে ২৩টি ভবন
সিলেটে ভেঙে ফেলা হবে ২৩টি ভবন

৯ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

শেখ হাসিনা-জয়-পুতুলের বিরুদ্ধে পৃথক তিন মামলার রায় ২৭ নভেম্বর
শেখ হাসিনা-জয়-পুতুলের বিরুদ্ধে পৃথক তিন মামলার রায় ২৭ নভেম্বর

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিশাল জয়ে মুশফিকের শততম টেস্ট রাঙালো বাংলাদেশ
বিশাল জয়ে মুশফিকের শততম টেস্ট রাঙালো বাংলাদেশ

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ভেনেজুয়েলাকে ঘিরে নতুন অভিযান শুরু করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র
ভেনেজুয়েলাকে ঘিরে নতুন অভিযান শুরু করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিশ্বকাপ : বাংলাদেশের সামনে পড়তে পারে ইতালি
বিশ্বকাপ : বাংলাদেশের সামনে পড়তে পারে ইতালি

৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ভাড়া দিতে না পারা সেই বাড়ির মালিক এখন কার্তিক
ভাড়া দিতে না পারা সেই বাড়ির মালিক এখন কার্তিক

২২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

শিক্ষার্থীদের বাড়ি ফিরতে বিভাগীয় শহরে বাস সার্ভিস দেবে ডাকসু
শিক্ষার্থীদের বাড়ি ফিরতে বিভাগীয় শহরে বাস সার্ভিস দেবে ডাকসু

১০ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময় এক মাস বাড়ালো
আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময় এক মাস বাড়ালো

৫ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

এই সময়ে গ্যাস কূপে ড্রিলিং কাজ বন্ধ রাখা শ্রেয়, ফেসবুকে আবহাওয়াবিদ পলাশ
এই সময়ে গ্যাস কূপে ড্রিলিং কাজ বন্ধ রাখা শ্রেয়, ফেসবুকে আবহাওয়াবিদ পলাশ

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মহাখালীতে বাসে আগুন
মহাখালীতে বাসে আগুন

২১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

এখন শান্তিচুক্তি না করলে ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ আরও খারাপ হবে: যুক্তরাষ্ট্রের সতর্কবার্তা
এখন শান্তিচুক্তি না করলে ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ আরও খারাপ হবে: যুক্তরাষ্ট্রের সতর্কবার্তা

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সৈকতের সিদ্ধান্ত নিয়ে আবারও বিতর্ক, পাশে দাঁড়ালেন সাইমন টফেল
সৈকতের সিদ্ধান্ত নিয়ে আবারও বিতর্ক, পাশে দাঁড়ালেন সাইমন টফেল

২৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

প্রিন্ট সর্বাধিক
ভূমিকম্পের উৎপত্তি এবার ঢাকায়
ভূমিকম্পের উৎপত্তি এবার ঢাকায়

প্রথম পৃষ্ঠা

শতকোটি টাকার গাড়ি এখন ভাঙারির স্তূপ
শতকোটি টাকার গাড়ি এখন ভাঙারির স্তূপ

পেছনের পৃষ্ঠা

বগুড়ায় ধানের শীষেরই দাপট
বগুড়ায় ধানের শীষেরই দাপট

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

নির্বাচনে রাজনৈতিক ভূমিকম্পের শঙ্কা
নির্বাচনে রাজনৈতিক ভূমিকম্পের শঙ্কা

প্রথম পৃষ্ঠা

একই অঙ্গে এত রূপ
একই অঙ্গে এত রূপ

শোবিজ

রংপুরে ধানের দাম নিয়ে চিন্তিত কৃষক
রংপুরে ধানের দাম নিয়ে চিন্তিত কৃষক

পেছনের পৃষ্ঠা

সারা দেশে নির্বাচনি শোডাউন
সারা দেশে নির্বাচনি শোডাউন

পেছনের পৃষ্ঠা

সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এখনই
সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এখনই

সম্পাদকীয়

রিপু নিয়ন্ত্রণের আবশ্যকতা
রিপু নিয়ন্ত্রণের আবশ্যকতা

সম্পাদকীয়

ইমাম আহমদ রেযা মুসলিম জাতির জন্য আশীর্বাদ
ইমাম আহমদ রেযা মুসলিম জাতির জন্য আশীর্বাদ

খবর

জেরার মুখে সেই রাঘববোয়ালরা
জেরার মুখে সেই রাঘববোয়ালরা

প্রথম পৃষ্ঠা

নির্বাচনের জেনোসাইড হওয়ার আশঙ্কা
নির্বাচনের জেনোসাইড হওয়ার আশঙ্কা

প্রথম পৃষ্ঠা

শেখ হাসিনার মুখে এখনো দেখে নেওয়ার হুমকি
শেখ হাসিনার মুখে এখনো দেখে নেওয়ার হুমকি

সম্পাদকীয়

নিরাপত্তাহীনতায় পপি
নিরাপত্তাহীনতায় পপি

শোবিজ

অপ্রতিরোধ্য সন্ত্রাসীদের চাঁদাবাজি
অপ্রতিরোধ্য সন্ত্রাসীদের চাঁদাবাজি

পেছনের পৃষ্ঠা

বাবরি মসজিদ ইস্যু ঘিরে পশ্চিমবঙ্গে নতুন বিতর্ক
বাবরি মসজিদ ইস্যু ঘিরে পশ্চিমবঙ্গে নতুন বিতর্ক

পেছনের পৃষ্ঠা

ব্যান্ড সংগীতে ভাঙাগড়ার খেলা
ব্যান্ড সংগীতে ভাঙাগড়ার খেলা

শোবিজ

চ্যালেঞ্জ যতই হোক দুই ভোট এক দিনে
চ্যালেঞ্জ যতই হোক দুই ভোট এক দিনে

প্রথম পৃষ্ঠা

বাজি ধরে বার্গার গিলতে গিয়ে যুবকের মৃত্যু
বাজি ধরে বার্গার গিলতে গিয়ে যুবকের মৃত্যু

পেছনের পৃষ্ঠা

পদক নিশ্চিতের পর লক্ষ্য বিশ্বজয়
পদক নিশ্চিতের পর লক্ষ্য বিশ্বজয়

মাঠে ময়দানে

শুটিংয়ে আহত শ্রদ্ধা কাপুর
শুটিংয়ে আহত শ্রদ্ধা কাপুর

শোবিজ

বাংলাদেশ-নেপাল রাগবি সিরিজ
বাংলাদেশ-নেপাল রাগবি সিরিজ

মাঠে ময়দানে

বিমানবাহিনীর কর্মকর্তার বাড়িতে ডাকাতি
বিমানবাহিনীর কর্মকর্তার বাড়িতে ডাকাতি

পেছনের পৃষ্ঠা

বড় ইনিংস খেলা অভ্যাসের বিষয়
বড় ইনিংস খেলা অভ্যাসের বিষয়

মাঠে ময়দানে

সৌদি প্রো লিগ
সৌদি প্রো লিগ

মাঠে ময়দানে

চট্টগ্রাম বন্দর অবরোধের ডাক দুই সংগঠনের
চট্টগ্রাম বন্দর অবরোধের ডাক দুই সংগঠনের

প্রথম পৃষ্ঠা

আতঙ্ক কাটেনি নরসিংদীতে
আতঙ্ক কাটেনি নরসিংদীতে

প্রথম পৃষ্ঠা

ফ্যাসিবাদবিরোধী দৃশ্যমান কিছু করেনি জামায়াত
ফ্যাসিবাদবিরোধী দৃশ্যমান কিছু করেনি জামায়াত

প্রথম পৃষ্ঠা

পুলিশের দাবি শ্বাসকষ্ট ভাই বললেন হত্যা
পুলিশের দাবি শ্বাসকষ্ট ভাই বললেন হত্যা

পেছনের পৃষ্ঠা